মুসলিমদের প্রতি পশ্চিমের সহনশীলতা প্রসঙ্গে!
লিখেছেন লিখেছেন আবূসামীহা ০২ জুন, ২০১৫, ০৭:১০:১০ সকাল
মুসলমানদের সংখ্যা যখন অল্প থাকে এবং তাদের জীবনাচরণ যখন এক্সোটিক [exotic] মনে হয় তখন পশ্চিমের উদারনৈতিক গণতান্ত্রিক [?] সমাজ তাকে গ্রহণ করে। তারা তখন গর্ব করে বলতে থাকে, "দেখো আমাদেরও মুসলিম আছে এবং ইসলাম আছে। আর ইসলাম এবং মুসলিমরা বেশ ভালই আছে।" কিন্তু যখন মুসলিমদের সংখ্যা বাড়তে থাকে এবং তাদের জীবনাচরণের এক্সোটিক আকর্ষণটা থাকে না, তখন আস্তে আস্তে প্রতিরোধ শুরু হয়। যেমনটা এখন হচ্ছে। মুসলিমদের সংখ্যা ও শক্তি যখন আরো বৃদ্ধি পাবে এবং তাদের জীবনাচরণের বিভিন্ন দিকগুলো অনেক বেশি বাইরে প্রকাশ পাবে প্রতিরোধ ততই বাড়তে থাকবে। একটা সময় অস্তিত্ব নিয়ে টানাটানিতে পড়বে মুসলিম সমাজ। এটা নতুন নয়। অতীতেও মুসলিমরা মাল্টা, সিসিলীর মত জায়গাগুলোতে একসময় সম্মান নিয়ে বসবাস করত এবং সেখানকার শাসকদের সহায়তাকারী হিসেবে কাজ করত। কিন্তু সেখানকার সে সুদিন আর তাদের নেই। আমাদের পাশের বার্মার আরাকান এবং চীনের ইউনান প্রদেশও আমাদের জন্য উদাহরণ।
আমি আমার মেয়ে সুহায়লাহর জীবনকে এর জন্য একটা মাইক্রো উদাহরণ হিসেবে ধরি। ৯ বছরের সুহায়লাহ ৪র্থ শ্রেণিতে পড়ে। শীতকালে স্কুল ছুটি হতে হতে আর জুহরের ওয়াক্ত থাকে না। তাই সে তার শ্রেণি শিক্ষিকাকে বলে জুহরের নামাজ পড়ার জন্য স্কুলের প্যারেন্ট কো-অর্ডিনেটরের রুমে একটা জায়গা করে নেয়। তিনিও সানন্দে অনুমতি দেন। কিছুদিন যেতেই সুহায়লাহর দেখাদেখি আরো অনেক মুসলিম বাচ্চারা জুহরের নামাজের জন্য তার সঙ্গী হয়ে যায়। ব্যস! স্কুলের অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রিন্সিপাল এত বাচ্চাদের নামাজ পড়া দেখতে পেয়ে সুহায়লার সহ সবার নামাজ পড়ার অনুমতি বাতিল করে দেয়।
এজন্য আমি পশ্চিমের ততাকথিত উদারনৈতিক একটা দেশে থাকলেও কোন ডেল্যুশনে [delusion] ভূগি না। প্রতিরোধ আমাদের প্রতি আসবেই। কারণ এটাই আল্লাহর সুন্নাহ। আমরা কতটুকু প্রজ্ঞা ও বুদ্ধিমত্তার সাথে মুক্বাবিলা করতে পারব সেটাই কথা।
পুনশ্চঃ সামান্থা আলআউফ এর কেইসটা একই সাথে আমেরিকার অসহনশীলতা ও সহনশীলতার প্রতীক। সুপ্রীম কোর্ট হিজাবী আলআউফের পক্ষে রায় দিয়েছে যেটা নিঃসন্দেহে ধর্মীয় অধিকারের ক্ষেত্রে সহনশীলতার একটা মাইলফলক। কিন্তু মুসলিমদের প্রতি সামাজিক অসহনশীলতা এতে কমবে না। বরং প্রতিরোধ অন্যভাবে বৃদ্ধি পাবে।
সামান্থার ঘটনা এখানে
বিষয়: আন্তর্জাতিক
১২৫৪ বার পঠিত, ২৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
سُنَّةَ اللَّهِ فِي الَّذِينَ خَلَوْا مِن قَبْلُ وَلَن تَجِدَ لِسُنَّةِ اللَّهِ تَبْدِيلًا
যারা পূর্বে অতীত হয়ে গেছে, তাদের ব্যাপারে এটাই ছিল আল্লাহর সুন্নত/রীতি। আপনি আল্লাহর সুন্নতে কখনও পরিবর্তন পাবেন না। [৩৩ঃ৬২]
A PHP Error was encountered
Severity: Notice
Message: Undefined offset: 7228
Filename: views/blogdetailpage.php
Line Number: 764
অন্য দিকে, সামান্থা আলআউফ কেসটি ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের প্রতি পশ্চিমা উদারতার একটি মহান মাইল ফলক। হেজাব না পরার স্বাধীনতা চেয়ে সৌদি আরব অথবা ইরানে এ ধরনের কেসে আসামির পরিনাম কি ভয়ংকর হত চিন্তা করা যায়?? ধন্যবাদ।
আর মুসলিমরা তাদের আইন,কানুন নীতি ইত্যাদীতে তাদের ধর্মীয় বিশ্বাসের একটা ছাপ রাখতে চায়। আর মুসলিম জনগন ধর্মকে বেশী প্রাধান্য দেওয়ার কারনে তাদের শাসকও সেই বিশ্বাসের আওতায় কাজ করতে অনেকটা বাধ্য হয়। ফলে সেখানে কেউ হিজাব না পরার অধিকার চাইলে সরকার চিন্তা করে জনগন এটা নিয়ে আন্দোলন করতে পারে,তাই সরকারও ভিন্ন চিন্তার হলেও দমে যায়। পাশ্চাত্য যেহেতু তাদের আইন ও শাসনের ক্ষেত্রে ধর্মকে প্রাধান্য দেয়না তাই সেখানে স্বাধীনতার সংজ্ঞা ভিন্ন।
আপনার স্বাধীনতা রয়েছে যে কোনোটি বেছে নেওয়ার। আর মৃত্যুর পর যদি জীবন থেকে থাকে বলে বিশ্বাস করেন,তাহলে সে সময় সবকিছু তো দেখতেই পাবেন। বিশ্বাস না করলেও আমাদের বলার কিছু নেই। সময় আসলে তখন কাওকে কিছুই বলতে হবেনা। উপলব্ধী করতে পারবেন।
আমার বিশ্বাস আমি যেভাবে কথা বলছি,আপনি তার প্রতিউত্তর দিবেন আরেকভাবে,সাধারনত যেটা করে থাকেন। কিন্তু তারপরও আপনাকে বললাম।
A PHP Error was encountered
Severity: Notice
Message: Undefined offset: 7228
Filename: views/blogdetailpage.php
Line Number: 917
"> ফুয়াদ পাশা লিখেছেন : তাহলে বিষয়টি কি দাড়ালো? মুসলিমরা যেখানে শক্তিশালি এবং সংখ্যাগরিষ্ঠ সেখানে তারা অন্যের স্বাধীনতাকে স্বিকৃতি দেয় না। আবার এই মুসলিমরাই যেখানে দুর্বল এবং সংখ্যালঘু সেখানে ধর্মীয় স্বাধীনতা, ব্যাক্তি স্বাধীনতা, বাক স্বাধীনতা, নামাজ পড়ার স্বাধীনতার জিকির তুলে। কি অদ্ভুত চতুর বর্বর এই মুসলিমরা। চিন্তা করতে পারেন?আর মৃত্যুর পরের জীবন! সে তো আপনেক কথারে ভাই। পরস্পর বৈরী প্রায় ৪০০/৫০০ ধর্মের মাঝে কোনটা্ সত্যি, কোনটা মিথ্যা কে জানে। কোনটা রেখে কোনটা গ্রহন করে আবার কোন বিপদে পরি? তারচেয়ে ভাল ধর্ম না নিয়েই থাকি। ধন্যবাদ।
তবে কোন ছাত্র-ছাত্রী তাদের ধর্মের আচার নিজের মত করে পালন করতে চাইলে এদের সংবিধান অনুযায়ী তাকে বাধা দেয়ারও কোন অধিয়ার নাই, যতক্ষণ না তা সরকারী খরচে হচ্ছে।
https://www.facebook.com/ajplusenglish/videos/568231669985011/
A PHP Error was encountered
Severity: Notice
Message: Undefined offset: 7228
Filename: views/blogdetailpage.php
Line Number: 917
"> ফুয়াদ পাশা লিখেছেন : তবে কোন ছাত্র-ছাত্রী তাদের ধর্মের আচার নিজের মত করে পালন করতে চাইলে এদের সংবিধান অনুযায়ী তাকে বাধা দেয়ারও কোন অধিকার নাই, যতক্ষণ না তা সরকারী খরচে হচ্ছে।আপনার এই কথার সাথে সম্পূর্ণ একমত।
আক্ষেপ, ইসলাম ধর্মের আল্লা যদি এই সহজ সত্যটি বুঝতে সক্ষম হতেন তাহলে মুসলিমদের দুর্নাম অনেকটাই ঘুচে যেত।ধন্যবাদ।
অথচ সেইম আপনিই নতুন একটা দেশে গেলে নতুন শহরে গেলে, ঐ দেশ/শহরের নিয়ম কানুন বোঝার জন্য সময় দেন, গবেষনা করেন। প্রশ্ন উত্থাপন করেন জানার ও বোঝার জন্য।
এই পৃথিবীটা একটি সামষ্টিক চারনভূমি - যেখানে ভেড়ার পালের ন্যায় আমজনতা পূর্বপুরুষ হতে উত্তোরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত ধারনানুযায়ী চলতে ফিরতে পারে। কিন্তু নতুন চিন্তাভাবনার মানুষ হিসাবে আপনার গবেষনা করতে অসুবিধা কি? আর কে না জানে গবেষনা হতে প্রাপ্ত রেজাল্ট কখনো একের অধিক শ্রেষ্ঠ কিংবা যথার্থ হতে পারে না। অর্থাৎ দুটো সত্য সমান হতে পারে না।
কে জানে আপনি হয়তো আবিষ্কার করে ফেলবেন - সব ধর্মের মূলই হল ইসলাম। সময়ের পরিক্রমায় মানুষ সেই ইসলাম হতে বের হয়ে এসে অন্য নামে ধর্মকে রিশেইফ করেছে বা নিক নামে অবহিত হচ্ছে। এই দেখুন না মাত্র ১৪০০ বছরের ইসলামের ইতিহাসে ইসলামের কতটা শাখা প্রশাখা বের হয়েছে আর সে সকল শাখা প্রশাখা এখন ইসলাম বাদ দিয়ে নিজ নামে নাম ধারন করেছে।
সো আমার মনে হয় আপনার ৫০০ ধারনাটি ভুল এবং তার আওতায় হনেস্ট যুক্তিতর্ক হতে পারে না। খোঁচা দেওয়া যায় মাত্র। ধন্যবাদ।
https://www.facebook.com/ajplusenglish/videos/568231669985011/
আর অন্য মানুষদের সাথে কি হবে জানিনা,তবে মুসলিমদের সাথে বাকী সকলের সংঘাত হবেই।
A PHP Error was encountered
Severity: Notice
Message: Undefined offset: 7228
Filename: views/blogdetailpage.php
Line Number: 917
"> ফুয়াদ পাশা লিখেছেন : তাহলে বিষয়টি কি দাড়ালো? মুসলিমরা যেখানে শক্তিশালি এবং সংখ্যাগরিষ্ঠ সেখানে তারা অন্যের স্বাধীনতাকে স্বিকৃতি দেয় না। আবার এই মুসলিমরাই যেখানে দুর্বল এবং সংখ্যালঘু সেখানে ধর্মীয় স্বাধীনতা, ব্যাক্তি স্বাধীনতা, বাক স্বাধীনতা, নামাজ পড়ার স্বাধীনতার জিকির তুলে। কি অদ্ভুত চতুর বর্বর এই মুসলিমরা। চিন্তা করতে পারেন?আর মৃত্যুর পরের জীবন! সে তো অনেক কথারে ভাই। পরস্পর বৈরী প্রায় ৪০০/৫০০ ধর্মের মাঝে কোনটা্ সত্যি, কোনটা মিথ্যা কে জানে। কোনটা রেখে কোনটা গ্রহন করে আবার কোন বিপদে পরি? তারচেয়ে ভাল ধর্ম না নিয়েই থাকি। ধন্যবাদ।
লিবারেলরা এখন অনেক জায়গায় সাধারণ শালীন পোশাকও পসন্দ করছে না। নীচের লিংকটা দেখুনঃ
https://www.facebook.com/ajplusenglish/videos/568231669985011/
A PHP Error was encountered
Severity: Notice
Message: Undefined offset: 7228
Filename: views/blogdetailpage.php
Line Number: 917
"> ফুয়াদ পাশা লিখেছেন : লিবারেলরা এখন অনেক জায়গায় সাধারণ শালীন পোশাকও পসন্দ করছে না। নীচের লিংকটা দেখুনঃhttps://www.facebook.com/ajplusenglish/videos/568231669985011/
ভিডিও লিংক দেখলাম। বিষয়টি হয়তো আংশিক সত্য। তবে ওদের কেউ চাবুক/দোররা দিয়ে পিটায় না, অথবা পাথর নিক্ষেপ করে কতলও করেনা। সান্তনা এখানেই,Thanks goodness.
জাজাকাল্লাহু খায়রা।
তারা এমন কিছু কে অবশ্যই বাধা দেবে যেটা তাদের সাধারন দৃষ্টিভঙ্গির বিপরিত।
https://www.facebook.com/ajplusenglish/videos/568231669985011/
অনেক ধন্যবাদ।
A PHP Error was encountered
Severity: Notice
Message: Undefined offset: 7228
Filename: views/blogdetailpage.php
Line Number: 917
"> ফুয়াদ পাশা লিখেছেন : ভিডিও লিংক দেখলাম। বিষয়টি হয়তো আংশিক সত্য। তবে ওদের কেউ চাবুক/দোররা দিয়ে পিটায় না, অথবা পাথর নিক্ষেপ করে কতলও করেনা। সান্তনা এখানেই,Thanks goodness.পুরো প্যাটার্নটিকে একজায়গায় এনে এমন একটা থিউরী দাঁড় করালে কি অন্যায় হবে?
স্রষ্টা বিমুখ কিংবা বৈরী শক্তি কিংবা একটা ফোর্স (এমনিতেই নাম দিলাম দজ্জাল) --
পশ্চিমা বিশ্বের চার্চ এর এক্সট্রিম ক্ষমতা তথা স্রষ্টার শরিয়া কিংবা ডিভাইন রুলস এর ফোর্সকে এ্যাড্রেস করার জন্য অল্টারনেটিভ হিসাবে 'লিবারালিজম' ধারনাকে পপুলার করতে কাজ করে এবং সাফল্য পায়। উদ্ধেশ্য ও লক্ষ্য ক্যাথলিসিজম এর শক্তিকে খর্ব করে তাকে নাম সর্বস্থ লেভেল এ পৌছানো।
ঐ একই শক্তি ইউরোপের পূর্বাংশে অর্থোডক্স চার্চ ও তার শরীয়াকে লিবারালিজম দিয়ে পরাজিত করতে পারেনি কারন মানুষ চার্চ দ্বারা উত্যাক্ত হয়নি ঠিক যেভাবে পাশ্চাত্যের মানুষ হয়েছে। ফলাফল স্বরূপ ঐ অংশ লিবারালিজমের বিপরীত এক্সট্রিমিজম তথা কমিউনিজম ধারনা আনতে বাধ্য হয় এবং ঐ কমিউনিজম দিয়ে পূর্ব ইউরোপের খৃষ্টানীটিকে কোল্ড হাউজে ধামাচাপা দেওয়া হয়। ফলাফল দুই অংশেই সেইম। খৃষ্টানীটি হারিয়ে যায় মানুষ হতে, শরীয়া গায়েব হয়ে যায়। নিশ্চিত হয় এন্টিগড এর অস্তিত্ব তথা মানুষই গড এর ভূমিকা পালন করতে থাকে কখনো রাষ্ট্রের আড়ালে আর কখনো জনমানুষের মিথ্যা ক্ষমাতায়নের আড়ালে।
অল্প মুসলিম কিংবা অন্য প্রজাতির মানুষ এ্যাজ লং এ্যাজ ঐ এন্টিগড স্বত্তার গভার্নিং এর জন্য থ্রেটেনিং নয় - ততক্ষন এটা সওয়া গেছে, সওয়া যায় এবং আগামীতেও যাবে। (যা কিছু শব্দ আসে পাশে হয় - তা ঐ শক্তির অন্য এজেন্ডার জন্য প্রয়োজন বিধায় হয়) কারন ঐ সহনশীল - প্রতারনাময় মুখোশ দিয়ে শক্তিটি অতি দ্রুতলয়ে বাংলাদেশ, পাকিস্থান, ইজিপ্ট ইত্যাকার দেশের বেশীর ভাগ গডলাভিং মানুষের ঈমান ছিনাতে পারে, তাদেরকে তার পেছনে ঘুরাতে, নাচাতে, এবং নেশাতে বুদ করে রাখতে পারে।
সো আমার মনে হয় না - ইক্যুয়েশানটা শুধু মাত্র অল্প ও বেশী সংখ্যার সাথে সম্পর্কিত - বরং আল্লাহমুখী মানুষের পাওয়ার স্ট্রাকচারের সাথে সম্পর্কিত। ঈমানদারের পাওয়ার স্ট্রাকচার যেখানেই শক্তিশালী হবে সেখানেই আঘাত আসবে। আর পাওয়ার স্ট্রাকচার বিহীন কোটি মানুষ থাকলেও - সেখানে সমস্যা হবে না। ঐ শক্তিহীন, মুক মানুষকে ব্যবহার করা হবে অন্য শক্তিকে ডিসিভ করার জন্য।
ঠিক এই জন্য ঐ সেইম স্বত্তার কাছে তাবলীগ জামায়াতের কাজ যতটা এক্সেপ্টেবল - হিজবুত তাহরীরের কাজ ততটাই আন এক্সেপ্টেবল বলে আমার মনে হয়। আল্লাহ ভাল জানেন।
ধন্যবাদ।
ভাল বিশ্লেষণ। অনেক ধন্যবাদ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন