পুলিশ র্যাব বিজিবি নামের দানবদের বাংলা থেকে হঠান ও ইসলামের(শান্তির) কাজের বাধার প্রাচীর ভেঙ্গে দেন।
লিখেছেন লিখেছেন সত্যলিখন ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৪, ১১:৩৬:২৩ রাত
এক রাজার ছিল মস্ত বড় বিশাল বাংলো । সুসজ্জিত বাংলোর ভিতর ও বাহির ছিলো মনোরম প্রাকৃতিক সুন্দর্যের সবুজ শ্যামল ের সমারোহ। বিশাল এলাকা জুড়ে ছিল ফুলে ফলের বাগান। রাজারানীর আরামে বসার মত ছিল বাগানে সেই রকম হেলান দেওয়া সোফাসেট। যাওয়ার পথ ছিল সবুজ গালিচা বিছানো ।চারিদিকে ছিলো গৃহপালিত পশু পাখির কোলাহলএ মুখরিত ।ফুলে ফলে বাগান ছিলো মুহুমুহু ঘ্রানে প্রান জুড়ানো।বেশ আনন্দেই চলছিলো রাজার রাজত্ব নিয়ে ব্যস্ততার পরে এসে প্রকৃতের সাথের বন্ধনে ক্লান্তি দূর করতেন।
বাংলোর বাহিরে প্রাচীর না থাকাতে সহজ সরল ছেলেমেয়েরাও সেখানে পাখপাখির আর ফুলফলের সাথে তাদের সখ্যতা গড়ে তোলে। রাজা রানী কে দেখলে তারা ভয়ে দৌড়ে সবাই সবার নিরাপদ স্থানে চলে যেত।এতে করে রাজা ভাললেন আমি কি এতো ভয়ংকর যে এই নিষ্পাপ ছেলে মেয়েরা আমাকে দেখে পালিয়ে যায়। তাই রাজা তাদের সাথে শিশু সুলভ আচরন দিয়ে বন্ধুত্ব গড়ে তোলে। তাতে সন্দেহ প্রবন ও কুটবুদ্ধি সম্পন্ন রানীর মনে কিছু তেই শান্তি নেই । রাজা কে নিয়ে একা থাকার কুচিন্তায় রানীর আদেশে বাংলোর চারদিকে উচু প্রাচীর করে ফটকের ব্যবস্থ্যা করে দিল ।আর প্রহরী রেখে দিল কয়েকটি মানুষ খেকো দানব।
কচিকাচা নির্মল কোমলমতি ছেলেমেয়েরা আর আসতে পারছে না ।তাদের বিরহের ব্যাথায় ব্যাথাতুর হয়ে পাখিরা তাদের কিচিমিচির ডাক বন্ধ করে দিল । গাছে ফল ফুল দেয় নাই। তাই অলিরা গুন গুন গান গাইলো না। রাজা এই নিষ্টুর আচরনে প্রতিবাদ হিসাবে বাংলায় আসা বন্ধ করে দিল। রানী চরম বেকায়দায় পড়ে গেল । এক সাথে জনগন ও প্রকৃতি রাজার পক্ষে চলে গেল । আবার রানীরাজা মনকে আগের মত অবস্থ্যায় ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য ঐ নিষ্পাপ ছেলে মেয়েদের রাজ্যে নিমন্তন জানালেন।তারা সবাই মিলে সিন্ধান্ত নিইয়ে রানী কে জানাল ,বাংলো থেকে দানব হঠান ও বাধার প্রাচীর সরায়ে দেন। রানী অগত্যা বাংলো থেকে দানব হঠাল ও বাধার প্রাচীর সরায়ে দিল ।আবার আগের মত সবাই শান্তিতে বসবাস শুরু করল।
গল্পের শিক্ষা ঃ
১ ।অতিরঞ্জিত কোণ কিছুই কারো জন্য কল্যান বয়ে আনে না । ঝিনাইদহ থেকে গ্রেপ্তার কৃত মহিলা জামাতের ৩৮জন নির্দোষ দ্বীনি বোনদের গ্রেফতার করার মত কোন অন্যায় তারা করে নাই ।তারা করেছে যা তা হল, ইসলামের আলোয় আলোকিত কিছু মা/বোন তৈরী করছিল।
২।যখন অন্যায়কারীরা অন্যায় করে তখন আমরা কেউই প্রতিবাদ করি না।কিন্তু ভাল কাজের মাধ্যমে সবার শান্তি যেখানে নিহিত তা করলেই আমাদের প্রতিবাদী ভুমিকা পালন করা শুরু হয়।
৩। আমাদের বোনরা আল্লাহ প্রতিনিধি ও রাসুল সা এর উম্মত হিসাবে আমাদের প্রত্যেক কিছু নির্দিষ্ট লক্ষ উদ্দেশ্য পালনের জন্য কিছু নিদিষ্ট দিনের জন্য আমরা দুনিয়াতে এসেছি।আর আমাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হল আল্লাহ প্রদত্ত আইন আর রাসুল সা;পদর্শিত পথ এই জমিনে মানুষের কল্যানের জন্য কায়েম করা।যাতে সবাই সবার জায়গায় থেকে শান্তিতে মৌলিক চাহিদা পুরোন করে বসবাস করতে পারে।
৪।এই কাজটি আমাদের কারো পক্ষে একা করা সম্ভব নয়।যারা আল্লাহ ও আল্লাহর রাসুল সাঃ কে ভালবাসে তারাই সবাই একই মনের হয়ে কোরান ও সুন্নাহর এই কাজ গুলো একত্রে করার জন্য একত্রিত হয়।এর ফলে “তারা আল্লাহর অনুগ্রহ ও সন্তোষ অম্বেষন করে থাকে” সুরা আল ফাতহ -২৯
৫।কোরান আমরা সবাই জানি য়ামাদের সবার ঘরে ঘরে আছে।তা ছাড়া আমাদের প্রধান মন্ত্রীও প্রতিদিন কোরান পড়ে থাকেন ।তা হলে এই কোরানের প্রতি যার নুন্যতম সন্মান আছেন তিনি কি এর ধারক রাহক ও শিক্ষকদের অবমাননা করতে পারেন।কেন তা হলে সন্মানিত বোন্দের প্রতি এই অবমাননা।
৬।আমার বোনেরা যা শিক্ষা দিচ্ছিলেন।তা হলো,
***আল্লাহর দিকে আহবাঙ্কারী হিসাবে অন্যদেরকেও সিরাতুল মুস্তাকিমের দিকে আহবান জানানো।***একজন খাটি মুমিন হিসাবে একাগ্রতা সহকারে সালাত আদায়ের প্রশিক্ষন দেন।***সহীহ ভাবে তালিম সহকারে আল কোরান অধ্যায়নের মাধ্যমে জানা মানা ও অন্যকে জানানো আল্লাহর ফরজ শিক্ষা দেন।***কোরান হাদিসের জ্ঞান অর্জনের সহায়ক বই গুলো পড়তে বলেন।***ব্যক্তি পরিবার সমাজ ও রাষ্ট্রের শান্তির জন্য আল্লাহর সাহায্য চেয়ে তাহাজ্জত পরা শিখান।***সকল কাজে আম্মাহর স্মরন ও আত্নসমালোচনার মাধ্যমে নিজেকে পরিশুদ্ধ করে তোলার শিক্ষা দেন ।***মৌলিক মানবীয় গুনাবলী যেমন, পরিশ্রমপ্রিয়তা, কষ্টসহিষ্ণুতা, সংযোম,বিপদ মুছিবত দৃঢ়তা সময়ানুবর্তিতা,নিয়মানিবর্তিতা,সাহসিকতা,উদ্ভাবন শক্তি ইত্যাদি অর্জন করে।আর এইকাজ গুলো করার মাধ্যমেই রাসুল সাআইয়্যামে জাহিলিয়াতের বদৌলতে ইসলামের সোনালী সমাজ কায়েম করেন।
বিবেকবানদের নিকট জানতে চাই ঃ
উপরের উল্যেখিত কাজ গুলো করা কি খারাপ কাজ হলো।আর এই কারনে ঝিনাইদহ থেকে গ্রেপ্তার করা হয় মহিলা জামাতের ৩৮জন নির্দোষ আমার প্রান প্রিয় সন্মানিত দ্বীনি বোনদের। জিনাইদহ থেকে আটককৃত জামায়েত ইসলামির মহিলা কর্মি..ওদের একমাত্র অপরাধ ইসলামের বানি প্রচার করা।আমি আমার বোনদের নিঃশর্ত মুক্তি চাই।।আর অনুরুধ রইল,যত তাড়াতাড়ি নিঃশর্ত মুক্তি দিন।
কারন আমরা আমাদের বাবা ভাই স্বামী সন্তানদের কাছে দুনিয়ার সকল সম্পদের চেয়ে মুল্যবান সম্পদের মত মর্যাদায় আছি।আলহামদুলিল্লাহ ।যাহা আপনারা আপনাদের মা বোন স্ত্রীদের দিতে পারেন নাই। তাই আমাদের সন্মান ইজ্জত ও ইসলামের কাজের বাধার প্রাচীর তৈরী করে উপরের উল্যেখিত গল্পের রানীর মত বেকায়দায় পড়বেন না ।আপনারদের পুলিশ র্যা ব বিজিবি নামের দানবদের বাংলা থেকে দানব হঠান ও ইসলামের (শান্তির)জন্য বাধার প্রাচীর সরায়ে দেন। আবার সবাইকে আগের মত শান্তিতে বসবাস করতে দিন ।এতে আপনাদের ক্ষতি হবে ।দেশের অনাকাংক্ষিত অমঙ্গল থেকে জনগন রক্ষা পাবে।
কোরানের সৈনিকদের ধৈর্যের বাধ ভেংগে গেলে তাদের হারাবার কিছুই দুনিয়াতে নেই আবার পাবার মত মুল্যবানও তাদের দুনিয়াতে কিছুই নেই ।আর জান মাল সব তা তো আল্লাহর কাছে জান্নাতের বিনিময়ে বিক্রি করে দেওয়া ।তাই আল্লাহর সাহায্য নিয়ে আল্লাহর পথে তাদের কোরবানীর পরীক্ষা দেওয়া শুরু করলে আর পালাবার পথ পাবেন কোথায়?আল্লাহর সাহায্য মুমিনের খুব নিকটে। আল্লাহ আমাদের সবাইকে জালিমদের মুকাবিলায় হেফাজতে রাখুন ।আমাদের ঈমানী এলেমী আমোলী যোগ্যটা বাড়িয়ে দিন
লাইক কমেন্টস না করে প্লিজ শুধু পড়ে দেখুন। ।অন্যদের মাঝে ছড়িয়ে দিন । আমি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য লেখি । আপনার বিবেকের সাড়াই আল্লাহ আমার জন্য কবুল করে নিক ।
বিষয়: বিবিধ
৩১৩৯ বার পঠিত, ১২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আর বোরকা পরে, কোরাণ হাতে নিয়ে, যদি কোরাণ বিরোধী বিষয় শিক্ষা দেওয়া হয়, ও বোরকার ভিতরে করে কিভাবে অস্ত্র বহন করতে হয়, তা শিক্ষা দেওয়া হয়, তা হলে তো- দেশের নিরাপত্তার স্বার্থে বোরকা পরা কু-চক্রীদের গ্রেপ্তার করা ছাড়া কোন উপায় থাকে না।
অপ্রিয় সত্য কথা,খেলাঘর বাধঁতে এসেছ,আকবার ,স্বাধীনতা,জুলিয়া,
মারিয়া
পরীবানু
মরুর মুসাফির
পরীবানু ,সততার আলো
অশ্বথমা
অপ্রতিরোধ্য স্বাধীন সমালোচক
পরমা ,নীলমণীলতা
বিলকিস লায়লা
দস্তার
রুপবান
মুক্তিযুদ্ধ ৭১
দ্রাবীড় বাঙাল
লেয়লা ইসলাম
বিলকিস
বাংলা ৭১
ভিক্টোরিয়া
হেলেনা
পল্লব প্রভাতে
খালেদ
রুশো তামজিদ
বারাংগনা
মধুবালা
সখি
ফয়সাল১
মাঝি-মাল্লা, ,
লায়লার
লায়লা০০৭
রাতুল দাস
চকো চকো
সায়েদ-রিয়াদ
বিভ্রান্ত নাবিক
ফাজিল
অপ্রতিরোধ্য স্বাধীন সমালোচক
মুক্তিযুদ্ধ ৭২
দ্রাবীড় বাঙাল
পিচ্চি পোলা
কাওসাইন হক
চাষা
jahed_ullah
নীরু
সাদা মন
সাদা মন
চোথাবাজ
আমি বিপ্লবী
সততার আলো সকাল সন্ধ্যা
এই নেরিকুত্তার এত নিক
গোড়া মজবুত হিন পৃথিবীর সকল দেশের সকল সরকার গুলো এই পদ্ধতি অনুসরন করে! কেননা সরকার নিজেই গায়ে পড়ে জনগনকে জানাতে চায় তারা কতই না সতর্ক ও জনগনের জন্য দরকারী।
সুতরাং তারা জনগনের ভোটে ক্ষমতায় না আসলেও উপেক্ষা করার মত কোন শক্তি নয়। যে সরকার এ্টা করে বুঝতে হবে তারা নিজেরাই ধরে নেয় যে, তাদের পায়ের নিচে মাটি বড় দুর্বল। অনেক ধন্যবাদ
মন্তব্য করতে লগইন করুন