শাশুড়ি বৌ যখন দ্বীনি বান্ধুবী হন।
লিখেছেন লিখেছেন সত্যলিখন ২৯ মার্চ, ২০১৪, ০২:৩৩:০২ রাত
শাশুড়ি বৌ যখন দ্বীনি বান্ধুবী হন।
যিনি মধু খান , আর যিনি না খেয়ে বর্ননা শুনেন ২ জনের অনুভুতি কখন এক হতে পারে না । কারন যিনি খেয়ছেন তিনি যেই অনুভুতি উ্পভোগ করেছেন । যিনি খান নাই তিনি শুনে সেই সাধ পাবেন না ।
আল্লাহ মেয়ে আমার গর্ভে দেন নাই ।আলহামদুলিল্লাহ । আমার আগে এর জন্য সামান্য দুঃখ ছিলো কিন্তু এখন আর নেই । আল্লাহ আজ আমার সেই স্বপ্ন পু্রন করছেন।আলহামদুলিল্লাহ ।
আমি আমার মেঝে ছেলের জন্য আমার পছন্দের মেয়ে বিয়ে করাই । সঙ্গগঠনের বাহিরের হও্যাতে আমার অনেক ্দ্বীনি বোনরা আমাকে খুব বকা দেন। আমার আল্লাহর উপর এই বিশ্বাস ছিলো যে আল্লাহ হেদায়েতের মালিক । তিনি ইচ্ছা করলে সব কিছু পরিবর্তন করে দিতে পারেন । আমার মেয়ে হিসাবে আমার যা দায়িত্ব আমি তা প্রানপন চেষ্টা করতে থাকি । ছেলের প্রতি অনুরোধ থাকে কোন অন্যায় আচরন যেন আমার মামনির প্রতি না করা হয় ।তাই আমি ২ বাচছা রেখে তাদের কে বাহিরে ঘুরে আসতে পাঠাই।াল্লাহর রাসুল মেয়েদেরখুব ভালবাসতেন ।সেই কথা মনে করে আমার সব প্রিয় জিনিস আমি তার হাতে দিলে সে যেই মিষ্টি হাসিটা দেয় ওটাই আমার অনেক আনন্দ।
আমার সব সময় মনে হয় মা হিসাবে আমি নিজের সন্তান আর আমার মামনির মাঝে যেন বিন্ধু পরিমান তফাত না থাকে। আমার বউ অবসথ্যার খালিস্থানের অভিজ্ঞতার আলোকে আমার মামনির জীবনে যেন কোন খালিস্থান না আসে তা আমি ও আমার পরিবারের সবাইকে খেয়াল রাখার জন্য খুব তাগিদ দিতে থাকি। মামনির চাওয়া পাওয়া ও পছন্দের প্রাধান্য আমি সব সময় বেশি দেই। কারন ভিন্ন পরিবেশে সে যেন নিজেকে অসহায় বা একাকিত্ব মনে না করে । আমার মামনি খুব সুন্দর পরিবেশন করতে খুব পছন্দ ।আমি রান্না করে বা সাহেব কিছু আনলে ওর হাতে দিয়ে বলি"মামনি তুমি যাকে যা দেবার দাও"। আমি খেয়াল রাখি সে যেন কম না পায়।
আমার মামনি যেই কোন কিছু রান্না করে আমি আগেই সবাইকে সাবধান করতে থাকি কেউ যেন ভাল ছাড়া খারাপ সমালোচনা না করে ।এতে আমার মামনির মাঝে রান্না করার আগ্রহ টা বেড়ে যায়। আমার নাতি নাতনির কারনে তার পড়ার যেন ক্ষতি না হয় তাই তাদের দেখা শুনা বা অন্যান্য কোন ঝামেলায় তাকে আমি না ঝড়াতে চেস্টা করি। আমাকে অনেকে বলেছেন, আমি নাকি বৌ চালানোর মত উপযুক্ত শাশুড়ী না । আমার উনাদের কাছে একটাই উত্তর ছিলো" শশুড়ী মানে যদি পায়ের উপর পা দিয়ে বৌকে শধু হুকুম দেওয়া, কথায় কথায় ্দোষ ধরা ,ভাল খাবার নিজের সন্তানকে দেওয়া আর মুরগীর পা পচাবাসি খাবার খাওয়ানোকে বুঝায় আল্লাহ মাফ করুন আমি তা কখন হতে পারব না। আমার মামনি তার আম্মুর কাছে যেতে আমার গলা জড়ায়েধরে কান্নাশুরু করে সে যাবে না । অনেক বুঝায়ে পড়ার কথা বলে পাঠাতে হত।পড়া শেষ করে এই বার এসে বলে মামনি আমার আর যেতে হবে না । তাও আমি বলেছি "না আম্মু, মা বাবা থাকলে গিয়ে বার বার দেখা করে বেড়াতে হয়। তোমার যখন মন চায় তুমি চলে যেও"।
শাশুড়ি বৌ যখন দ্বীনি বান্ধুবী হন।
আমার মনে হয়,আমিই তার জন্য ইসলামের উদাহরন। আমার ছেলেদের ও সাহেব কে বলতাম ইনশাল্লাহ আমার মামনি ইসলামের দাও্যাত আমাদের থেকেই পাবে। তাই আমি চাইতাম জোর করে নয় সে নিজের ইচ্ছায় জানতে থাকুক যে অন্যান্য ফরজের মত ইকামতে দ্বীনের দায়িত্ব আমাদের উপর ফরজ । কিসের নেশায় শারিরিক কষ্ট বা হাজার ব্যাস্ততার মাঝেও আমি কোথায় যাই প্রতিদিন ? কেন যাই ? এই কাজের কি লাভ ? এতে তার মাঝে ইসলামের প্রকৃত শিক্ষাটা আসবে।
আলহামদুলিল্লাহ তাই আল্লাহ করলেন । আমি আমার দাদুমনি কে আমি খুব ছোট থেকে আমার সথে নিয়েঘুরি ।তারা মাছেলে বাসায়থাকে ।আমার মামনি আমাকে বলল" মামনি, আপনি যেখানে যেখানে যাবেন আমাকেও সথে নিয়ে যাবেন। আমার বিকালে একা বাসায় ভাল লাগে না ।আপনি যেই যেই কাজ করবেন ইসলামের আমিও তা করব ইনশাল্লাহ ।" আমি তো আলহামদুলিল্লাহ বলে সথে নিয়ে গেলাম।
পরপর আরো কয়টা প্রোগ্রামে নিয়ে গেলাম । এখন সে একবাচ্চা সহ আমার এপার্ট্মেন্টের একদ্বীনি বোনের মাধ্যমে ভিবিন্ন প্রোগ্রামে উপসথাপনা বা কোরান হাদিসের দারর্স দিতে পারে । আমি দূর থেকে খবর নেই আর একজন বাচ্চা নিয়ে আলাদা অন্য প্রোগ্রামে যে আছি তাকে তা জানই। আমার মামনি আমার সেই প্রোগ্রামে হাজির । আর সেখানে আপারা আমার মামনির আন্তরিকতা আর ভালবাসা এবং ইসলাম জানার জন্য ও সিলেবাস শেষ করার টান দেখে উনারা এখন আমাদের নাম দিয়েছেন শাশুড়ি বৌ দ্বীনি বান্ধুবী ।
আল্লাহ যে হেদায়াতের মালিক ।আলহামদুলিল্লাহ ।আমি আমার মামনির , ইসলামের প্রতি তার ভালবাসা , নিজেই পর্দা নেকাব সহ সব কিনে এনে পর্দা পালন করা শুরু করলেন , দাওয়াতি কাজের প্রতি আগ্রহ আলহামদুলিল্লাহ ৬০ জন দাওয়াত দিয়ে পরের দিন সেই খানে ২৫ জন নিয়ে প্রোগ্রাম করে ফেলেছেন,রিপোর্ট রাখা , সবার আগে বৈঠকে হাজির হওয়া , দান করার প্রবনতা সব মিলিয়ে আমার মনে হচ্ছে আমার মামনি আখিরাতের প্রতিযোগীতায় আমার আগে চলে যাচছেন । আমার মেয়েকে আমি এমনই চেয়েছিলাম । আমার এই রকম একজন বান্ধুবীর খুব প্রোয়জন ছিলো ।আল্লাহ তা মিলায়ে দিলেন ।আলহামদুলিল্লাহ । কি মজা যে সে পেয়েছে? তা দেখেই আমার ৃদয়টা শীতল হয়ে যায় । এখন সে তার ২ ছেলেমেয়ে কে ইনশাল্লাহ এই পথের খাদেম হিসাবে কোরানের হাফেজ বানাবেন বলে পরিকল্পনা করেছেন ।আল্লাহ কবুল করুন ।
আপনারা সবাই আমার ও আমার পরিবারের জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া চাইওবেন তিনি যেন ইসলামের জন্য কোরানের খেদমতের জন্য রাসুলের একজনখাটি উম্মত হবার তাওফিক দান করেন। আমাকে সহ আমার স্বামী সন্তানদের নাতিনাতনি দের কে শয়তানের অসওয়াস থেকে রকষা মরে মুত্তাকিনদের ইমাম বানিয়ে দিন । আমিন ।
বিষয়: বিবিধ
২৯৬৫ বার পঠিত, ৩৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আপনাকে দুনিয়া ও আখিরাতে উত্তম প্রতিদান দান করুন । আমিন ।
রাতের বান্ধুবী হলে সমস্যা কি?
আপনাকে দুনিয়া ও আখিরাতে উত্তম প্রতিদান দান করুন । আমিন ।
দুনিয়া ও আখিরাতে উত্তম প্রতিদান দান করুন । আমিন ।
দুনিয়া ও আখিরাতে উত্তম প্রতিদান দান করুন । আমিন ।
দুনিয়া ও আখিরাতে উত্তম প্রতিদান দান করুন । আমিন ।
আপনার অবগতির জন্য সংশোধনি;-তৃতীয় প্যারার পঞ্চম লাইনে একটি 'না' শব্দ দিতে ভুলে গেছেন৷ অযাচিত উপদেশের জন্য মাফ চাই৷ ধন্যবাদ৷
দুনিয়া ও আখিরাতে উত্তম প্রতিদান দান করুন । আমিন ।
আপনি ক্ষমাকারী তাই এই পাপীদেরকে ক্ষমা করেন।
হে আল্লাহ আপনি মহা দয়ালু তাই এক মুহুর্তেই আমাদের ক্ষমা করতে পারেন।
তাই আমাদের কে চিরস্থায়ী জান্নাতুল ফিরদাউস দান করেন।
হে প্রভু দয়াময় আপনি আমাদের দুয়ার জীবনের সকল পরিক্ষাকে সহজ করে দেন।
হে সন্মানিত রিজিক দাতা আমাদেরকে অতি উত্তম রিজিক ও স্বচ্ছল রাখেন।
হে শ্রেষ্ট অভিভাবক আমাদের উত্তম বন্ধু বান্ধব ও জীবনসঙ্গী দান করেন।
হে সন্মানিত মর্যাদাদানকারী, কাফেরদের মুকাবিলায় সকল সময়ে আমাদের কে মর্যাদাশলিী দের সাথে দৃড় ইমানে রাখেন।
হে মুক্তকারী জালিমের কারাগার থেকে মুত্তাকিন সকল মজলুম কে মুক্তি করে দিন ।
হে কোরানের স্রষ্টা কোরানের সৈনিকদের রাজপথে কাজ করার জন্য সাহস ও ঈমানী এলেমী আমোলী জ্ঞান দান করুনম্নহগ
।
হে প্রভু দয়াময় রহমানুর রাহিমের নিকট আমি সবার পক্ষ থেকে দরখাস্ত পেশ করেছি। হেক্ষমাকারী দয়ালুদের মধ্যেও শ্রেষ্ট্য দয়ালু আমাদেরসবার একই মনের আকুতি শুধু আমাদের জন্য নয় আমাদের বাবা মা ও সারা বিশ্ব জাহানের মুসলিম উম্মাহের জন্য তা কবুল করে নাও ।
তুমি ছাড়া আর কেউ যে আমাদের মনের ফরিয়াদ শুনার মত নেই
তাই দয়া করে দোয়া কবুল মঞ্জুর করুন ।
আমিন সুম্মা আমিন ইয়া রাহমানুর রাহিম ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন