উত্তম চরিত্রের মানদন্ড
লিখেছেন লিখেছেন রেহনুমা বিনত আনিস ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪, ১১:৪৩:৩৩ সকাল
ভাল কথা শুনলে ভাল হবার সাধ জাগে। ক’দিন আগে বান্ধবীরা একটি হাদীস আলোচনা করছিলেন যেটিতে রাসূল (সা) উত্তম নৈতিক চরিত্র গঠনের ব্যাপারে কিছু দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। ঠিক হোল প্রত্যেকে এর অন্তত দু’টি করে উপদেশ চর্চা করার চেষ্টা করবেন। আমি বেছে নিলাম কথাবার্তার ব্যাপারে আরো হিসেবী হওয়া এবং কুর’আন পড়ার চেষ্টা করা। পরের সপ্তাহে দিনব্যাপী কুর’আন বিষয়ক কনফারেন্স ‘দ্যা ডিভাইন ম্যানুয়াল’-এ ইয়াসির কাজী এবং ইয়াসমিন মুজাহিদের মত বক্তাদের বক্তব্য শুনে কিঞ্চিত অনুপ্রানিত হলাম।
উত্তম চরিত্র গঠন নিয়ে কিঞ্চিত গবেষনা করার পর স্বল্পজ্ঞানে যা বুঝলাম তা হোল কুর’আনের তিনটি স্থানে উত্তম চরিত্রের মানদন্ড উপস্থাপন করা হয়েছে। এগুলো হোল, সূরা মুমিনূনের আয়াত ১-১০, সূরা ফুরক্কানের আয়াত ৬৩-৭৬, সূরা মা’রিজের আয়াত ১৯-৩৫। উপরোক্ত তিনটি অনুচ্ছেদে একই ক্রমে সর্বোত্তম থেকে গ্রহনযোগ্য সর্বনিম্ন মানের চরিত্রের স্বরূপ বিশ্লেষণ করা হয়েছে।
সূরা মুমিনূনের প্রথম দশ আয়াতে যে চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য উঠে এসেছে সেটাই ছিল রাসূল (সা)এর চরিত্র। এখানে সাতটি গুনের কথা বলা হয়েছে- নামাজে মনোযোগ, বাজে কাজ ও বাজে কথা এড়িয়ে চলা, সাদাকার মাধ্যমে নিজেকে এবং নিজের সম্পদকে পবিত্র করা, চরিত্রের পবিত্রতা রক্ষা করা, অন্যের বিশ্বাস সংরক্ষনের প্রতি যত্নশীল হওয়া, কথা দিয়ে কথা রাখা এবং নামাজের প্রতি যত্নশীল হওয়া। এখানে প্রথম বৈশিষ্ট্যেই আমি বাদ, নামাজ পড়ার সময় মন নামাজ ছাড়া আর সব জায়গায় থাকে। মনোযোগ ফিরিয়ে আনার জন্য আপাতত এই দশটি আয়াত মুখস্ত করে নিয়েছি, নামাজে নিয়মিত পড়ি এই আশায় যে হয়ত কোন একদিন এই গুনগুলো অর্জন করতে পারব, আশা করি ব্যাপারটা মৃত্যুর আগেই ঘটবে।
সূরা ফুরক্কানের তেরোটি আয়াতে আল্লাহ্ তাঁর বিশেষ বান্দাদের বারোটি বৈশিষ্ট্য তুলে ধরেছেন- যারা চালচলনে বিনম্র এবং আঘাতকারীর সাথে শান্তিস্থাপন করে, প্রতিক্রিয়াশীল নয়; যারা রাতের একাংশ তাদের প্রভুর সাথে কথোপকথনে কাটায়; যারা জাহান্নামের চেহারাও দেখতে চায়না; যারা নিজের প্রয়োজনীয় খরচের ক্ষেত্রে মিতব্যায়ী; যারা আল্লাহর সাথে কাউকে শরীক করেনা; যারা কাউকে হত্যা করেনা; নিজের চরিত্রের পবিত্রতা রক্ষা করে চলে; যারা নিজের অন্যায় কৃতকর্মের ব্যাপারে অনুতপ্ত হয়; যারা মিথ্যা সাক্ষ্য দেয়না; যারা বাজে কাজ ও বাজে কথা এড়িয়ে চলে; যারা আল্লাহর বানীর প্রতি উদাসীন নয়; এবং যারা প্রার্থনা করে, ‘হে আমাদের পালনকর্তা, আমাদের স্ত্রী ও সন্তানদের আমাদের জন্য চক্ষু শীতলকারী বানিয়ে দাও এবং আমাদেরকে তোমার আনগত্যশীল বান্দাদের জন্য আদর্শ বানিয়ে দাও’। আল্লাহ্ আমাদের অনেক ভালবেসে সৃষ্টি করেছেন। আমাদের সৃষ্টি করার কথা শুনে যখন ফেরেস্তারা বললেন, ‘আপনি কি পৃথিবীতে এমন কাউকে সৃষ্টি করবেন যে দাঙ্গা হাঙ্গামার সৃষ্টি করবে এবং রক্তপাত ঘটাবে? অথচ আমরা প্রতিনিয়ত আপনার প্রশংসা করছি এবং আপনার পবিত্র সত্ত্বাকে স্মরন করছি’, আল্লাহ্ তাঁদের এই বলে চুপ করিয়ে দেন, ‘নিঃসন্দেহে আমি যা জানি তা তোমরা জাননা’ (সূরা বাক্কারাঃ আয়াত ৩০)। যদিও আপাত দৃষ্টিতে মনে হয় আমাদের ব্যাপারে ফেরেস্তাদের আশঙ্কা ঠিক ছিল, আল্লাহ্ তাঁর ক্ষমা দিয়ে আমাদের আবৃত করে নেয়ার জন্য কেবল একটি উপলক্ষ্য খুঁজছেন। এই বারোটি গুনের একটি অন্তত অর্জন করতে পারলে তিনি আমাদের স্বর্গীয় বাগানে প্রবেশ করানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। হায়! এর একটিও যে রপ্ত করার যোগ্যতা নিজের মাঝে খুঁজে পেলাম না!
সুতরাং নেমে এলাম সর্বনিম্ন মানে। সূরা মা’রিজের এই আয়াতগুলো ক’দিন আগেই মুখস্ত করলাম যেন বৈশিষ্ট্যগুলো মনে রাখতে পারি। এই ক্যাটাগরিতেও না টিকলে আর আশা নাই। তাই এই মানদন্ডগুলো খানিকটা বিস্তারিতই বিশ্লেষণ করলাম। কাঙ্খিত গুনাবলীর কথা জানানোর আগে আল্লাহ্ মানুষের তিনটি সাধারন দুর্বলতার কথা বলছেন- মানুষ অতিমাত্রায় প্রতিক্রিয়াশীল, তাকে দুর্ভাগ্য স্পর্শ করলে সে অস্থির হয়ে পড়ে আর সৌভাগ্য স্পর্শ করলে আর অন্যের কথা মনেই রাখেনা। মুখে স্বীকার করতে না চাইলেও মন তো জানে এ’কথা সম্পূর্ন সত্য, যিনি আমাকে সৃষ্টি করেছেন আমার স্বভাব তাঁর চেয়ে ভাল আর কে জানবে? আশার কথা হোল তিনি আমাকে এর থেকে উত্তরণের পথ দেখিয়ে দিয়েছেন, নামাজের ব্যাপারে যত্নশীল ব্যাক্তি এই ক্ষুদ্রতার উর্ধ্বে আরোহণ করতে পারে কারণে সে জানে কল্যাণ এবং অনিষ্ট উভয়ই তার প্রভুর হাতে। সুতরাং তার প্রভু তাকে যা দান করেন তা নিয়ে সে কৃপণতা করেনা, বরং বঞ্চিতজন চাইল কি না চাইল বড় ব্যাপার নয়, সে নিজেই স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে সহ্যোগিতায় এগিয়ে আসে। কারণ সে জানে প্রতিফল দিবস সত্য, সেদিন কেউ বিচারপ্রক্রিয়া থেকে নিরাপদ থাকবেনা, সুতরাং যা কিছু দিয়ে সেদিন নিষ্কৃতির ব্যাবস্থা করা যায়। তারপর এসেছে চারিত্রিক পবিত্রতা রক্ষা করার তাগিদ। এই প্রসঙ্গে একটি হাদিস সুপরিচিত, ‘যে তার দুই উরুর এবং দুই চোয়ালের মধ্যবর্তী স্থানের পবিত্রতা নিশ্চিত করবে, তার জান্নাত নিশ্চিত’ (বুখারী)। এখানে দু’টি কথা আছে, চারিত্রিক পবিত্রতার ব্যাপারে মানুষ যতটুকুই বা সচেতন থাকে, মুখের পবিত্রতার ব্যাপারে সচেতন থাকে ক’জন? বিশেষ করে আমাদের সমাজে যেখানে মিথ্যা বলা, মিথ্যা সাক্ষ্য দেয়া, গালাগাল, চাপার জোরে অপরের চরিত্রহননের মত ব্যাপারগুলো ডালভাত হয়ে দাঁড়িয়েছে? অপরদিকে চারিত্রিক পবিত্রতা কি শুধু লজ্জাস্থানের হিফাজতের মাধ্যমেই নিশ্চিত হয়? তাহলে চোখ দিয়ে অপরের সম্ভ্রম নষ্ট করা, মুভি এবং পর্ণোগ্রাফি দেখে নিষিদ্ধ স্বাদ গ্রহণ করা এগুলোকে কি বলব? তারপর মানুষের বিশ্বাস এবগ্ন প্রতিশ্রুতি সংরক্ষণের ওপর গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে আল্লাহর সাথে কৃত ওয়াদাও অন্তর্ভুক্ত, কারণ মুখে যতই বলি, ‘আল্লাহ্ এক এবং মুহাম্মাদ (সা) তাঁর রাসূল’, আমাদের অনেকেরই কথায় আর কাজে মিলেনা। প্রায়ই দেখা যায় কার্যত আমার গড হয়ে বসে থাকে মিউজিক আর নবী মাইকেল জ্যাকসন; কিংবা গড হয়ে যায় টেকনোলজি এবং নবী হয়ে বসে বিল গেটস। পুণরায় নামাজের ব্যাপারে সতর্কতার কথা বলে মাত্র সাতটি গুনের সংক্ষিপ্ত তালিকাটি সমাপ্ত করা হয়েছে- নামাজ, দান, বিচারদিবসে বিশ্বাস ও প্রস্তুতি, চরিত্রের পবিত্রতা সংরক্ষণ, অপরের বিশ্বাসের প্রতি যত্নশীলতা, প্রতিশ্রুতি রক্ষা করা, সত্য সাক্ষ্য দেয়া এবং নামাজের প্রতি যত্নশীল হওয়া। সব মিলিয়ে অল্প বুদ্ধিতে যা বুঝলাম তা হোল আমাদের সমস্ত চিন্তা চেতনা হতে হবে বিচারদিবস কেন্দ্রিক এবং এতে আমাদের ফোকাস এবং অধ্যাবসায় জোগাবে নামাজ। তখন বাকী কাজগুলো আপনিই সহজ হয়ে আসবে। আপাতত বিচার দিবসে বিশ্বাস পাকাপোক্ত করার জন্য জান্নাত এবং জাহান্নামের ব্যাপারে পড়াশোনা করব ভাবছি। কিন্তু জাহান্নামের বর্ণনা শুরু হবার আগেই ভয়ে পানির তেষ্টা পেয়ে যায়, পানির প্রয়োজন মিটতে মিটতে আবার মন চলে যায় অন্য কোথাও! আমার কি আদৌ কোনদিন উত্তম চরিত্র অর্জন করার প্রস্তুতি নেয়া হবে? আপনি কোন পর্যায়ে আছেন?
বিষয়: বিবিধ
২০৬৪ বার পঠিত, ৭১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
জাযাকাল্লাহ খায়ের।
১. কোন টা পছন্দ : আপনাকে না জানিয়ে আপনার স্বামীর ২য় বিয়ে করা না কি আপনার অনুমতি নিয়ে করা ?
২. কোন টা পছন্দ : আপনার স্বামী একেবারে না পারতে /বাধ্য হয়েই আপনাকে প্রহার করলো - এ ব্যাপারে চুপ থাকা না কি তার এগেইনস্টে মামলা ঠুকে দেওয়া ?
২. কোন টা পছন্দ : ভাই পাবে আপনার দ্বিগুন না কি সমান সমান ?
কবিরা এখানেই নিরব হয়ে যায়
ওয়ালাইকুম আস্সালাম
দারুন! পোষ্ট । আমরা অনেকেই কোরান পড়ি কিন্তু কোরানের অন্তর্হিত অর্থ কয়জনইবা অনুধাবন করার চেষ্টা করি । আমরা যারা কোরানের অর্থ বুঝি তারাইবা কয়জন আমল করার চেষ্টা করি।
আল্লাহুম্মা ইন্নি আসালুকা ইলমান নাফিআ আমালান মোতাকাব্বেলা রিজকান তৈয়েবা।
এই দু'আটা আজ সকালেই শিখলাম, সামান্য হেরফের আছে
তবুও আমরা আশাবাদি। আত্মগঠনের জন্য এই গুণাবলী অর্জনের বিকল্প নেই।একমাত্র মহানপ্রভুর দয়া ও রাহমাত ছাড়া আর কিছু দিয়েই সে স্তরে পৌঁছানো সম্ভব নয়।
ধন্যবাদ
তার একটি কথা এখানে লিখছি।
শায়খ বললেন, জীবিত অবস্থায় কোরআনকে বুঝলাম না মানলাম না সে অনুযায়ী জীবন গড়লাম না অথচ মরনের পরে কোরআন পড়ার ছরাছরি।
হাফেজ ডেকে কোরআন ক্ষতম করায়ে সওয়াব হাসিল করে যেনো মৃতকে জান্নাতে পাঠাবে।
আসলে এই কোরআনেকে ক্ষতম করার অর্থ তাদের কাছে ভাল হলেও আমরা বলবো, "সত্যি কোরআনকে ক্ষতম করে দেয়া হচ্ছে জীবন থেকে"
জীবিত অবস্থায় কোরআনের কোন অনুশাসন,আইন,উপদেশ কাজে লাগলো না অথচ মরার পরে কোরআন কি কাজ দিবে?
হে আল্লাহ আমাদেরকে শক্তি দিন আমরা যেন এসব গুণে গুনান্বিত হতে পারি.
ভালো কাজে প্রতিযোগিতা করার অনুমতি আছে। কিন্তু কিভাবে প্রতিযোগিতা করবো। স্মরণ শক্তি যে একেবারেই কাঁচা, কিছু মুখস্থ হয় না এখন। দোয়া করবেন যেন ভালো ভালো আয়াত এবং দোয়া কালামগুলো মুখস্থ করে আপনার সাথে প্রতিযোগিতা করতে পারি...
সূরা মুমিনূনের আয়াতগুলো এবং সূরা মা'রিজের উল্লেখিত আয়াতের অর্ধেকই একই। তাছাড়া বাক্যগুলো অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত। আমার মত গাধাও মুখস্ত করতে পারে। সুতরাং, আপনি নির্ভয়ে এগিয়ে যান। পড়ার সময় অর্থসহ পড়বেন, তাহলে সহজেই মুখস্ত হবে ইনশা আল্লাহ। আর সূরা ফুরকানের একটা আয়াত তো আপনি অলরেডি পারেন, ‘রাব্বানা হাবলানা মিন আজওয়াযিনা ওয়া জুররিয়াতিনা ...’
আল্লাহ আমাকে কথা , কাজে চরিত্রে, ঈমানে পরিপূর্ণ মুসলিম হওয়ার যোগ্যতা দান করুন।
ধন্যবাদ আপনাকে।
নিজের কাছে জবাবদিহিতাই পরকালের জবাবদিহিতার উত্তম প্রস্তুতি
অনেক ধন্যবাদ
তবে এ ধরণের লেখার খুব প্রয়োজন ছিল । দাড়ি পাঞ্জাবি এবং নেকাবের দৈর্ঘ মানুষকে জান্নাতে প্রবেশ করাবে-- এমন কথা কোরআন হাদীসে আমি পাইনি । তবে এটা পেয়েছি, মানুষকে জান্নাতে প্রবেশ করাবে দুটি জিনিষ এক. তাকওয়া দুই. উত্তম চরিত্র ।
আপনি ঠিকই বলেছেন, সুরা মুমিনুন এবং মাআরিজের ঐ আয়াতগুলোর মধ্যে সামান্য শব্দগত পার্থক্য ছাড়া আর কোন পার্থক্য নেই । এগুলোর হেফাজত করলে জান্নাতে প্রবেশের নিশ্চয়তা স্বয়ং আল্লাহ আমাদের দিয়েছেন ।
আমরা মূল জিনিস বাদ দিয়ে খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে তর্কবিতর্ক করে ইসলামকে যেমন কঠিন করে ফেলেছি তেমনই নিজেদের মাঝে বিভেদের দেয়াল রচনা করছি। ফোকাসটা সঠিক জায়গায় নিয়ে আসা দরকার।
চারটির মধ্যে অমিল থাকলেই একের পর এক নতুন সমস্যা সৃষ্টি হতে থাকবে।
তথ্য এবং তত্ত্ব সহযোগিতা নিলাম
আমি যেন সেই প্রিয় কথা শিল্পীকে অন্যরূপে দেখলাম ।
আশা করি এজাতিয় লেখা অব্যাহত রাখবেন।
একজন বিউটিশিয়ান যদি নিজের মেয়েকে, বোনকে সাজায় তাহলে সেখানে কি আন্তরিকতার ছোঁয়া থাকবে না ?
আল্লাহ আপনার মাধ্যমে ইসলামের দাওয়ার কাজে গতি আনুক - এই প্রার্থনা করছি।
আমার কি যে ভালো লাগছে আমি আপুর তিনটি বই কিনেছি।
১, বিয়ে।
২, নানান রঙের মানুষ।
৩, একগুচ্ছ গোলাপ।
আপু আপনার বিয়ে বইটি পড়া শুরু করেছি।
খুউব ভালো লাগছে। বেশি ভালো লেগেছে "যে সৌন্দর্য্য দিয়ে কি লাভ যা অন্তর পর্যন্ত বিস্তৃত নয়" এই লাইনটি বারবার মাথায় আঘাত করছে।
"নামটা বিন/বিনত এটাও খুব ভালো লেগেছে" -আমাল করবো ইনশাআল্লাহ।
দেখেন আমার প্রিয় একটি নাম রাহিক।
আপনার রাহি।
বইটি শেষ করে এই পর্বটি পড়বো।
আপাতত আপনার পোষ্টে হাজিরা দিয়ে গেলাম
সত্যিই পাঠক তার প্রিয় বইগুলো অন্নেক কষ্ট হলেও সংগ্রহ করে নেয়
পোষ্ট বহির্ভূত মন্তব্য
মন্তব্য করতে লগইন করুন