মায়ার দুর্নীতি মামলা সচলের আদেশ আই ওয়াস - মহাজোটের ফন্দিতে মনে হয় দেশের জনগন কাকতাড়ুয়া বা নির্বোধ
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি ১৪ জুন, ২০১৫, ০২:২৫:০৫ দুপুর
আকার ইংগিতে বুঝা যাচ্ছে বিএনপির বড় বড় নেতাদের বিচার কাজ শেষ করে যেই সাজা ঘোষনা হবে ওমনি মধ্যবর্তি নির্বাচন ঘোষনা করবে। হয়তো বা বিএনপি চেয়ারপার্সনের বিচার নাও করতে পারে আইওয়াসের জন্য। কিন্তু বিএনপি চেয়ারপার্সেন একলা কি করবে? পুরা মাঠ যেখানে আওয়ামিলীগের দখলে সেখানে বেচারী একার পক্ষে বা তৃনমুলের কিছু নেতার পক্ষে ময়দানে লড়াই করা কোন প্রকারে সম্ভব না।
২০০৮ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি এ মামলায় মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়াকে ১৩ বছর কারাদণ্ড ও তার আড়াই কোটি টাকার সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার রায় দেয় বিশেষ জজ আদালত।
এ রায়ের বিরুদ্ধে মায়া ২০০৯ সালের ২৫ মে হাইকোর্টে আপিল করেন এবং ২০১০ সালের ২৭ অক্টোবর অবৈধ সম্পদ অর্জন মামলায় সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেতা মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার সাজার রায় বাতিল করে হাইকোর্ট।
যতদুর সম্ভব তাদের নেতাদেরকে কলুষমুক্ত করাই হলো বর্তমানের আই ওয়াসের বিচারের কারন। যাতে করে আগামীতে মধ্যবর্তি নির্বাচন দিলে যেন ক্লিন ইমেজ নিয়ে জনগনের সামনে দাড়াতে পারে।
ক্ষমতা হাতে রেখে নির্বাচন দিলে যেমন নিজেরা ব্যাতিত অন্য কেহ পাস করেনা, তেমনি নিজেরা ক্ষমতায় থাকা কালিন বিচার কার্য শুরু হলে সেখানে নিজেদের হারার সম্ভাবনা এক ভাগ ও থাকে না।
তাইতো ওরা কাকের মতো চোখ বন্ধ করে নিজেদের অপরাধ গুলো লুকানোর চেষ্টা করছে অথচ দেশের মানুষ যে চোখ খুলে তাদের কৃতকর্মগুলি দেখেতেছে সেটা উপলব্ধি করছেনা।
হ্যা আইওয়াস হোক আর বিচারই হোক বাংলাদেশের জনগনকে তেমন ভাবলে চলবে না যেমনটা যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের তকমা লাগিয়ে আলেমওলামাদের বিচার করেছেন ।
যুদ্ধাপরাধের তকমার জন্য জনগন এবং বিশ্বমিডিয়া আলেমদের পক্ষে ওকালতি করে লাভবান হতে পারেনি।
বিএনপির মতো মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের লোকের উপর ছড়ি ঘুরিয়ে যেই কায়দায় শাষন করলেন বাংলার জনগন কোন প্রকারেই আপনাদেরকে ছাড় দিবেনা ।
চাই সেটা আজ হোক আর কাল হোক হতেই হবে যেমনটা ইতিহাস সাক্ষী দেয়
বিষয়: রাজনীতি
১১৯১ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন