আমি চিৎকার করে কাঁদিতে চাহিয়া করিতে পারিনি চিৎকার
লিখেছেন লিখেছেন পেন্সিল ২৫ এপ্রিল, ২০১৩, ০৫:১৩:৩১ বিকাল

জীবনের দাম যে এতটা কমতে পারে- আমার জানা ছিল না। ওরা ব্র্যান্ডের পোষাক কিংবা জুতা পড়ে না বলেই কী ওদের জীবনের মূল্য এত কম? ওরা গার্মেন্টস ফ্যাক্টরীর মালিক না হয়ে শ্রমিক বলে ওদের জীবনের কোন দাম থাকতে নেই? ক্ষমতাসীন দলের লোক নয় বলেই কি ওরা তুচ্ছ হয়ে গেল?
..........তাজরীনে আগুনে পুড়ে ছাই হয়েছে খেটে খাওয়া মানুষগুলোর স্বপ্ন, আর রানা প্লাজায় কংক্রিটের দেয়ালের নিচে চাপা পড়ে পিষে গেছে ওদের বুকের ভেতর লালিত লাল-নীল রঙের স্বপ্নের ঘর-দুয়ার।
বাহ! প্রধানমন্ত্রীর মাথামোটা বুদ্ধির তারিফ করতে হয়। একদিনের জন্য মিছেমিছি একটা শোকদিবস পালন করলেই কি ফিরে আসবে ওরা? কিংবা ২০হাজার টাকা দিলেই কি ফিরে পাবে প্রিয়জনদের! ...
চোখে গ্লিসারিন মেখে অশ্রুর বন্যা বইয়ে দিয়ে সমবেদনা জানালেই কি ওরা আবার সূর্যোদয় দেখবে? আমরা তো বেশ ভালভাবেই জানি আপনার অশ্রুগ্ল্যান্ডে এই দেশের জনগণের জন্য কতটুকু অশ্রু জমে আছে!!
নগরীর ৬৩টি ভবন এখনো ঝুঁকিপূর্ণ, গত ৫বছরে শেখের বেটি ক’বার সে খবর নিয়েছে? নাকি যারা ঐসব ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে শ্রমিক হিসেবে যায় তাদের জীবনের দাম শেখের বেটির জীবনের চেয়ে কম? তাই জোর করে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিতে ওদের দিলে একটু বাঁধে না!
একজন দেশের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব তো এই নয় যে, তিনি সকাল-সন্ধ্যা বিরোধী দলের মুন্ডু চিবিয়ে খাবেন। তার দায়িত্ব হলো এই যে, জনগণের সুখ-সমৃদ্ধির জন্য কি কি দরকার, কোনটায় তাদের অমঙ্গল আর কোনটায় তাদের মঙ্গল সেসব দিকে নজর রাখা।
গত মঙ্গলবার যখন ঐ ব্লিডিংকে ঝুঁকিপূর্ন হিসেবে চিহ্নিত করে সিলগালা করা হলো তারপরও কেন গতকাল সেখানে জোর করে শ্রমিকদের কাজ করতে বাধ্য করা হলো?
আশুলিয়ার তাজরীনে যখন আগুন লাগলো, তখন কেন গভীরভাবে খতিয়ে দেখা হলো না এই আগুন লাগার মূল উৎস কী এবং বাংলাদেশের অন্যান্য গার্মেন্টস ফ্যাক্টরীগুলো এই ধরনের ঝুঁকির মধ্যে আছে কি না কিংবা ভবন গুলো অনুমোদিত কিনা ......
.......জানি না, কা’বার প্রভু এই জালিম শাসকের শেষ পরিণতিতে কী লিখে রেখেছেন। হে প্রভু, তুমি জালিমের পাপের শাস্তি এই জাতির উপর দিও না.....খোদা দিও না......
বিষয়: বিবিধ
৪৮৯৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য






































পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন