۩۞۩ বাংলার সাইকেল বালিকাদের কথা ۩۞۩
লিখেছেন লিখেছেন সিটিজি৪বিডি ০২ জানুয়ারি, ২০১৩, ০২:১৫:১২ দুপুর
সিলেটের মৌলভীবাজার জেলার চা শিল্পাঞ্চল শ্রীমঙ্গল উপজেলার আশীদ্রোণ গ্রামের বেগম রাছুলজান-আব্দুল বারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ক্লাস শুরু কিংবা শেষ হলে এমন মনোরম দৃশ্য চোখে পড়ে।
প্রতিদিন চা বাগান আর ১০ কিঃমিঃ কাঁচা রাস্তা পেরিয়ে যখন স্কুলে পৌছে এই সব সাইকেল বালিকারা কখনো কখনো স্কুলের ক্লাস শুরু হয়ে যায়। চোখ জুড়ানো চা বাগান আর ধান ক্ষেতের মাঝখান দিয়ে আঁকাবাঁকা পিচঢালা সরু পথ নিবিগ্ননে পেরোতে অনেক কষ্ট করতে হয়। আছে বখাটেদের উৎপাত, দূর্ঘনার আংশকা। তবু থেমে নেই পথচলা। পরনে স্কুলড্রেস। কাঁধে বইয়ের ব্যাগ মুখে অমলিন হাসি।
এভাবে বাইসাইকেল চালিয়ে বিদ্যালয়ে যাচ্ছে মেয়েরা। ছবিটি পঞ্চগড়ের বোদা-পাঁচপীর সড়ক থেকে তোলা
মনিষা, তিথি, রোজিনা, সাবিনা, সীমা, পারভীন, পিয়ারা, রশিদা, রুনা, সমাপ্তি, অনা, নূপুর, সান্ত্বনা, সেলিনা। তাদের সবার বাড়ি একই এলাকায়। স্কুল থেকে আট-দশ কিলোমিটার দূরে। গাঁয়ের কাঁচাপাকা সড়ক দিয়ে যখন তারা লাইন ধরে স্কুলে যাতায়াত করে, তখন সবাই একনজর সে দৃশ্য না দেখে পারে না। এমন দৃশ্য কয়েক বছর আগেও দেখা যায়নি। মেয়েদের সাইকেল চালানো সমাজপতিরা বাঁকা চোখে দেখত। সে মনোভাব বদলে গেছে।
দশম শ্রেণীর (ভোকেশনাল) ছাত্রী আঁখি বলে, ‘সাইকেল চালাতে পারি বলেই আজ দশম শ্রেণীতে পড়ছি। নয়তো লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যেত। প্রতিদিন বিদ্যালয়ে যাতায়াত বাবদ ৪০-৫০ টাকা খরচ করা কৃষক বাবার পক্ষে সম্ভব ছিল না।’
সুত্রঃ অনলাইন ব্লগ ও পত্রিকাঃ
এনজিও নারী কর্মীরা গ্রাম-অঞ্চলে সাইকেল নিয়ে ঘুরে বেড়ায়।
সাইকেল ছাড়া বাচ্চাদের চলেই নাঃ
তিন চাকার সাইকেল বসে ছোট বাচ্চারা খেলতে ভালবাসে--
আরেকটু বড় হলে নিজে নিজেই চালিয়ে থাকে--
চালক ভাইয়ের পেছনে বোন বসে আছে। আহা কি আনন্দ!
আমার ছোট কন্যাটি নিজের সাইকেল না চালিয়ে আমার আপুর ছেলের সাইকেল নিয়ে টানাটানি করে। দুজনে ঝগড়া করে কান্নাকাটি শুরু করে দেয়। আমি ফোন করলে বলে" বাবা, আমার জন্য সাইকেল আনবে। কি আর করা আরেকটা কিনে দিতেই হবে------------একমাত্র কন্যার আবদার বলে কথা!!
বিষয়: বিবিধ
৩৩৪৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন