ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরকে সামনে রেখে আওয়ামী ষড়যন্ত্রে জামায়াত পা না দেয়ায় আজ নিজামীর রায় ঘোষণা স্থগিত?!
লিখেছেন লিখেছেন পুস্পিতা ২৪ জুন, ২০১৪, ১০:৪৫:২৫ সকাল
আগামীকাল ভারতের নবনির্বাচিত সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশ আসছেন। তারা এবার হারিয়েছেন হাসিনার ব্যাক্তিগত বন্ধু কংগ্রেসকে। কংগ্রেসের চরম পরাজয়ে চোখে সর্ষে ফুল দেখা হাসিনা বুঝতে পারছিল না কি করবে কারণ হাসিনা অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে রেখেছিল একমাত্র ভারতের তৎকালীন সোনিয়া-মনমোহন সরকারের উপর ভরসা রেখে।
দেশের অধিকাংশ রাজনৈতিক বিশ্লেষকের মতে কংগ্রেস যেভাবে আওয়ামী লীগকে অবৈধভাবে ক্ষমতায় রাখতে খোলাখুলি সমর্থন দিয়েছে বিজেপি তা দিবে না। সেটা বুঝতে পেরে আওয়ামী লীগ চেষ্ঠা করছিল সেই পুরোনো জঙ্গী-জামায়াত কার্ড খেলতে। ভারতীয় নূতন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশ সফরে আসার আগেরদিনই জামায়াত আমীরের তথাকথিত যুদ্ধাপরাধ মামলার রায় ঘোষণার দিন ধার্য করে আওয়ামী লীগ। উদ্দেশ্য একটি, অন্যান্য বারের মতো জামায়াত রায়ের দিন হরতাল ডাকবে, রায়ের পরও হরতাল থাকবে, স্বাভাবিক ভাবে সারাদেশে চরম প্রতিক্রিয়া দেখাবে। প্রতিক্রিয়া দেখাবে অবৈধ রায়ের বিরুদ্ধে আর হাসিনা বিজেপি সরকারকে বুঝাতে চাইবে ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী সফরে আসায় এই ধরনের কর্মসূচী ঘোষণা করেছে জামায়াত। বুঝাতে চাইবে জামায়াত জঙ্গী, সন্ত্রাসী এবং তাদের ঠেকানোর জন্য আওয়ামী লীগকে বিজেপিরও সমর্থন করা দরকার!
কিন্তু জামায়াত আওয়ামী লীগের সেই স্থুল টেকনিক বুঝতে পেরে কোন ধরনের হরতাল ঘোষণা এমনকি কোন বিবৃতিও দেয়নি এবং রায় পরবর্তী বিশেষ করে ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশে থাকা পর্যন্ত কোন কর্মসূচী দেয়া হবে না বলে বুঝা যাচ্ছিল।
ফলশ্রুতিতে হাসিনা আবারও দিশেহারা, নিজামীর রায় ঘোষণা স্থগিত! কারণ হিসেবে দেখিয়েছে নিজামীর অসুস্থতা! আহারে নিজামীর প্রতি কত দরদ! সাঈদী সাহেবকে চরম অসুস্থতার সময়ও ট্রাইব্যুনালে হাজির করা থেকে বিরত থাকেনি আওয়ামী লীগ। এভাবে জামায়াতের কোন নেতাকেই অসুস্থতার জন্য রেহাই দেয়া হয়নি। আজ অজানা অসুস্থতার জন্য স্বয়ং আওয়ামী লীগ নিজামীকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা থেকে বিরত থেকেছে?! কি আজব! আওয়ামী লীগের এসব কর্মকান্ড আবারও প্রমান করছে আসলে এসব কোন বিচার নয়, বিচার নামের নাটক এবং এসব নাটক মঞ্চত্ব করা হচ্ছে রাজনৈতিক কারণে। আওয়ামী লীগ যখন রাজনৈতিক ভাবে চরম কোন সমস্যায় পড়ে তখনই এই নাটকটি জনগণকে দেখানোর চেষ্ঠা করে। তারা নিজেদের সুযোগ সুবিধা মতো রায় তৈরি করে, ঘোষণা করে, বাস্তবায়ন করে! বিচার আসলে ট্রাইব্যুনাল বা বিচারপতিরা করে না, করে হাসিনা ও তার অবৈধ সরকার এবং তাদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য তা ব্যবহার করে।
আওয়ামী লীগের মুখোশ আবারও খুলে গেল, এভাবে তারা আবারও রাজনৈতিক দেওলিয়াপনার উদাহরণ স্থাপন করলো। তবে যতই চেষ্ঠা করুক সময়ের ব্যবধানে চরম পতন থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারবে না।
বিষয়: বিবিধ
৩৯০৪ বার পঠিত, ৪৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
খবরটি গতকাল ও আজকের সকল মিডিয়ায় এসেছে বলে মনে হয়। এখানে একটির লিংক দেয়া হলো। সাদ্দামকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া বিচারককে হত্যা করেছে জঙ্গিরা
সকল ষড়যন্ত্রই ব্যর্থ হবে
সত্য একদিন আপন মহিমায় উজ্জ্বল হবে...
আমাদের পাশের গ্রামের এক গোঁয়াড় রিটায়ার্ড আমলীগ (আমার আব্বার আবার বন্ধুও) উনার (নিজামীর) বিরুদ্ধে সাক্ষী হয়েছিলেন। সাক্ষী দিতে ঢাকাও গিয়েছিলেন কিন্তু বাড়ী ফিরলেন বোবা হয়ে। এখন কমপ্লিট্টলি বেডে, প্যারালাইজড। আল্লাহর শাস্তি বা কাকতালীয় যেটাই হোক নিজামীর মত মানুষের হাত দিয়ে যে অপকর্ম হতে পারে না সেটা এলাকার মানুষ হলফ করে বলতে পারবে।
http://www.onbangladesh.org/blog/blogdetail/detail/1659/nayankhan/47932#.U6j9MVPLfQE
ততকালীন বাকশাল ছাত্রলীগ সভাপতি জাহাংগীর সাত্তার টিংকু ঢাকা ভার্সিটিতে উনাকে অপমান করার অন্যতম একজন। কয়েকমাস পরে ওর বউ আত্মহত্যা করে মারা যায়। টিংকু এক গভীর রাতে নিজামীকে ফোন করে মাফও চায়।জাগতিক শাস্তিও হয়তো আল্লাহ দেখায়। জানিনা, বিষয়টি বড়ই দূর্ভেদ্য!
আল্লাহ এ মহান ইসলামী ব্যক্তিত্বকে হেফাজত করুন।
ভুল করলে যে ভুলের মাশুল গুণতে হয় অন্তত বুড়ো বয়সে নিজামী সাঈদীরা বুঝতে পারছে।
তেমনি মিথ্যা বানোয়াট ঘটনায় দায়ের করা যুদ্ধাপরাধ মামলাগুলোকেও রাজনৈতিক ভাবে ব্যবহার করছে আওয়ামী লীগ। রাজনৈতিক উদ্দেশ হাসিলের জন্য আওয়ামী লীগের সুবিধাজনক সময়ে তা সামনে আনে, অন্য সময় ভুলে যায়। নিজামীর রায় ঘোষণা স্থগিতও সে রকম। রায় তো হাসিনা মামলা শুরু করার আগেই লিখে দিয়েছিল। এখন তার সুবিধাজনক সময়ে শুধু তা বের করে।
এখানে দেখুন এসব বিষয়ে অনেক লম্বা আলোচনা করেছি। Click this link
আমলীগ এখনো বেসামাল। কোন দেশই এখন তাদের আর সমর্থন দিচ্ছে না। একটু সময় নিচ্ছে। ভারতকে ম্যানেজ করতে পারলেই দিয়ে দিবে। আর ভারত ম্যানেজও হয়ে যাবে। মোদীকে কিভাবে তোষামোদ করতে হাসিনার বান্দর টীমের চেয়ে আর কেউ বেশি মনে হয় জানে না।
দুনিয়াটা ক্রমেই অনিরাপদ হয়ে যাচ্ছে মুসলিমদের জন্য। বিশেষ করে মুসলিম দেশেই মুসলিমরা ইসলামিক্যালি সংখ্যালঘু।
ধন্যবাদ .।.।।
এ সর্কার আপাতত ঠে
আগে একটা ভয় ছিল যে, দেশের জনগণ সরকারের মিথ্যাচার বিশ্বাষ করবে। কিন্তু আল্লাহ পাকের মেহেরবানীতে স্বয়ং হাম্বালীগও এসব বিশ্বাস করে না।
সো ওয়েলকাম শাহাদাৎ, যদি তা-ই আল্লাহর ফয়সালা হয়ে থাকে। আল্লাহর কাছে দোয়া, তিনি যেন একে ইসলামী আন্দোলনের সফলতার সোপান বানান, যেমনটি আশা করেছিলেন শহীদ আব্দুল কাদের মোল্লা।
ধন্যবাদ বিশ্লেষণধর্মী লেখার জন্য।
খুব ভালো লাগলো আপনার অসাধারণ বিশ্লেষণটি!
মন্তব্য করতে লগইন করুন