ইসলামী ভাবাদর্শে বিশ্বাসী নির্বাচিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানদের অভিনন্দন
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪, ০২:১৬:৩৫ রাত
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ১ম পর্ব শেষ হয়েছে । এই নির্বাচেন ইসলামী ভাবাদর্শে উজ্জীবিত কিছু মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন । যেমন :
১. খুলনার কয়রা উপজেলায় বিজয়ী হয়েছেন খালেদা আক্তার ।
ছবির নিচের সারির বামে খালেদা আক্তার ।
বিজয়ী হওয়ার পর সমর্থকদের সাথে খালেদা আক্তার তার অভিমত ব্যক্ত করছেন । তিনি বলেন : " আমি বিজয়ী হওয়ায় আনন্দিত । আমি আল্লাহর কাছে শুকরিয়া জ্ঞাপন করছি । আমি দুস্থ, অসহায়, নির্যাতিত নারীদের জন্য কাজ করে যাবো । সর্বস্তরের মানুষ আমার ওপর আস্থা রেখেছেন। আমি তাদের সেই আস্থার প্রতিদান দিবো ।"
২. হাটহাজারী (চট্টগ্রাম) : মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন জামায়াত নেত্রী ডা. মনোয়ারা বেগম। তিনি ৪৯২৫৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের সাহেদা সুলতানা পেয়েছেন ২০৪৫৮ ভোট।
৩.ঝিনাইদহ কোটচাঁদপুরে নাজমা খাতুন ২৮,৭৮০ (সেলাই মেশিন) ভোট পেয়ে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নাছিমা ইসলাম ২১,৩৩৫ (বল) ভোট পেয়েছেন।
৪. রংপুর মিঠাপুকুরে সর্বোচ্চ ১ লাখ ২৮ হাজার ৫১৯ ভোট পেয়ে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন জামায়াতের রোকন কাফ্রিখাল ইউনিয়নের সভানেত্রী মোরশেদা বেগম। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের সৈয়দা দিলনাহার বেগম পেয়েছেন ৭৪ হাজার ৯২৬ ভোট। এখানে জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা খুব কম সংখ্যক ভোট পেয়েছেন।
৫. রংপর খানসামা-য় মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে জামায়াতে ইসলামীর নেত্রী মিনারা বেগম (কলস) ৪৮ হাজার ২৫৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের নুরায়না বেগম নুরী (পদ্মফুল) ১৯ হাজার ৯৩২ ভোট পান।
৬. দিনাজপুর কাহারোলে জামায়াতের মহিলা নেত্রী জুলেখা বেগম (ফুটবল) ২৭ হাজার ৩৯৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের মিরা মাহবুব ১৬ হাজার ৮৬৪ ভোট পেয়েছেন।
৭. পাবনা সাঁথিয়া-য় মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে জামায়াত সমর্থিত প্রার্থী তাহমিনা পারভীন বেবী ফুটবল প্রতীকে ৭৪ হাজার ৫১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী সেলিমা পারভীন শিখা হাঁস প্রতীকে পেয়েছেন ২১ হাজার ১৩৮ ভোট।
৮. নীলফামারী জলঢাকা উপজেলায় জামায়াত সমর্থিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে জামায়াতের রিভা আকতার ৭৩৮৮৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছে।
৯. নীলফামারী ডিমলা উপজেলায় আয়শা সিদ্দিকা ৪১৩৩৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।
১০.কুষ্টিয়া সদরে ফরিদা হুসাইন বিজয়ী হয়েছেন ।
তাদের বিজয়ী হওয়ায় আমার অনুভতি :
তাদের অনেকেই চেয়ারম্যানদের চেয়েও অনেক বেশী ভোট পেয়েছে । ভোটের বিচারে আমি তাদের চেয়ারম্যান বলে মনে করি ।
আমি তাদের নির্বাচিত হওয়াকে ইতিবাচকভাবেই দেখছি । কারণ হলো :
১. এতে ইসলামী মহিলাদের ক্ষমতায়ন হবে এবং সমাজে তাদের প্রভাব বৃদ্ধি পাবে ।
২. তাদের নির্বাচনে বিজয়ী হওয়া মূলত মওদুদী দর্শন ভুল প্রমাণ হওয়া । কারণ মওদুদী "আর রিজালুনা কাওওয়ামুনা আলান্নিসা" আয়াতটা ব্যাখ্যা করে বলেছেন : মেয়েরা কোন শাসনতান্ত্রিক ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হতে পারবে না ।
৩. বহুল আলোচিত তেতুল তত্ব-ও এতে অকার্যকর বলে প্রতিয়মান হলো । কারণ তেতুল তত্ত্ব মতে মেয়েরা ৫ম শ্রেনীর বেশী পড়াশোনা করতে পারবে না এবং স্বামীর যৌনদাসী হওয়াই মেয়েদের নিয়তি । কিন্তু তা ভুল প্রমাণিত হয়েছে । কারণ নির্বাচিতদের সবার শিক্ষাগত যোগ্যতা এইচ এস সি । এবং অনেকেরই চিকিৎসাবিজ্ঞানে উচ্চতর ডিগ্রী আছে ।
বাংলাদেশে অনেক আগেই আররিজালুনা কাওয়ামুনা আলান্নিসা অকার্যকর হয়ে গেছে । যেমন :
নাগেশ্বরী ও ভূরুঙ্গামারীতে উপজেলা চেয়ারম্যানের দায়িত্বে দুই মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান
নাগেশ্বরী ও ভূরুঙ্গামারীতে দুই মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান উপজেলা চেয়ারম্যানের দায়িত্বে। নাগেশ্বরী উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান আছলাম হোসেন সওদাগর দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংগ্রহনের জন্য দলীয় মনোনয়ন পেলে উপজেলা চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করে মনোনয়ন পত্র দাখিল করেন। এ সময় পরিষদের বৈঠকে রেজুলেশন করে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান লাভলী বেগমকে দায়িত্ব দেয়া হয়। অপরদিকে ভূরুঙ্গামারী উপজেলা চেয়ারম্যান পদত্যাগ করে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পত্র দাখিল করায় মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফরিদা পারভীনকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেয়া হয়।
http://www.deshsangbad24.com/%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%97%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A6%93-%E0%A6%AD%E0%A7%82%E0%A6%B0%E0%A7%81%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%80/
ইসলামের সব ইবাদত নারী পুরুষ নির্বিশেষে একই । মেয়েদের জন্য নামাজ যেমন ১৭ রাকাত ফরজ । ছেলেদের জন্যও ১৭ রাকাত ফরজ । ছেলেদের জন্য জিহাদ যেমন ফরজ । মেয়েদের জন্যও ফরজ । ছেলেদের যেমন ইসলাম রক্ষার জন্য অমুসলিমদের সাথে যুদ্ধ করা ফরজ । মেয়েদেরও ইসলাম রক্ষার জন্য অমুসলিমদের সাথে যুদ্ধ করা ফরজ । এজন্য আমরা দেখি ইসলামের প্রথম শহীদ সুমাইয়া রা. । আর উম্মে আমরা রা. – সহ অনেক সাহাবী ঢাল তলোয়ার দিয়ে পুরুষদের সাথে একত্র হয়ে অমুসলিম সাথে যুদ্ধ করে মুসলিমবিরোধী ও ইসলামের অস্তিত্ববিনাশী অমুসলিমদের হত্যা করেছেন । কারণ অমুসলিমদের সাথে যুদ্ধ করে অমুসলিম হত্যা করলে অনেক শোয়াব হয় এবং ইসলামের প্রসার ও প্রচার বেগবান হয় ।উপরন্তু তারা ইসলামের নাম নিশানা মুছে ফেলার চেষ্টা করে যাচ্ছিলো । এজন্যই আমরা দেখি, মুহাম্মদ সা.-এর সময় হতেই মেয়েরা ইসলামের জন্য অবদান রেখে রেখে যাচ্ছেন ।
উপসংহার :
আমি মনে করি, বর্তমান অবস্হার প্রেক্ষাপটে আমাদের দেশের মেয়েদের ইসলামের ভাবাদর্শে উজ্জীবিত হতে হবে । কারণ নৈতিকতার মহামারিতে আমাদের দেশ আক্রান্ত । নিলর্জতা-বেহায়াপনা-অশ্লীলতা-ব্যবিচারকে সমাজের মূল অংশ হিসেবে প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করা হচ্ছে । এই অবস্হাকে রুখে দেওয়ার জন্য ইসলামের ভাবাদর্শে উজ্জীবিত মহিলাদের ক্ষমতায়ন ও পদায়ন করা সময়ের দাবি ।
আমার পক্ষ হতে নির্বাচিত এসব মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানদের প্রতি রইল শুভেচ্ছা ও সালাম আর শুভেচ্ছা হিসেবে আমার এসব বই :
১. মহিলা জনপ্রতিনিধিদের দায়িত্ব-কর্তব্য
২. নারী-পুরুষের অবাদ মেলামেশার গুরুত্ব ও তাৎপর্য
৩. স্কুল-কলেজের মেয়েদের ড্রেস ইসলামীকরণ করার সহজ পদ্ধতি
৪. হিজাব করার ৩৭ টি পদ্ধতি
৫. মুসলিমরা কেন পরস্পর আরবী ভাষায় কথা বলবে ?
৬. সারা বিশ্বে একই দিনে রোজা ও ঈদ করার গুরুত্ব ও তাৎপর্য
৭. যাদের গার্লফেন্ড ও বয়ফ্রেন্ড আছে তারা কেন জাহান্নামী ?
৮. মেয়েদের আত্মরক্ষা কৌশল শেখার গুরুত্ব ও তাৎপর্য
যেহেতু আমার কাছে তাদের ঠিকানা নেই । এজন্য এসব উপহার সামগ্রী পাঠাতে পারছি না বলে দু:ক্ষিত ।
প্রথম আলো : ৫ম পৃষ্ঠা : ২২ ফেব্রুয়ারী ২০১৪ শনিবার
বিষয়: বিবিধ
২২৪৭ বার পঠিত, ২৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
অনেক ধন্যবাদ
জামায়াত নারীদের অধিকার দিলো কি দিলো না সে প্রসঙ্গে আমি আলোচনা করিনি । তাদের তো জামায়াতের লোকরাই ভোট দেয়নি । কোন রাজনৈতিক দল করে না, এমন লোকরাও তো ভোট দিয়েছে । আর সবাই তো জামায়াতের রাজনীতির সাথে সরাসরি সম্পৃত্ত নন বলেই তো জানি ।
আপনাকে ধন্যবাদ ।
মওদূদী সাহেবের এ ব্যখ্যার সাথে আপনার বিশ্লেষনের যৌক্তিক প্রসঙ্গকিতা আছে বলে মনে হয়না। যে কোন উক্তির আগে পরে নিশ্চিত না হয়ে সেই উক্তিকে রেফারেন্স হিসেবে ব্যাবহার করা কখনো কখনো উক্তিকারীর উপর জুলুমও হয়ে যেতে পারে
যথার্থ বলেছেন
নারী নেতৃত্ব জায়েজ (পর্ব - ১)
http://www.onbangladesh.org/blog/blogdetail/detail/1864/fakhrul/27157
নারী-পুরুষের অবাদ মেলামেশার গুরুত্ব ও তাৎপর্য (১ম পর্ব)
http://www.onbangladesh.org/blog/blogdetail/detail/1864/fakhrul/27401
যুগে যুগে মুসলিম নারী যোদ্ধা ( ২য় পর্ব ) : চাঁদ সুলতানা
http://www.onbangladesh.org/blog/blogdetail/detail/1864/fakhrul/27049
মহিলাদের মহিলা ইমাম-এর পেছনে নামাজ পড়ার গুরুত্ব ও তাৎপর্য
http://www.onbangladesh.org/blog/blogdetail/detail/1864/fakhrul/20819
ইসলামী ভাবাদর্শে বিশ্বাসী নির্বাচিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানদের অভিনন্দন
http://www.onbangladesh.org/blog/blogdetail/detail/1864/fakhrul/39071
আমি মনে করি, বর্তমান অবস্হার প্রেক্ষাপটে আমাদের দেশের মেয়েদের ইসলামের ভাবাদর্শে উজ্জীবিত হতে হবে । কারণ নৈতিকতার মহামারিতে আমাদের দেশ আক্রান্ত । নিলর্জতা-বেহায়াপনা-অশ্লীলতা-ব্যবিচারকে সমাজের মূল অংশ হিসেবে প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করা হচ্ছে । এই অবস্হাকে রুখে দেওয়ার জন্য ইসলামের ভাবাদর্শে উজ্জীবিত মহিলাদের ক্ষমতায়ন ও পদায়ন করা সময়ের দাবি ।
এসব লেখা পড়ে আপনারা মুসলিম মেয়েদের সর্বস্তরে ক্ষমতায়ন ও পদায়নের গুরুত্ব অনুধাবন করতে পারবেন বলে মনে করি ।
ব্যাথা। জামাত জিতলে আপনার কিছু আসে
যায় না। আপনি জামাতের কেউ না।
তবে বাংলাদেশের স্বার্থের প্রতি হুকমিস্বরুপ এবং ইসলামী মূল্যবোধের প্রতি ক্ষতিকর এমন দল ক্ষমতায় থাকলে বা আসলে আমার কেন মুসলিমদেরই সামান্য হলেও চিন্তিত হওয়া উচিত ।
জামায়াতের সাথে সম্পৃত্ত হতে হলে মওদুদী মতবাদের সাথে একাত্মতা প্রদর্শণ করতে হয়, সৌদি রাজতন্ত্রকে ইসলামের সাথে সম্পৃত্ত বিষয় বলে স্বীকার করতে হয় এবং বাংলাদেশের জন্মের বিরোধীতাকারী ও ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতাকামী জনগণের বিরোদ্ধাচ্চারণকারী নেতাদের দ্বিধাহীনচিত্ত্বে কুরআন বর্ণিত উলিল আমর বলে মনে নিতে হয় । এসব বিষয় আমার কাছে চরম আপত্তিকর । এসব কারণেই আমি কখনো জামায়াতের সাথে সম্পৃত্ত হবো না ।
তবে বাংলাদেশের স্বার্থের প্রতি হুকমিস্বরুপ এবং ইসলামী মূল্যবোধের প্রতি ক্ষতিকর এমন দল ক্ষমতায় থাকলে বা আসলে আমার কেন মুসলিমদেরই সামান্য হলেও চিন্তিত হওয়া উচিত ।
জামায়াতের সাথে সম্পৃত্ত হতে হলে মওদুদী মতবাদের সাথে একাত্মতা প্রদর্শণ করতে হয়, সৌদি রাজতন্ত্রকে ইসলামের সাথে সম্পৃত্ত বিষয় বলে স্বীকার করতে হয় এবং বাংলাদেশের জন্মের বিরোধীতাকারী ও ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতাকামী জনগণের বিরোদ্ধাচ্চারণকারী নেতাদের দ্বিধাহীনচিত্ত্বে কুরআন বর্ণিত উলিল আমর বলে মনে নিতে হয় । এসব বিষয় আমার কাছে চরম আপত্তিকর । এসব কারণেই আমি কখনো জামায়াতের সাথে সম্পৃত্ত হবো না ।
এরা কি কিছু করতে পারে ? বিরাট হাইপ নিয়ে আসা আইভি কি কিছু করতে পেরেছে ?
এরা ইসলামী মনোভাব সম্পন্ন নিজেদের দেখালেও কাজ কর্মে কি এর ছিঁটে ফোঁটাও দেখা যায় ?
ভোটের প্রচারনার সময় এবং জেতার অব্যহতি পর পর্যন্ত এদের খুব হিজাব-নেকাব করতে দেখা যায় । পরে সবাই গড্ডালিকা প্রবাহে গা ভাসিয়ে দেয় ।
এরা কি পারবে আগে নিজেদের স্বজাতিকে সংশোধন করাতে , না কি বরাবরের মতই অপজিশনের প্রতি আঙ্গুল দেখাবে ?
সব কাজেই এরা তালগোল পাকিয়ে ফেলে।
এজন্য আমি তাদের শুভেচ্ছা হিসেবে আমার এসব বই পাঠাতে ইচ্ছা পোষণ করেছি :
১. নারী-পুরুষের অবাদ মেলামেশার গুরুত্ব ও তাৎপর্য
২. স্কুল-কলেজের মেয়েদের ড্রেস ইসলামীকরণ করার সহজ পদ্ধতি
৩. হিজাব করার ৩৭ টি পদ্ধতি
৪. মুসলিমরা কেন পরস্পর আরবী ভাষায় কথা বলবে ?
৫. সারা বিশ্বে একই দিনে রোজা ও ঈদ করার গুরুত্ব ও তাৎপর্য
৬. যাদের গার্লফেন্ড ও বয়ফ্রেন্ড আছে তারা কেন জাহান্নামী ?
৭. মেয়েদের আত্মরক্ষা কৌশল শেখার গুরুত্ব ও তাৎপর্য
সমস্যা থাকবে । সমস্যাকে দুর করেই এগিয়ে যেতে হবে ।
আমি মনে করি, বর্তমান অবস্হার প্রেক্ষাপটে আমাদের দেশের মেয়েদের ইসলামের ভাবাদর্শে উজ্জীবিত হতে হবে । কারণ নৈতিকতার মহামারিতে আমাদের দেশ আক্রান্ত । নিলর্জতা-বেহায়াপনা-অশ্লীলতা-ব্যবিচারকে সমাজের মূল অংশ হিসেবে প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করা হচ্ছে । এই অবস্হাকে রুখে দেওয়ার জন্য ইসলামের ভাবাদর্শে উজ্জীবিত মহিলাদের ক্ষমতায়ন ও পদায়ন করা সময়ের দাবি ।
মুসলমানদেরকে কুরআন-সুন্নাহের আলোকে উজ্জিবিত করুন।এত আপনার ফায়দা হবে।উপকৃত হবে ইসলাম ও মুসলমান। অহেতুক কুরআন-সুন্নাহের বাহিরে গিয়ে আল্লাহর কসম কখন কামিয়াবি আসবে না।অতএব কুরআন-সুন্নাহের সামন্যখেলাফ হয়ে উজ্জিবিত না করে,বরং কুরআন-সুন্নাহের আলেকেই উজ্জিবিত করুন।
ভাই আপনার এই ধরনের মন্তব্য সাবেক এক অতি বুদ্ধিমান বাংলাদেশী স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর কথা আমাকে মনে করিয়ে দিল। সে সময় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রলয় থেকে ঘোষণা দেওয়া হ’ল মশাল মিছিল নিষেধ। কিন্তু পরের দিনই দেখা গেল সেই অতি বুদ্ধিমান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর নেতৃতে এক বিরাট মসাল মিছিল। এ বিষয়টি পরে সাংবাদিকরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী দৃষ্টি গোচরে আনলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর ঝটপট জবাব ছিল এ রকমঃ “ জী আমরা অব্যশ্যই মসাল মিছিল নিষিদ্ধ করেছি কিন্তু লাঠির মাথায় আগুন লাগাইয়া যে মিছিল তা নিষিদ্ধ করিনি; গত রাত্রে আপনারা সে জিনিস দেখেছেন।”
এই মাল আর সেই মাল একই মাল!!!
আমি আমার অভিমত ব্যক্ত করেছি মাত্র ।
ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে
https://www.facebook.com/pages/Bangladeshi-Women/141698479361216
আপনাকেও ধন্যবাদ ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন