হতভাগার জিজ্ঞাসা ৪
লিখেছেন লিখেছেন হতভাগা ২০ এপ্রিল, ২০১৬, ০৪:৫৩:৩৭ বিকাল
১. কেউ নামাজ পড়লে তার সামনে দিয়ে যাওয়া নিষেধ । যদি সিজদার বাইরে দিয়ে যায় তাহলেও ? মক্কাতে দেখেছি যে সেখানে সামনে দিয়ে হরদম চলাফেরা করছে । এটা নাকি শুধু ক্বাবা শরীফের জন্য ব্যতিক্রম ?
২. নামাজে কাতারের কোথা থেকে দাঁড়ানো শুরু করতে হয় ? প্রথম কাতার পূরণ হয়ে গেলে দ্বিতীয় কাতারে কোথায় দাঁড়াবো যদি পুরোটাই ফাঁকা থাকে - ঈমামের ডান পাশে কোনা থেকে , নাকি বাম পাশে, নাকি মাঝখান বরাবর ?
৩. আল্লাহ তায়ালা আরবী ভাষায় ক্বুরআন নাজিল করেছেন । ফলে সেটা আরবী ভাষীদের জন্য এডভান্টেজ হিসেবে কাজ করেছে । তারা শুদ্ধ ও সঠিকভাবে ক্বুরআন তেলাওয়াত করতে পারে অন্যান্য ভাষাভাষীদের চেয়ে । আরবী উচ্চারনে মাখরাজের ব্যাপার স্যাপারটা ভিন্নভাষীদের জন্য তুলনামূলকভাবে কঠিনতর ।
কিন্তু ক্বুরআন তেলাওয়াৎ যদি অর্থসহ করি তাহলে মাখরাজ সংক্রান্ত ভুলগুলো কি আল্লাহ ক্ষমা করবেন ? সাধারণ মুসলমানদের সিংহভাগই এই মাখরাজ সংক্রান্ত ভুল হয়ে যাবার ভয়ে ক্বুরআন তেলাওয়াৎ থেকে দূরে থাকে । এ ব্যাপারে কি ব্যাখ্যা আছে ?
৪. স্বামীর উপার্জনে স্ত্রীর অধিকার বা স্ত্রীর উপার্জনে স্বামীর কতটুকু অধিকার আছে ? (সূরা নিসা : ৩২)
৫. আমার কাছ থেকে কেউ ৫ লাখ টাকা ধার নিলো । সেটা সে ২/৩ বছরের মধ্যে শোধ করবে বললো । কিন্তু নানা বাহানার পর সেটা সে শোধ করলো ১০ বছর পর । আমি কি তার কাছ থেকে সেই ৫ লাখ টাকাই পাব নির্ধারিত সময় পার হবার ৭/৮ বছর পর ?
৬. একজন মেয়ে বিয়ে করলো ১০ লাখ টাকা দেন মোহরে । সপ্তাহ খানেক পার হতে না হতেই সে তার স্বামীকে তালাক দিয়ে দিল । ৩ মাস পর একই কাহিনী করলো । এভাবে ৩/৪ বছর একই ঘটনা করলো ।
যেহেতু তালাক একটা বৈধ বিষয় (শরিয়ত সন্মত কারণ থাকলে , সেটা বানানো খুব একটা কঠিনও না ) এবং দেন মোহরও স্ত্রীর অবশ্য প্রাপ্য বিষয় - সেই হিসেবে তার এই তালাক দেওয়ার কাজগুলো কি শরিয়ত মোতাবেক সঠিক ?
৭. স্ত্রীর প্রতি স্বামী ব্যয় করার পরও যদি স্ত্রী স্বামীর অনুগত না হয়ে উল্টো তার উপর বসিং করতে চায় এবং এতে যদি স্বামী তাকে প্রহার করতে গেলে মনুষ্য আইনী বাঁধা পায় - তাহলে কি এমন করা কি সঠিক হবে যে স্বামী তার স্ত্রীর কাছ থেকে দেন মোহর ফেরত চাইলো (যেহেতু তার ব্যয়ের কোন পজিটিভ ফিড ব্যাক সে পাচ্ছে না ) এবং বললো যেহেতু সে বসিং করতে চায় তাহলে সেই এখন থেকে তার স্বামীর ভরনপোষন দিক ?
বিষয়: বিবিধ
১৯৬০ বার পঠিত, ৩৪ টি মন্তব্য






































পাঠকের মন্তব্য:
২। প্রত্যেক কাতার শুরু হবে মাঝখান থেকে।
৩। কোরআন তেলওয়াত একটি ইবাদত। এটা করার জন্য আমাদের আগ্রহ, প্রচেস্টা ও সর্বপরি ঈমান জরুরী। আমাদের উচ্চারন জরুরী নয়। সঠিক উচ্চারন শিখতে পারলে ভালো। আর সেটা না পারলে যেমন পারি তেমনই পড়তে হবে। উচ্চারন ঠিক নয় এই অজুহাতে কোরআন তেলওয়াত না করাটা বোকামী। তাছাড়া, ভুল উচ্চারনের জন্য অর্থ বিকৃতি ঘটে এমন আয়াত খুব বেশী নয়।
৪। স্বামী-স্ত্রীর যার যার উপার্জন তার তার। একে অপরের উপার্জনে কোন অধিকার নেই। তবে স্ত্রীর ভরন পোষন দেওয়া স্বামীর দায়ীত্ব। এই ভরন পোষন মানে বিলাসিতা নয়, নুন্যতম প্রয়োজন মেটানো। বিষয়টা এমন নয় যে স্ত্রী স্বামীর চেয়ে বেশী ধনী তবুও স্বামী তাকে ভরন পোষন দিবে। কয়েকজন সাহাবী তার ধনী স্ত্রীর নিকট থেকে জাকাত পেয়েছেন। যে ব্যাক্তি স্ত্রীর কাছ থেকে জাকাত নেয়, সে স্ত্রীর ভরন পোষন দিবে কোথা থেকে?
৫। এটা সবচেয়ে জটিল প্রশ্ন। একজনকে টাকা ধার দিয়ে, (পুর্বশর্ত অনুসারে) তার কাছ থেকে ফেরত নেবার সময় বেশী টাকা নেওয়াটা সুদ। আবার কম না দিয়ে একই টাকা ফেরত দেওয়াটাও ওই ব্যাক্তির দায়িত্ব। আপনি ১০ বছর আগে ৫ লাখ টাকা ধার দিয়েছিলেন। এখন ফেরত নেবার সময় দেখলেন সেই ৫ লাখ টাকা এখনকার দিনের ৭ লাখ টাকার সমান। এটা যদি আপনি সঠিকভাবে হিসাব করতে ও প্রমান করতে পারেন তাহলে আপনি ৭ লাখ টাকা দাবী করতে পারেন। কারন আপনি বেশী চাচ্ছেন না, সেই একই পরিমান চাচ্ছেন। বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই ঋণ গ্রহিতা এমন ব্যাবস্থায় রাজী হবে।
৬। দেন মোহর জিনিসটা বিয়ের সময়ই পরিশোধ করতে হয়। একজন নারী যদি এমন বারবার বিয়ে করে টাকা উপার্জন করে বেড়ায় তাহলে সেটা এক ধরনের জোচ্চুরি। এমন চুরি, জোচ্চুরী ইসলামে কখনোই অনুমদিত নয়। তবে তালাক দেওয়া ও বারবার বিয়ে করা এতটা সহজ নয়। এক সপ্তাহের মধ্যে তালাক দেওয়া যায় না। তালাক দেওয়ার প্রকৃয়াতে অন্তত তিন মাস সময় লাগে। এর পরে ৩-৪ মাস অপেক্ষা করে পরবর্তী বিয়ে করতে হয়। বিবাহ ইচ্ছুক পুরুষ খোজ খবর নিলে ওই নারীর চরিত্র জানতে পারবে। তাছাড়া ৩-৪ বার বিয়ে করা নারী আর একজন কুমারী নারী দেখতে এক রকমের হয় না। সে কোন পুরুষ এই পার্থক্য খুব সহজেই বুঝতে পারে।
৭। আগেই বলেছি, দেন মোহর জিনিসটা বিয়ের সময়ই পরিশোধ করতে হয়। এটা কখনোই ফেরত আসে না, এবং এই টাকাটা অধিকার স্ত্রীর একান্ত নিজের। তিনি এটা পানিতে ফেলতে পারেন, কাউকে দিয়ে দিতে পারেন, এমনকি চাইলে স্বামীকেও দিয়ে দিতে পারেন। তবে, কোন অবস্থাতেই, স্বামী কোনদিন এই টাকার দাবী করতে পরেন না। স্ত্রী যদি স্বামীর অবাধ্য হয় তাহলে তাকে বুঝিয়ে সঠিক পথে আনতে হবে, না হলে বিবাহ বিচ্ছেদ করা যাবে। কিন্তু দেন মোহরের টাকা ফেরত নেওয়ার কোন পথ নেই।
ইবনু আববাস (রাঃ) বলেন, ছাবেত ইবনু ক্বায়েসের স্ত্রী রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর নিকট আসল এবং বলল, হে আল্লাহ্র রাসূল (সাঃ)! আমি ছাবেত ইবনে কায়েসের দ্বীনদারী এবং চাল-চলনের নিন্দা করি না, তবে আমি মুসলিম নারী হয়ে (তার অসুন্দর হবার কারণে) তার নাফরমানী করব, এটা চাই না। তখন নবী (সাঃ) বললেন, তুমি কি তার মোহর বাবত বাগান ফেরত দিবে? মহিলা বলল, হ্যাঁ দিব। নবী করীম (সাঃ) ছাবেতকে বললেন, বাগান গ্রহণ কর এবং তাকে ‘খোলা’ হিসাবে এক তালাক প্রদান কর (বুখারী, মিশকাত হা/৩২৭৪)
১. বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় যে পরে যারা নামাজ পড়তে আসে তারা বেশ সময় ধরেই নামাজ পড়ে । মনে হয় যে সামনের কাতারের লোকদের পেইন দিতে ইচ্ছে করেই তারা বেশী সময় নেয় নামাজ শেষ করতে ।
২. ২য় কাতারে মাঝখানে ৫/৬ জন লোক হয়ে গেছে । পরে যে আসবে সে কি ভানে নাকি বায়ে দাঁড়াবে ?
৩. শক্ত কোন দালিলিক প্রমান দিলে ভাল হয় । কারণ ৪ আলিফ টান দিয়ে পড়া না পড়া এবং 'হা কে হা উচ্চারণ করায় মারাত্মক বিপর্যয় হয়ে যেতে পারে।
৪. স্বামীর বেতন ২৫০০০ টাকা , স্ত্রীর ৪০,০০০ টাকা । সাংসারিক খরচ ৩৫,০০০ টাকা । কেমনে কি ?
৫. ৫ লাখ এর পরিবর্তে ৭ লাখ চাইলে (বতমান বাজার দরের সাথে সামন্জস্য রেখে) ঋণ গ্রহীতা টাকা না দেবার ভাল উসিলা পেয়ে যাবে।
৬. বর্তমানে মেয়েরা খুবই ফিগার সচেতন এবং রুপ সচেতন তো অবশ্যই । কচি মেয়ের চেয়ে এরকম সাবেক বিবাহিতা মেয়েরাই বরং > ১০ লাখ টাকা দেন মোহর দিতে সামর্থ্যবান পুরুষদের কাছে বেশী আরাধ্য হবে , বিছানাতে উনারা আগে থেকেই অভিজ্ঞ।
৭. তাহলে তো এরকম সিলসিলা উনারা জারি রাখবেন প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম । সূরা বাকারা এর ২২৮-২২৯ নং আয়াতটি যদি একটু দেখে নিতেন।
@ ব্লগার এলিট ও গাজী সালাউদ্দিন :
নবীর কথায় সাবেত এর স্ত্রী রাজি হয়েছিলেন । সাবেত ফেরত চাইলে কি সেটা নাজায়েজ হত ?
আমাদের লিজেন্ডারী ঋণ খেলাফীরা কৈয়ের তেলে কৈ ভাজেন ।
(আবার আমার মনে হচ্ছে বিষয়গুলো আপনি জানেন-আমাদেরকে কৌতুহল হিসেবে পেশ করেছেন)
আমারও কিছু কিছু ধারণা যে একদমই নেই তা নয় , তবে আমি যেটা জানি/বুঝি অন্যেরা সেটা কিভাবে ব্যাখ্যা করে সেটাই জানার জন্য এই পোস্টসমূহ।
অতীব প্রয়োজন নামাজের সামনে দিয়ে যাওয়া গুনাহ. তবে নিষেধ নয়. রাসূলের একটি হাদীসে আছে, কেউ যদি জানত নামাজের সামনে দিয়ে যাওয়া কত বড় গুনাহ, তাহলে 40 বছর দাড়িয়ে থাকা উত্তম মনে করত. মোবাইলে তাই রেফারেন্স দিতে পারছিনা.
2
এলিট ঠিক বলেছেন
3
সহিহ শুদ্ধ করে পারার আগ পর্যন্ত অনুশীলন করে যেতে হবে. শেখা অবস্থায় ভুল ত্রুটি আল্লাহ চাহেতো ক্ষমা করবেন
4
এলিট ঠিক বলেছেন
5
,এলিট ঠিক বলেছেন
6
স্ত্রী স্বামিকে তালাক দিতে পারেনা. তবে বিজ্ঞ জনদের তালাকের ব্যবস্থা করে নিতে পারেন, যাকে খোলা বলা. বাকি কথা এলিটের মন্তব্যে.
7
এলিট ঠিক বলেছেন.
মোহর নির্ধারণ না করে বিয়ে হয়ে গেলে এবং মিলনের পূর্বেই স্বামী স্ত্রীকে তালাক দিলে স্ত্রী মোহরের হকদার হয়না. কিন্তু সাধ্যমত তাকে খরচ পাতি দেওয়া উচিত
৬. যখন বিয়ে করবেন তখন কাজি সাহেব যখন নীল রংয়ের নিকাহনামা নিয়ে আপনার সাইন নিতে আসবে তখন নিকাহনামার ১৮ নং অপশনটা দেখে তবে সাইন করবেন ।
৭. সন্ধ্যা ৮ টায় বিয়ে পড়ানোর ৬ ঘন্টার মধ্যেই ষ্পর্শ করা হয়ে যায় । পরের দিন সকাল ৯ টায় যদি কাহিনী ফেঁদে বসে তখন কেমনে কি ? এটাই প্রশ্ন করে চলেছি এত দিন ।
এলিট ও গাজী সালাউদ্দিন এর জবাবের সাথে সংযোজন
(১)
দুই হারামের মসজিদে নামাজীর সামনে দিয়ে যাওয়া দুষণীয় নয়- বাস্তবতা বিবেচনায় ফুকাহা কিরামের রায় এমনটাই বলে জানি!
দান করলে দশ সওয়াব, ধার দিলে ১৮ সওয়াব! ১০বছর পরেও বেশী চাওয়া যাবেনা! তবে মুদ্রা অবমূল্যায়নের হিসাবটা যদি দা্তা স্বেচ্ছায় করেন তবে সেটা কেউ কেউ দুষণীয় নয় বলেছেন!
এজন্য ধার দিতে হলে স্বর্ণ/রৌপ্যমূল্য হিসেবে তার দাম দেয়া এবং ফেরতের সময় সমপরিমান স্বর্ণ/রৌপ্যমূল্য গ্রহন করা যথার্থ পদ্ধতি! বিস্তারিত জানতে হলে মুদ্রাব্যবস্থা ও নোট/প্রকৃতমুদ্রার বিষয়টি বুঝতে হবে!
(৬-৭) স্ত্রী তালাক চাইলে সেটাকে "খুলা তালাক" বলে! সেক্ষেত্রে স্বামীর অধিকার আছে মোহরানা ফেরত চাইবার! তবে বিষয়টি উভয়পক্ষের ন্যায়বান অভিভাবকদের মাধ্যমে নিষ্পত্তির কথা আল্লাহতায়ালা বলে দিয়েছেন!
আল্লাহতায়ালাই ভালো জানেন!
আমাদের লিজেন্ডারী ঋণ খেলাফীরা কৈয়ের তেলে কৈ ভাজেন ।
৬-৭. আজকালকার জামানায় টাকা কি কেউ ফেরত দেয় আঙ্গুল বাঁকা করার আগে ?
টাকা কি কেউ ফেরত দেয় আঙ্গুল বাঁকা করার আগে ?:- একমত হতে পারছিনা! আমি ছাত্রবেলা থেকে সারাটা জীবনই ঋণ করে ও ঋণ দিয়ে চলি! অসংখ্য মানুষ পেয়েছি যাঁরা ওয়াদারক্ষায় চরম নিষ্ঠাবান! তবে কিছু সংখ্যক ফেল মারার রেকর্ডও আছে- তাঁদের কারো কারো অপারগতাই কারণ, আর অতি অল্পসংখ্যক স্বভাবদুষ্ট!
আমি মনে করি- ঋণ করে হলেও ঋণপ্রার্থীর পাশে দাঁড়ানোটা নৈতিক কর্তব্য- যদি ঐ ব্যক্তির প্রমানিত স্বভাবদোষ না থাকে!
আপনার প্রশ্নঃ
প্রথম কথা হলঃ কুরআন মাজীদ সহীহ শুদ্ধ করে তিলাওয়াত করা অত্যন্ত জরুরী, কারণ শুদ্ধ উচ্চারণের ব্যত্তায়ে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অর্থ ভিন্ন হয়ে যায়, যা সম্পূর্ণ হারাম।
যেমন ধরুন لااعبد অর্থ আমি কখনো এদের ইবাদাত করবো না, (এখানো মুর্তি পুজার ব্যাপারে আলোচনা) আপনি যদি لاعبد পড়েন, অর্থ লা শব্দটি না টেনে পড়েন, অর্থ হবেঃ "আমি অবশ্যই এদের ইবাদাত করবো" যা একটি মারাত্বক কথা।
এভাবে অসংখ্য অগণিত উদাহরণ কুরআনে রয়েছে, যেগুলোর ভূল উচ্চারণে ঈমান চলে যাওয়ার ভয় থাকে। তাই শুদ্ধ উচ্চারণ শিখা ফরজ।
অন্তত পক্ষে (মিনিমাম) নামায পড়তে সূরায়ে ফাতেহা সহ পাঁচটি সূরা (ছোট হলেও) সহীহ শুদ্ধ করে শিখতেই হবে।
হ্যাঁ শিক্ষা-চর্চার করার সময়টুকুর জন্য (ভুল হলেও) আল্লাহ তায়ালা ক্ষমা করবেন। কারণ মানুষের সাধ্যাতিত কোন কিছু আল্লাহ কাউকে চাপিয়ে দেন না।
আরবী ভাষা পৃথিবীর অন্যান্য ভাষার চাইতে অনেকটা সহজ। ১ঘন্টা করে ৩০ দিন কোন ভালো আলেমের নিকট তা'লীম নিয়ে ইনশা আল্লাহ মোটামুটি একটি পথ পেয়ে যাবেন, যা শুদ্ধ করে পড়তে সহায়তা করবে। (আমার অভিজ্ঞতা থেকে বলছি)
তবে পারিনা একথা বলে ছেড়ে দেওয়া যাবে না, যথেষ্ট চেয়ে চালিয়ে গেলে অল্প দিনেই সফল হওয়া যাবে ইন শা আল্লাহ।
মুসলমানদের একমাত্র ধর্মীয় মৌলিক গ্রন্থ আল কুরআন, এটি শুদ্ধ করে পড়া মুসলমান দাবীর অংশ বলে মনে করি।
হাদীসে এসেছেঃ رب قاري يقرأ القران والقران يلعنه অনেক কুরআন পাঠকারীকে কুরআন লা'নত করে। (যারা ইচ্ছে করে ভূল তিলাওয়াত করে, বা শুদ্ধ করার জন্য চেষ্টাও করে না, তাদের জন্য এই হাদিসটি)।
আল্লাহ তায়ালা বুঝার তাওফীক দান করুক।
আপনাদের দ্বায়িত্বশীলেরা সে সময়ে নিরীহ মুসলমান ভাইদেরকে হত্যা করেছিল বা করতে সাহায্য করেছিল।
এসব কাজের জন্য তারা কখনই ক্ষমা চায় নি বরং দম্ভ করেছে । আর আপনারা এতে মুগ্ধ হয়ে বলছেন যে তাদের ঈমানি শক্তি মজবুত ?
আল্লাহ কোন দাম্ভিক ও অহংকারীকে ভালবাসেন না ।
পরকালে নিহতরা বা তাদের ওয়ারিশরা যদি তাদের ক্ষমা না করে তাহলে আল্লাহ কি তাদের ক্ষমা করে দেবেন ?
আমি মনেকরি পাকিস্তান রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাকালীন লক্ষ্যকে ধরে রাখতেই জামায়াত সেদিন পাকিস্তান রাষ্ট্রের পক্ষে ছিল। আর একজন আদর্শ নাগরিক তার দেশের অখন্ডতা রক্ষার পক্ষেই কাজ করবেন এটাই স্বাভাবিক |
আর যেহেতু একটা যুদ্ধ বেধেঁ গিয়েছিল তাই উভয় পক্ষেই হতাহত হয়েছে | ভারত পাশে না থাকলে হাজার বছর যুদ্ধ করেও বাংলাদেশ স্বাধীন হতে পারতো না। স্বাধীনতার চেতনার বর্তমান যে কদর্য রূপ আমরা দেখছি তাতে করে এইরূপের বাংলাদেশ মুমিন মুসলমানদের প্রিয় কিছুতেই হতে পারেনা | ভারতীয় হিন্দুত্ববাদী অপশক্তির কুটচালে পড়েই বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে | আর স্বাধীনতার পরপরই এদেশে ইসলামী আদর্শকে ধ্বংস করার বিরতিহীন অপচেষ্টা চালানো হয়েছে | সেই অপচেষ্টার জন্যই জামায়াত তথা ইসলাম আজ ব্যাকফুটে | সারা বিশ্বেইতো ইসলামী আদর্শ আজ ধ্বংসের মুখে | আপনি কি তাহলে বলবেন সারা বিশ্বেই জামায়াতের বিতর্কিত ভূমিকা আছে?
পোস্ট সংক্রান্ত কমেন্ট করেন যদি জানা থাকে । আপনার পোস্টে কি কমেন্ট করেছি সেটা এখানে না করে আপনার পোস্টে করলে হত না ?
০ আর এদেশে থেকে পাকিস্তানের গুন গান করবেন যারা কি না আমার দেশকে ছারখার করতে এসেছিল ? আপনাদের জন্যই হাসুবুকে বাংলাদেশের মানুষ ক্ষমতায় রাখবে । মাইর চলবে আন লিমিটেড যতদিন না লাইনে আসেন ।
০ সেটা আপনার পোস্টে চলেন করি । এই পোস্টে তো আপনি ধান ভানতে শিবের গীত গাওয়া শুরু করেছেন
মন্তব্য করতে লগইন করুন