ফাঁসি কার্যকরের পরেই ঘরে ফিরব: ইমরান
লিখেছেন লিখেছেন হতভাগা ১১ ডিসেম্বর, ২০১৩, ০৩:৩৯:০০ দুপুর
বুধবার দুপুরে শাহবাগে মঞ্চের নেতাকর্মীদের অবস্থানের মধ্যে ইমরান সাংবাদিবদের বলেন, “রায় কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত এখানেই অবস্থান করবো। ফাঁসির পর রাজপথে বিজয় মিছিল করে ঘরে ফিরবো।”
একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামীর নেতা কাদের মোল্লার ফাঁসি কার্যকরে প্রয়োজনে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলার ঘোষণা দেন তিনি।
মঙ্গলবার রাতে কাদের মোল্লার ফাঁসি কার্যকরে প্রস্তুতি নেয়ার পর আদালতের আদেশে তা বুধবার সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত স্থগিত হয়। সকাল ১০টা থেকে রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন করার সুযোগ থাকা না থাকা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানি শুরু হয়। দুপুরে শুনানি বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মুলতবি করে আদালত।
রাতে কাদের মোল্লার ফাঁসি কার্যকরে স্থগিতাদেশ আসার পর শাহবাগে অবস্থান নেয় গণজাগরণ মঞ্চের নেতাকর্মীরা। তখন থেকে তাদের সেই অবস্থান অব্যাহত রয়েছে। যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসির দাবিতে নানা স্লোগানে ওই এলাকা মুখরিত করে রেখেছেন তারা।
সকাল থেকেই রাস্তার মাঝে অবস্থান নিয়ে স্লোগানের পাশাপাশি বিভিন্ন প্রতিবাদী ও দেশাত্মবোধক গান গেয়ে উজ্জীবিত হচ্ছেন ছাত্র-জনতা।
মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার, অন্যতম সংগঠক বাপ্পাদিত্য বসু. মাহমুদুর রহমান মুন্সী, তানভীর রুসমত, হাসান তারেকসহ বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরা সেখানে অবস্থান করছেন।
বেলা পৌনে ১২টার দিকে মুক্তিযুদ্ধ চেতনা বাস্তবায়ন কমিটির পক্ষ থেকে নৌপরিবহন ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী শাহাজাহান খান শাহবাগে গিয়ে জাগরণের মঞ্চের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেন।
এ সময় তিনি বলেন, “আমরা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই। এর জন্য প্রয়োজনে নিজে আন্দোলনে নামবো।”
১০ মাস আগে এই কাদের মোল্লার যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায়ে ক্ষুব্ধ হয়ে শাহবাগের অবস্থান দেশজুড়ে গণজাগরণ তৈরি করে, যার প্রেক্ষাপটে আপিলে তার মৃত্যুদণ্ডের রায় হয়।
মৃত্যু পরোয়ানা জারির পর মঙ্গলবার কারা কর্তৃপক্ষ রায় বাস্তবায়নের সব প্রক্রিয়া শেষ করার মধ্যে কাদের মোল্লার আইনজীবীদের আবেদনে সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার বিচারপতি দণ্ড কার্যকরে স্থগিতাদেশ দেয়ার পর সংক্ষুব্ধ হয়ে রাত ১১টা থেকে শাহবাগ মোড়ে আবার লাগাতার অবস্থান নেয় গণজাগরণ মঞ্চের কর্মী-সংগঠকরা।
এদিকে গণজাগরণ মঞ্চ অবস্থান নেয়ার পর রাত ১১টার দিকে কাঁটাবনের দিক থেকে শাহবাগ লক্ষ্য করে একটি হাতবোমাসদৃশ বস্তু ছুড়ে মারা হয়। তবে তা বিস্ফোরিত হয়নি।
এর প্রায় দুই ঘণ্টা পর ছয়টি হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটে গণজাগরণ মঞ্চের পাশে, ওই সময় কাদের মোল্লার মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের দাবিতে স্লোগান চলছিল সেখানে।
চারটি হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটে বিএসএমএমইউ’র সামনে এবং অন্য দুটির বিস্ফোরণ ঘটে চারুকলার ফটকের কাছে। তবে এসব বিস্ফোরণে কেউ হতাহত হয়নি।
গত ৫ ফেব্রুয়ারি যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালে কাদের মোল্লার যাবজ্জীবন সাজার আদেশ হলে শাহবাগে প্রতিবাদী তরুণদের অবস্থান এক সময় লাখো মানুষের সমাবেশে রূপ নেয়, যা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ‘বাংলা বসন্ত’ হিসেবে পরিচিতি পায়।
সূত্র : বিডি নিউজ
প্রতিক্রিয়া : সাবাস ! বঙ্গবন্ধু ২
বিষয়: বিবিধ
১১১৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন