চরমুনাইপীরের হেফাজত বিরুদ্ধ

লিখেছেন লিখেছেন ইসহাক মাসুদ ২৯ জুলাই, ২০১৩, ০৩:০৫:৪২ দুপুর

যে স্থান কাল পাত্র মাফিক কথা বলেন, তাকে মানুষ বুদ্ধিমান বিদ্যান বলে জানে। দেশে ভন্ডপীরের ছড়াছড়ি চলছে, সম্প্রতি কোন পীর নিজেকে নবী বলে দাবী করেন, কোন পীর হযরত ফাতেমা (রাঃ) কে আপন স্ত্রী বলে দাবী করে এবং আরশে আল্লাহর সাথে উপবিষ্ট বলে দাবী করেন, কোন পীর যুবতী নারী দ্বারা স্নান করেন এবং শরীরের সকল অঙ্গ নারী কর্তৃক মালিশ করান। অন্যদিকে আল্লামা শফীর তেতুল তত্ব নিয়ে দেশে চলছে হৈচৈ। তাঁর তত্বানুযায়ী কোন শিক্ষক ১৫০ জন ছাত্রীকে ধর্ষন করে, এবং দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্রী ধর্ষনের মহোৎসব চলছে। সরকার দূর্ণীতির পর দূর্ণীতি করছে, রাষ্ট্র পরিচালনায় ব্যর্থ হয়েছে। বাম রাম ও নাস্তিকরা ইসলামকে ধ্বংস করার জন্য এমন কোন পন্থা নাই ষড়যন্ত্র নাই যা তারা প্রয়োগ করতেছে না। এতগুলো বিষয় থাকতে হঠাৎ চরমুনাইপীর হেফাজতের পিছু লেগে গেছেন। যখন হেফাজতের জনসমর্থন তুঙ্গে, সরকারও ভীত তখন চরমুনাইপীর ও তার মুরিদানগন মঞ্চের আশেপাশে ঘুরা ফেরা করতে দেখা গেছে। তাদের টপ টু বটাম সকল নেতারা হেফাজত আর ইসলামী আন্দোলন এক ও অভিন্ন বলার ব্যর্থ চেষ্ট করেছে। কেউ ভিন্ন বললেও তারা তেরিয়া হয়ে খ্যাপেছে। হেফাজত কিছুদিন নিঃচুপ ছিল। তাই সরকার হেফাজতের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে। হেফাজতের সভাসমাবেশ ও ইফতার মাহফিলে বাধা প্রদান করছে। হেফাজত বর্তমানে আবার সংগঠনকে পুর্ণঃবিন্যাস করে বর্তমানে সক্রয় হয়েছে। সভা সমাবেশ করছে, বক্তৃতা বিবৃতি দিচ্ছে। সরকারের সাথে পীর সাহেবেরও মাথা বেথা শুরু হয়ে গেছে। হেফাজতের বিরুদ্ধে গলা হাঁকছে। সমালোচনা করার এতো বিষয় থাকতে উনি হেফাজতকে পেলেন? হেফাজত সৃষ্টিলগ্ন থেকে পীর সাহেবের আচনণ ও গতিবিধি একটু ভিন্ন ধরনের । চিন্তার বিষয় ছিল, যেখানে জামায়াত শিবিরকে রাস্তায় নামার জন্য দিচ্ছে না এবং হেফাজতের কর্মীদেরকে বায়তুল মোকাররামে জবর পিটানি পিটাইলো। লং মার্চ এ সরকার হরতাল ডাকদিলো তখন আলেমে ছু ফরিদ উদ্দীন মাসুদের ন্যায় চরমুনাইপীরও বিনা বাধায় লক্ষাধিক লোকের সমাবেশ ভাবার বিষয়। বর্তমানে হেফাজতের ইফতার মাহফিলে সরকার পুলিশ দ্বারা ইফতার ছিনতাই করছে, মাহফিলে বসার জন্য কোন সুযো্গ দিচ্ছেনা, তখন চরমনাইপীর যত্রতত্র বিনা অনুমতিতে মাহফিল সমাবেশ করছে, এটাও ভাবার বিষয়। বলাতো যায়না, শুনছি সরকার তথাকথিত ইসলামীদলগুলো নিয়ে জোট করছে। পীর সাহেবগনতো হাদিয়ার মানুষ। তাদের অনেকের রুজিরুটি হাদিয়াই।সরকারও হাদিয়া দিতে পুটু। বর্তমান চরমুনাইপীর রেজাউল করিম সাহেব, তাঁর পিতাজানও পীর ছিলেন এবং তার পিকামহও মাওলানা ইসহাক সাহেবও পীর ছিলেন। উনার সন্তানদের মাঝে ছেলে আছে কিনা জানি না। না থাকলে অসুবিধে নাই অন্তত ভাতষ্পুত্র থাকবে। পীরের পুত্র পীর না হলে কি চলে? আবার পীরদের বড় হাতিয়ার আছে তা হল “ পীরের কথার উপর কথা বলা নিষেধ” মুরীদির বর খেলাফ। পীরের ভুলও মুরীদের জন্য শুদ্ধ। আমি পীর সাহেবের মুরাদানগনকে ও পীর সাহেবের আন্দোলনে সংশ্লিষ্টদের বলবো পীরের ভূল হতে পারে, তাই অন্তত আপনারা হেফাজতের পিছু নিবেন না। ইসলাম ইসলামকে গালি দেয়া মন্দ। স্থান কাল ও পাত্র বিবেচনা করে কথা বলা ও চলা বুদ্ধিমানের কাজ।

বিষয়: বিবিধ

১৮০১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File