বউদের নিয়ে কিভাবে কেনাকাটা করবেন (দেরিতে হলেও যারা এখনও যাননি কাজে দেবে তাদের জন্য)
লিখেছেন লিখেছেন চোরাবালি ০৬ আগস্ট, ২০১৩, ১০:২৮:৩২ সকাল
ঈদের কেনাকাটা একটি অতিব গুরুত্বপূর্ণ সেই সাথে অতিব ঝামেলা জনক যদি থাকে সাথে বউ। প্রায় সবাইকে দেখা যায় অতিব প্রয়োজনীয় বউদের নিয়ে ঝামেলায় পরতে। এই দোকান না তো সেই দোকান সেই দোকান না তো সেই দোকান ঘুরতে ঘুরতে মার্কেট ফুরবে কিন্তু পচ্ছন্দ হবে না। মনে হয় তাদের মনের মাধুরি মিশিয়ে কোন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানই পণ্য বানাতে পারে নাই। যার ফলে তাদের পচ্ছন্দের জিনিস মেলা ভার।
এই ঝামেলা থেকে কিছুটা সস্তি পেতে কিছু কৌশল অবলম্বন করলে কিছুটা হলেও মুক্তি পাওয়া যায়।
# বিভিন্ন অজুহাতে দুপুরের পরে কেনাকাটা করতে বের হতে হবেন যাতে হাতে সময় কম থাকে আর রোজায় দুর্বল শরীরে রেহায় পেতে পারেন কিছুটা। ইফতারের পর বের হবেন তো পুরাই ধরা।
# পচ্ছন্দ নিয়ে কোনরূপ কথা বার্তা বলবেন না, তাকেই পচ্ছন্দ করতে দিবেন এবং প্রসংসায় পঞ্চমুখ থাকবেন সর্বদা।
# আপনি যে তার সাথে ঘুরতে ঘুরতে ক্লান্ত হচ্ছেন বা বিরক্ত হচ্ছেন সেটা কখনও বুঝতে দিবেন না।
# সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ হল আপনি আগে থেকে মার্কেট ঘুরে নিবেন এবং কোন দোকান থেকে কোন জিনিস কিনবেন আগে থেকেই মানুষিক ভাবে প্রস্তুতি নিবেন।
# এবং মার্কেটে গিয়ে আপনার পচ্ছন্দনীয় দোকান ব্যাতিরেকে সমস্ত দোকান ঘোরাবেন পচ্ছন্দ হলেও আরো ভালো পাওয়া যেতে পারে এই কথা বলে। তাতে আপনার সাথে মহানন্দে ঘুরবে। আপনাকে অপেক্ষা করতে হবে তার ক্লান্তি পর্যন্ত, কান্তি ভাব দেখা দিলেই আপনি কাজ শুরু করবেন। নিজেদের পচ্ছন্দনীয় দোকানে গিয়ে এইটাতে তোমার এমন লাগবে সেরকম জিনিস ইত্যাদি বলে উৎসাহ দিয়ে দ্রুত ক্রয় শেষ করবেন।
# মনে রাখবেন বউয়েরটা রেখে কখনও নিজেরটা কিনবেন না। আর বউয়ের থেকে নিজেরটা যেন কখনই দামী না হয়। তাইলে কিন্তু খবর আছে।
# কেনাকাটা করতে বের হওয়ার সপ্তাহ আগে থেকে বিভিন্ন হাদিস কোরানের বয়ান দিয়েও কিছুটা নমনীয় করতে পারেন। রোজার ফজিলত, দারিদ্রের দিকে মনোনিবেশ ইত্যাদি বয়ান দিয়েও কিছুটা সুফল পাওয়া সম্ভব।
কিছুটা বাঁকা পথ আছে; ঘুরতে ঘুরতে যখন ক্লান্তি শেষ পর্যায়ে তখন জোড়ে সরে একটা ধমক, দেখবেন মুখ গোমড়া করে হলেও ১ঘন্টায় কেনা কাটা শেষ।
বউ মুখ গোমড়া করলে কোন সমস্যা নাই একটু কথাবার্তা বললেই মুখে খই ফোটানো সম্ভব। তাই দ্রুত কেনাকাটা শেষ করে বাসায় ফিরেই লেগে যাবে খই ফোটানো কাজে।
বিশেষ শর্তকতা- নিজের প্লান কখনই ফাঁস করা যাবে না। এমনকি ঈদের পরও না। কারণ প্লান ফাঁস করলেই সারাজীবনের ধরা।
শতর্কতা- কোনরূপ দুর্ঘটনার জন্য চোরাবালি দায়ি নহে।
বিষয়: বিবিধ
১৩৯৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন