ভালোবাসার চিঠি ও নববধূর আত্মহননের গল্প...
লিখেছেন লিখেছেন সরোজ মেহেদী ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫, ০৫:১২:০৯ বিকাল
গাজীপুরের শ্রীপুরের ১১ বছর বয়সী এক বালিকার নাম শান্তি।ও ভালবেসেছিল আল আমিন নামের এক কিশোরকে।পারিবারিকভাবে ওদের বিয়ে ঠিক হয়।তবে সমস্যাবাধে ছেলের মা ৫০ হাজার টাকা যৌতুক দাবি করলে।শান্তির (গরীব) বাবা টাকা দিতে পারবে না।ছেলের মা টাকা না পেলে বিয়ে হতে দেবে না।শুরু হলো দুই পরিবারের টাকাময় সমস্যা।এইসব দেখা দু:খিত শান্তি গত রাতে গলায় ওড়না পেচিয়ে করেছে আত্মহত্যা!
একেবারে চলে যাওয়ার আগে অবশ্য প্রেমিককে একটি চিঠি লিখে গেছে হবু বালিকা বধূটি।
‘চিঠিটি’
‘‘প্রিয় আল-আমিন, আমি তোমাকে ভালবাসতাম ঠিকই। কিন্তু তোমার পরিবার থেকে যে ৫০ হাজার টাকা যৌতুক চাওয়া হয়েছে তা আমার বাবা দিতে পারবে না। তোমার মা এ টাকা ছাড়া বিয়ে মেনে নিবে না।তাই আমি চলে গেলাম।আর কোনো দিন তোমার সামনে আসবো না।৫০ হাজার টাকা নিয়ে তুমি অন্য কোন মেয়েকে বিয়ে কর। যদি কোন ভুল করে থাকি ক্ষমা করে দিও।’’
প্রশ্ন: চতুর্থ শ্রেণীতে পড়ুয়া এই মেয়েটিরতো এই বয়সে স্কুলের বন্ধু বান্ধবের সাথে মালাটোলা বা পুতুল খেলার কথা।ও কেমনে ভালোবাসা বুঝল আর ভালোবাসার জন্য জীবন দিতে শিখল!
গাজীপুরের শ্রীপুরের উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের আবদার গ্রামের (ঢালীপাড়া) আব্দুল খালেকের মেয়ে শান্তি।সে আবদার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণীর ছাত্রী ছিল।
বিষয়: বিবিধ
১৪২৭ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
বাংলাদেশ ও পার্শবর্তী দেশগুলোতে ভালোবাসা-ভালোলাগার ব্যাপারটি চার-পাঁচবছর বয়স থেকেই শুরু হয়- যদিও তখন তাতে যৌনতার বিষয়গুলোর তেমন প্রভাব থাকেনা!
কিন্তু মেয়েরা আট পার হলেই, বিশেষত অনগ্রসর সমাজে, পূর্ণতা পেয়ে যায়!
তা্ই ১১বছরের শান্তি পরিপূর্ণ নারীই ছিল- এতে কোন সন্দেহ নেই!
বা ছেলের মাতা-পিতাকে জেলে ঢুকিয়ে দিতো !
মন্তব্য করতে লগইন করুন