একজন উমরাহ যাত্রীর জন্য প্রয়োজনঃ ০৪
লিখেছেন লিখেছেন আধা শিক্ষিত মানুষ ০১ মার্চ, ২০১৪, ০২:৩৬:১৮ দুপুর
একজন উমরাহ যাত্রীর জন্য প্রয়োজনঃ ০৩
((আধা শিক্ষিত মানুষের উমরাহ পালনের জন্য পড়াশুনা))
মক্কা পৌছে করণীয়ঃ
জল, স্থল বা আকাশ যে পথেই আপনি আসুন না কেন, আপনাকে মক্কা পৌছতে হবে সড়ক পথে। মক্কার চার দিকে আপনার অবস্থানের জন্য রয়েছে বিভিন্ন মানের হোটেল, ভিলা, ফ্লাট। আর আপনি ইহরাম অবস্থায় থাকলেও আপনার সাথে রয়েছে আপনার লাগেজপত্র। তা ছাড়া আপনি দীর্ঘ পথ অতিক্রম করে আসার প্রেক্ষিত আপনি সামান্য হলেও ক্ষুধার্থ। অতএব, আপনাকে নিম্নোক্ত ১০ দফা করণীয় সম্পন্ন করতে হবে।
১. আপনি মক্কা পৌছে কাবা ঘরের দিকে না গিয়ে আপনাকে উঠতে হবে আপনার পছন্দনীয় আবাসে-যেখানে আপনি মক্কায় থাকা কালীন অবস্থান করবেন।
২. আপনি বাংলাদেশী হিসাবে মিছফালাহ এলাকায় থাকলে আপনার জন্য রয়েছে অনেক সুবিধা। যেমনঃ বাংলাদেশী হোটেল দোকান রেস্টুরেন্টের সমাহার ঐ এলাকায়। আর তুলনা মূলক ভাবে মসজিদুল হারামের সবচেয়ে নিকটবর্তী এলাকা এটি। আপনি পায়ে হেটে নামাযের জামায়াতে শামীল হতে পারবেন। আপনি যদি অদ্ভূত পান খোর হোন, তাহলে আপনার জন্য মিছফালাহ একটি স্বর্গরাজ্য।
৩. আপনি যদি নিজ গাড়ীতে যাত্রা করেন, তাহলে আপনি হারাম এলাকার দূরে কোন হোটেলে অবস্থান করলে পার্কি এবং আবাসিক সুবিধা পাবেন স্বাচ্ছন্দের সাথে।
৪. আপনি যেখানেই থাকুন না কেন, হোটেলে পৌছে বাথরুমে গিয়ে প্রথমে ফ্রেস হয়ে আসুন। সাথে অজু রাখতে ভূলবেন না।
৫. এর পর সামান্য নাস্তা গ্রহণ করুন। এ ক্ষেত্রে সুগন্ধি জাতীয় খাবার পরিহার করুন। মনে রাখবেন যে, আপনি ইহরাম অবস্থায় আছেন।বিধায়, অনেক হালাল বস্তু এই মুহুর্তে আপনার জন্য হালাল নয়। আরো মনে রাখবেন যে, আপনার ক্ষুধা না থাকলেও কিছু অন্তত খেয়ে নেয়া উচিত এজন্য যে, আপনি কিছু সময়ের ভিতর উমরার আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করতে যাবেন-যাতে আপনার অনেক সময় লাগবে এবং পরিশ্রমও আছে।
৬. আপনি যেখানে অবস্থান করছেন, সেখান থেকে বের হওয়ার সাথে সাথে ঐ বিল্ডিং এর চার দিক একবার দেখে নিন। আশ পাশের কয়েকটি বোর্ড ভাল ভাবে পড়ে নিন এবং মনে রাখুন। যে হোটেলে অবস্থান করছেন, তাদের কার্ড সাথে নিন।
৭. আপনি এখন মসজিদুল হারামের দিকে যাবেন উমরাহ পালনে জন্য। বিধায় ভাল ভাবে বুঝে নিন যে, মসজিদুল হারাম যাওয়ার পথে আপনার আবাস স্থলটি হাতের ডানে না বামে। তা ভাল ভাবে মনে রাখুন। না হলে আপনি আপনার আবাস স্থল হারিয়ে ফেলতে পারেন।
৮. মসজিদে হারামের দিকে যাত্রার প্রেক্ষিত আপনার সাথে কোন অতিরিক্ত জিনিস রাখবেন না। কেবলমাত্র আপনার মোবাইলটি সাথে রাখুন, আর আপনার কার্ড খানা সাথে নিন।
৯. আপনি যে কোন সমস্যায় পড়লে পুলিশের সহযোগিতা নিন। আপনার কার্ড দেখিয়ে বলুনঃ ওয়েন ফানদাকী-আইনা ফানদাক্বুনা। আপনি আশপাশের ক্লিনার ভাইদের সহযোগিতা নিতে পারেন। আপনি নির্দিধায় তাদের সাথে বাংলায় কথা বলুন। কারণ তাদের বেশীর ভাগই আপনার দেশী ভাই।
১০. মসজিদুল হারামে প্রবেশের আগে আপনি আপনার জুতাটি নির্দিষ্ট বক্সে রাখুন এবং তার পাশের গেইট নম্বর মুখস্ত করে নিন। উমরার আনুষ্ঠানিকতা সেরে চলে আসুন সেই গেইটে। ভাগ্য ভাল থাকলে আপনার জুতাটি বহাল তবিয়তে পেয়েও যেতে পারেন।
জুতার কথা মনে না রেখে আল্লাহকে মনে ধারণ করে প্রবেশ করি মসজিদুল হারামে আল্লাহর ঘরকে নিজ চোঁখে দেখে তৃপ্তি নিবারণের জন্য।
বিষয়: বিবিধ
১৫৫১ বার পঠিত, ১৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আপনার ওমরাহ যেন মহান আল্লাহ যেন কবুল করেন। সেই প্রার্থনাই করছি।
না এখানে কোনো তরুলতা জন্মায়
না ফুল পুষ্প খেলাধুলা করে
তবে আসমানও অবনত হয়ে
এই ভূমিকে চুম্মন করে....
মন্তব্য করতে লগইন করুন