একটি আত্ম জিজ্ঞাসা ! ======================================
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি ৩১ জুলাই, ২০১৫, ১০:৩৪:৫১ রাত
বাংলাদেশে আপাদত দু'ইটা ইতিহাস
আওয়ামীলিগ রচিত ইতিহাস আর বি এন পির ইতিহাস!
যেমন আমরা দেখি ঘোষক নিয়ে তাদের লড়াই। এ ভাবেই মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে
রয়েছে মনগড়া রচনা যা আওয়ামীলিগ বা বি এন পির স্বার্থ সংশ্লিষ্ট।
যে কেউ মধ্যপন্থি লেখকের লেখার সাথে ওদের* বানানো লেখার কম্পেয়ার করলেই বুঝতে পারবে।
যুদ্ধাপরাধী মামলায়। মুক্তিযুদ্ধ আজীবন ই ছিলো আওয়ামীলিগের ক্ষমতায় আশার ট্রাম কার্ড আওয়ামীলিগ প্রথম বার ক্ষমতায় আসার পিছনে ও কারন দেখিয়ে ছিলো যে,তারা ৭১ এর রাজাকারদের বিচার করবে।।
যখন খুলনা বেতার থেকে প্রচার হতো, একাত্তরে রাজাকার এই মূহুর্তে বাংলাছাড়। মনে মনে পুলকিত হতাম,যাক এই বার জাতি কলংঙ্ক মুক্ত হবে।
দিন গড়াতে লাগল রাজাকার চাচাদের এক গাছা চুলেও হাত দিলোনা আওয়ামীলিগ। সবার ধারন প্রকট হইলো যে,হাসিনা রাজাকার ধ্বনি দিয়েই জাতিকে বোকা বানিয়েছে।
এ ভাবে গেলো কিছু দিন,বিভিন্ন মহল থেকে প্রশ্ন উঠল বঙ্গবন্ধু নিজের অবস্থান পাকাপোক্ত করার জন্য রাজাকারদের সাধারন ক্ষমা করেছেন।যারা অপরাধী তাদের বিচার করেছেন।
তা হলে এখন আবার কোথার কোন রাজাকার?তাহলে কি বাপের আগে চুল* ফালাবে হাসিনা।
এবার জাতির হুশ হলো কথা তো সত্যাই,মাফ করার পর কি পাপ থাকে?
হাসিনার ও টনকনড়ল! ক্ষমতায় আসার ট্রামকার্ড তো অকার্যকর হয়ে যাচ্ছে।কি করা যায়,,, বামদের নিয়ে ফন্দি
করল, রাজাকারের উপর চুনকমা করা হলো নিতুন নাম হলো যুদ্ধাপরাধী।
গুম-খুন, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ কারীদের বিচার হবে।
মানে যে লাউ সেই কদু!
২০০৯ সালে ম্যাকানিজম করে ক্ষমতায় এলো আওয়ামীলিগ।হাসিনার ধারনা ছিলো জেলের ভাত খাওয়ার পরে তার প্রতি কতটুকু সমর্থন ছিলো জাতির। কারন ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবরের সেই পৈশাচিক হত্যা কান্ডের হুকুমদাতা হাসিনা নিজেই,যার প্রমান বিভিন্ন চ্যানেলে প্রচারের মাধ্যমে জাতি পেয়েছে।
ক্ষমতার আসার কিছু দিনের মধ্যেই রাজনৈতিক শত্রু দমনে চোখ রাঙাতে থাকে প্রশাসন তথা আওয়ামী প্রশাসন।
কেননা ক্ষমতায় এসেই ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতে প্রশাসনিক ম্যাকানিজমের আশ্রয় গ্রহন করা ছাড়া টিকে থাকা সম্ভব নয়।অত:পর রাজনৈতিক শত্রুদের চিহ্নিত করা হয়।
মঞ্চস্থ করা হয় যুদ্ধাপরাধী ট্রাইব্যুনাল নাটক।
একে একে বিভিন্ন সাজানো মামলায় আটক করা হয় টার্গেট কৃত ব্যাক্তিদের।ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের হাস্যকর মামলায় আটক করা হয় ইসলামী আন্দোলনের প্রানপূরুষ মাওলানা সাঈদী, মাওলানা নেজামী,জামায়াত সেক্রেটারি
আলী আহাসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ সহ প্রথম সারির নেতাদের। এরি ধারাবাহিতায় গ্রেফতার করা হয় বি এন পি তে থাকা হাসিনার ব্যাক্তিগত ও রাজনৈতিক শত্রুদের।বিচার শুরু! ট্রাইবুনাল নিয়ে কিছু বলার অবকাশ নেই, এই জাতির কাছে ট্রাইব্যুনালের অপকর্ম স্পষ্ট।
''আমি দাঁড়িয়ে যাবো আপনি বসিয়ে দিবেন'' ''সরকার একটা রায় চাঁয়''
''একটা রায় দিয়ে দেন, আপনাকে এখানে নিয়ে আসব''
এরকমের অসং্খ্যা কথা ট্রাইব্যুনালের গ্রহন যোগ্যাতা শূন্যর কোঠায় নামিয়ে দিয়েছে।
তোতার মত একে একে ফাঁসি রায় পরে যাচ্ছে ট্রাইব্যুনাল। যাবত জীবন ও দিয়ে যাচ্ছে।
যেনো বাড়িতে নিখুঁত প্রাকটিস করা কথা। বলতে বলতে জামায়াতের প্রথম সারির দু'ই নেতাকেই ঝুলিয়ে দেয়া
হলো।
আল্লাহ তাদের কবুল করুন। এ বার সম্ভাবত(আল্লাহ না করুন) তৃতীয়
ব্যাক্তি হিসেবে ঝুলতে যাচ্ছেন। বীর চট্রলার সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরি।
দুষ্ট লোকে বলে হাসিনাকে বিয়ে না করার অপরাধেই তাকে ফাঁসিতে ঝোলানো হচ্ছে।
নিরাপরাধ মজলুমদের পক্ষে থাকাই মুমিনের কাজ। তাই আমি আজ মজলুম সাকার পক্ষে। কারন অপবিত্র, প্রশ্নবিদ্ধ, ক্যাঙ্গারু ট্রাইব্যুনালের কোনো রায় ই অবিশ্বাস্য নয়।
বিষয়: বিবিধ
১১২৩ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
শুধু ইতিহাস কেন? ব্যাকরণ, নীতি নৈতিকতা সব কিছুইত বদল হয়। নিজের দলের লোক মারলে এটা হয় জনতার প্রতিরোধ, অন্য দলের লোক মারলে সেটা খুন।
রাম এ করলে লীলা হয় আর আপনে করলে হবে পাপ।
তারেকের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগের ১৭ কোটি হয় দুর্নীতি, জয় ডিজিটাল বাংলাদেশের প্রজেক্টে কত লক্ষ কোটি মারতেছে সেটা 'উন্নয়নের জোয়ার'
এসব ফিরিস্তি টেনে লাভ কি। প্রয়োজন পাছায় লাথি মেরে শয়তান সরানো!
সময় হলে সব ঠিকই টের পাবে
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/590350/
http://www.amardeshonline.com/pages/details/2015/08/01/294965
বাংলাদেশের মানুষের মানসিকতা এখনও সেই ৭১ সালের আশে পাশে আটকে রাখা হয়েছে
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ
মন্তব্য করতে লগইন করুন