একই কালেমা - আচরণ দুই রকম - হক্ক পন্থী কারা?
লিখেছেন লিখেছেন ইবনে আহমাদ ২৬ জানুয়ারি, ২০১৪, ০৪:০৫:০৪ বিকাল
তাবলীগ জামায়াত সম্পর্কে ইতিমধ্যে অনেক বিষয় আমাদের প্রিয় ব্লগে আসতেছে। যার সবটুকুন সত্য বা একেবারে প্রান্তিক বলা যাবে না। তবে আজ আমার অফিসে এক বন্ধু খুবই মজাদার অথচ মূল্যবান মন্তব্য করেছেন। আমি আপনাদেরকে শেয়ার করছি।
তার মতে - আওয়ামীলীগ আর তাবলীগ একই আদর্শের। আওয়ামীলীগ জমীনের উপরের বিষয়টা দেখাশুনা করে।
আর তাবলীগ জমীনের নিচের বিষয়গুলো দেখাশুনা করে।
একই কালেমার দাওয়াত দিতে গিয়ে আব্দুল কাদের মোল্লা ফাঁসির দড়িতে ঝুলতে হল।যা ইতিমধ্যে আর্ন্তজাতিক ভাবে দেখা হচ্ছে জুডিশিয়াল ক্লিলিনিং হিসাবে।
আবার ঐ একই কালেমার দাওয়াত দিতে গিয়ে রাষ্ট্র যন্ত্রের সকল প্রটোকল পাচ্ছে তাবলীগ জামায়াত।
৯৩ বছরের বিশ্ব ইসলামী আন্দোলনের রুহানী রাহবার প্রফেসার গোলাম আযম জেলের ভিতর বড় হরফের কোরান পড়ার অনুমতি চেয়েছিলেন। কিন্তু সরকার ও আদালতের বিচারপতিরা এই সুযোগটা দেয় নাই।
আবার ঐ একই সরকার তাবলীগ জামায়াতের ইস্তেমা অনুষ্ঠানের সকল আয়োজন করেন।সকল প্রাকার সাহায্য সহযোগিতা করছেন।
প্রফেসার গোলাম আযমের এক সময়ের সহকর্মী (তাবলীগ জামায়াতের) আজ তিনি ২য় প্রধান মুরুব্বী।রাজশাহীতে উভয়ই একই সাথে তাবলীগের মুরুব্বী ছিলেন।
একজন দাওয়াতের কাজ করতে গিয়ে আজ কারারুদ্ধ। আরেকজন তাগুত সরকারের সম্মানীত মেহমান।দ্বীনের দাওয়াত একই - কালেমা একই -ব্যক্তি দুজন - আচরণ ও সম্পুর্ণ আলাদা। বিষয়গুলো আমাদেরকে কখনো ভাবায় না?
বর্তমানে বৃহত্তর ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদেরকে টার্গেট ক্লিনিং করছে যে সমস্ত সরকারী বাহিনী - সেই একই সরকারের একই বাহিনীগুলো তাবলীগের ইস্তেমা অনুষ্ঠানে দিন রাত নিরাপত্তা দিচ্ছে?
যে কালেমার দাওয়াত দেয়ার অপরাধে দেখা মাত্র গুলি,গুম সহ নারীদেরকে পাশবিক আচরণ করছে (সাতক্ষিরা)। একই কালেমার দাওয়াত দেয়া তাবলীগ জামায়াতকে সরকারী খরছে সমস্ত রাষ্ট্রীয় সহযোগিতা করা হচ্ছে।
সব মিলিয়ে প্রশ্ন -
হক্ক পন্থী কারা। তাগুত সরকারের সকল প্রকার সহযোগিতা নিয়ে হক্ক পন্থী হবার ইতিহাস কি ইসলামে আছে? কি সাহাবী,কি তাবেয়ী, কি তাবে তাবেইন অথবা আইম্মায়ে মুজতাহীদিনদের যুগে একটি দৃষ্টান্ত দেয়া যাবে। তাহলে এই নতুন (বিদআ'ত) সিসটেমটা হঠাৎ করে ভারতে নাযিল হল কিভাবে? তার পিছনে কোন উদ্দ্যেশ্য কাজ করছে?
আজ সময় এসেছে এই বিষয় গুলো আমাদেরকে মুসলিম উম্মার স্বার্থে পর্যালোচনা করা এবং সিদ্ধান্ত নেয়া।কারন তাগুতের কোলে বসে, তাগুতের হালুয়া রুটি হজম করে হক্ক পন্থী হওয়া ইসলামের ইতিহাস নয়।ইসলামী দাওয়ার দল হওয়া তো বাস্তবতার বিপরীত।
আজকের প্রেক্ষাপটে এই প্রশ্ন গুলোর উত্তর জানা খুবই প্রয়োজন।আপনারা কি বলেন।
আমার বন্ধুটির এই প্রশ্নগুলো কোন উত্তর আমি দিতে পারি নি।
আপনাদের কাছে এর জবাব আছে কী?
বিষয়: বিবিধ
১৫৩৪ বার পঠিত, ২২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আচ্ছা বলুন তো, তাবলীগেরা যদি অন্যায় কাজে বাধা দিত তাহলে,
বাঙ্গাল নেত্রী হাসিনা কোনদিন সেখানকার মোনাজাতে যেত?
গালি নেত্রী মুতিয়া কোনদিন যাইত?
চোরের মা সাজেদা কোনদিন সেই মাঠে যাইত?
লম্পট সর্দার এরশাদ কোনদিন সেখানে যাইত?
জটনেত্রী খালেদা সেখানে যাইত?
আসলে তাবলীগ ভাইয়েরা ইসলামের কথা বলে, তবে বাস্তবায়ন করে গৌতম বুদ্ধের মত। ঠ্যাঙ্গের উপর পাও তুলে, খালি ভাল কথা বলবে, খালি উপদেশ দিবে, খালি সৎ কথা বলবে। শুধু সৎ কথা বলা খুবই সহজ, অসৎ কাছে বাধা দেবার চেয়ে।
আল্লাহ বলেছেন, অসৎ কাজে বাধা না দিলে তাদের দোয়া কোনদিন কবুল হবেনা। চাই সেটা টঙ্গিতে নয় সেটা মক্কাতে।
বাঙ্গাল নেত্রী হাসিনা কোনদিন সেখানকার মোনাজাতে যেত?
গালি নেত্রী মুতিয়া কোনদিন যাইত?
চোরের মা সাজেদা কোনদিন সেই মাঠে যাইত?
লম্পট সর্দার এরশাদ কোনদিন সেখানে যাইত?
জটনেত্রী খালেদা সেখানে যাইত?
খাটি কথা।
তোমাদের কেউ যদি কোন অন্যায় দেখে তবে যেন তা হাত দিয়ে বন্ধ করে,
সে ক্ষমতা না থাকলে যেন মুখ দিয়ে চেষ্টা করে
তাও যদি না পারে তবে যেন আন্তরিক প্রচেষ্টা চালায়
তবে এটি দুর্বলতম ঈমান
[এতটুকুও না করলে ঈমান না থাকার মতই]
আল্লাহতায়ালাই ভালো জানেন!!
দুর্বল ঈমান নিয়ে সন্তষ্ট থাকা এক কথা। আর গোটা মুসলিম উম্মাহকে নির্জিব বিকালাঙ্গ করে রাখা আরেক কথা।
আমার মনে হয় - আবু সাইফ ভাইরা লিখলে আরো ভাল হত। অভিজ্ঞতাটা শেয়ার করুন। আপনাকে মোবারকবাদ।
কিন্তু ঐ গ্রামটা ছিল ছোট আবার ঐ গ্রামে একটি প্রাইমারী স্কুল পাশের গ্রামে আরেকটি প্রাইমারী স্কুল এরপর এন জি ওর পাঠশালা এ পাঠশালাতে ছিল না কোন ইসলামী শিক্ষা একজন শিক্ষিকা দ্বারা পরিচালিত হত এ পাঠশালা, সব মিলিয়ে আমরা সচেতন যারা তারা এ পাঠশালাকে মেনে নিতে পারি নাই। আমরা সরাসরি বন্ধ না করে বরং সামাজিকভাবে ঐ পাঠশালাতে ছাত্র দেওয়া বন্ধ করা হল। এরপর এমনিতেই পাঠশালা বন্ধ হয়ে গেল।
পাঠশালা বন্ধ হওয়ার সাথে সাথে কুমিল্লা থেকে ঐ এন জি ওর ৫/৬ কর্মকর্তা আসল ঐ গ্রামে, এসেই কি কারণে এবং কেন এ পাঠশালা বন্ধ হল। খোজ খবর নিল। খোজ খবর নেওয়ার এক পর্যায়ে আমাকে ডাকল ঐ এন জি ওর কর্মকর্তারা তখন তারা আমাকে প্রশ্ন করল আপনি নাকি এ সমাজের ছেলেদেরকে আমাদের পাঠশালাতে যাইতে নিষেধ করেছেন। কেন?
তখন আমি উত্তর দিলাম আশে পাশে দুইটা প্রাইমারী স্কুল আছে এই স্কুলগুলোতে ছাত্র সংখ্যা ও অনেক কম। এখানে অন্য স্কুলের কোন প্রয়োজনই নাই। দ্বিতীয়ত আপনারা মাত্র একজন শিক্ষিকা দ্বারা একটি প্রতিষ্ঠান চালাইতেছেন আবার আপনাদের স্কুলে ইসলামী শিক্ষা নাই।
তখন তারা আমাকে বল আপনারা শুধু শুধু ইসলাম নিয়ে বাড়াবাড়ী করেন। গত কিছুদিন আগে কি সুন্দর বিশ্ব ইজতেমা হয়েগিয়েছে সেখানে আমাদের এন জি ওর বিরুদ্ধে একটি কথা ও বলে নাই। তাহলে আপনারা বলবেন কেন? এখন আমি কি উত্তর দিব আপনাদের সকল পাঠকের নিকট আমার প্রশ্ন?
তখন আমি উত্তর দিলাম আশে পাশে দুইটা প্রাইমারী স্কুল আছে এই স্কুলগুলোতে ছাত্র সংখ্যা ও অনেক কম। এখানে অন্য স্কুলের কোন প্রয়োজনই নাই। দ্বিতীয়ত আপনারা মাত্র একজন শিক্ষিকা দ্বারা একটি প্রতিষ্ঠান চালাইতেছেন আবার আপনাদের স্কুলে ইসলামী শিক্ষা নাই।
তখন তারা আমাকে বল আপনারা শুধু শুধু ইসলাম নিয়ে বাড়াবাড়ী করেন। গত কিছুদিন আগে কি সুন্দর বিশ্ব ইজতেমা হয়েগিয়েছে সেখানে আমাদের এন জি ওর বিরুদ্ধে একটি কথা ও বলে নাই।
তাবলীগ কেন কথা বলবে? তাদের কর্মসূচিতে এরকম কিছু নাই।
মন্তব্য করতে লগইন করুন