উন্নত সড়ক যোগাযোগ, কৃষি উপকরণের সহজ প্রাপ্তি দেশের অর্থনীতিকে করেছে চাঙ্গা এবং দারিদ্র্যের হার অনেকাংশে লাঘব করেছে
লিখেছেন লিখেছেন আমি অরন্য ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫, ০৬:০৭:০৪ সন্ধ্যা
গ্রামের উন্নত সড়ক দেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করে দারিদ্র্যের হার অনেক কমিয়েছে। কৃষি উৎপাদন বেড়ে দ্রুত পণ্য সরবরাহ বেড়েছে। বিদ্যুত ও সোলার প্যানেল পৌঁছে কুটির শিল্পের প্রসার ঘটেছে। বেড়েছে শিক্ষার হার। বিশেষ করে নারীশিক্ষা বেড়ে নারী উন্নয়নের ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে। উন্নয়নের এই ধারার সঙ্গে তথ্য যোগাযোগ ও প্রযুক্তির (আইসিটি) বিস্তার ঘটে কৃষক পরিবারে জীবনমান বেড়ে গেছে। বেড়েছে সঞ্চয়ের হার। যাদের এক সময় চাষাভুষা বলা হতো তাদের সন্তানরা বিদেশ গিয়ে রেমিটেন্স পাঠিয়ে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়িয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের (বাংলাদেশ ব্যাংক) এক সূত্রে দেশে বর্তমানে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩০ বিলিয়ন কোটি টাকার কাছাকাছি পৌঁছে গেছে, যা এ যাবতকালের সর্বোচ্চ। বিশ্বব্যাংকের হিসাবে এশিয়ার উন্নয়নশীল দেশের মধ্যে বাংলাদেশে গ্রামীণ উন্নত সড়ক বেশি। গ্রামে প্রতি এক শ’ বর্গকিলোমিটার এলাকায় উন্নত সড়ক ২শ’ ১০ কিলোমিটার। একই আয়তনে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে এই হার ১শ’ ৩৬ কিলোমিটার। পাকিস্তানে ৩৫ কিলোমিটার ও নেপালে মাত্র ১৪ কিলোমিটার। বর্তমানে সব মিলিয়ে গ্রামীণ বা পল্লী সড়কের দৈর্ঘ্য ৩ লাখ ১০ হাজার কিলোমিটার। এর বড় একটি অংশই পাকা। এক গবেষণায় দেখা গেছে, গ্রামে পাকা সড়ক ও মাটির উন্নত সড়ক হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সব ধরনের যন্ত্রযান (বাস, মিনিবাস, ট্রাক, সিএনজি চালিত অটোরিকশা, টেম্পো ব্যাটারি চালিত যান) একেবারে দোরগোড়ায় পৌঁছে গেছে। উপজেলার সঙ্গে জেলা শহরের যোগাযোগ এতটাই নিবিড় হয়েছে যে, কাছাকাছি উপজেলাকে জেলার অংশ বলেই মনে করা হয়। উন্নত সড়ক ব্যবস্থার কারণে কৃষি উপকরণ বিশেষ করে সার- ডিজেল এখন কৃষকের দোরগোড়ায় পৌঁছেছে। কৃষক তার উৎপাদিত পণ্য কখনও পাওয়ারটিলারের সঙ্গে ট্রলি এঁটে কখনও মিনিট্রাকে করে দ্রুত নিয়ে যাচ্ছে হাটবাজারে। কৃষি উপকরণের সহজ প্রাপ্তিতে এখন ভরবছর কোন না কোন আবাদ হচ্ছেই। বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলে সবজি আবাদ বেড়ে বিদেশে রফতানি হচ্ছে। বৃহত্তর রংপুর অঞ্চলে বর্তমানে সকল ধরনের আবাদ বেড়ে গিয়ে সেখানে দারিদ্র্য এতটাই কমেছে যে, এখন আর কোন কামলাকিষান, দিনমজুর ঐ অঞ্চল থেকে দেশের কোথাও যায় না। বছরকয়েক আগেও বৃহত্তর রংপুর অঞ্চলের বড় পরিচিতি ছিল দারিদ্র্যপীড়িত এলাকা (যা মঙ্গা নামে অধিক পরিচিত) এখন আর সেটা নেই। এ সব কিছুই সম্ভব হয়েছে সরকারের নিবিড় পর্যবেক্ষণ এবং সঠিক দিক নির্দেশনার ফলে। দেশের অর্থনীতি এভাবেই সামনের দিকে এগিয়ে যাবে এটাই সবার প্রত্যাশা।
বিষয়: বিবিধ
৭২১ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন