চলুন ঘুরে আসি সৌন্দর্যের দ্বীপ চরকুকরি মুকরি

লিখেছেন লিখেছেন ইগলের চোখ ১৯ জানুয়ারি, ২০১৬, ০৩:১৯:১৮ দুপুর



সৃষ্টিকর্তার অপরূপ সৌন্দর্যের লীলাভূমি কুকরী-মুকরীকে নিয়ে এতদি.ন কেউ ভাবেনি। সম্প্রতি ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়ায় সম্প্রচারের পর এ দ্বীপ সম্পর্কে ভ্রমণ পিপাসুদের আকৃষ্ট করেছে। নৈসর্গিক সৌন্দর্য নয়নাভিরাম দৃশ্য, ম্যানগ্রোভ অরণ্য যে কোন পর্যটকদের সৌন্দর্যপিপাসু দৃষ্টিকে আকৃষ্ট করবে। যা অনেকের কাছে এখনো অজানা। ভোলা জেলা শহর থেকে প্রায় ১২০ কিলোমিটার দূরে অনেকটা বঙ্গোপসাগরের কোল ঘেঁষে মেঘনা ও তেতুঁলিয়া নদীর মোহনায় গড়ে ওঠা এই চরকুকরি মুকরিতেই রয়েছে বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য। চারদিকে জলরাশিদ্বারা বেষ্টিত প্রমত্তা মেঘনার উত্তাল ঢেউয়ে পলি জমতে জমতে এ দ্বীপটির জন্ম। সাগরের কোল ঘেষে জন্ম নেয়ায় কুকরি মুকরিকে অনেকে স্বপ্নের দ্বীপ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। প্রায় ৮শ’ বছরের পুরনো এই স্বপ্নের দ্বীপ কুকরি মুকরি বর্তমানে দক্ষিণাঞ্চল তথা সর্বাঞ্চলের কাছে অতি পরিচিত নাম। পরিবেষ্টিত ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল, সর্পিল লেক, বালুকাময় তীর, সি-বিচ, সামুদ্রিক নির্মল হাওয়া, তরঙ্গ গর্জন, সবই কুকরীর বালুর ধুমে। যা মনোমুগ্ধকর রূপসজ্জা আর প্রকৃতির লীলাভূমি। অন্যান্য দ্বীপের চাইতে কুকরী-মুকরী দ্বীপ অনেকটা সিভিলাইজড। এখানে অন্যান্য সৈকতের চেয়ে নৈসর্গিক সৌঃন্দর্য এবং বৈচিত্র বিদ্যমান। এখানে একটি ইকোপার্ক প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে আধুনিক সভ্যতায় পর্যটকরা আরো উজ্জীবিত হবে। ভ্রমন পিপাসুরা একবার হলেও নৈসর্গিক সৌন্দর্যের লীলাভূমিকে স্বচক্ষে ঘুরে আসুন। কুকরি-মুকরিতে পূর্ণাঙ্গ পর্যটন কেন্দ্র হলে দক্ষিণ ভোলার উপকূলবাসীসহ ভ্রমন বিলাসী পর্যটকদের মন উজ্জীবিত হবে। একটু চেষ্টা করলে চর কুকরি মুকরি হতে পারে পর্যটকদের এক অনিবার্য আকর্ষণ। এখান থেকে সরকারও রাজস্ব আয়ের এক স্থায়ী উৎস খুজে পেতে পারে। তাই এই দ্বীপটিকে পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা একান্ত প্রয়োজন।

বিষয়: বিবিধ

১৩০২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File