২০১৫ সালের মধ্যে ১১ হাজার ৪৫৭ মেগাওয়াট বিদ্যুত জাতীয় গ্রিডে প্রদানের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে সরকার

লিখেছেন লিখেছেন ইগলের চোখ ২৬ জুলাই, ২০১৫, ০৩:২১:৩২ দুপুর



রামপালে ১৩২০ মেগাওয়াটের আরও একটি বিদ্যুত কেন্দ্র স্থাপন করা হচ্ছে। এজন্য দ্বিতীয় ব্লক উন্নয়নের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এটি বাস্তবায়নে ৪৯২ কোটি ৪২ লাখ ১০ হাজার টাকা ব্যয় হবে। ইতোমধ্যেই প্রথম ব্লকে বাংলাদেশ-ভারতের যৌথ উদ্যোগে ১৩২০ মেগাওয়াটের কয়লাভিত্তিক বিদ্যুত কেন্দ্র স্থাপন করা হচ্ছে। ২০১৫ সালের মধ্যে ১১ হাজার ৪৫৭ মেগাওয়াট বিদ্যুত জাতীয় গ্রিডে প্রদানের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে সরকার । এ লক্ষ্য পূরণে সরকার বেশ কয়েকটি বিদ্যুত কেন্দ্র স্থাপন অব্যাহত রেখেছে। তারই অংশ হিসেবে ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক বিদ্যুত কেন্দ্র স্থাপনের জন্য কাজকরে যাচ্ছে সরকার। ২০১৭ সালের জুনের মধ্যে এটি বাস্তবায়নের কাজ শেষ করবে বাংলাদেশ বিদ্যুত উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি)। বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল দেশ। দেশের উন্নয়নে বিদ্যুত গুরুত্বপূর্ণ চালিকাশক্তি। বর্তমানে প্রতিবছর ১০ শতাংশ হারে বিদ্যুতের চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এখন দেশে বিদ্যুত উৎপাদনে স্থাপিত ক্ষমতা হচ্ছে ১১ হাজার ৫৩২ মেগাওয়াট। এর মধ্যে ৭২ শতাংশ প্রাকৃতিক গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুত কেন্দ্র থেকে পাওয়া যায়। সরকারী পূর্বাভাস অনুযায়ী ২০২১ সালে দেশে সর্বোচ্চ বিদ্যুতের চাহিদা হবে ১৮ হাজার ৮৩৮ মেগাওয়াট এবং ২০৩০ সালে হবে ৩৩ হাজার ৭০৮ মেগাওয়াট। এ চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে সরকার ২০১০ সালে পাওয়ার সিস্টেম মাস্টার প্ল্যান তৈরি করেছে। ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুত কেন্দ্রের জন্য বাংরাদেশ-ভারত ফ্রেন্ডশিপ প্রাইভেট কোম্পানি লিমিটেডকে ৯১৫ দশমিক ৫০ একর জায়গা দেয়া হয়েছে। রামপাল-১৩২০ মেগাওয়াট প্রকল্পর প্রথম ইউনিট উৎপাদনে আসবে ২০১৮-এর ডিসেম্বরের মধ্যে। সর্বাধুনিক এই প্রযুক্তি দক্ষ এবং কম পরিবেশ দূষণকারী। যা অনেক দেশেরই সুপারক্রিটিক্যাল প্রযুক্তি নেই।

বিষয়: বিবিধ

৭৩৬ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

331701
২৬ জুলাই ২০১৫ দুপুর ০৩:৫৯
হতভাগা লিখেছেন : বিদ্যুত খাতে হাসিনার সরকার অস্থির সাফল্য পেয়েছে । এটাই তাদেরকে আরও কয়েক টার্ম ক্ষমতায় রাখতে টনিকের কাজ করবে ।

চরম হাসিনা বিদ্বেষীরাও মনে মনে এই সাফল্যের জন্য হাসিনাকে স্যালুট করে।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File