বামদল নিয়ে আমার মজার অভিজ্ঞতা
লিখেছেন লিখেছেন এম এম ওবায়দুর রহমান ৩১ অক্টোবর, ২০১৩, ০৮:২৮:৪৯ রাত
ছাত্র জীবন থেকেই আমি বাম দল গুলিকে ভ্রামমান জোকারদের দল বলেই জানি। ফরিদপুর শহর হইতে ঢাকার ফুটপাত সর্বত্রই দেখেছি বামদল গুলি যখন সমাবেশ করে, একজন ব্যানার ধরে রাখে, একজন মাইক, আরেক জন ভাষণ দেয়!!
কখনো বা অলস বা মাথায় গণ্ডগোল নিয়ে ঘোরা পথচারীরা দাড়িয়ে বামদের এই অদ্ভূত কাজ-কর্ম দেখতো।
আমি এদের কাজ-কর্ম দেখে প্রায়ই হাসতাম। যেমন ফুটপাতে যৌনশক্তি বর্ধক লিফলেট গুলির মত এরা লিফলেট বিতরণ করে। সেই লিফলেটের ভাষা আবার দারুন জ্বালাময়ী!
আরেকটি ব্যাপার লক্ষ করেছি এরা সব সময় লাকি টাইপের একজন নারী সদস্য নিয়ে ঘুরে। হালকা পাতলা সেই মহিলার চেহারা যাই হোক চেচামেচি তে মোটামুটি বাজখাই গলা থাকতেই হবে।
সর্বশেষ গত বছর কাটাবনে গিয়ে একদল বাম উজবুক পেয়ে ছিলাম।
তারা ব্লগে আমার গল্প করে একটা বই বের করতে চেয়ে ছিলো। আমি পাণ্ডুলিপিসহ গিয়ে একটা ধাক্কা খেলাম। কেননা ঐ প্রকাশনীর মালিক একজন বিখ্যাত নাস্তিক ব্লগার। যিনি শাহবাগ নাটকের সময় আততায়ীর কোপ খেয়ে টিভি সংবাদের শিরোনাম হইছিলেন।
যাইহোক বাম দল গুলিযে বিনোদন দেয় তার সর্বশেষ প্রমান হলো দিলীপ বাবু।
এই লোক কয়েকদিন আগে বলেছিলো, আমাদের প্রধানমন্ত্রী নাকি তাহাজুতের নামাজ পড়ে। তখন অনেকেই প্রশ্ন তুলে ছিলো এই বেয়াদপটা রাত বিরাতে নেত্রীর ঘরে কেন গিয়ে ছিলো?!
পরে অবশ্য ফাস হওয়া টেলি সংবাদের মাধ্যেমে জানলাম বাবু মিথ্যে বলেছে কেননা, নেত্রী নাকি সন্ধায় ঘুমিয়ে পড়েন। তাকে খুব সকালে কুরআন তেলোয়াত এবং নামাজ পড়তে হয়।
দিলীপ বাবু তিনবার নির্বাচন করে ছিলেন তিন বারই জামানত খুইয়েছেন । তার তিনবারের মোট ভোট ২৩০০!
সম্ভবত উনি আবারো জামানত খোয়াবেন। যেমন করে পাজামা খুইছেন!!
আওমীলীগের ঘাড়ে বুড়ো দ্বৈত্যর মত চেপে বামরা মন্ত্রানালয়সহ অনেক কিছুর কাচা স্বাদ নিলেন।
আরেক জন বামের কথা না লিখলে পাঠকরা বঞ্চিত হবেন।
তিনিও এক সময় সংবাদ পত্রের স্বাধীনতার জন্য মুখ দিয়ে ফেনা বের করে ফেল ছিলেন। কালের পরিক্রমায় সেই ইনু এখন ইতিহাসের সবচেয়ে বড় স্বৈরাচারী তথ্য মন্ত্রী। যিনি কোন রকম কারণ ছাড়াই ১০টার মত গণমাধ্যেম বন্ধ করে কয়েক হাজার সাংবাদিক কে বেকার করে দিয়েছেন।
অবশ্য ইতিমধ্যোই মিডিয়া কর্মীরা তার নাম দিয়েছেন ডিম্বানূ !!
বিষয়: বিবিধ
১৬৬৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন