ব্লগিং এর পঞ্চম বর্ষ এবং ফেলে আসা দিনগুলি ১, ২, ৩, ৪, ৫, ---
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ লোকমান ২৬ মার্চ, ২০১৪, ০৬:৪৮:৩৪ সন্ধ্যা
পর্ব-১
click here
পর্ব-২
click here
পর্ব-৩
click here
পর্ব-৪
click here
গালিবাজদের আড্ডাখানা হওয়া সত্বেও এক প্রকার বাধ্য হয়েই ব্লগিং করতে হচ্ছিল সামহোয়্যার ইন ব্লগে। কারণ, তখন পর্যন্ত অন্য কোন পরিচ্ছন্ন বাংলা ব্লগ আত্মপ্রকাশ করেনি। ব্যাপারটি এমন ছিল না যে, ওখানে গালিবাজরাই সংখ্যাগরিষ্ট। ওরা সংখ্যালঘু হয়েও কোন এক অজানা কারণে কতৃপক্ষের আনুকুল্যে লালিত হতো। কারণটি হয়ত জামায়াত শিবিরের বিরোধিতা। ওখানে ধরে নেয়া হতো, পরিচ্ছন্ন এবং গালাগাল বিরোধী ব্লগার মানেই জামায়াত শিবির।
আমার রাজনৈতিক পরিচয় যা-ই হোক না কেন, সে পরিচয়ে ব্লগিং না করা সত্বেও শুধুমাত্র ব্লগে অশ্লীলতা বিরোধী ভূমিকা এবং মজলুমদের সাথে সহমর্মিতা প্রকাশের কারণে আমিও তাদের কাছে পরিচিত হয়ে যাই ‘চুপা ছাগু’ ‘চুপা শিবির’ চুপা রাজকার ইত্যাদি বিশেষণে। তাদের দোষররা আমার খপ্পরে(!) না পড়ার জন্য মাঝে মধ্যে আমার বিরুদ্ধে পোস্ট দিয়ে তাদের ঈমান(!) তাজা রাখার ব্যবস্থা করতো। আমার কৌশলগত অবস্থানের কারণে আমাকে ব্যান করানোর হাজারো চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়ে শেষমেশ গালিবাজরা আমাকে এড়িয়ে চলার চেষ্টা করতো।
আমাকে গালি দিয়ে নাজেহাল হয়েছিলেন গালিবাজদের গুরু অমি রহমান পিয়াল। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে শেখ মুজিবের খুনী হিসেবে চিহ্নিত করে দেয়া তার এই পোস্টের ১৬নং কমেন্টে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের পক্ষে মন্তব্য করার কারণে আমাকে গালি দিয়েছিল সে।
আমার তখনো উক্ত অমি রহমান পিয়ালের ব্যাপারে পুরাপুরি ধারণা ছিল ন। আমি তাকে শুধুমাত্র জামায়াত শিবির আর জাতীয়তাবাদ বিরোধী এবং গালিবাজ হিসেবেই জানতাম। তার আরও মারাত্মক পরিচয় অছে যা সচেতন পুরানো ব্লগারদের জানা থাকলেও অনেকের নিকট অজানা। সে বিষয়েও চমকপ্রদ ঘটনা আছে, পরে আসছি।
আমাকে এভাবে গালি দেয়ার পর তার জন্য একটি মহৌষধ তৈরী করে ফেললাম ঝটপট। যার বদৌলতে পরবর্তি সময়ে আমাকে গালি দেয়া দূরে থাক, আমাকে তার ব্লগে ব্লক করে ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি অবস্থা। পরে তার এক খবিসি রাজ্যের বন্ধু আমার নিকটাত্মীয় জানতে পেরে ওর নিকট আমার ব্যাপারে মন্তব্য করেছিল, ‘উনি জাঁদরেল শিবির, ওনার সাথে ঝামেলায় গিয়ে লাভ নেই’।
ওহ্! মহৌষধটা কি তাতো বলা হলো না। ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে আমি ৬ষ্ঠ শ্রেনীর ছাত্র ছিলাম। শহর থেকে পালিয়ে গিয়ে আমরা যে গ্রামে আশ্রয় নিয়েছিলাম সেখানে একদিন কয়েকজন পাঞ্জাবী সৈনিক আর রাজাকার গিয়েছিল তল্লাশিতে। আমরা ছোটরা কৌতুহল বশতঃ তাদের পিছু পিছু দৌঁড়াচ্ছিলাম। হঠাৎ এক পাঞ্জাবী সৈনিক পেছন ফিরে আমাদের দিকে রাইফেল তাক করে ‘সালা মাদার চো... ’ বলে গালি দিয়েছিল। এখনো সে গালির ক্ষত শুকায়নি। পরে প্রবাসে গিয়েও দেখলাম পাকিস্তানের ঐ অঞ্চলের প্রায় লোক কথায় কথায় গালি দেয়। আবুধাবীতে আমার এক বন্ধু বলেছেন, তিনি মসজিদে নামাজ আদায় করার সময় তার সামনে বসা এক পাঞ্জাবী ভদ্র লোক নামাজ শেষে নাকি দোয় করছিলেন, ‘ হে খোদা , ম্য বহুত বাইন চো.... হো। মুজে মা’ফ ফরমা’। পিয়াল এবং তার দোষরদের উদ্দেশ্যে এই গল্পটি পোস্ট করে জানিয়ে দিলাম- গালিবাজরা মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি হতে পারে না, তারা হতে পারে পাকি পাঞ্জাবীদের দোসর, যারা কথায় কথায় গালি দেয়। সূতারং যদি আবারও গালিগালি করো তাহলে এটা নিশ্চিত হওয়া ছাড়া উপায় থাকবে না যে, তোমাদের মধ্যে পাকি-পাঞ্জাবীর রক্ত আছে। তারপর থেকে অন্তত আমাকে আর গালাগালি করেননি তিনি এবং তার অনুসারীরা।
বিষয়: বিবিধ
১৮১২ বার পঠিত, ৬৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
তবে কোন গালিতেই আমি অবশ্য লিখা বন্ধ করিনি এবং ওদের গালির জবাবও আমি দিতাম না।
*********************************
ক্ষমতার মহারাজ...
লিখেছেন লিখেছেন আব্দুল মান্নান মুন্সী ২৩ মার্চ, ২০১৪, ১১:৫৪:১৩ সকাল
পরের পোস্ট >>
*********************
নঁম নঁম হে দাদা-জয়তু মহারাজ
শত প্রনাম তব চরন তলে,
কৃতজ্ঞতার জল নামিছে গলে
আদেশ কর হে-দাদা দেবতা,
হে আমার নব জন্মদাতা-
আদেশ কর মোরে,
তব মন তুষ্টির বন্ধনায়-অবিরত আমি
অদেশ কর হে করুনাময়
আমি ইসলামীত্ব বিসর্জন দিয়েছি
বাঙ্গালী ধর্মের লাগী-হে নঁম নঁম
মুসলমানের মনে মহাতংক আমি
জিহাদের মর্ম বাণীকে-করিয়াছি জঙ্গীবাদ
আমি জিন্দাবাদ তোমারই ক্ষমতায়-হে প্রভু,
আমি বিকৃতির মহা প্রলয়
ইসলামী কিতাব করেছি নিষিদ্ধ-
কোরআনকে করেছি কোনঠাসা,
মুসলিমে দিয়েছি মুশরিকি লেবাস
তব মন তুষ্টির লাগি হে প্রভু,
তুমি দানিয়াছ মোরে-ক্ষমতার সিংহাসন
তোমারই তরে করি তাই জয় বন্ধনা-হে অন্ন দাতা
লুটিয়া পুটিয়া খাই-খাওয়াই তোমারে হে দাতা
রক্তের বন্ধন ভুলিব কেমন করে
যেথা রহিয়াছে-বস্ম পিতামহের,
তব তুষ্টির তরে করিতেছি বঁলি
দিবালোকে-রাজপথে-বীরদর্পে-হে মহারাজ
তুমি দানীয়াছ মোরে ক্ষমতার মানচিত্র
তাই ছিরে ছিরে খাই-তোমাতেই করি বিলিন
তব মনতুষ্টির গান গাই দিবালোকে
জাতে বিজাতে খাওয়াই-এক ঘাটে পানি
মান অপমান যতায় তথায় দানী,
পাপিরে করি মহামহিয়ান-
নেকিরে করি অপমানের মাল্য দান,
ফন্দি ফিকির সব তোমারই দান-হে প্রভু
আরো কিছুকাল কর কৃপা মোরে-
মহাকালে করিব বিলিন-এই মানচিত্রটারে,
সর্বনাশিয়া আসিবো ফিরিয়া-তব চরন তলে
হে প্রভু-ক্ষমতার মহারাজ।
পড়লাম এবং সামুতেও ঘুড়ে আসলাম।
আপনার ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতা বেশ ভালো লাগছে অনেক ধন্যবাদ।
সম্পাদক সাহেবের নিকট লেখা পোস্টে আপনার কমেন্ট থেকে ধারণা অনেকটা পাকাপোক্ত হয়েছিল যে, এটি সত্যি বাগ হবে। তা-ই সত্য প্রমাণিত হলো।
এই ব্লগের সম্পাদক/মডু সম্পর্কে যা ধারণা ছিল তারা খুব সহযে ব্লগারদেরকে অপমানিত করেন না। আসলে আমি যদি বিষয়টি চেপে যেতাম তাহলে একটি ভুল বুঝাবুঝি তৈরী হতো।
পড়ে মজা পেলাম বিশেষ করে পিয়াল কাহিনী।
ধন্যবাদ।
হ্যাপি ব্লগিং.....
"হাসিনা কে বকেন ভালো কথা কিন্তু নোংরা গালি দেন কেন এতে করে তো তার পাপ উলটো নিজের ঘাড়ে নেন।সাঈদি সাহেব কে ভালোবাসেন ঠিক আছে কিন্তু তার জন্য অন্যকে গালি দিয়ে নিজের পাপ বাড়ান কেন???গালি দেয়া হীনতা,মূর্খতা। নবীজি(সা.)কে কাফেররা কত কষ্ট দিয়েছে কিন্তু নবীজি(সা.)কখনো কোন খারাপ ভাষা ব্যবহার করেন নি। একটু বুদ্ধিমান হলে বুঝবেন যাকে গালিদেন তার কিছু হয় না বরং পরকালে আপনি এর জন্য শাস্তি পাবেন। "
পোস্ট পড়ে অনেক জানতে পারলাম। এটাও জানতে পারলাম আপনি অনেক পুরানো ব্লগার। আপনার থেকে আমাদের অনেক কিছু শিকার আছে ।
শিক্ষনিয় লেখাটি ষ্টিকি করার জন্য সম্পাদক সাহেবকে অনেক ধন্যবাদ।
যাজ্জাকাল্লাহ খায়ের
গালির জবাবটা ওভাবে দেয়া ছাড়া আর কোন উপায় ছিল না। (একটু কৌশল করে)
সাঈদী সাহেবক যখন সংসদে রাজাকার বলে গালি দিয়েছিল নাস্তিক আওয়ামরা তখন তিনি কৌশল করে জবাব দিয়েছিলেন ‘এমন কোন বাবার বৈধ সন্তান নাই, যে আমাকে রাজাকার বলতে পারে’... ধন্যবাদ।
সেই জন্য নিচের বইটি পড়িতে হইবে,
'হাসির রাজা, কাসির রাজা, গালির রাজা গোপাল ভাঁড়'
আসলে ঐ বাড়ীতে আমারও একটা একাউন্ট ছিল। কিন্তু ঐ গালাগালির কারণে অনেক দিন হয় খুলে দেখিনি। কি অবস্থায় আছে জানিনা।
আপনি তখন যা শুরু করেছিলেন - তাতে বেশ কিছু উপকার হয়েছে। কিছুটা রয়ে সয়ে এখন তারা বলছে।
মন্তব্য করতে লগইন করুন