অহল্যাঃ সুজয়ের এপিক শর্টফিল্ম
লিখেছেন লিখেছেন নাবিক ২৬ জুলাই, ২০১৫, ০৩:৫৪:০৫ দুপুর
এমনিতেই আমি শর্টফিল্মের ভীষণ ভক্ত। আর সেটা যদি হয় মিস্ট্রি-থ্রিলারধর্মী শর্টফিল্ম তাহলে তো কথাই নেই, দুই-তিন ঘন্টা সময় বসে বসে বোরিং গল্পের সিনেমা দেখার চেয়ে ১৫-২০ মিনিটের শর্টফিল্ম দেখতেই বেশী ভালোলাগে আমার। আর শর্টফিল্ম গুলোতে দারুণ সব মেসেজ থাকে যা পূর্ণদৈর্ঘ্য সিনেমাতে খুব কমই পাওয়া যায়। তবে ভালো সিনেমা হলে অন্য কথা।
গত ২০শে জুলাই মুক্তি পেয়েছে বাংলা মুভির খ্যাতিমান ডিরেক্টর সুজয় ঘোষের নতুন শর্টফিল্ম "অহল্যা।" এই ফিল্ম দেখার পর বলিউড অভিনেতা অমিতাভ বচ্চন "ব্রিলিয়ান্ট" বলে টুইট করেছিলেন। আর আমি বলবো শর্টফিল্ম হিসেবে সুজয়ের "অহল্যা" just mind blowing.
হারিয়ে যাওয়া একজন মানুষের খোঁজে এক পুলিশ অফিসার(টুটা চৌধুরী) দেখা করতে যায় শহরের নামী এক শিল্পির(যার নাম সাধু) সাথে। দরজা খোলে পুলিশ অফিসারকে ভিতরে আসার আমন্ত্রণ জানায় শিল্পির স্ত্রী। ভিতরে প্রবেশ করার পর সে কতগুলো অদ্ভুত রকমের পুতুল দেখতে পায়। যার একটির চেহারা অবিকল হারিয়ে যাওয়া লোকটির মতো।
শিল্পির সাথে পরিচয়ের পর পুলিশ অফিসার মিসিং হওয়া লোকটির ব্যাপারে তাকে জিজ্ঞেস করে। জবাবে শিল্পি অদ্ভুত একটি কথা শুনায় পুলিশ অফিসার কে। ছোট একটা পাথর দেখিয় তিনি পুলিশ অফিসারকে বলেল, এই পাথর স্পর্শ করে যে কোনো ব্যক্তি অন্য আরেক ব্যক্তির রূপধারণ করতে পরে। মিসিং হওয়া লোকটা হয়তো এই পাথরের সাহায্যেই উধাও হয়ে গেছে।
পুলিশ অফিসার এই কথায় অবিশ্বাস করলে শিল্পি তাকে এর ক্ষমতা পরীক্ষা করে দেখতে বলেন। তারপরেই ঘটে রহস্যময় এক ব্যাপার......
কি সেই রহস্য সেটা জানতে হলে আজই দেখে ফেলুন "অহল্যা।"
ছবিটার দৈর্ঘ্য মাত্র ১৪ মিনিট এই স্বল্প সময়ে এমন একটা রহস্য পর্দায় ফুঁটিয়ে তোলাটা শুধুমাত্র একজন জিনিয়াস ডিরেক্টরের পক্ষেই সম্ভব। ছবিতে টোটা চৌধুরীর সাথে আরও অভিনয় করেছেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় এবং বিতর্কিত অভিনেত্রী রাধিকা আপ্তে।
বিঃদ্রঃ আমি লিঙ্কু-টিঙ্কু তেমন একটা দিতে পারিনা। সেজন্য ছবির লিঙ্ক দেয়া গেলোনা। তবে যারা দেখতে চান তার ইউটিবে ahalya লিখে সার্চ দিলেই ছবিটি পেয়ে যাবেন। ধন্যবাদ......
বিষয়: বিবিধ
১১৩৯ বার পঠিত, ৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
এসব উল্টা পাল্টা নামের ছবি আবার হিট করে বেশী
১৪ মিনিটের সিনেমায় এড কত মিনিটের ?
মন্তব্য করতে লগইন করুন