দীনদারী ও বুযুর্গ প্রদর্শনের জন্য খেতাব বা উপাধি গ্রহন করা বৈধ কি?
লিখেছেন লিখেছেন ফারহানা মরিয়ম ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ০৩:৩৯:২৯ দুপুর
দীনদারি ও বুযুর্গ প্রদর্শনের উদ্দেশ্যে উপাধির ছড়াছড়ি আমাদের এ অঞ্চলেই দেখা যায়। অন্য কোথাও এসব খুব কম , বলতে গেলে হাতে গোনা অথবা নেই । এসব উপাধি গ্রহনের বাড়াবাড়ি আর সীমালংঘনের কোন সীমা নেই । যেমনঃ
অলিয়ে কামেল, আশেকে রাসূল, মাহবুবে সোবহানী, কুতুবে রাব্বানী, মুজাদ্দিদে জামান, অলিকূল শিরোমনি, গাউছ, গাউছুল আজম, ইমাম আযম, মুহিউস সুন্নাহ, ইমামুল আম্বিয়াহ, কুতুবে এরশাদ, হুজুরে কেবলা, খাজা বাবা, গাউসুল সাকলায়েন, লেংটা বাবা, মইন বাবা ইত্যাদি ।
এ সবগুলিই দীনদারী , বুযুর্গি, শ্রেষ্ঠত্ব, পাপীদের মুক্তিদাতা ইত্যাদি বুঝানোর জন্য ব্যবহার করা হয় । ।
প্রথম কথা হলো এগুলি সব সুন্নতের খেলাপ। আল্লাহর রাসূল সা় এ ধরনের কোন উপাধি গ্রহন করেননি এবং তার সাহাবীরাও তাকে এ ধরনের উপাধিতে ডাকেননি ।
দ্বিতীয়ত রাসূলের উম্মতের মধ্যে শ্রেষ্ঠতম উম্মত ছিলেন সাহাবায়ে কিরামগন । আল্লাহপাক তাদেরকে ক্ষমা ও জান্নাতের সুসংবাদ দিয়েছিলেন । তারাও কেউ এ ধরনের উপাধি গ্রহন করেননি । তারা একে অন্যকে এ উপাধি দেননি, এসব নামে ডাকেননি । উম্মতের শ্রেষ্ঠ বুযুর্গগন এ উপাধি গ্রহন করেননি । তাবেয়ী, তাবে তাবেয়ী, ইমাম আবু হানিফা, শাফেয়ী, মালেক, আহম্মদ হাম্বল কেউ এ ধরনের উপাধি নেন নি। আমরা পেলাম কোথায়?
তাহলে প্রশ্ন হলো, এ ধরনের উপাধি কাদের প্রয়োজন?
জবাব একটাই, তা হলোঃ যাদের স্বার্থ বা গরজ আছে তাদেরই এ উপাধি প্রয়োজন। একটু মাথা খাটালেই বুঝা যায় সুন্নত পরিপন্থী সত্ত্বেও এ উপাধিগুলো গ্রহন বা প্রদান করা হয় সাধারনতঃ
1. জাহিল /অজ্ঞ লোকেরা।
2. মতলববাজ ও স্বার্থান্বেষী লোকজন।
3. ইসলামের নাম ব্যবহারকারী ধোঁকাবাজ লোকেরা।
এ প্রসঙ্গে আল্লাহ বলেনঃ
সুতরাং তোমরা নিজেরাই নিজেদেরকে শুদ্ধতার সার্টিফিকেট দিওনা । তিনিই অধিক জানেন কে প্রকৃত মুত্তাকী। সূরা নাজম -53।
বিষয়: বিবিধ
১০৩১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য






































পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন