তরুণ-যুবকদের পর্নোগ্রাফি আসক্তি যৌন জীবনে বিপর্যয়ের কারণ ! এবং পরিত্রানের উপায়
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ০১:০১:৫৮ দুপুর
আমাদের এই আধুনিক যুগে ইন্টারনেটের প্রভাবে বর্তমানে পর্নোগ্রাফি তরুণ-যুবকদের কাছে আগের তুলনায় অনেক সহজলভ্য হয়ে গেছে।
গবেষণায় দেখা গেছে, অনেকে ১১ বছর বয়স থেকেই পর্নোগ্রাফিতে অভ্যস্ত হয়ে গেছে। ফলে পর্নোগ্রাফি সহজলভ্য হওয়ার আগে তরুণরা যেমন বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ বোধ করত এখন তার ধরন পরিবর্তিত হয়েছে।
গবেষকরা জানিয়েছেন, কম্পিউটার বা বিভিন্ন ডিভাইসের এ ভিডিও কিংবা ছবির মাধ্যমে যৌনতায় অভ্যস্ত হওয়ায় তা তাদের মস্তিষ্কে প্রভাব বিস্তার করে।
এই বিষয়ে আমাদের সকলেরই সতর্ক দৃষ্টি রাখা উচিত।
ধর্মীয় কাজের দিকে আগ্রহ সৃষ্টি করতে হবে বিশেষ করে মা বাবা যদি সারাদিন ভারতিয় সিরিয়াল দেখতে অভ্যস্ত হয় তো সেই সন্তানকে কন্ট্রোল করতে পারবেন না।
নিজেরা যেমন নামাজ কালাম কোরান তেলাওয়াত করতে হবে এবং সন্তানকেও অনুরুপ কাজে উদ্ভুদ্ধ করতে হবে তবে ধীরে ধীরে আপনার সন্তান স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসবে।
এছাড়াও এসব বিষয় যাতে মাথায় না ঢুকে তার জন্য নিজের কাজের প্রতি মনোযোগ, সৃজনশীল কাজে সময় ব্যয় করা, পড়াশোনা, খেলাধুলাসহ অন্যান্য সামাজিক কাজে অংশগ্রহণ করা যেতে পারে।
অবিভাবকদের তাদের নিজ নিজ কিশোর সন্তানদের ব্যাপারে সব সময় সতর্ক থাকা উচিত।
তাদের সন্তানরা কোথায় যাচ্ছে, কাদের সাথে মিশছে, পড়াশোনা ঠিকমত করছে কিনা এ বিষয় গুলো নিয়মিত তদারকি করা উচিত।
সংগ্রহিত
বিষয়: বিবিধ
১১৫৭ বার পঠিত, ৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আল্লাহ আমাদেরকে হেফাযত করুন এবং আমাদের সন্তানদেরকে হেফাযত করুন আমিন
বিয়ের উপযুক্ত হওয়া মাত্র; তথা বয়োঃপ্রাপ্ত প্রতিটি কিশোর-কিশোরী, যুবক-যুবতীর জন্য সহজেই বিয়ে করার ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। শির্ক সমতুল্য সরকারের তথাকথিত বিয়ের বয়স নির্ধারনের বিরুদ্ধে মুমিনদের সরকারের মুখোমুখি দাঁড়াতে হবে। সর্বোপরী পর্নোগ্রাফী, জেনাহ - র বিরুদ্ধে ধর্মীয় সমাবেশ হতে শুরু করে সর্বত্র সচেতনতামূলক কথা বলতে হবে এবং পারিবারিক, সামাজিকভাবে পর্নোগ্রাফী ও জেনাহ আসক্ত মানুষদের প্রতি শাস্তিমূলক বিভিন্ন ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে - যতক্ষন না তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয়ভাবে ব্যবস্থা না নেওয়া যায়।
সমাজকে অস্তিমজ্জা করে ছেড়েছে এই শির্ক সমতুল্য সরকার
জাজাকাল্লাহ খায়ের
কিন্তু মুসলিম সেন্স ও গবেষনানুযায়ী যা কিছু পাপ, যা কিছু নেগেটিভ, যা কিছু মানুষ কে তার স্বাভাবিক সাবমিশান হতে বের করে নিয়ে জাহান্নাম নিশ্চিত করবে - তাতে জিন শয়তান ও মানুষ শয়তান আকর্ষন সৃষ্টি করবে - যাতে শয়তান তার প্রমিজ অনুযায়ী ইনসানকে জাহান্নামে দাখিল করাতে পারে।
মন্তব্য করতে লগইন করুন