মৃত ইতিহাস জীবন্ত হয়ে উঠবে, তখন--- (১)
লিখেছেন লিখেছেন ঈগল ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৪, ১১:০৫:০০ রাত
ক্ষণিকের ইতিহাস রচিত হয় ক্ষমতাসীনদের ইচ্ছায়। তারা যাকে ইচ্ছে 'সন্ত্রাসী' বানাতে পারে, বানাতে পারে যুদ্ধাপরাধী। ক্ষমতাসীনদের এই জঘন্য ইচ্ছা প্রতিষ্ঠিত করতে যুগে যুগে কিছু চাটুকার মূখ্য ভূমিকা রেখেছে এবং রাখবে। কিন্তু একসময়, সঠিক ইতিহাস বেরিয়ে আসে মহান আল্লাহর ইচ্ছায়।
সঠিক ইতিহাস বেরিয়ে আসবেই, এটা রুখতে পারা যায় না। স্ব-মহীমায় ইতিহাস তার প্রকৃত ইতিহাসকে পেট থেকে বাইরে নিক্ষেপ করে থাকে, এটা চিরন্তন, এটা ঘটে থাকে। কোন চাটুকার, বিশ্বাসঘাতক তা রুখার সামর্থ রাখে না। যদিও তারা সর্বাত্মক চেষ্টা করে থাকে প্রকৃত ইতিহাস যেন প্রকাশিত হতে না পারে।
বাংলাদেশেও শুরু হয়েছে ইতিহাসের পাঠ উদ্ধার ও গোপন করার এম মর্মান্তিক খেলা। ক্ষমতাসীনরা নিজ স্বার্থে প্রকৃত ইতিহাসকে গোপন করতে মরিয়া অন্যদিকে কিছু ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্ব বিবেকের তাড়নায় সত্য উদঘাটনে হয়েছে সক্রিয়। এটা ঘটে থাকে। সব সমাজেই এমনটি হয়। দ্বন্দ্ব-সংঘাতের মধ্য দিয়ে ইতিহাস তার পথ করে নেয়।
কিন্তু বাংলাদেশের সত্য ইতিহাস উদঘাটনে একটি মারাত্মক বাধা হয়ে দাঁড়িয়ে রাজাকার বা যুদ্ধাপরাধ ইস্যু। সঠিক ইতিহাস উঠে আসছে কিন্তু এটা সার্বজনীন রুপ পাচ্ছে না। তার অন্যতম প্রধান কারন রাজাকার বা যুদ্ধাপরাধ ইস্যু। এই ইস্যুটি এখন এমন হয়ে গেছে যে, একে গেলাও যাচ্ছে না আবার ফেলাও যাচ্ছে না, গলায় আঁটকে থাকা মাছের কাঁটার মত।
যারা বিবেকের তাড়নায় সত্য প্রকাশ করতে চাচ্ছেন কিন্তু রাজাকার ইস্যুতে সঠিক কিছু বলতে মারাত্মক সংকোচ বোধ করছেন। এখানে রয়েছে এক গভীর চক্রান্ত। এই চক্রান্তের মূল হোতা কথিত সুশিল এবং কর্পোরেট মিডিয়া।
মূলত, সুশিল সমাজ ও দেশের প্রতিষ্ঠিত মিডিয়াগুলি দিনের পর দিন রাজাকার ইস্যুটিকে জাতির সামনে এমনভাবে উপস্থাপন করেছে যে, জামাআত বলতেই রাজাকার। এটা একদিনে হয় নি, খুবই সুক্ষ্মভাবে, চাতুরতার সাথে রাজাকার শব্দটিকে জামাআতের সাথে জুরে দেওয়া হয়েছে। দিনের পর দিন সুশিলদের প্রচারণা এবং মিডিয়া কর্তৃক বিশাল কাভারেজ দিয়ে এই ইস্যুটিকে তিল থেকে তালে পরিণত করা হয়েছে।
সুশিল সমাজ এবং মিডিয়া কেন এমনটা করেছে? এতে এদের ফায়দা কি? এর উত্তর জানতে হলে, বাংলাদেশের সুশিল এবং মিডিয়ার অর্ন্তনিহিত চরিত্র এবং বাংলাদেশকে ঘিরে সাম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলির আগ্রহ সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান থাকা জরুরী।
বাংলাদেশের কথিত সুশীল সমাজ এবং প্রতিষ্ঠিত মিডিয়াসমূহ বাংলাদেশে ইসলামী রাজনীতি চাই না। কথিত সুশীল সমাজ এবং কর্পোরেট মিডিয়াকে ব্যবহার করছে সাম্রাজ্যবাদী শক্তি সমূহ। ধারণা করা হয়, এদেশে এনজিও গুলির অস্তিত্ত্বের সাথে সুশীল সমাজ প্রত্যক্ষভাবে জরিত। আর এটা সবাই জানে যে, এদেশে প্রতিষ্ঠিত এনজিওগুলি সম্পূর্ণভাবে বিদেশের টাকায় চলে। শুধু টাকা নয়, এগুলি পরিচালিত হয় তাদের চিন্তাধারার উপর ভিত্তি করে।
বিষয়: বিবিধ
৮৫৮ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন