বাংলা বাজার, আবুধাবী-২ (ছবি ব্লগ)
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ লোকমান ০৬ মার্চ, ২০১৫, ০২:৩৯:৩৫ দুপুর
“বাংলা বাজার,আবুধাবী (ছবি ব্লগ)” শিরোনামে লিখেছিলাম ৫ জানুয়ারী, ২০১২ তারিখে, বিটিআরসি কতৃক বন্ধ করে দেয়া এসবি ব্লগে।
সম্প্রতি আরো একটি বাংলা বাজারের সন্ধান পেলাম ঠিক উক্ত বাংলা বাজারের ২/৩ কিলো মিটারের মধ্যেই। তাই এটিকে “বাংলা বাজার, আবুধাবী-২ (ছবি ব্লগ)” শিরো নামে লিখছি।
দীর্ঘদিন যাবৎ আবুধাবীতে তাজা গোস্ত বিক্রয় বন্ধ রয়েছে। অ্যানথ্রাক্স এবং বার্ডফ্লু সনাক্ত হওয়ার পর থেকেই আবুধাবীতে সকল তাজা মুরগী এবং জবাইকৃত পশু-গোস্তের দোকান সমূহ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। শুধুমাত্র আমদানী কৃত গোস্ত এবং কদাচিত স্থানীয় ভাবে জবাইকৃত গোস্ত এবং ফার্ম থেকে জবাই ও প্যকেট করা মুরগী বিক্রয় করা হয় মল আর সুপার মার্কেট সমূহে এবং মুল্যও হয়ে থাকে আকাশ চুম্বী। গোস্ত খাদকদের নিকট তাজা গোস্তের কদরই আলাদা, বিশেষ করে তাজা গুরুর গোস্তের।
সেদিন এক বন্ধুর সাথে আলাপের সময় আবুধাবীতে তাজা গরুর গোস্ত খেতে না পারার বিষয়টি উত্থাপন করার সাথে সাথে তিনি জানালেন, মোসাফ্ফাহ্ ৪০ নম্বর সেক্টরে গরু-ছাগল-হাঁস-মুরগী-কবুতর সবই পাওয়া যায়- তাজা। তাজা গরুর গোস্তের সন্ধান করতে গিয়েই আবিস্কৃত হলো - “বাংলা বাজার, আবুধাবী- ২”
(ছবি : গরুর গোস্তের)
আমি আশ্চর্য্য হলাম, আমাদের দেশেও এভাবে খোলা মেলা গরু ছাগলের গোস্ত বিক্রয় হয়না, যেমনটি (খোলা-মেলা) জবেহ নিষিদ্ধের দেশে বিক্রয় করা হচ্ছে।
প্রতি বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত এখানে ৮/১০ টি গরু এবং প্রায় ৩০/৪০ টি ছাগলের গোস্ত বিক্রয় হয়। এখানে প্রতি কেজি গরু-ছাগলের গোস্তের দাম ২০ দেরহাম। সুপার মার্কেটে যার মূল্য ৪০ থেকে ৮০ দিরহাম হয়ে থাকে।
তাজা মুরগী : তাও আবার ফ্রিজজাত মুরগীর চেয়ে অনেক সস্তায়!
মাছ : মাছের দামও কিন্তু সুপার মার্কেটের তুলনায় অর্ধেকেরও কম!
ঃসেলুন : এরা সু-শীল তথা ভালো নাপিত না হলেও স্বল্প বেতনের প্রবাসী শ্রমিকদের জন্য অবশ্য ভালো নাপিত। কোন দোকান-মকান ছাড়া টেঙ্কারের নিচে, রাস্তার পাশে বসে কৌরকর্ম সেড়ে দেয়ার কারনে ২০/২৫ দিরহামের যায়গায় ৭/৮ দিরহামে কাজ হয়ে যায়।(ওরা মাইন্ড না করার জন্য দূর থেকে ছবি নেয়ার কারণে খুব পরিস্কার হয়নি)
দর্জি, মুচি, শাক-সব্জি, ফল-মুল, বেড-কম্বল, ইলেক্ট্রনিক্স আইটেম থেকে খেলনা পর্যন্ত- সাধারণতঃ মেলায় যেসব জিনিস আসে সবই পাওয়া যায় এখানে-
জুয়ার আড্ডা : প্রায় ১৫/২০টির মতো জুয়ার আড্ডা বসে এখানে। একটি ছবি তুলতে গিয়েই ইন্ডিয়ান কয়েকজন জুয়াড়ী ছবি তুলতে নিষেধ করলো শুধু নয়, আমি একটু বাড়াবাড়ি করলে চড়াও হওয়ার মতো অবস্থায় পড়ে যেতাম। সাথে বাঙ্গালী আর পাকিস্তানীও রয়েছে। ওখান থেকে কোন রকম ছুটে এসে ছবি তোলার স্বাদ আর থাকলো না। মনে মনে ভাবতেছিলাম, সাংবাদিক ভাইয়েরা কত ঝুকিপূর্ণ আবস্থায় অপরাধীদের রিপোর্ট সংগ্রহ করে! পুলিশে রিপোর্ট করে অবশ্য শায়েস্তা করা যেত, কিন্তু ‘বাঙ্গালীর’ নামে বাজারের মৌখিক নাম হওয়ার কারণে স্বদেশী প্রবাসীদের উপর আরো বিপদ আসতে পারে- ভেবে ক্ষ্যন্ত দিলাম।
জটলার মধ্যে জুয়ার আড্ডা
বিষয়: বিবিধ
২২০৮ বার পঠিত, ২২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আমি লিখলাম ৪০ থেকে ৮০ আর আপনি লিখলেন ৬০ থেকে ৮০ এবং প্রশ্ন করলেন কোথায় পেলাম এবং আরেকটু বাড়িয়ে আবাল বানানোর চেষ্টা করে লিখলেন,’একটু বেশী হয়ে গেল না?’
না আবু জান্নাত, এই বান্দা বাড়িয়ে এবং বানানো কথা বলার মতো বান্দা নয়। আমি আপাতত সফরে আছি ১৯ তারিখ ফিরছি ইনশা আল্লাহ। আমার এই মোবাইল নাম্বার নোট করেন ০৫০ ৭৭৮৯৬৯৩ এবং যোগাযোগ করেন, তারপর আপনাকে আমি দেখিয়ে দেবো স্থানীয় ভাবে জবেহ করা গরুর গোস্তের আমার উল্লেখিত দাম। ধন্যবাদ
বাংলা ভাষায় এই ধরনের আরো বহু বিভ্রাট আছে।
যেমন 'খাঁটি গরুর দুধ পাওয়া যায়'।
এখানে গরু খাটি কিন্তু দুধ কি খাটি হল?
'খাটি বগুড়ার ঘি' বগুড়া খাঁটি হয়েছে কিন্তু ঘিয়ের কি হল?
'শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান' মূলত হবে প্রেসিডেন্ট শহীদ জিয়াউর রহমান। কেননা প্রেসিডেন্ড কিংবা পদবী কোনদিন শহীদ হয়না। তাকালে কিন্তু বাস্তবে তাই লিখা হয়!
ব্যাপার টা ভুল ধরার জন্য নয় বরং নিতান্ত রসিকতা করার জন্যই বললাম।
আসলে আমিরাতের শপিং মল গুলোতে্ তাজা গোশতের দাম ৬০ এপরেই থাকে। আমিও ভাবতাম এখানে এগুলোর এত দাম কেন? ঝিনুকের কেজিও এখানে ৫০ এর উপরে।
লেখকের সাথে সহমত পোষন করছি, অনেক ধন্যবাদ।
উপরের মন্তব্যটি মুছে দিবেন, বাক্য ভূলের কারণে মন্তব্যটি দুবার করতে হল।
াআমরা অনেকেই জানিনা যে, আবুধাবীর সপিংমল গুলোতে বিক্রয় হওয়া গরুর গোস্তগুলো‘তাজা গরুর বাসী গোস্ত’। গরুর তাজা গোস্তের প্রতি দূর্বলতা হেতু আলআইনে জবেহকৃত গরুর গোস্ত মেরিনা মল এবং দালমা মল থেকে আমি নিজেই কিনেছি ৬০দিরহাম কেজী দরে। আবারো ধন্যবাদ।
সিঙ্গাপুরে দেখেছি বাঙ্গালি অধ্যুষিত এলাকাটিই নোংরা। এমন কেন হয় আমাদের শুধু।
জুয়ার আড্ডার বিষয়ে রিপোর্ট করা দরকার বলেই মনে হয়। সাধারন সল্প আয় এর শ্রমিকরা এইভাবে নিজেদের কষ্টের আয় নষ্ট করে দেখে খারাপ লাগল।
প্রকৃতপক্ষে আবুধাবীতে রাস্তায় থুথু ফেললেও জরিমানা করা হয়, যদি বলদিয়ার মুফাত্তিশ(মিউনিসিপ্যলিটির পরিদর্শক)এর নজরে আসে।
বিদেশে স্বদেশী আমেজ।
ভালো লাগল।
ধন্যবাদ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন