বিনোদনের পাতা নাকি যৌনতার কারখানা?
লিখেছেন লিখেছেন বিবেকবান ১৮ অক্টোবর, ২০১৫, ০৯:৩১:৫৫ সকাল
.................. বিনোদনের পাতা নাকি যৌনতার কারখানা?পত্রিকার পাতার দিকে বিশেষ করে বিনোদনের পাতার দিকে তাকালে এ কথায় বারবার মনে হয়। পত্রিকার যে পাতাটি তারুণ্যকে সবচেয়ে বেশী আকর্ষণ করে সেটি হল বিনোদনের পাতা অথচ এ পাতাটি জাতীয় সংস্কৃতি ও আদর্শ তুলে ধরার পরির্বতে যৌনতার বানিজ্যের মাধ্যমে পত্রিকার কাটতি বাড়াতে ব্যতিব্যস্ত। অথচ দেশীয় সংস্কৃতি ধ্বজ্জাবাহী হিসাবে নিজেদের প্রমাণ করতে গিয়ে মুখে ফেনা তুলে ফেলছে এসব গণমাধ্যম গুলো ।এ পাতাটি খুললে পাওয়া যায়ঃ
১। উড culture(holly,bolly,dhally,tally) কোন নায়িকা নগ্ন হয়ে পৌজ দিয়েছেন তার নির্লজ্জ খবর
২। বিখ্যাত অভিনেতা-আভিনেত্রীর যৌনতাময় প্রেমের কাহিনী নামে ভাড়ামী
৩। অর্ধ নগ্ন, চার ভাগের তিন ভাগ নগ্ন ও অতি অল্প বসনাদের গ্ল্যামার দিয়ে হাজির করা
৪। বিদেশের যত প্রকার অবাঞ্চিত সংস্কৃতি আছে (লিভ টু গেদার,সামকামীতার) তার সংবাদ উপস্হাপন করা
৫। এ দেশের কিছু হিজড়া Type এর নায়িকাকে বিদেশের অখাদ্য,কুখাদ্যসহ দেশীয় সংস্কৃতির প্রতিনিধি হিসাবে তুলে ধরা
৬। বিদেশে কুকুর আসার সংবাদ ফলাও ভাবে প্রকাশ করে দেশীয় ঠাকুরদের অবজ্ঞা করা
৭। নারী-পুরুষদের গ্ল্যামারাস,চর্ম চর্চাকারী,সিলিম হওয়া সবক এবং নানা কৌশল যৌনতার প্রতীক হিসাবে সমাজের সামনে তুলে ধরা
৮। যৌনতার ব্যবসা, যৌনতার ফেরি,যৌনতার পরিবেশ সৃষ্টি সর্বোপরি যৌনতারকে মূখ্য করে তারুণ্যকে যৌন জীব হিসাবে তুলে ধরা...
সর্বগ্রাসী পর্নোগ্রাফি ও নগ্নতা সমাজের গ্রন্থীগুলোকে ছিন্নভিন্ন করে ফেলেছে।এ ধরনের বল্গাহীন জীবনের সুড়সুড়ি মানুষের মন থেকে দয়া, মায়া, প্রেম, প্রীতি সব শোষণ করে নিয়ে পশুর চেয়েও অধম বানাচ্ছে।দেশে সামাজিক অবক্ষয় এবং মানবিক মূল্যবোধহীনতা দ্রুত বেড়ে চলেছে। ধর্ষণ,ইভ-টিজিং ইত্যাদি ক্রমে ম্যালথাসের থিওরি অনুসারে বেড়ে চলছে।এ ক্ষেত্রে বিনোদনের পাতার যৌনতার অন্যতম ভূমিকা পালন করছে। কে এগুলো বন্ধ করবে। এসব দেখার লোক নেই,নিষেধ করার লোক নাই। সাধু সাবধান...
দুলিতেছে তরী, ফুলিতেছে জল, ভুলিতেছে মাঝি পথ-
ছিঁড়িয়াছে পাল কে ধরিবে হাল, কার আছে হিম্মত।
কে আছো জোয়ান, হও আগুয়ান, হাঁকিছে ভবিষ্যত,
এ তুফান ভারী, দিতে হবে পাড়ি, নিতে হবে তরী পার।।
তিমির রাত্রি, মাতৃ-মন্ত্রী সান্ত্রীরা সাবধান-
বিষয়: বিবিধ
১০১২ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
যেভাবে অপসংস্কৃতির চর্চা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে, তাতে মনে হয় কিছুকাল পরে বিনোদন পাতায় চটিবই আর নীল-ফিল্ম ও ছাপা হতে পারে। তাই এখনি প্রতিকার প্রয়োজন।
কবিতার চরণগুলো চমৎকার ফুটে উঠেছে: তাই আবারো রিপিট করছিঃ
দুলিতেছে তরী, ফুলিতেছে জল, ভুলিতেছে মাঝি পথ-
ছিঁড়িয়াছে পাল কে ধরিবে হাল, কার আছে হিম্মত।
কে আছো জোয়ান, হও আগুয়ান, হাঁকিছে ভবিষ্যত,
এ তুফান ভারী, দিতে হবে পাড়ি, নিতে হবে তরী পার।।
শুকরিয়া।
লঙ্ঘিতে রাত্রি নিশীতে যাত্রীরা হুশিয়ার!
মন্তব্য করতে লগইন করুন