উদোর পিন্ডি বুধোর ঘাড়ে – হতাশ ফখরুল
লিখেছেন লিখেছেন আবু সাইফ ২৬ এপ্রিল, ২০১৪, ০৬:৪৫:১২ সন্ধ্যা
উদোর পিন্ডি বুধোর ঘাড়ে – ফখরুল হতাশ
খবরটা পড়ে চুপ থাকাটা নিজের কাছে অপরাধ মনে হলো- তাই দু-কথা বলা!
যদি কারো মনে ও মানে আঘাত লেগে যায়- আগাম দুঃখ প্রকাশ করে ক্ষমা চাই!
?
" হতাশ ফখরুল! "
26 Apr, 2014
সরকারের আচরণে হতাশ হয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বক্তব্য দিতে এখন আর ইচ্ছে করে না ।একই কথা বারবার বলতে আর ভালো লাগে না। কি বলবো, কাকে বলবো, কার কাছে বলবো? কোথায় যাবো, কার কাছে যাবো, কোথায় ইনসাফ?
শনিবার দুপুরে এসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (এ্যাব) আয়োজিত রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনষ্টিটিউটের মিলনায়তনে ‘বর্তমান বিদ্যুত পরিস্থিতি:প্রেক্ষিত বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এই হতাশা ব্যক্ত করেন।
বিস্তারিত এখানে
বাংলাদেশের আপামর জনসাধারণ (বিশেষ শ্রেণীর সামান্যসংখ্যক বাদে) সর্বাত্মক জুলুম-নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে যখন অধীর অগ্রহে যে কোন মূল্যে মুক্তির দিন গুণছে তখন এমন একজন জাতীয় নেতার বক্তব্য শুধু হতাশাব্যঞ্জকই নয়- জনসাধারণের উপর এক চরম মিথ্যা অভিযোগও বটে!
আমি এমন বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাই!
বিএনপি নেতৃবৃন্দ নিশ্চয়ই ভুলে যাননি যে ২৯ ডিসেম্বরে সরকার পতনের দৃশ্য দেখতে ও খবর শুনতে জনসাধারণ উন্সুখ হয়ে ছিল!
এজন্য এমন কোন্ ত্যাগ করতে জনসাধারণ বাকি রেখেছিল?
যার কারণে এ নেতা এমন অভিযোগ করলেন
বরং নিজেদের সংগঠনিক/দলীয় কোন্দল ও সমন্বয়হীনতা এবং বাতাসে ভাসমান আরো কিছু কথার অদ়শ্য কারণে বিএনপি ঢাকা মহানগরীর নেতৃবৃন্দ (এবং সে কারণে কর্মীবাহিনীও) মাঠে না নামাতে একটি প্রায়-সফল আন্দোলন ও বিজয় অনির্দিষ্টকালের জন্য ব্ল্যাকহোলের অতল গহ্বরে চলে গেছে!!
যে জামোয়াত-শিবির জাতির এ দুর্দিনে ত্যাগ-কুরবানী ও শাহাদাতের নজরানা পেশ করে জাতির আস্থা অর্জন করেছে
এবং বিপরীতে বিএনপি নিন্দিত হয়েছে
আবার সেই বিএনপির দলনেতাই জোটের মিটিংএ জামায়াতকে কৈফিয়ত তলব করেন!!
কী লজ্জাস্কর ও হাস্যকর দৈণ্যতা!!
আজ কিনা আবার সেই বিএনপির মহাসচিবের ভারবহনকারী মহান নেতা সরাসরি জনগণকে দোষারোপ করলেন!!
হে আমার প্রিয় দেশবাসী-
এসব দেখে রাখুন, শুনে রাখুন, মনে রাখুন-
ভুলে গেলে, ভুলে যাবার অভ্যাসটা ত্যাগ করতে না পারলে আপনাদের দুর্দশা থেকে মুক্ত করার জন্য দায়িত্ব নিয়ে এগিয়ে আসার কেউ থাকবে না!!
মাহমুদুর রহমানকে ভুলে যাবার মূল্য এখন দিতে হচ্ছে,
এসব বিষয়/কথা ভুলে গেলে তার মূল্যও ভবিষ্যতে দিতে হবে- দিতেই হবে!
জাতির কল্যান ও উন্নতির লক্ষে যারা আজীবন আত্মনিবেদিত, যারা পথে নামলেই ব্রাসফায়ারের শিকার হয়- তারা জাতির জন্য কোন ত্যাগস্বীকারেই পিছপা হয়নি কখনো-
তাদের মূল্যায়নে ব্যর্থ হলে, তাদের কথা ভুলে গেলে, দুর্দশার মেয়াদ দীর্ঘায়িত হবে- তাতে কোন সন্দেহ নেই!!
বৃটিশের অধীনে ১৯০বছর কেটেছে, নতুন কারো অধীনে এর কয়েকগুণ কাটাতে হতে পারে!!
আমি দৃঢ় আস্থা রাখি- জনসাধারণ তেমন ভুলের পূণরাবৃত্তি ঘটতে দিবেননা!
ইনশাআল্লাহ.......
বিষয়: বিবিধ
১১৯২ বার পঠিত, ১২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
যে কোন অন্যায়ের বিরুদ্ধে বিজয়ের জন্য কমপক্ষে স্বগৃহে শত্রু না থাকার নিশ্চয়তা থাকা আবশ্যক!
এ সমস্যা থাকাতেই দুয়ার থেকে ফিরে গেছে সম্ভাব্য বিজয়
এ সমস্যার সমাধান করতে না পারলে বিজয় অধরাই রয়ে যাবে!!
ইনশাআল্লাহ.......
একমত!
দূর্ভাগ্য এই যে, তিনি পদত্যাগ করার মত আত্মসন্মানবোধ ও সৎসাহস দেখাতে ব্যার্থ হয়েছেন।
ক্যান্ট-বাড়ি থেকে উচ্ছেদের সময় প্রকাশ্য কান্নার অশ্রুতে তাঁর আত্মসম্মানবোধ ধুয়ে ফেলেছেন-
সেটা আর ফিরে পাননি!
সে কারণে সাহসেও সংকট, জনগণের উপর আস্থাতেও সংকট!!
আর নিজ দলের অভ্যন্তরের অবস্থা তো ...
তবে দেশের অন্যান্য এলাকার অবস্থা সাতক্ষিরা রাবি নারায়ণগঞ্জের চেয়ে ভালো নয়!!
মন্তব্য করতে লগইন করুন