কুখ্যাত রাজাকার আলী আহসান মুজাহিদের ফঁসি চাই।
লিখেছেন লিখেছেন নীলাঞ্জনা ১৩ জুন, ২০১৫, ১০:৪০:৫০ রাত
কুখ্যাত রাজাকার, ফরিদপুরের কসাই আলী আহসান মুজাহিদের আপীলের চূড়ান্ত রায় আগামী ১৬ জুন।
মুজাহিদের বিরুদ্ধে বুদ্ধিজীবী হত্যা, গণহত্যা, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট, দেশান্তরে বাধ্য করাসহ বিরুদ্ধে বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের সাতটি অভিযোগ আনা হয়। এরমধ্যে দৈনিক ইত্তেফাকের তৎকালীন নির্বাহী সম্পাদক সিরাজউদ্দিন হোসেনকে অপহরণের নির্দেশ দেয়ার বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছে। রণজিত্ হত্যায় তার জড়িত থাকার বিষয়টিও প্রমাণিত হয়েছে।
এছাড়া ফরিদপুরের বাক চরে হিন্দুদের ওপর নির্যাতন, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ ও দেশত্যাগে বাধ্য করা ও হত্যার বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছে। বুদ্ধিজীবী সুরকার আলতাফ মাহমুদ, বদি, ও রুমিকে হত্যার বিষয়টিও প্রমাণিত হয়েছে।
প্রত্যাশা করছি এই মানবতাবিরোধী অপরাধীর সর্বোচ্চ দন্ড বহাল রেখে বাংলাদেশ রাষ্ট্রকে শহীদ পরিবারের কাছে দায়মুক্তির সুযোগ দেবে মাননীয় আদালত। আপনিও আওয়াজ তুলুন এই যুদ্ধাপরাধীর সর্বোচ্চ দন্ডের দাবীতে।
বিষয়: বিবিধ
১৩৭৬ বার পঠিত, ১১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ফাসির রায় যেন নিজেই লিখতেছে।
হাসিনা যদি এরকম বিচার/ফাসিকে ছেলেখেলা বানায়, তাহলে জনগণও বসে থাকবে বলে মনে হয়না।
তখন অক্ষম ক্রোধে মনের দুঃখে মুমিনরা বলবে- 'আল্লাহ এভাবেই খাস বান্দার ঈমান টেস্ট করেন।' ঠিক কিনা?
তখন মুজাহিদ ভাই বললেন, বাবা এটা তোমার আব্বু মুজাহিদের গাড়ি না, এটা মন্ত্রী মুজাহিদের গাড়ি। আজ তোমাকে গাড়িতে উঠালে কাল হাশরের ময়দানে রাষ্ট্রীয় গাড়ি ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করেছি বলে আল্লাহর দরবারে আসামীর কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে। ছেলের হাতে দশ টাকার একটা নোট দিয়ে বললেন, বাবা এই টাকা দিয়ে তুমি লোকাল বাসে করে চলে যাও। উপস্থিত পুলিশ অফিসার ও অন্যরা মন্ত্রীর এই আচরনে কেউ নিজেদের চোখের পানি ধরে রাখতে পারেন নি।
এই দুইটা ঘটনা ২০০৫ সালের শেষের দিকে এক কর্মী সমাবেশে ইসলামি ছাত্রশিবিরের জেলা পর্যায়ের একজন দায়িত্বশীলের মুখ থেকে শুনেছিলাম।ফখরুদ্দিন-মঈনুদ্দিন সরকার ও হাছিনা সরকার দূরবীন দিয়েও বিগত জোট সরকারের সমাজকল্যাণ মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রী আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ ও শিল্প মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রী মতিউর রহমান নিজামীর বিরুদ্ধে ১ টাকা পরিমান দুর্নীতি খুজে বের করতে পারেনি। জাতীর জন্য এরাই কি অপরাধী..?
মন্তব্য করতে লগইন করুন