“শেখ কামাল ছিল বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী-বেঁচে থাকলে সে জাতিকে অনেক কিছু দিতে পারতো ”
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি ০৬ আগস্ট, ২০১৫, ০৯:১৮:৫৯ রাত
হাসিনা বলেছেন, “শেখ কামাল ছিল বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী এবং বেঁচে থাকলে সে জাতিকে অনেক কিছু দিতে পারতো ”
আসুন দেখা যাক, কি কি গুণের অধিকারী ছিল এই কামাল;
১) শেখ মজিবের শাসনকে বিরোধী দল মুক্ত করতে কামাল নিজের স্টেনগন নিয়ে একটা টিম বানায়, যারা সারা ঢাকা শহর থেকে যুবকদেরকে ধরে ধরে নিয়ে যেতে আবাহনী ক্লাবে। বেশীর ভাগই নিহত হয়েছিলেন। আহমদ ছফাকেও ধরার জন্য কামাল বাহিনী দৌড়িয়েছিল। ঢাকা শহরের মুর্তিমান আতঙ্ক ছিল কামাল।
২) শেখ কামালের চোখে কোনো সুন্দরী পড়লে তার নিস্তার ছিল না। দেশের সেরা নারী এথলেট সুলতানার সৌন্দয্যে মুগ্ধ হয়ে মুজিব পুত্র অস্ত্রের মুখে তুলে নিয়ে যায়। এহেন বিব্রতকর কাজে বিরক্ত হয়ে সুলতানার সাথে বিয়ে দিয়ে দেন মুজিব।
৩) ১৯৭২ সালে ২১ ফেব্রুয়ারী প্রভাত ফেরী থেকে ৭ টি মেয়েকে তুলে নিয়ে যায় কামালের বাহিনী, তারপরে চলে উপর্যুপরি ধর্ষন।
৪) মতিয়া চৌধুরীকে প্রেসক্লাবে ধাওয়া করে ধর্ষনের চেষ্টা করে শেখ কামাল।
৫) ১৯৭৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুহসীন হলের সামনে সেভেন মার্ডারের জন্য দায়ী শেখ মুজিবের ছেলে শেখ কামাল।
৬) আবাহনী ক্লাবের সাথে ফুটবল খেলার সময় বিপক্ষ দলের গোল পোষ্টের পিছনে স্টেনগান নিয়ে দাড়িয়ে থাকত কামাল, যাতে করে গোলকীপার বল ছেড়ে দিয়ে আবাহনীর বিজয় নিশ্চিত হয়।
৭) ১৯৭৩ সালের শেষের দিকে ঢাকায় প্রকাশ্য দিবালোকে লোমহর্ষক ব্যাংক ডাকাতি করে। পুলিশ ডাকাতদের ধাওয়া করলে দু’পক্ষেই গুলি বিনিময় হয়। ৬ জন ডাকাত ধরা পড়ে। এই ৬ জনের একজন ছিল প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবর রহমানের জেষ্ঠ পুত্র শেখ কামাল। শেখ কামালসহ কয়েকজন দুস্কৃতিকারী আহত হয় পুলিশের গুলিতে। কিন্তু পুলিশের বিবৃতিতে পরে বলা হয়, “দুস্কৃতিকারীদের ধাওয়াকালে দুর্ঘটনাক্রমে শেখ কামাল ও তার সঙ্গীরা পুলিশের গুলিতে আহত হয়।” কোথাও কোনো খুন, ডাকাতির ঘটনার খবর পেলেই শেখ মুজিব স্ত্রীকে ফোন করে খোঁজ দিতো, “হাসুর মা, দেখো তো কামাল ঘরে আছে কি না?” এরপরে আর কামাল চরিত্র নিয়া বলার কিছু আছে কি?
৮) ১৫ আগস্ট ১৯৭৫ শেখ মজিবের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার কথা ছিল। শেখ কামাল নিজেই তার বাহিনী নিয়ে ক্যাম্পাস পাহারায় নেমে পড়ে। ১৪ আগষ্ট রাতে তার থাকার কথা ছিল ক্যাম্পাসে। কিন্তু সে চলে যায় বাসায়। সকালে ৩২ নম্বরের বাড়ি ঘেরাও করে শেখ মুজিবকে আটক করে নিয়ে যেতে চায় মেজর মহিউদ্দিন ও মেজর নূরের বাহিনী। কিন্তু কামাল তার স্টেনগান থেকে গুলি শুরু করে, যাতে মারা যায় একজন সৈনিক আহত হয় কয়েকজন। ওপর থেকে শেখ জামালও ব্রাশ ফায়ার করে। এরপরেই আগস্ট বিপ্লবের নায়কদের পাল্টা গুলিতে প্রথমে নিহত হয় কামাল, পরে শেখ মজিব, আর শেষে গ্রেনেডে জামাল ও অন্যরা। শেখ কামাল অস্ত্র দিয়ে বাপকে বাঁচাতে গিয়ে সেই অস্ত্রের আঘাতেই পরিবার সুদ্ধা খতম নিশ্চিত করে। এই হলো তার অবদান!
শেখ কামাল এই সব অসম্ভব গুণের অধিকারী ছিল! বেঁচে থাকলে জাতি তাই দেখতে পেত ভয়াবহভাবে। তবে সেক্ষেত্রে হাসিনার আর প্রধানমন্ত্রী হওয়া লাগত না। ওয়াজেদ মিয়ার ভাতের হাড়ি ঠেলেই জীবন পার করতে হতো।
বিষয়: বিবিধ
১৩৫৭ বার পঠিত, ১৯ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
তলে। এমন কি ব্লগটা সরকার বন্ধ করে দিতে পারে। বুঝে শুনে লিখবেন।তাই নাই মামার চেয়ে কানা মামা ভাল।
স্বৈরাচারী পিশাচ কত ব্লগ আর কত ভয়েস বন্ধ করবে?
গলা টিপে ইয়াহিয়া মুজিব পারেনি, হাসিনা দি লেডি হিটলারও পারবেনা।
বরং ব্লগিং হাজার গুন বাড়িয়ে একেবারে নাকানি চুবানি খাইয়ে দিতে হবে।
সঙ্গে থাকুন
ধন্যবাদ
ধন্যবাদ
মন্তব্য করতে লগইন করুন