"আল্লাহ"শব্দটি আদিকাল থেকেই,জাহেলি যুগের নয়

লিখেছেন লিখেছেন এম আবদুল্লাহ ভূঁইয়া ২৭ জুলাই, ২০১৫, ০১:৩১:৪১ দুপুর

কিছু অহংকারী,স্রষ্টাকে অস্বীকারকারী ,ইতিহাস বিকৃতিকারী গুষ্টির কেউ বলেন যে "আল্লাহ" শব্দটা নাকী জাহেলিয়াতের শব্দ তারা বলে থাকেন যে আমাদের প্রিয় নবী সাঃ পিতার নাম ছিল আব্দুল্লাহ, আবদ+আল্লাহ= আব্দুল্লাহ। আরবী আবদ অর্থ- দাস, অর্থাৎ আল্লাহর দাস। কিন্তু কোন্ আল্লাহর দাস? তখন তো মক্কায় ইসলাম প্রচার হয়নি। অর্থাৎ তখন মক্কার কুরাইশরা সবাই ছিল মূর্তি পুজক?এর জবাবে বলতেচাই যে,

1. আসলে আল্লাহ শব্দটি জাহেলিয়াতের মক্কার সেই কাফেরদের সংস্কৃতি থেকে আসেনি, বরং আল্লাহ শব্দটি প্রথম মানব ও নবী হযরত আদম আঃ এর সময় থেকেই পরিচিত ছিল, 2.এর থেকে যদি আমরা পৃথিবীর আদি বসতি জিনদের ইতিহাস দেখি বা ফেরেসতাদের এবাদতের ইতিহাস দেখি সেখানে বলা হয়েছে "আল্লাহর "এবাদতের জন্য পৃথিবীতে যে ঘর নির্মান করা হয়েছিল তাছিল মক্কার সেই কাবা, অর্থাৎ সেখানে "আল্লাহ" শব্দ এসেছে। 3.তাছাড়া আদম আঃ এর সময় তাওহিদের কালিমা ছিল "লাইলাহা ইল্লাল্লাহ আদমু ছফিউল্লাহ " (ছফি+আল্লাহ)আবার নূহ আঃ সময়"লাইলাহা ইল্লাল্লাহ নূহ রাসুলুল্লাহ "লাইলাহা ইল্লাল্লাহ মুসা কালিমুল্লাহ"লাইলাহা ইল্লাল্লাহ ঈসা রুহূল্লাহ ইত্যাদি ।"আল্লাহ" শব্দটি প্রত্যেক যুগেই পরিচিত ছিল,

4 . আল্লাহ শব্দটি আসমানেই লেখা ছিল,যেমন হাদীসে এসেছে আদম আঃ দুনিয়াতে আসার পর দীর্ঘ ১হাজার বছর পর্যন্ত কান্নাকাটি করার পর হঠাৎ দেখতে ফেলেন আসমানে লেখা "লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ" এই পাক কালিমার ওসীলা দিয়ে দোয়া করলে আল্লাহ তায়ালা তাঁকে ক্ষমা করে দিলেন। এখানে লক্ষনীয় হল উক্ত পাক কালিমায় এক সাথে ২ স্হানে আল্লাহ শব্দ দেখা পাওয়া যায়, উল্লেখ্য তখন জাহেলিয়াত , মূর্তি বা দেবতার কল্পনাও করা যায়নি ,সে সময় ও "আল্লাহ" শব্দ বিদ্ধমান ছিল।

আর আদম আঃ থেকে শুরু করে নূহ আঃ এর যূগ পর্যন্ত তৎকালীন সকলমানুষই তাওহীদ তথা একত্ববাদে বিশ্বাসী ছিলেন , মুসলিম ছিলেন অর্থাৎ আল্লাহর কাছে আত্নসমর্পণকারী ছিলেন,কোন কুফর- শীর্ক বা মূর্তি দেবতা পূজা তাদের কে স্পর্শ করেনি।আল্লাহকে আল্লাহ হিসাবেই মানতো,চিনতো। কিন্তু এর পরবর্তিতে নূহ আঃএর বংশে কুফর শীর্ক মূর্তি পুজা আরম্ভ হলেও,আল্লাহ কে ডাকার সঙ্গে সঙ্গে মূর্তি বা দেবতাদের ডাকতো এই ভেবে যে তারা আল্লাহর নিকটবর্তি করে দেবে, আল্লাহর কাছে সুপারীশ করবে ইত্যাদি।পরবর্তিতে কাফেররা আল্লাহকে ডাকার সঙ্গে সঙ্গে তাদের দেবতাদেরকেও ডাকতো সহযোগী হিসাবে, যেমন আজকাল আমাদের দেশের হিন্দুরাও মূর্তি-দেবতা পুজায় সেরা হওয়ার পরও জিজ্ঞাসা করলে বলবে , আল্লাহ একজন ,খৃষ্টানরাও তাই বলে, তবে সাথে অংশীদারিত্ব সাব্যস্হ করেন, যা ইসলাম এলাউড করেনা। সুতরাং আল্লাহ শব্দটি জাহেলিয়াতের কাফেরদের শব্দ নয় বরং এই শব্দটি আদিকাল থেকেই পরিচিত একটি শব্দ একটা সত্বা, যিনি হলেন আমার আপনার সকলের সৃষ্টি কর্তা । আল্লাহ তায়ালা।

বিষয়: বিবিধ

১২৫০ বার পঠিত, ১০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

331971
২৭ জুলাই ২০১৫ দুপুর ০৩:১৯
এম এম নুর হোসাইন মিয়াজী লিখেছেন : আমার মনে হয় গন্ড মূর্খরাই এই দারনা পোষন করতে পারে।
২৭ জুলাই ২০১৫ দুপুর ০৩:২২
274212
এম আবদুল্লাহ ভূঁইয়া লিখেছেন : আসলেতো নাস্তিকরা যে যাই বলুক এরাই নাম্বার ওয়ান গন্ডমূর্খ, যথার্থই বলেছেন ধন্যবাদ
331973
২৭ জুলাই ২০১৫ দুপুর ০৩:২২
এম আবদুল্লাহ ভূঁইয়া লিখেছেন : আসলেতো নাস্তিকরা যে যাই বলুক এরাই নাম্বার ওয়ান গন্ডমূর্খ, যথার্থই বলেছেন ধন্যবাদ
331976
২৭ জুলাই ২০১৫ দুপুর ০৩:২৪
আবু জান্নাত লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ সুন্দর পোষ্টটির জন্য শুকরিয়া। জাযাকাল্লাহ খাইর
331981
২৭ জুলাই ২০১৫ দুপুর ০৩:৫৩
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : আল্লাহ শব্দটি আদি কাল থেকেই ছিল। আল্লাহ নিয়ে কারো সমস্যা ছিলনা, তারা আল্লাহকে পাবার জন্যই মাধ্যম ধরেছিল। প্রতিমা পূজা করত আল্লাহকে পাবার জন্য। আরবের মানুষেরা মনে করত মুর্ত পূজা করে আল্লাহকে পাবার পদ্ধতি শিখিয়েছেন ইব্রাহীম ও ইসমাইল (আঃ)! তারা কেউ নিজেকে আল্লাহ বলে দাবী করত না এমন কি কোন প্রতিমাকেও আল্লাহর সমতূল্য বলত না। আল্লাহকে পেতেই সব সব কাম।

তবে আল্লাহর গুনবাচক নাম গুলোর সাথে শরীক বানাত, দেব দেবী বানিয়ে নিত। যেমন, আল্লাহ (রিজিক) খাদ্য দাতা, তিনি ক্ষমাশীল, তিনি দয়াবান, তিনি মহান, তিনি অহংকারী, তিনি নিরংকুশ ক্ষমতার মালীক ইত্যাদি।

কিছু মানুষ এক্ষেত্রে দেব-দেবীকে খাদ্য দাতা বানিয়েছিল। আবার কোন মানুষ নিজেকে মহান বানিয়ে নিল, কেউ দয়াবান হল, কেউ ক্ষমতার সার্বভৌমত্ব দাবি করল।

অর্থাৎ সকল সমস্যা আল্লাহর ৯৯টি গুনবাচের পর্যায় নিয়ে, আল্লাহ নিয়ে নয়। আপনার সাথে একমত, ধন্যবাদ।
২৭ জুলাই ২০১৫ রাত ০৮:২১
274293
এম আবদুল্লাহ ভূঁইয়া লিখেছেন : ধন্যবাদ পড়ার জন্য, কামনা ও তাই , জাযাকাল্লাহ
332012
২৭ জুলাই ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:১১
তিমির মুস্তাফা লিখেছেন : গাফফার মিয়ার বুজরুকি দেখে এই লেখা- অনুমান করছি! আল্লাহ্‌ শব্দটি ‘ইউনিক; উল্লেখ্য মধ্যপ্রাচ্যের খৃস্টানরাও ‘আল্লাহ্‌ বলেন, গড নয় ! এ শব্দের কোন বহুবচন হয় না, লিঙ্গান্তর হয় না! এজন্য 'এক আল্লাহ্‌’র উপাসকদের সব সময় 'আল্লাহ্‌’ বলতে তাগিদ দিয়েছেন অনেক জ্ঞানীগুনী, গড বা ঈশ্বর এশব্দের বিকল্প হবে না! সেই ‘আল্লাহ্‌’ শব্দটির সাথে, মূর্তি পূজক জাহেলিয়াত আরবদের মূর্তি - ‘আল লাত কে গুলিয়ে ফেলেছে এই ‘বুদ্ধির ঢেঁকী !–এটা নূতন কিছু নয়। ( আল লাত, আল উজ্জা এসব ছিল সে সময়ে তাদের মূর্তি গুলোর নাম (এখনও যেমন দেখা যায় - কালী, দুর্গা, শিব এমন মূর্তিদের নাম! )। উচ্চারণগত সাদৃশ্যের জন্য ‘মূর্খদের এই প্রলাপ! আব্বাস আর গাব গাছ – যেমন সাদৃশ্য!
( গল্প মনে পড়ে গেলঃ এক বাস যাত্রী পাশের জনকে জিজ্ঞেস করল, ভাই আপনার নাম? উত্তর এলো, আব্বাস! তাই নাকি? আমার বাড়ির পাশে ছিল একটা 'গাব গাছ! সেই সুত্রে আপনি তো আমার প্রতিবেশী! এমন সাদৃশ্য আর কি!)
ইসলামের শত্রুদের কিছু ‘চর্বিত চর্বণ – তার বয়স্ক পাকস্থলী হজম করতে পারে নাই বিধায় ‘ বেজায়গায় তা উগড়ে দিতে গিয়ে সে বিপাকে পড়েছে! আর আমাদেরকেও এই ছাইপাঁশ ঘাঁটতে হচ্ছে!
২৭ জুলাই ২০১৫ রাত ০৮:২১
274292
এম আবদুল্লাহ ভূঁইয়া লিখেছেন : ধন্যবাদ পড়ার জন্য, কামনা ও তাই , জাযাকাল্লাহ
332044
২৭ জুলাই ২০১৫ রাত ০৮:২১
এম আবদুল্লাহ ভূঁইয়া লিখেছেন : ধন্যবাদ পড়ার জন্য, কামনা ও তাই , জাযাকাল্লাহ
334892
১০ আগস্ট ২০১৫ দুপুর ১২:১৩
প্যারিস থেকে আমি লিখেছেন : ভাই আল্লাহকে নিয়ে বিতর্ক শুধুমাত্র মুর্খরাই করে। আপনি চমৎকার লিখেছেন,ধন্যবাদ।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File