গাযওয়া ই হিন্দ – হিন্দুস্তানের (চূড়ান্ত) যুদ্ধের উপর হাদীসসমুহঃ **হয়তো প্রস্তুতির সময় হয়ে গেছে**
লিখেছেন লিখেছেন এম এম নুর হোসাইন মিয়াজী ২৭ মে, ২০১৪, ০৮:০০:৫৭ রাত
১) হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) এর হাদিস ।আবু হুরায়রা (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত । তিনি বলেন আমার অন্তরঙ্গ বন্ধু হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) আমাকে বলেছেন যেঃ
“ এই উম্মাহর মধ্যে একটি দল সিন্ধ এবং হিন্দ এর দিকে অগ্রসর হবে ”
হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন আমি যদি এই অভিযানে শরীক হতে পারতাম এবং শহীদ হতে পারতাম তাহলে উত্তম হত ; আর যদি আমি গাজী হয়ে ফিরে আসতাম তবে আমি একজন মুক্ত আবু হুরায়রা হতাম, যাকে সর্বশক্তিমান আল্লাহ্ জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তি দিতেন ।
--[মুসনাদে আহমাদ, আল-বিদায়া ওয়া নিহায়া, আস সুনান আল মুজতাবা]
•ইবনে হাতীম (রঃ) তার ‘ আল লা’ল ’ গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন যে ‘ যদি আমি নিহত হই, তবে আমি জীবিত থাকব আহার্য পেয়ে (শহীদ হিসেবে) এবং যদি ফিরে আসি, তবে হব মুক্ত ।
• খতীব বাগদাদী তার বাগদাদের ইতিহাসে লিখেছেন যে ‘ এর জন্য আমি নিজেকে অস্থির বানিয়ে ফেলতাম ’।
•ইবনে দাউদের রেফারেন্সে, মাসদাদ আবু-ইসহাক ফাযারি সম্পর্কে বলেন যে তিনি বলতেনঃ ‘ আমি যদি রোম শহরের যে গাযওয়াত গুলোতে অংশগ্রহণ করেছি তার বদলে মারবাদ এর গাযওয়াতে অংশগ্রহণ করতে পারতাম’।
২) হযরত সা্ওবান (রাঃ) এর হাদিস
হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) হিন্দুস্তানের কথা উল্লেখ করেছেন এবং বলেছেন,
“ অবশ্যই আমাদের একটি দল হিন্দুস্তানের সাথে যুদ্ধ করবে, আল্লাহ্ সেই দলের যোদ্ধাদের সফলতা দান করবেন, আর তারা রাজাদের শিকল/বেড়ি দিয়ে টেনে আনবে । এবং আল্লাহ্ সেই যোদ্ধাদের ক্ষমা করে দিবেন (এই বরকতময় যুদ্ধের দরুন)” এবং সে মুসলিমেরা ফিরে আসবে তারা ঈসা ইবন-ই-মারিয়াম কে সিরিয়ায় (শাম) পাবে ।
হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন,
“ আমি যদি সেই গাযওয়া পেতাম, তাহলে আমার সকল নতুন ও পুরাতন সামগ্রী বিক্রি করে দিতাম এবং এতে অংশগ্রহণ করতাম । যখন আল্লাহ্ (সুবঃ) আমাদের সফলতা দান করতেন এবং আমরা ফিরতাম, তখন আমি একজন মুক্ত আবু হুরায়রা হতাম; যে কিনা সিরিয়ায় হযরত ঈসা (আঃ) কে পাবার গর্ব নিয়ে ফিরত । ও মুহাম্মাদ (সাঃ) ! সেটা আমার গভীর ইচ্ছা যে আমি ঈসা (আঃ) এর এত নিকটবর্তী হতে পারতাম, আমি তাকে বলতে পারতাম যে আমি মুহাম্মাদ (সাঃ) এর একজন সাহাবী ।” বর্ণনাকারী বলেন যে হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) মুচকি হাসলেন এবং বললেনঃ ‘ খুব কঠিন, খুব কঠিন ’ ।
--[মুসনাদে আহমাদ, আস সুনান আল মুজতাবা ,আস সুনান আল কুবরা, আল মজাম আল অস্ত, আল জাম্য আল কাবীর]
৩) হযরত কা’ব (রাঃ ) এর হাদিস
এটা হযরত কা’ব (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত হাদিসে মুহাম্মাদ (সাঃ) বলেনঃ
“ জেরুসালেমের (বাই’ত-উল-মুক্বাদ্দাস) একজন রাজা তার একটি সৈন্যদল হিন্দুস্তানের দিকে পাঠাবেন, যোদ্ধারা হিন্দের ভূমি ধ্বংস করে দিবে, এর অর্থ-ভান্ডার ভোগদখল করবে, তারপর রাজা এসব ধনদৌলত দিয়ে জেরুসালেম সজ্জিত করবে, দলটি হিন্দের রাজাদের জেরুসালেমের রাজার দরবারে উপস্থিত করবে, তার সৈন্যসামন্ত তার নির্দেশে পূর্ব থেকে পাশ্চাত্য পর্যন্ত সকল এলাকা বিজয় করবে, এবং হিন্দুস্তানে ততক্ষণ অবস্থান করবে যতক্ষন না দাজ্জালের ঘটনাটি ঘটে । ”
--[আল ফিতান’]
৪) আমার উম্মতের দু’টি সেনাদলকে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা করবেন- একটি সেনাদল যারা হিন্দুস্থানে (ভারত উপমহাদেশ) অভিযান করবে অপর দলটি ঈসা ইবনে মারিয়াম (আ) এর সাথে থাকবে।
--(মুসনাদে আহমাদ)
বিষয়: বিবিধ
৩৬৬৬ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ইনশা আল্লাহ, স্বদেশী, বিদেশী, ব্রাহ্মণবাদী, উপনিবেশবাদি এবং সর্বশেষ বাংগালী জাতীয়তাবাদী শোষনবাদী সন্ত্রাসে নিঃশেষিত বাংলাদেশ থেকেই আখেরী নবীর “গাযওয়াতুল হিন্দ” এর সুর্য উদিত হবে।
বাংলাদেশের গ্রামীন কৃষক মজুর ও সাধারণ জনগন উসামার প্রজন্ম। হাসিনার পিতৃ পূজা ও খালেদার স্বামী পূজার রাজনীতি উমাইয়্যা আব্বাসী জাহিলিয়্যাতের বাংলাদেশী সংস্করণ। এ দু’নারীর পেছনে সমবেত গণতন্ত্রী নেতাকর্মীরা দাইউস ও মুস্তাকবির তাগুত। জাতির সীমাহীন খোদাদ্রোহী পাপে আল্লাহ এ দুই ঘরভাঙ্গা নারীকে মাঠে ছেড়ে দিয়েছেন জাতির সম্পূর্ণ ধ্বংস অথবা উত্থানের জন্য। জাতির পুরুষরা নবী সঃ এর আদর্শে যায়দ, উসামা হয়ে তওবা করা মাত্রই এ ক্ষুদ্র দেশ থেকে বিশ্বের মুস্তাদআফদের নূহের তুফান উঠবে।
বাঙ্গালীরা তওবা করে মানুষ না হলে পারস্য সাম্রাজ্যের পতনের পূর্বে পুরান্দাখত ও আজরমিদাখত রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় পদচারণ করার সংবাদ পেয়ে রাসুল সঃ যে বলেছিলেন “পারস্য সাম্রাজ্যের শেষ” সে পরিণাম হবে বাংলাদেশের। দেশের বর্তমান নৈরাজ্যে গৃহ যুদ্ধ শুরু হবে। মানুষ নিরাশ হয়ে মুক্তির পথ খুঁজবে। সে ফাকে “আমরা হব তালেবান, বাংলা হবে আফগান” বলা বিভ্রান্ত উন্মাদ শ্রেণী ময়দানে নেমে পড়তে পারে। ভ্রান্ত মুসলমানী মোঘল পাঠান জযবায় এ দেশের জন সাধারণ তাতে পঙ্গপালের মত ঝাপিয়ে পড়ার সমূহ আশঙ্কা রয়েছে। কারণ বর্তমান সরকারী রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস ও বেসরকারী সন্ত্রাস এবং এন জিওদের ধর্মবিরোধি কার্যকলাপকে দেশের সাধারণ জনগন ভারতীয় ব্রাহ্মণ্যবাদ ও বিদেশী আধিপত্যবাদের থাবা মনে করে ভেতরে ভেতরে দিন দিন রোষে উঠেছে। সেনাবাহিনী বিশেষ করে বি,ডি আরের সাধারণ সৈনিকদের মনের অবস্থা কি তা কুড়িগ্রামের ঘটনা থেকে শিক্ষা নেয়া সময়ের ডাক।
২০০০ সালের শীত মৌসুমে আমি আল্লাহর তরফ থেকে ঘাড়ে পড়া এক ব্যবসায়ির কারনে বেশ কিছুদিন উত্তর বঙ্গে কাটিয়েছিলাম। তখন আমি তেতুলিয়া, বুড়িমারা, দহগ্রাম ও কুড়িগ্রাম সিমান্ত সফর করেছি। এক পর্যায়ে তেতুলিয়া থেকে ফেরার পথে আমার কারখানার মালবাহী গাড়ি খালী দেখে কিছু বি ডি আর সদস্য আমাদের কাছে লিফট চায়। গাড়ী খালি থাকায় আমি সানন্দে তাদেরকে গাড়িতে তুলে নেই।
আমার কথাবার্তায় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটের উল্লেখ শুনতে পেয়ে বি ডি আর জওয়ানরা আর নিরব রইলো না। বরং তারা যেনো তাদের অন্তরে লুকানো আগ্নেয়গিরীর দহজ্বলা ব্যক্ত করার ইঙ্গিত পেলো। ঘটনাক্রমে সেদিন আমার সাথে ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের এক ওয়ার্ড কমিশনারও ছিলো।
আমাদের কাছে আমাদের সীমান্ত প্রহরীরা মন খুলে তাদের অন্তর চাপা ক্ষোভের দ্ব্যর্থহীন প্রকাশ করতে লাগল। পথি মধ্যে আমাদের গাড়ি থামিয়ে গাড়ি থেকে নেমে তারা ভারতীয় বি এস এফের নির্বিচার যথেচ্ছাচারের প্রমান স্বরুপ কিছু স্পট তের বিবরণ দিলো।
তাদের ক্ষোভের উৎস হলো যে ভারত তার শক্তিমদে উন্মত হয়ে যখন তখন বাংলাদেশী নাগরিকের হাঁস মুরগির মত গুলি করে হত্যা করে। সীমানা লঙ্ঘন করে অনুপ্রবেশ করে লুটতরাজ করে। বি ডি আর দের তারা কোন পাত্তাই দেয় না। অর্থাৎ তাদের মতে, পাকিস্তান আমলে ভারতীয় সৈন্যরা এক কিলোমিটার অভ্যন্তরে দুরত্ব বজায় রেখে আত্নরক্ষামূলক অবস্থান নিয়ে থাকত।
তারা আরও জানালো যে, বাংলাদেশী সরকার গুলোর নতজানু মূলক অবস্থায় বি, ডি, আরের সংখ্যা হ্রাস পেয়ে ষাট হাজার থেকে চল্লিশ হাজারে নেমেছে । অস্ত্রশস্ত্র, পোষাক-আশাক, অপরিহার্য যানবাহন ও অন্যান্য সুবিধার অভাবে বি ডি আররা চাকুরী ছেড়ে চলে যাচ্ছে।
দহগ্রাম ও তিন বিঘা করিডোরেও ঠিক একই ক্ষোভ ও দহন অনুভব করলাম। দেড় বছর পর কুড়িগ্রামে সীমান্ত সংঘর্ষে যা ঘটেছে, তা কিন্তু দ্যর্থ হীন সংকেত বার্তা। সময় থাকতে সঠিক পন্থা অবলম্বন না করলে আমার শঙ্কা হচ্ছে যে ক্ষুদ্র দেশটিতে এমন এক বিস্ফোরন হবে, যা সারা বিশ্বে আগুন জ্বলবে। প্রথম আগ্নোৎপাতেই এদেশের কোন সরকার থাকবে না । মনে রাখতে হবে যে, এদেশের মানুষের মধ্যে রক্তে, মজ্জায় ইসলামী বারুদ রয়েছে। চরম নৈরাশ্যের মূহুর্তে কেউ এক স্ফুলিঙ্গ জ্বলন্ত কয়লা নিক্ষেপ করতেই দাবানলের ন্যায় তা চার দিকে ছড়িয়ে যাবে । একবার পূর্ব পুরুষের ইসলামী ঐতিহ্যের কথা বলতে গিয়ে শেখ মুজিব আমাকে বকেছে যে, তার পূর্ব পুরুষদের গোপালগঞ্জে হিন্দুদের সাথে বংশ পরাম্পরায় শসস্ত্র সংগ্রাম করে অস্তিত্ব বজায় রাখতে হয়েছে।
এমন ভারতীয় অধিপত্যবাদের সেবাদাস যে কোন সরকার বর্তমান দ্রুত অবনতিশীল অবস্থা কে না রুখলে নির্বাচনের পর সিপাহী জনতা ও প্রতিক্রিয়াশীল ধর্মান্ধ শক্তি এক হয়ে কোন দাড়ি পাগড়ীওয়ালা উগ্রবাদী উসামা বিন লাদেন ধাঁচে ভারত ও পশ্চিমা ইসলাম বিরোধিদের বিরুদ্ধে “আমরা হবো তালেবান, বাংলা হবে আফগান” ধ্বনি তুললে তা এদেশের শহর এলাকার শাসক শোষক কিছু লোক বাদে গোটা জাতিকে আত্নাহুতির ন্যায় এক গৃহ যুদ্ধে ঠেলে দিতে পারে বলে আমি হুশিয়ারি উচ্চারন করছি।
উসামা বিন লাদেন ও আফগানী ইংগীত পেলেই তাকে ঠেকাতে রামরাজ্যের ভারতীয় ব্রাহ্মনবাদ ও বিশ্ব ইহুদি খৃষ্টান চক্র মিত্রশক্তি হয়ে তাওরাত বাইবেলের মহা লড়াই “আর্মাগেড্ডন” এর সুত্রপাত এ বাংলাদেশ থেকে করবে বলে আমার আশঙ্কা হচ্ছে। সাবধান! সাবধান!!
বিশ্বের ইবলীশি চক্রের কৃতদাস , উপনিবেশবাদের বিদায় কালে পরিত্যাক্ত জঞ্জালে জন্মানো সরকার ও তাদের আমলা ও পুলিশ কর্মকরতারা দাড়ি টুপিওয়ালা লোকদের বিশেষ করে মাদরাসায় পড়ুয়া ছাত্রদের তালেবান বলে তাদের ধরে দাড়ি টুপিকে যেভাবে বর্বর জিঘাংসার টার্গেট বানিয়েছে ও বানাচ্ছে । তাতে ভেতরে ভেতরে এদেশের সাধারণ মানুষের মধ্যেও তীব্র ক্ষোভের লাভা সৃষ্টি করেছে।
কদিন পূর্বে পত্রিকায় খবর ছেপেছে যে, খুলনার কোথাও নাকি পনের জন মাদরাসার ছাত্রদের, তাদের সুন্দর বন বেড়াতে যাওয়ার পথে ধরে তাদের তালেবান ও হারকাতুল জিহাদের প্রসিক্ষনার্থী রুপে চিহ্নিত করে, ডি,সি এস, পি ও দারোগারা যুবকদের দাড়ি টেনে ছিড়েছে।
এ যদি সত্যি হয়, তাহলে খুবই অশুভ লক্ষন। ডি, সি এস, পিরা, তোমরা সাবধান হয়ে যাও। তোমাদের বাপ-দাদারা এখনও এক বিরাট সংখ্যক দাড়ি টুপিওয়ালা!
তোমরা এদেশের উন্নয়নের তহবিলের শতকরা ৭০ (সত্তর) ভাগ লুটনেওয়ালাদের অন্তর্ভুক্ত। পুলিশ প্রতি পাঁচ জনে এক জন অপরাধী! তোমাদের সরকার বিশ্বের প্রথম দূর্নীতিবাজ! তোমাদের অত্যাচারে আসল চরমপন্থিরা জামা-জুব্বা, টুপি ও বেশ খুলে রোজ দু’বার দাড়ি শেভ করে স্কীন টাইট প্যান্ট, শার্ট ধরেছে বলে খবর আসছে। সরকার সহ তোমাদের শুভ বুদ্ধি না হলে পরিস্থিতির অবনতি হবে বলে আমি আশঙ্কা করছি। তোমাদের অত্যাচারে বিষিয়ে ওরা কিন্তু তোমাদের চিহ্নিত করে তালিকাভুক্ত করতে পারে। বাতাস দিক পরিবর্তন করলে তোমাদের ভাগ্য একাত্তর সালের পাকবাহিনীর চেয়েও খারাপ হয়ে কুড়িগ্রাম, রৌমারীর বি এস এফের চেয়েও বীভৎস হতে পারে। বাঙ্গালীরা এমনিতেই ক্ষেপে গেলে চরম নৃসংসতা হয়। তাদের ধর্মীয় শেষ পুঁজিতে হাত দিলে পরিনতি কিরুপ নিতে পারে, তাই আগে থেকেই ভেবে নিতে আমি কর্তৃপক্ষকে স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি। আমি যেহেতু সকল গোপন কর্মকান্ড, সন্ত্রাস, উগ্রবাদ ও ধর্মান্ধতা বিরোধী, তাই উগ্রবাদীরা আমার কাছে ভিড়ছেনা। দুরত্ব বজায় রেখে তারা আমার বক্তব্য ও লিখনি পড়ছে।তাদের দেশী বিদেশী মুরুব্বীদের নিকট আমার দিকদর্শন তারা পৌছাচ্ছে।শিয়া সুন্নী ও আফগান ইরানী ফিৎনায় আমি নেই তারা জানে,তাদের “আমর হবো তালেবান, বাংলা হবে আফগান” এর সম্পূর্ন বিপরীত ডাক “আমরা হবো উসামা, বাংলা হবো মদীনা” আমি তাদের জানিয়ে দিয়েছি।
আল কুরানে আল্লাহর অঙ্গিকারের বিশ্বের প্রতারিত ও নির্যাতিত মুস্তাদআফদের শেষ আদর্শ নবীর মাদানী জিবনের সংগ্রামের ফসলের সর্বোৎকৃষ্ট নমুনা, তাঁর পালক মাতা বারাকাহ, পালক পুত্র , আল্লাহর মুখে ক্বোর আনে বর্নিত যায়েদ ইবন হারিসার ছেলে ও রাসুল সঃ এর ভূপৃষ্ঠে প্রিয় তম দম্পতির পরীক্ষিত সন্তান, সতের বছরের সিংহের সিংহ তেজা উসামাহ ও তার মদিনার আদর্শই
এ পরিচয়ের ফলক বর্ণবৈষম্যবাদী ইরানী খোমেনী ও আফগানী বিন লাদেনবাদীরা না পারছে গ্রহন করতে না পারছে অঙ্গিকার করতে। কারণ ইরানি খোমেনী, খামেনাঈ’রা যে মুস্তাদআফদের নাম বেচে বিপ্লব করেছে, রাসুল সঃ এর মাদানী বিপ্লবের চূড়ান্ত নিয়োগই ছিলো উসামা বিন যায়েদ। আফগানী তালেবানদের উসামা বিন লাদেনদের চমক বা ষ্টান্ট, সুন্নী-আরবী এক অশুভ ইরানী শিয়া বিরোধী আঁতাত। তাই তারাও রাসুল সঃ এর বিশ্বজনীন মুস্তাদআফ উসামা বিন যায়েদ দিক দর্শন গ্রহন বা বর্জন করতে পারছে না।
এখানে পাঠকদের জন্য আমি একশ’ভাগ দৃঢ়তার সাথে বলতে পারি যে, বাংলাদেশে যদি কখনো উসামা বিন লাদেন ও আফগানী তালেবান মতাদর্শের সংঘাত আরম্ভ হয়, তা’তো কখনো সফল হইবে না, বরং তার ফলে আল্লাহর আযাব স্বরূপ এ দেশী মুসলমানদের উপর ভারত, রাশিয়া, আমেরিকা ও ইয়াহুদি চক্র এমনভাবে দেশীয় ধর্মনিরপেক্ষবাদী সরকার ও ধর্মদ্রোহীদের লেলিয়ে দিবে যে তা, স্পেন, বাগদাদ ও দিল্লীতে উমাইয়া, আব্বাসী ও মুঘলদের পরিণাম ডেকে আনবে। এদেশের মাটি থেকে ইসলামী পুনরুত্থানের সম্ভাবনাময় সকল শক্তিকে নির্মূল করার জন্য সকল মদদ যোগাবে বিশ্বের ইসলামের শত্রুরা । যেমন আফগানিস্তানের তালেবানী নামক ইসলামকে ঠেকাতে আরেক নকল ইসলামী ইরান সহ আমেরিকা, রাশিয়া, ইসরাইল ও ভারত এক জোট হয়েছে।
অপর দিকে আমি একশ’ভাগ নিশ্চিত হয়ে বলছি যে যদি বাংলাদেশ থেকে “আমরা হবো উসামা, বাংলা হবে মদীনা” এ ঘোষণা ও পতাকা নিয়ে বিশ্ব মুস্তাদআফদের মুক্তি যুদ্ধ শুরু হলে তার পক্ষে একশ’ভাগ আল্লাহর প্রত্যক্ষ সাহায্য আসবে, যেমনটি এসেছিলো আমাদের খাতামুন নাবিয়্যীন সঃ এর হিজরত কালে সওর গুহায় এবং হুনাইনের যুদ্ধে। কারণ ও প্রমান হলো, এ যুদ্ধ হবে বিশ্বের মুস্তাদ’আফদের মুক্তি ও তাদের অভিষেকের, যার চুড়ান্ত ওয়াদা আল্লাহর জাল্লা জালালুহু আল কুরআনে সুরা ক্বাসাস এর ৫-৬ নং আয়াতে দ্ব্যর্থহীন ভাষায় করেছেন। মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ সঃ তারই পতাকা বেধে উসামার হাতে দিয়ে গিয়ে ছিলেন। তা’ অমান্য করে ক্বোরেশী সাম্রাজ্যবাদীরা যেমন অভিশপ্ত হয়ে নির্মূল হয়েছে, এবারের চূড়ান্ত মুক্তি সংগ্রামে বাধা দিয়ে সর্বপ্রথম ব্রাহ্মণ্যবাদী ভারত সর্বপ্রথম তাসের ঘরের মত মিলিয়ে যাবে। তার সাথে তার মিত্রদের একই পরিণাম হবে। তবে এ “গাযওয়াতুল হিন্দের” ইমাম ও সৈনিক নেতৃত্ব যেমন পাক, আফগান ও তালেবানী ইরানী ভ্রান্ত জঙ্গিবাদের সকল জীবাণু সংক্রমণ মুক্ত হতে হবে, তেমন ভারতীয় হিন্দুবাদের সেবাদাস মূর্তিবাহীনি ও ফুর্তিবাহিনীর ঘাদানিক চক্রমুক্ত হতে হবে। আল্লাহ ও রাসুলের সুন্নাহর সৈনিক আমার মরহুম পিতা ইসলামের মাদনী আদর্শের ধারক বাহক রুপে পাকিস্তানের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। তার মুখে ২৭ শে রমজান অর্থাৎ শবে কদরের পাকিস্তানের জন্মের অঙ্গীকারের কথা শুনেছি। পাকিস্তানের প্রতিষ্ঠার পর ঘনিষ্ঠভাবে জিন্নাহ, লিয়াকত আলী চক্রের চেহারা সুরত দেখেই ,তিনি ওদের মুখের উপর ভরা মজলিসে তিরস্কার করে বলেছিলেন “যারা থুতনিতে দাড়ির লোমের এর এক তোলা পশমের ওজন বহন করার ঈমান রাখেনা, তারা পাকিস্তানের মাদানী আদর্শের নেতা হওয়ার অযোগ্য।” জিন্নাহ, লিয়াকতের বাঙ্গালী ফেউ, বর্তমান বামবুদ্ধির ঢেকী বদরুদ্দিন ওমরের প্রয়াত পিতা পাকিস্তানি ইসলামিক একাডেমী ও বাংলাদেশ ইসলামি ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা আবুল হাশেম ও তার চেলা শাহ আজিজ শর্ষিনায় গেলে তাদের ও চেহার চরিত্র দেখে আমার পিতা ঐ দাড়ির লোমের ভার বহনের যোগ্যতানতার পুনরুল্লেখ করে ওদের ভর্ৎসনা করছিলেন।
আমি পাকিস্তানের মাদানী আদর্শের ২৭ শে রমজানের জন্মের মর্মে পাকিস্তানের সমর্থক ছিলাম তাই এখন সে আদর্শ বাস্তবায়নের একমাত্র লক্ষ্যে বর্তমান “গাযওয়াতুল হিন্দের” রুপ রেখা লিখছি। পাকিস্তানি দলাদলির গনতান্ত্রিক নির্বাচনী রাজনীতিকে আমি যেমন ধর্মের নামে নির্লজ্জ দাজ্জালি মনে করে ঘৃনা করেছি, বর্তমান বাঙ্গালী জাতীয়বাদী ধর্ম নিরপেক্ষতার রাজনীতিকেও তেমনি বাংলাদেশের ষোল কোটি মুসলমানদের উপর আল্লাহর লা’নতের শেষ পরীক্ষা মনে করি।
বাঙ্গালিরা তওবা করে রাসুলের আদর্শে যায়দ, বেলাল, আম্মার, সুহাইব, আবু যার, সালমান ও উসামার শপথ ও বায়’আত নেয়া মাত্রই তারা বিশ্বের মুস্তাদ’আফদের মুক্তিযুদ্ধের অগ্রসেনা হবে এবং তাদের অভিযানই “গাযওয়াতুল হিন্দ” এর রুপ নিবে। উপমহাদেশের সোহা’শ কোটি নির্যাতিতদের শীর্ষে বাংলাদেশের জনগন। গুটি কতক শহরের হাতে গোনা পনের বিশ লাখ শোষক মুস্তাকবিরদের নির্মূল করা মাত্রই বাংলাদেশ আল্লাহর সৈনিকদের হিরের খনি হবে।
ইনশা আল্লাহ। তার সকল লক্ষন আমি দিব্য দৃষ্টিতে দেখতে পাইতেছি।
ইসলামে, অর্থাৎ স্রষ্টার বিধানে আকার প্রকারের নগর জীবন নিষিদ্ধ। এগুলির প্রতিষ্ঠাতা আদ, সামুদ, নমরুদ ও ফইর’আউনরা। আল্লাহর নবী নূহ, ইবরাহীম, মূসা ও মুহাম্মদ সঃ গন এ সমস্ত নগর ডেঙ্গে গ্রামের অধীনে নেয়ার সংগ্রামে আদিষ্ট হয়ে ছিলেন। তাই তার তাদের সম সাময়িক শোষক রাজশক্তিকে পরাজিত করে শোষিতের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করে যান। রাজধানী ও নগর হবে একটি আদর্শ গ্রাম। এর প্রত্যেকটি বাসিন্দা তালিকা ভুক্ত চেনা লোক হবে। বাহির থেকে নগরে সাময়িক প্রয়োজনে যাতায়াতকারীরা নগরবাসীর মেহমান স্বরুপ হবে। ফলে কোন অপরাধী নগরে আশ্রয় বা লুকানোর যায়গা পাবে না।বর্তমান নগরী হলো দেশের দেহে ক্যান্সার বা দুষ্টক্ষত। এর শাষক ও আমলারা জাতির বর্গী শোষক।এদের প্রয়োজনে ও আশ্রয়ে অপরাধ চক্রের জন্ম ও লালন হয়। তাই ¯্রষ্টার মুস্তাদআফ সংস্কারের প্রথম লক্ষ্যই হলো মুস্তাকবির শহরগুলো উৎখাত করা।
নবী আদর্শের মাদানী বিপ্লবের প্রথম কাজই হলো নগরায়নের গধষরমহধহঃ এৎড়ঃিয জায়গায় থামিয়ে দিয়ে উন্নয়নের ¯্রােত গ্রামের দিকে মোড় দেয়া। তখনই “একটি পরিবার একটি খামার” এর উন্নয়ন সম্ভব হবে। এ অবশ্যকরনীয় বাস্তবায়নের জন্য ঢাকার মতো নগরীর শতকরা দশভাগ বসতি রেখে বাকী জনসংখ্যাকে উৎপাদনের ক্ষেত্র গ্রামে পাঠাতে হবে। নগরজীবন বা নগর কখনও উন্নয়নের কেন্দ্র থাকবেনা। বলা যেতে পারে যে, উন্নয়নের প্রশিক্ষণ, প্রনোদন, প্রবর্তন ও নিয়ন্ত্রনের কেন্দ্ররুপে নগরীর ভূমিকা থাকবে। এর উর্ধে নয়। নগর জীবন কোন মতেই ভোগ বিলাসের স্বর্গপুরী হবে না। ত্যাগ, সাধনা ও সেবাধর্মের তীর্থ ও কেবলা হবে নগরী। পুলিশ নামের কীটদের অপরাধী জন্মের সূতিকাগার রুপে নগরকে সম্পূর্ণরুপে ধোলাই করতে হবে। এ শপথই আল্লাহ হযরত ইব্রাহীম খলীল ও ইসমাঈল যবীহ হতে নিয়েছিলেন
সৃষ্টি থেকে বিমুখ হয়ে স্রষ্টায় উন্মুখ হওয়ার কলেমাই “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ”। এ কলেমার বিশ্বায়নই মুহাম্মাদ রাহমাতুল্লিল আলামীনের রিসালাত। এ কলেমায় যাদের ত্রুটি থাকবে তারা এ জিহাদের সৈনিক হওয়ার অযোগ্য। তাদের কারও স্থান নেই এ কাফেলায়।
“আমরা হবো উসামাহ, বাংলা হবে মদীনাহ”
“আমরা হবো তালেবান। বাংলা হবে আফগান”
“আস্ আইম্মাতু মিন্ ক্বোরেশ”
“পাকিস্তান জিন্দাবাদ”
“জয় হিন্দ”
“জয় বাংলা”
“জয় দেশবন্ধু”
“জয় বঙ্গবন্ধু”
এ সমস্ত স্লোগানের মধ্যে প্রথমটি বাদে বাকি সবগুলো, সাম্প্রদায়িকতা, রক্তপূজা, গোত্রপূজা, জাতীয়তাবাদ ও ব্যাক্তি পূজার নামান্তর।
এতে স্রষ্টাকে বাদ দিয়ে সৃষ্টির পূজা।
এতে “সকল প্রশংসা আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের” ঘোষণা, “আলহামদু লিল্লাহি রাব্বিল আলামীন” এর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা।
আল্লাহ মুত্তাকীদের ভালোবাসেন।
নবী-রাসুলগণ আল্লাহর প্রিয়।
আখেরী নবী সঃ সকল নবীদের শেষ।
নাবী-রাসূলগণ মুস্তাক্বিরদের নির্যাতনের শিকার হয়ে মুস্তাদআফ্ ছিলেন।
সমাজের নির্যাতিত মুস্তাদআফ্রা নবীদের সঙ্গীহয়ে মুহাজির ও আনসার হয়ে আল্লাহ ও রাসূলের প্রিয়পাত্র হয়। এদের মধ্যে কেউ কখনো গোত্র ও বর্ণবাদের কথা বললেই পুনঃ তারা মুস্তাকবিরের কাতারে শামিল ও একাকার হয়ে যায়।
খাতামুন নাবিয়্যীন সঃ মুস্তাদআফ্দের চূড়ান্ত বিশ্ব ইমাম।তিনি তাঁর প্রিয়তম মুস্তাদআফ্ পিতা যায়দ, মাতা বারাকাহদের সন্তান সন্তান উসামাকে তাঁর “দারুল হিজরত” মদীনায় তাঁর মৃত্যুর পূর্বে সম্মিলিত মুহাজির ও আনসারদের আমীর ও প্রধান সেনাপতি নিয়োগ করে স্বহস্তে পতাকা বেঁধে হাতে দিয়ে যান। উসামার মা, বারাকাহকে দিয়ে আল্লাহ তাঁর রাসূলকে পালন করেন। রাসূল তাকে ভূ-পৃষ্ঠে চলমান বেহেশ্ত বলেছেন।
উসামার পিতাকে আল্লাহ আল্ ক্বোরআনে তাঁর “পুরস্কৃত” বলে চিরস্মরণীয় ও বরণীয় করেছেন।
তাদের ছেলে উসামাহকে ”হিব্ব ইব্নুল হিব্ব” বিশ্বের মানুষ যদি এক দিকে যায়, আর মদীনা বাসী যদি অপর দিকে যায়, আমি অবশ্যই মদীনাবাসীর সঙ্গী হবো”।
তাই “আমরা হবো উসামাহ্ বাংলা হবে মদীনাহ্” আমাদের চূড়ান্ত ধ্বনি। আরব, ইরাক, তুরাক, আফ্গান, পাকিস্তান, হিন্দুস্তান ও বাংলার জয়গান আমাদের ধ্বনি হবেনা।
১৯৭১ সালে নিছক পাকিস্তান ও জয় বাংলার জন্য যারা আল্লাহর সীমা লঙ্ঘন করেছে, তারা গায্ওয়াতুল হিন্দের নেতৃত্বের অযোগ্য।
সে অগ্নি পরীক্ষার দিনে যারা উভয় সীমালঙ্ঘনকারির মধ্যে মুস্তাদআফ্ হয়েছে, এবং এখনো সে অবস্থানকে সে নতুন প্রজন্মের আদর্শ মনে করে, তারাই হবে আগামী দিনের বিশ্বায়নের সংগ্রাম গায্ওয়াতুল হিন্দের অগ্রপথিক, অগ্রসেনা।
একাত্তরে অগ্নিপরীক্ষার লগ্নে যারা ভাবাবেগে পদস্খলিত হয়েছিল এবং পরবর্তি ঘটনা বর্তমানে তাদের সঠিক দিক নির্দেশনা দিচ্ছে, তারা তাদের বিবেকের পক্ষে দ্ব্যর্থহীন ঘোষণা দিয়ে “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ” এর ধরা ও সপ্ত আকাশের একমাত্র সত্যপতাকা হাতে নিলে, তারাও সৈনিকের কাতারে স্বাগত।
একাত্তরের সারা মার্কা মারা হয়ে এখনো তা নিয়ে জাতিকে সংঘাতের দিকে ঠেলে নিয়ে যাচ্ছেতাদের থেকে আমরা শয়তানের মতো আল্লাহর পানাহ্ চাই। এরা মানুষ হয়েও আদি মুস্তাক্বির ইবলশের বিংশধর।
একাত্তরের ফাইনাল পরীক্ষায় যারা ধর্মপক্ষ অবলম্বন, তাও আবার ইসলামের মতো ন্যায়-নীতির নামে ইয়াহ্ইয়া খাঁর বাহিনীর ব্যাভিচার ও ধর্ষণের পাশবতার অধীনে নবী আদর্শের বদর যুদ্ধের অবমাননা করেছে, তারা সর্বকালে ক্ষমার অযোগ্য মাহাপাতক।
তারপর ক্ষমার অযোগ্য অপরাধের তালিকায় আসে তারা, যারা জাতিকে ধর্ম নিরপেক্ষতার নামে ধর্মদ্রোহী মূর্তি পূজারী জাতিতে রূপান্তরীত করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। দীর্ঘ তিরিশ বছর জাতিকে লুটে সর্বস্বান্ত ক্রার পরও এ নির্লজ্জরা আজও মূর্তি বাহিনী, ফুর্তি বাহিনীর কীর্তন গায়।
পাকিস্তানীরা মাত্র তেইশ বছর শোষণ করে যে শাস্তি পেয়েছে, তিরিশ বছরের দেশীয় পাপীদের তার চেয়ে কঠোর পরিণাম বিধিলিপি হয়ে ধেয়ে আসছে।
কথিত আছে যে মুস্লিম জাতি জাতির পিতা মুস্তাদ্আফ ইব্রাহীম আঃ কে যখন মুস্তাক্বির নমরূদ অগ্নিকুণ্ডে নিক্ষেপ করে, তখন নাকি একটি ব্যাঙ তার পেশাব দিয়ে নমরূদের আগুন নেভানোর চ চেষ্টা করেছিল। ব্যাঙ ধর্ম নিরপেক্ষ, ধর্মদ্রোহী নমরূদের আগুন নেভাতে পারেনি। তবুও নাকি ব্যাঙ এর সে মহৎ প্রচেষ্টার জন্য ব্যাঙ মারা গুনাহ্।
একাত্তরে সালে পাকিস্তানী নমরূদ চক্রের পাপের চিতায় যখন মিল্লাতে ইব্রাহীমের উত্থানের জন্য প্রতিষ্ঠিত দেশ জ্বলছিলো, তখন ক্ষুদ্র ব্যাঙের মতো হলেও আমি সে আগুন নেভানোর আপ্রাণ চেষ্টা করেছি।
আইউব খাঁ বিরোধী সম্মলিত আন্দোলনে আমি প্রাদেশিক জয়েন্ট সেক্রেটারী ছিলাম। আইউব ইয়াহ্ইয়া তাঁড়াতে গিয়ে দেশ ভেঙ্গে রামরাজ ও রামবাজ প্রতিষ্ঠার ষড়যন্ত্র যখন আমার কাছগে স্পষ্ট হলো, তখন আমি বাটপাড়ি রাজনীতি থেকে পদত্যাগ করে আমার বর্তমান চিন্তাধারার পথে যাত্রা আরম্ভ করি। আমি একা হয়েও আমার দৃঢ় বিশ্বাস হয়ে ছিল যে আমার সাথে আল্লাহ আছেন। সে পথে অগ্রসর হয়েই আমি আজ বিশ্বাস করি যে আমি আমি সত্যের পথে আমার স্রষ্টা ও প্রতিপালক এক আল্লাহর “সানিয়াস্ নাইন” দোকা। বিশ্বের যারাই এ পথে আসবে, তারাই ধন্য হবে। কেউ না আসলেও আমার ক্ষতি বা ব্যর্থতা নেই। ফুয্তু ওয়া রাব্বিল ক’বা, আল্লাহর শপথ আমি সফল।
১৯৫৮ সালের পূর্বে যখন যুক্তফ্রন্টের রাজনৈতিক বাটপাড়রা পাকিস্তানের রাজনীতিকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যায়, তখন সে সুযোগে দেশ রক্ষার জন্য পালিত চৌকিদার আইউব খাঁ অস্ত্রের বলে ডাকাতি করে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করে।
তখন আমি মাদ্রাসায় পড়ি। বর্তমানের মতো পাকা না হলেও তখনকার সঠিক বুঝে আইউব খাঁকে উর্দুতে একটি পত্র লিখে যে গণতন্ত্র বা মার্শাল ল’ তে পাকিস্তান টিকবেনা। একমাত্র ইসলাম প্রতিষ্ঠা করলেই পাকিস্তান প্রতিষ্ঠা লাভ করবে।
আইউব খাঁ আমার পত্র পেয়ে তখনকার দিনে ৫০০ টাকা পুরস্কার সহ দার্শনিক কবি ইকবালের রচনাবলী পাঠিয়ে প্রাদেশিক সামরিক শাসক মেজর জেনারেল ওমরাও খাঁ কে আমার সাথে সাক্ষাত করে তা হস্তান্তরের নির্দেশ দেয়।
এভাবে প্রত্যক্ষভাবে সমসাময়িক তাগুত নমরুদ ও ফেরাউনের নিকট ইব্রাহিম ও মুসা আঃ দের ওয়ারিশীর পত্র লেখার সূত্রপাত হয়।
মন্তব্য করতে লগইন করুন