সামরিক ঘাঁটি দখলের তীব্র লড়ায়
লিখেছেন লিখেছেন ইসলামী দুনিয়া ২৩ অক্টোবর, ২০১৪, ০৫:৩৫:০৭ বিকাল
হাতে গোনা কয়েকটা বিমান শত্রুদের কাছ থেকে পাওয়া। এগুলো দিয়েই কমান্ডার আমাদের জন্য প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা করলেন। যদি আমাদের কাছে প্রচুর পরিমানে জ্বালানি ছিল, কিন্তু সঠিক প্রশিক্ষনের অভাবে বিমানগুলো এতদিন আকাশে উড়ানো সম্ভব হয়নি। এদিকে শত্রুদের কাছ থেকে কয়েকটা সামরিক বিমান হাতে আসাতে শত্রুদের গলায় কাটা লাগার মত অবস্থা। কমান্ডার সময়ক্ষেপন না করে যতদ্রুত পারা যায় একটি শক্তিশালি বিমান ইউনিট তৈরি করতে মনোনিবেশ করলেন। ৩৪ জন সৈন্য নিয়ে একটি শক্তিশালি বিমান ইউনিট তৈরি হল। আমিও আছি সেই ইউনিটে। আমাদের প্রথম র্টাগেট শত্রুদের বাকী বিমানগুলো ধ্বংস করে দেয়া। শুরু হল অভিযান শুরু করার কার্যক্রম। প্রথমে শত্রুদের ঘাটি লক্ষ্য করে রকেট নিক্ষেপ, অতপর মেসিনগানের গুলি বর্ষন শেষমেস যেভাবে পারা যায় টার্মিনালের ভিতরে অবস্থানরত বিমানগুলো বিষ্ফোরন করে উড়িয়ে দেয়া। সব মিলিয়ে ২৫০ জনে একটি টিম তৈরি করা হলো। যারা সরাসরি অভিযোনে অংশগ্রহণ করবে।
সর্বপ্রথম আর্টিলাটি কমান্ডোরা পর্যবেক্ষন শরু করতে গেলেন। আশেপাশের অবস্থান পর্যবেক্ষন ও আমাদের সামরিক কমান্ডারদের অবহিত করতে লাগলেন। সবকিছু বুঝে শুনে কমান্ডার চাইলেন শত্রুপক্ষকে বিমান উড়ানোর সুযোগ না দিতে। কারণ শত্রুরা যদি বিমান উড়াতে পারে তাহলে আমাদের ভারী অবস্থানগুলোতে হামলা করা তাদের জন্য সহজ হবে। তাই যেকোন ভাবেই হোক শত্রুদের বিমান উড়া বন্ধ করা নিশ্চিত করতে হবে।
আমরা সবাই অর্ধরাত নাগাদ ঘাটির চারপাশে অবস্থান করলাম। ঠিক শেষরাতে কমান্ডারের নির্দেশে বড় মাপের কয়টা রকেট নিক্ষেপ করা হলো ঘাটির ভিতরে। প্রচন্ড গর্জনে রকেটগুলো ঘাটিতে গিয়ে আঘাত করল। হয়তবা একটি রকেট তেল ট্যাকারে গিয়ে আঘাত হানল, এবার কাম সারাই। বিশাল সামরিক বিমান বন্দরের ভিতরে মজুদ করা তেলের ট্যাংকার গুলো একের পর এক বিষ্ফোরন হওয়া শুরু হলো। আগুন ধরে গেল ঘাটির ভিতরে ঘুমন্ত সৈন্যগুলোর আবাসিক আপার্টমেন্টগুলোতেও। চিতকার আর হৈহুল্লা এক কিলো দুর থেকেও আমারা শুনতে পাচ্ছি। আমরা এগুতে শুরু করলাম। মেশিনগানের গুলি বর্ষন করতে করতে আমাদের কামান্ডো ইউনিট এগিয়ে যাচ্ছে। পাশাপাশি রকেট লাঞ্চার থেকে গ্রেনেড ছুড়ছে কেউ কেউ। সবাই একেবারে ঘাটির বাইরে অবস্থান নিলাম। গুলির শব্দে আর চিতকারে কান ঝালাপালা হওয়ার অবস্থা। বাইরের গেটে আমরা অবস্থান নিলাম যাতে কোন শত্রু বের হয়ে আক্রমন অথবা পালাতে না পারে। উদ্ধতন কর্মকর্তা থেকে গভীর পর্যবেক্ষন হচ্ছে যে কোন বিমান উড়তে কিনা ঘাটি থেকে। মেশিনগানের নল গেটের ঠিক বরাবর রাখলাম আর ভীরু ইদুরদের শিকার করতে লাগলাম। ঘাটির ভিতর থেকে আবার রকেট আঘাত হানার শব্দ পাওয়া গেল। ধীরে ধীরে চিতকার আর হৈহুল্লা কমে যেতে শুর করল। সকাল পর্যন্ত অপেক্ষা করে কোন শত্রু আর বাইরের গেটে আসছে না। সফল অভিযান পরিচালনা করে সবাই মিলে শুক্রিয়া জ্ঞাপন করলাম।
বিষয়: বিবিধ
১২২৯ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য






































পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন