আধা শিক্ষিত মানুষ এখন ব্যস্ত পড়ালেখা নিয়ে
লিখেছেন লিখেছেন আধা শিক্ষিত মানুষ ২২ মার্চ, ২০১৪, ০৭:১০:১৭ সন্ধ্যা
আধা শিক্ষিত মানুষ। সত্যি বলতে শিক্ষা দীক্ষায় একদম হাতে খড়ির মতো। তাই মাঝে মাঝে ব্লগে এমন কিছু লিখে, যার উদ্দেশ্য হয় পুরো শিক্ষিত জনকে বাজিয়ে দেখা। পুরো শিক্ষিত জন বাজেন ঠিকই। কিন্তু তাদের জবাব খানা পুরো শিক্ষিতের মতো হয়না।
যেমন ধরুন সম্প্রতি দেয়া আধা শিক্ষিত মানুষের দেয়া সাফা মারয়া সংক্রান্ত পোষ্ট খানি। ওটা আধা শিক্ষিত মানুষের ব্যক্তিগত বিশ্বাস বা জানাশোনা থেকে লিখা কিছু ছিলনা। ছিল তার একজন কলিগের কাছে থেকে শুনা গল্পকে যাচাই করা। পুরো শিক্ষিত জনের কাছে ছিল জিজ্ঞাসা-প্রকৃত তথ্য সরবরাহের অনুরোধ। কিন্তু বাস্তবে আমরা কি দেখলাম? দেখলামঃ
১। আমাদের মুডু মহাশয় বিনা নোটিশে পোষ্ট খানা এক সময় মুছে দিলেন।
২। সুপ্রিয় ব্লগার “এলিট” এনিয়ে ভিন্ন একটি পোষ্ট লিখলেন। কিন্তু সংশ্লিষ্ট পোষ্টে মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকলেন।
৩। বেশীর ভাগ ব্লগার মন্তব্যে তাদের অজ্ঞতা প্রকাশ করলেন।
৪। কিছু ব্লগার রেফারেন্সবিহীন ভাবে ব্যাখ্যা প্রদান করলেন।
৫। বেশ সংখ্যক ব্লগার পোষ্টটাকে এমন ভাবে উপস্থাপন করলেন যে, যেন আধা শিক্ষিত মানুষ একজন ইসলাম বিদ্বেষী লেখক।
উপরোক্ত অবস্থা থেকে আমরা কি শিখলাম? শিখলামঃ
১। মুডুরা বিনা নোটিশে কিছু সরাতে পারেন, এমন বিশেষ ক্ষমতা উনাদের আছে।
২। আমাদের মধ্যে “এলিট” এর মতো কিছু ব্লগার আছেন, যাদের কারণে ব্লগে যার যা খুশী লিখেলেও তথ্য ভিত্তিক উপস্থাপনার হাজির হবে।
৩। আমরা ইসলামের ঐতিহাসিক স্থান সমূহ সম্পর্কে পর্যাপ্ত জ্ঞান রাখিনা।
৪। আমরা অনেক কিছু জানি। কিন্তু তা পড়ে জানা নয় অথবা পড়লেও কোথায় পড়লাম তা আমাদের মনে নাই।
৫। আমরা আমাদের মতের সাথে না মিললেই কাউকে ইসলাম বিরুধী ভাবা শুরু করি।
মোদ্দা কথা, আধা শিক্ষিত মানুষ অনেক আশা করে প্রকৃত তথ্য শেয়ার করা হবে এমন আশায় পোষ্ট দিয়ে ছিলেন। কিন্তু মনে হয়েছে যে, আমরা যারা ব্লগিং করি, তারা পড়ালেখা একটু কম করি। তাই প্রকৃত তথ্য না জানিয়ে ডানে বামে হাটাহাটি করি।
তাই,
সকলের সদয় অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, সাফা মারওয়া সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য ভিত্তিক একটি পোষ্ট লিখতে আধা শিক্ষিত মানুষ এখন লাইব্রেরীতে। আধা শিক্ষিত মানুষ এখন ব্যস্ত পড়ালেখা নিয়ে। সহসাই হাজির হবেন তার জানা বিষয় নিয়ে ব্লগের পাতায়।
বিষয়: বিবিধ
১৮০৩ বার পঠিত, ৯ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
সাফা মারওয়া পাহাড় নিয়ে আপনার লেখাতে আমি মন্তব্য করতেই আমার ওই লেখাটি লিখেছিলাম। কিন্তু সেটা অনেক বড় হয়ে যাওয়ায় ওটাকে একটা আলাদা পোস্ট বানিয়ে দিয়েছি। এতে আরো বেশী লোক এটা পড়তে পেরেছে। আমার মন্তব্য হয়ত অনেকেরই চোখে পড়ত না।
আপনাকে ইসলাম বিরোধী মনে করলে আমি কিছুই লিখতাম না। আমি ইসলাম বিরোধীদের লেখায় নিজে মন্তব্য করি না এবং অন্যকেও মন্তব্য করতে নিষেধ করি। আপনি ইসলামপন্থী, কিন্তু ভুল লিখেছিলেন। সবচেয়ে বড় সমস্যা হয়েছে বিষয়টা অশ্লীল ইঙ্গিতসহ বেশ রসিয়ে লিখেছিলেন। (হয়ত এজন্য লেখাটি মুছে দিয়েছে)। এর পরে আবার কোরআনের আয়াত এর ভুল ব্যাখ্যা করে প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছিলেন। এত কিছুর পরেও, ওই লেখার উত্তর না দেওয়াটা পাপ।
ইসলামের বিভিন্ন খুটিনাটি বিষয়ে ইসলামিক পন্ডিতদেরও মধ্যেও মতবিরোধ থাকে। কিন্তু মুল বিষয়ে সবাই একমত থাকে। আপনার লেখাতে তেমন সামান্য কিছু বিপত্তি থাকলে আমি এ নিয়ে মাথা ঘামাতাম না। কিন্তু আপনার যা লিখেছিলেন তাতে ইসলামের মুল ভিত্তিকে নাড়িয়ে দেয়। এখানে চুপ থাকা যায় না।
তবে হ্যা। এবার একটা খুব ভাল সিদ্ধান্ত নিয়েছেন - পড়ুন। পড়ে অনেক কিছু জানুন। আমাদেরকেও জানান।
মন্তব্য করতে লগইন করুন