শিক্ষিত বউদের বিপদ
লিখেছেন লিখেছেন কানিজ ফাতিমা ৩০ জুন, ২০১৩, ০৬:৪৯:৩০ সকাল
পাঁচ সাত বছর আগের কথা , একজন ভাই এর কাছে তার পি,এইচ, ডি রত এক বন্ধুর মন্তব্য শুনেছিলাম "বেশী শিক্ষিত , চাকরী করা মেয়ে বিয়ে করতে হয় না "- হয়ত অবাক হচ্ছেন এই যুগে এই কথা ! তার ওপর আবার বিদেশে পি এইচ ডি করা কারো মুখে! অবাক হবার কিছু নেই। ধরে নিন এই ভাইটির মা কখনো স্কুলে যাননি , তার বোন - ভাবীরা প্রাইমারী পার হননি । যদি তাই হয় তবে তার জন্য এমনটা বলা স্বাভাবিক। শুধু স্বাভাবিকই নয় এটাই অর্থাত "বেশী শিক্ষিত , চাকরী করা মেয়ে বিয়ে না করাই " তার জন্য বুদ্ধিমানের কাজ হবে। অনকে মনে করতে পারেন সে ভাই পরিবারে শিখ্খিত নারীর জীবন , তারা কেমন করে ভাবে- এসবের সাথে পরিচিত না হলেও লেখা পরা করার সময়তো অনেক সহপাঠি পেয়েছেন বা চাকরী করতে গিয়ে অনেক শিখ্খিত কর্মজীবী নারীদের দেখা পেয়েছেন। এটা সত্যি তবে এই জানা তা অনেকটা পৃথিবী পৃষ্ঠে একজন সাধারণ মানুষের চাদ দেখার মত , প্রায় পতি রাতেই সে চাদদেখে কিন্তু চাদকে তার জানা হয়না। দেখা আর জানার মধ্যে অনেক পার্থক্য।
আর একটি অভিগ্গ্যতার কথা বলি - একজন উচ্চ শিখ্খিত ভাইকে বলেছিলাম (যার পুরো পরিবার গ্রামে থাকে ) আপনার বাবা মা আমর বাসায় আসলে ফোন করে আসতে বলেন। তিনি রেগে বলেছিলেন " আপনি কি এমন হয়ে গেছেন যে আমার বাবা মাকে আপনার বাসায় appointment নিয়ে আসতে হবে ?" আমি আকাশ থকে পরেছিলাম কথাটা শুনে। তখন বুঝতে পারিনি একজন শিখ্খিত লোক এটা বুঝতে এত সময় নিচ্ছে কেন ? পরে চিন্তা করে দেখলাম তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পরলেও তার পরিবারের সবাই গ্রামে থাকে এবং তার পরিবারের কোনো মহিলাই চাকরী করেন না। . কাজেই যে কেউ যখন তখন তাদের বাড়ীতে আসলে কোনো সমস্যা নেই , দরজা সব সময়েই খোলা। কিন্তু তিনি যেটা বোঝেননি সেটা হলো আমি চাকরী করি , অনেক সময়ই বাইরে থাকি। আগে জানিয়ে না আসলে দরজা খোলার লোক বাসায় থাকবে না। আর উনি সম্ববত appointment শব্দটাকে বড়লোকী ভেবে নিয়েছিলেন। এজন্যই হয়ত যাদের শিক্ষিত কর্মজীবী নারী জীবনের সাথে পরিচিতি নেই তাদের জন্য এমন মেয়ে বিয়ে করা একটা চ্যালেঞ্জ।
গত বছরের একটা ঘটনা বলি। এক শাশুড়ী তার বউদের নিয়ে মন্তব্য করে বলেছিলেন যে, কম শিক্ষিত বৌগুলাই বেশী ভালো। আমি জানতাম যে তার বেশী শিক্ষিত বউদের স্বামীরাই তার সব খরচ চালায় আর কম শিক্ষিত বউদের স্বামীরা তা থেকে কিছুটা ভাগ পায়। যেহেতু তার থাকা, খাওয়া, চিকিত্সা, বিনোদোনসহ সব খরচ আসে "বেশী শিখ্খিত" বউদের কল্যানে, সেহেতু তাদেরকেই তার ভালো বলার কথা ছিল । কিন্ত যখন সে উল্টোটা বলল তখন আমি স্বভাবগত কারণে এটা নিয়ে ভাবতে লাগলাম। এবং কারণটাও খুঁজে পেলাম। কারণ হলো, বেশী শিক্ষিত বউদের স্বামীরা দাতা বিধায় ঐবউ দের নিজেদের উপরে সংসার চালানোর ভার কিছুটা নিতে হয়। আর এটা করতে গিয়ে তাকে বেশী কষ্ট করতে হয়। ফলে ওই বৌএর পক্ষে শাশুরীর চুল বেধে দেবার বা সুটকেস গুছিয়ে দেবার সময় নেই। তাকে ঘরের কাজের পাশাপাশি উপার্জন করতে হয় বলে স্বামীর সাথেও এ নিয়ে মাঝে মাঝে মনোমালিন্য হয়। অন্য দিকে কম শিক্ষিত বউ রা যেহেতু গ্রুহীতা কাজেই তারা স্বাভাবিক ভাবেই শাশুরীর চুল বেধে দেবার বা সুটকেস গুছিয়ে দেবার প্রতি আগ্রহ দেখায়। আর তাতে যা ফল হবার তাই হয় ....
বিষয়: বিবিধ
৩৭১৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন