কুকুর ও ছাত্রলীগ থেকে সাবধানঃ নাকি ‘কুকুর থেকে বাচতে ছাত্রলীগের সাহায্য নিন’।
লিখেছেন লিখেছেন আবু জারীর ১১ মে, ২০১৪, ০৮:৪৮:০৫ সকাল
কুকুর ও ছাত্রলীগ থেকে সাবধানঃ
বিশেষ করে যারা নেট পোকা তারা প্রায়ই এমন একটা পোষ্টার দেখে থাকবেন যাতে লেখা থাকেঃ
‘কুকুর ও ছাত্রলীগ থেকে সাবধান’
বিষয়টা নিয়ে অনেকবার ভেবেছি কিন্তু কোন কুল কিনারা পাইনি। কেন ছাত্রলীগকে কুকুরের সাথে তুলনা করা হয় তাও এতদিন বোধগম্য হয়নি। আজ কুরআনের তাফসির (সূরা আল আরাফঃ টীকা-১৩৯ তাফহীমূল কুর’আন) পড়তে গিয়ে কুকুরের বৈশিষ্ট সমম্পর্কে জানতে পারলাম। দেখা যাক কাকুরের সাথে ছাত্রলীগের সত্যিই কোনা মিল আছে কি না?
কুকুরের স্বভাবঃ
১) লোভ ও লালসা ।
২) চলাফেরার পথে তার নাক সব সময় মাটি শুকতে থাকে, হয়তো কোথাও কোন খাবারের গন্ধ পাওয়া যাবে এ আশায়।
৩) তার গায়ে কেউ কোন পাথর ছুড়েঁ মারলেও তার ভুল ভাংবে না। রবং তার মনে সন্দেহ জাগবে, যে জিনিসটি দিয়ে তাকে মারা হয়েছে সেটি হয়তো কোন হাড় বা রুটির টুকরা হবে।
৪) পেট পূজারী লোভী কুকুর একবার লাফিয়ে দৌড়ে গিয়ে সেই নিক্ষিপ্ত পাথরটিও কামড়ে ধরে।
৫) পথিক তার দিকে কোন দৃষ্টি না দিলেও দেখা যাবে সে লোভ-লালসার প্রতিমূর্তি হয়ে বিরাট আশায় বুক বেঁধে জিভ ঝুলিয়ে দাঁড়িয়ে হাপাচ্ছে।
৬) সে তার পেটের দৃষ্টি দিয়ে সারা দুনিয়াকে দেখে।
৭) কোথাও যদি কোন বড় লাশ পড়ে থাকে, কয়েকটি কুকুরের পেট ভরার জন্যে সেটি যথেষ্ট হলেও একটি কুকুর তার মধ্যে থেকে কেবলমাত্র তার নিজের অংশটি নিয়েই ক্ষান্ত হবে না বরং সেই সম্পূর্ণ লাশটিকে নিজের একার জন্যে আগলে রাখার চেষ্টা করবে এবং অন্য কাউকে তার ধারে কাছেও ঘেঁসতে দেবে না।
৮) পেটের লালসার পর দ্বিতীয় যে বস্তু তার ওপর প্রভাব বিস্তার করে থাকে তা হচ্ছে যৌন লালসা।
৯) সারা শরীরের মধ্যে কেবলমাত্র লজ্জাস্থানটিই তার কাছে আকর্ষনীয় এবং নির্লজ্জ ভাবে সেটিরই সে ঘ্রাণ নিতে ও চাটতে থাকে।
কোন ব্যক্তি বা সংগঠন যত বড় নামাযিই হোকনা কেন, কুর’আনের জ্ঞানে যতই জ্ঞানী হোকনা কেন, যতই তাজবিহ তাহলীল করুক না কেন, হজ্ব ওমরা করে নামের আগে আলহাজ্ব লাগাক না কেন তাতে কিছু যায় আসেনা যদি তার চরিত্র হয় দুনিয়া পূজারী, ঈমানের বাঁধন হারা, প্রবৃত্তির অন্ধ লালসার কাছে আত্মসমর্পী এবং পেট ও যৌনাংগ সর্বস্ব।
আজ আমরা চারিদিকে দেখতে পাচ্ছি খুন ছিন্তাই, রাহাজানি, চাঁদাবাজি, লুণ্ঠন এবং ধর্ষণ-ইভটেজিং সহ নানা অপকর্ম, যার প্রতিটির সাথেই ইচ্ছায় হোক বা অনিচ্ছায় হোক ছাত্রলীগ, যুবলীগ, আওয়ামিলীগের নাম জড়িত!
কুকুরের স্বভাবের সাথে লীগের স্বভাবের যদি সত্যিই কোন মিল থেকে থাকে তাহলে সে দায়িত্ব তাদের, আমাদের না। আশা করি ধর্ম বর্ণ, দল মত নির্বিশেষে প্রতিটি মানুষ তাদের চরিত্র থেকে কুকুরের স্বভাব দূর করে সত্যিকার অর্থেই কল্যাণকর মানুষে পরিণত হবে। যাতে কেউ বলতে না পারে ‘ছাত্রলীগ ও কুকুর থেকে সাবধান’ বরং স্লোগানটা যেন এমন হয়, ‘কুকুর থেকে বাচতে ছাত্রলীগের সাহায্য নিন’।
বিষয়: বিবিধ
১৪১০ বার পঠিত, ৩৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
০ ছাত্রলীগকে ডেকে আনা মানে খাল কেটে কুমির ডেকে আনা । এটা হবে
ছাত্রলীগ থেকে বাঁচতে কুকুরের সাহায্য নিন
যাদের কথা বলেছেন তারা এখন ভাড়া খাটছে!
ধন্যবাদ।
এখন অবশ্য মনে করতে পারছি না, সেই দার্শনিকের নাম বা বইটির নাম।
ভাই ওরা কি এরকম?
আল্লাহর সেরা ও পছন্দের সৃষ্টি মানুষকে কুকুর বানিয়ে ছাড়লেন,এতে আপনার মত অনেকেই খুশী হতে পারে কিন্তু এতে আল্লাহপাক কী আপনার প্রতি রাজী-খুশী হবেন।
নিশ্চয় আপনি ধর্ম ভালো জানেন কিন্তু কতটুকু মানেন,মানেন না বা অপব্যবহার করেন,তা আল্লাহপাক ভালো জানেন।
আরেকজনতো আপনার কাজে উৎসাহিত হয়ে ফটোসফ ব্যবহার করে মানুষের মুখে কুকুরের মুখ সেঁটে দিলেন। এতে পাপ পুণ্যের দায়ভার কার হবে?
ভেবে দেখুন, আপনাকে কেউ তথাকথিত রাজনীতির নামে ধর্মের অপব্যবহারকারী বা রাজনীতির ধর্ম ব্যবসায়ী বললে কী খুব বেশী ভুল বলা হবে ?
ধন্যবাদ।
ভাল লিখেছেন ভাই। চালিয়ে যান।
ধন্যবাদ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন