"ইয়া আল্লাহ আমায় ক্ষমা করুন"
লিখেছেন লিখেছেন খয়ের খা ১৭ জানুয়ারি, ২০১৬, ০৭:৪২:০৮ সন্ধ্যা
ইয়া আল্লাহ আমায় ক্ষমা করুন. ইয়া আল্লাহ আমায় ক্ষমা করুন.. ইয়া আল্লাহ আমায় ক্ষমা করুন... ....বাংলাদেশের সর্বত্র সারা বছর বিভিন্ন ইসলামী মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে. যেখানে মহান আল্লাহর প্রতি আনুগত্য রাসুলে করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহিস সালামের প্রতি মোহাব্বত ও আদর্শ অনূকরন সর্বোপরি দোজাহানের নেকীর উদ্দেশ্যে এসব মহতী অনুষ্ঠানে হাজির থাকেন কোমলমতি শিশু হতে শুরু করে শত বর্ষী নারী পুরষ মুরব্বীরা... বিভিন্ন স্থানে ভিন্ন পরিসরে স্ব স্ব এলাকার আঙ্গিকে ও সময় অনুসারে এসব মাহফিল অত্যন্ত ধর্মীয় ভাব গাম্ভীর্য ও উৎসব মূখর পরিবেশে হয়ে থাকে এসব মাহফিল সর্বনিম্ম একদিন হতে শুরু করে করে সর্বোচ্চ ১৯ দিন পর্যন্ত হয়ে থাকে. একদিন ব্যাপী এধরনের বাংলাদেশের শহর গ্রামে সব স্হানে সারা বছরই হয়ে থাকে. তবে সারা বাংলাদেশ ও মুসলিম বিশ্বে পরিচিত এমন অনেক মাহফিল ও আমাদের দেশে হয়ে থাকে যার মধ্যে তিন দিন ব্যাপী টঙ্গীর ইজতেমা. তিন দিন ব্যাপী চরমোনাই দরবারের মাহফিল. তিন দিন ব্যাপী শর্ষিনা দরবারের মাহফিল. তিন দিন ব্যাপী জাকের মন্জিল দরবারের মাহফিল. অধুনা চট্টগ্রামে তিন দিন ব্যাপী দাওয়াতে ইসলামী ইজতেমা মাহফিল. মাইজভান্ডার দরবারের মাহফিল. জশনে জুলশ এ ঈদ এ মিলাদুন্নবী ও চট্টগ্রামের চুনতীর ১৯ দিন ব্যাপী সীরাতুন্নবী মাহফিল উল্লেখযোগ্য.. ওয়াহাবী সুন্নী যতই মতবাদ কিংবা বিতর্ক থাকুক আমরা যে দল মতেরই হই না কেন, সময় ও সুযোগ পেলে নূন্যতম মুনাজাতে অংশ নেয়া থেকে বিরত থাকেন না কেউ. এটি হচ্ছে ইসলামের প্রতি ভালবাসার বিগলিত হৃদয়ের প্রতিরূপ বিশেষ. দেশ বিদেশের স্বনামধন্য বিজ্ঞ আলেম ওলামারা এসব মাহফিলে ওয়াজ নসীহত করে ইহকালে করনীয় ও পরকালের মুক্তির বিষয়ে বয়ান করেন. দোয়া করেন দেশ, দেশের জনগন, ইসলাম ও মুসলিম উম্মাহর জন্য. আমরা করুন স্বরে আমিন আমিন বলে কান্নারত অবস্হায় মহান আল্লাহর রহমত প্রার্থনা করি.. যেখানে উপস্হিত থাকেন সর্বনিম্ম "এক লাখ হতে শুরু করে বিশ লাখ" পর্যন্ত যার সামষ্টিক সংখ্যা হয় প্রায় কয়েক কোটি.. এসব মাহফিলে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ গুরত্বপূর্ণ ব্যক্তি, প্রশাসনের কর্মকর্তা, শিক্ষক, ছাত্র, মাওলানা, ব্যবসায়ী, কৃষক, মজুর সহ সবার সরব উপস্হিতিতে মুনাজাত সম্পন্ন করে যে যার গন্তব্যে ফিরে যাই অতপর প্রাত্যহিক জীবনে অভ্যস্থ হয়ে পড়ি. আমাদের সর্বজন বিজ্ঞ আলেম ওলামারা প্রতিটি মাহফিলে মুনাজাতের আগে শুধুমাত্র একটি শপথ বাক্য পাঠ করিয়েই এই সমাজকে করতে পারেন পাপ মুক্ত ...
(এই পরামর্শ দেয়াতে যদি আমি অধমের ভূল অথবা বেয়াদবী হলে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি) ...... যেকোন বড় ছোট মাহফিল সম্পন্ন হয় আখেরী মুনাজাতের মাধ্যমে স্বভাবতই ঐ দিন অন্যান্য দিনের চেয়ে বেশি মুসল্লীর উপস্হিতি থাকে মুনাজাতের পূর্বে বিজ্ঞ মাওলানা সবাইকে মহান আল্লাহর নামে শপথ বাক্য পাঠ করাবেন এভাবে ইয়া আল্লাহ আমি আজ তোমার নামে শপথ করছি যে এই মূহুর্ত হতে মৃত্যুর পূর্ব মূহুর্ত পর্যন্ত আমি আর মিথ্যা কথা বলিব না. কোন পাপ কার্যে লিপ্ত হইবনা.. আমার উপর অর্পিত দায়িত্ব সৎ নিষ্ঠা সহকারে পালন করিব... কোন প্ললোভনে নিজের বিবেককে বিসর্জন দিবনা... সকল প্রকার দূর্ণীতি হইতে দূরে থাকিব ... সমাজ ও রাষ্ট্রবিরোধী কাজ করিব না ... অহেতুক কাউকে হয়রানি করিবনা ... মাদক জুয়া ও সকল প্রকার অশ্লীলতা হতে নিজেকে বিরত রাখিব... কোন প্রকার সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িত হবনা... পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ নিয়ম অনুসারে পড়িব... আন্দোলনের নামে জনমনে ভয়ভীতি ও জ্বালাও পোড়াও করিবনা ... পিতামাতার অবাধ্য হইবনা ... স্ত্রী পুত্র/কন্যার প্রতি সদয় আচরণ করিব ... শিক্ষকদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ও ছাত্রছাত্রীদের প্রতি স্নেহশীল আচরণ করিব ... সকল প্রকার হারাম হইতে নিজেকে বিরত রাখিব এবং অন্যকে তা পালনে সহায়তা করিব ... কাহারো উপর কোন জুলম করিব না ... আমি বাংলাদেশের একজন সুনাগরিক হিসাবে সকল নিয়ম কানুন মানিয়া চলিব ... ঋন খেলাপী, কর খেলাপী, বিল খেলাপী হইব না ... সর্বোপরি সমাজ, দেশ ও ধর্মবিরোধী সকল প্রকার অপরাধ মূলক কর্মকান্ড হইতে নিজেকে বিরত রাখিব ... রাসুলে করীম (সাঃ) এর আদর্শে যেন নিজেকে গড়তে পারি ... হে আল্লাহ এই মাহফিলে তোমার পবিত্র নামে শপথ নিলাম বাচিঁয়া থাকিলে আগামী মাহফিলে এসে যেন তা প্রমাণ করতে পারি. আমিন...... উপরোক্ত নিয়ম অনুযায়ী শপথ বাক্য পাঠ করাইলে এবং তা পালন করিলে আর সকল অপরাধ পরিহার করে সত্যের পথ ধরে চললে মাত্র পাঁচ বছরের মধ্যেই বাংলাদেশ হবে পৃথিবীর সবচাইতে সুখী সমৃদ্ধশালী অপরাধমুক্ত নিরাপদ দেশ... বাংলাদেশ হবে পৃথিবীর অন্যতম ধনী দেশ. সত্যিকারের সোনার বাংলাদেশ .. ইনশাআল্লাহ ......
বিষয়: বিবিধ
১৩২৫ বার পঠিত, ২০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
এ সব মাহফিলের শেষ মুনাজাততে আমরা যাই কিছু প্রপ্তির আশায়৷ আমরা এ সব মাহফিলে আগেই সর্বোচ্য প্রাপ্তি জান্নাতের মৌখিক মালিকানা বিভিন্ন বক্তা হতে পেয়েই যাই৷ কেউবা আখেরাতে জাহাজে পার করার কেউ বোরাকে পার হবার গ্যারান্টি দিয়েই দেন৷বিনিময়ে আমাদেরও যে কিছু মূল্য দিতে হবে তা যেমন আমরা জানিনা, তেমনই কোন হুজুরও বলেন না৷ আর না বলাার কারণ হল পদ পদবী হারানোর ভয়৷আর আমাদের অজ্ঞ থাকার কারণ নিজেরা কোরআন হাদীশ খুলে দেখিনা, তার থেকে সহজ মনে করি ইমাম, ওলী আওলিয়া পীরের আনুগত্যকে৷অতএব আসুন আমরা মানুষকে সাধ্য মত সচেতন করি৷ যদিও তাতে প্রতিষ্ঠিত জনমতের কাছে লাঞ্ছিত অপদস্থ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে৷ ধন্যবাদ৷
খুব সুন্দর বলেছেন,
কিনতু ওনারা শুনবেননা, বা শুনলে ঐ রকম আখেরী মোনাজাতে ঠাঁই পাবেননা!!
তবুও বলে যেতে হবে-
জাযাকাল্লাহ
মন্তব্য করতে লগইন করুন