Rose Good Luck পেন্সিলে লিখা বাবার ডায়েরি (ধারাবাহিক উপন্যাসঃ পর্ব-১৩) Rose Good Luck

লিখেছেন লিখেছেন মামুন ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৪, ০৭:৩১:৫৪ সকাল



মিথিলা বাবু!

দিনগুলি দ্রুত যাচ্ছিল।

আমার গলার স্বর থেকে শুরু করে জামা কাপড়ের ডিজাইন সবই খুব দ্রুত বদলে গেল। বাবা তার চেনা অচেনা সব অর্থবানদের সাথে শুধু অর্থ উপার্জনের প্রতিযোগিতায় নামলেন তাইই না, আমাদের কথাবার্তা, খাদ্যাভ্যাস, ঘরের ডেকোরেশন, আসবাবপত্র সব বদলে ফেললেন। আমরা আর নিজেদেরকেই চিনি না! আমাদের সাথে আমাদের কাজের লোকেদের অবস্থার ও কিছু পরিবর্তন হল। কিন্তু তা সামান্যই। কিছু বাড়তি বখশিশ, কিছু ভালো অবস্থায় থাকা পুয়াতন কাপড়, ঈদে আগের চেয়ে সামান্য বেশি দামের শাড়ি লুংগি। আমাদের গরিব আত্মীয়রা ও এই রকম ছিটেফোঁটা পেয়ে ধন্য হল। তখন ভাবতাম, আমাদের পরিবারে যা কিছু রোজগার ছিল তা থেকে আমাদেরকে ঘিরে এইসব পরিবারের যে কোন একটাকে ও যদি তাদের জন্য যথেষ্ট ভাগ দিতে পারতাম! আমাদের অত দরকার ছিল না। বরং বেশি থাকার কারণে কখনো কখনো নানা ঝামেলা পোহাতে হত। দাদী যে ক'দিন আমাদের সাথে ছিলেন, প্রায় দিনই দেখতাম গম্ভীর হয়ে ভাবছেন। গ্রামে কখনো দাদীকে এমন দেখিনি। গ্রামে থাকতে বাবা যেটুকু সময় ঘরে থাকতেন দাদী এটা ওটা কথা নিয়ে প্রায় সারাক্ষণই ডাকাডাকি করতেন। মাঝে মাঝে নামায, কোরান পড়ার জন্য বলতেন। অন্য দুই ছেলের চেয়ে আর্থিকভাবে দুর্বল হওয়াতে দাদীর বোধ হয় বাবার জন্য মায়া ও বেশি ছিল, দুশ্চিন্তাও। আর যখন বাবা টাকা কড়ির মালিক হলেন দাদী বাবার কাছ থেকে দূরে সরে গেলেন। আমার মনে হত, দাদী বাবার কিছুই আর পছন্দ করছেন না। বাবার সাথে তার দূরত্বটা দেখে আমার কেমন প্রতিশোধের আনন্দ হত। বাবা বুঝুক, যা করছে ঠিক করছে না। একজন মানুষের এত বেশি কেন দরকার হবে যখন তার পাশেই এত মানুষের প্রায় কিছুই নেই?

..........

রাশিয়া, ভারতের রাজনীতি থেকে পাওয়া শ্রম আর সম্পদের সমবন্টন এর ধারণা , সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলন আমাদের দেশে এক সময় বেশ জোর পেয়েছিল। বাংলাদেশের সংবিধানের মূলনীতিতেও সমাজতন্ত্রের উল্লেখ আছে। কিন্তু এর বস্তবায়ন কখনো হয়নি। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে বারবার সরকার ব্যবস্থা বদল হলেও দেশের সামাজিক বা অর্থনৈতিক দুর্গতি মোচন কখনো সম্ভব হয়নি। তৃণমূল পর্যায়ে সমাজতন্ত্রের ধারণাটাই পৌঁছেনি। রাশিয়ার যেমন গণমানুষের চিন্তা চেতনার ধারাই আমূল বদলে গিয়েছিল, তার ছিটেফোঁটা ও আমাদের কম্যুনিস্ট মুভমেন্টে অর্জিত হয়নি। না দলীয় কর্মকান্ড দিয়ে, না কর্মীদের নিজের জীবনে, না সরকারী পদক্ষেপে।

বাংলাদেশের ইতিহাসের দিকে ফিরে তাকালে সংবিধানে যা উল্লেখ ছিল সেই সমাজতন্ত্রের বাস্তবায়নের প্রহসনমূলক কিছু পদক্ষেপ আমরা দেখি। সমাজতান্ত্রিক দেশগুলি, যাদেরকে দেখে, যাদের সাফল্যকে মূলোর মত নাকের সামনে রেখে আমাদের কম্যুনিস্ট মুভমেন্ট অত ঘটা করে আত্মপ্রকাশ করেছিল, তাদের মত এ দেশে শ্রেণী শোষণের মূলোৎপাটন এবং শ্রমিক শ্রেণীর নেতৃত্বে শ্রমিক-কৃষক এবং মেহনতি জনগণের রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা কখনোই হয়নি । সাম্র্যাজ্যবাদের সর্বাত্মক বিরোধিতা এবং সাম্রাজ্যবাদী পুজির বিনাশ তো হয়ইনি বরং সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার কথা বলে প্রতারণা করে, জনগনকে ধাপ্পা দিয়ে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের সম্পদ কিছু মানুষের করায়ত্ত করার পথ করে দেন। শুধু দেশের সুবিধাবাদীদেরকে মদদ দিয়েছেন তা নয়, বিদেশী সুবিধাবাদীরাও বেশ সুযোগ পেয়েছেন সেই ব্যবস্থায়। তারা বাংলাদেশী মালিকানার শিল্প ব্যাংক, বীমা জাতীয়করণ করেছেন, কিন্তু বৃটিশ, মার্কিন কিংবা অন্য কোন দেশের পুঁজি এবং কোন একটিও শিল্প প্রতিষ্ঠানকেই তাঁরা জাতীয়করণ করেননি। শুধু তাই নয়, এদের স্বার্থরক্ষার ব্যবস্থা করে সরকার । এর ফলে বৃটিশ, মার্কিন স্বার্থ পাকিস্তানের মত বাঙলাদেশেও পেয়েছিল সম্পুর্ণ নিরাপত্তা।

জাতীয়করণ বরং বাংলাদেশের অর্থনীতিকে ধবংস করতে শুরু করে। রাস্তায় ঘাটে মহল্লায় পাড়ায় মাস্তান বাহিনীতো ক্ষমতার আধার হয়ে ওঠেই, পাশাপাশি রাষ্ট্রায়ত্ত প্রায় সব প্রতিষ্ঠানেরই প্রশাসনিক দায়িত্বে নিযুক্ত হয় পদের অযোগ্য লোক, মূলতঃ আওয়ামী লীগেরই কিছু নেতা ও কর্মী। তাদের অবাধ লুন্ঠন, যথেচ্ছ দূর্নীতি এবং কান্ডজ্ঞানহীন অবহেলা অল্প সময়ের মধ্যে দেশের সর্বনাশ ডেকে আনে। প্রতিটি ক্ষেত্রেই সম্ভাবনাময় প্রতিষ্ঠানগুলো লোকসানের মুখোমুখি হতে থাকে, অনেক ক্ষেত্রে মেশিন এবং যন্ত্রাংশ চুরির কারণে অনেক কারখানা বন্ধ ঘোষনা করতে হয়। পাকিস্তান আমলের চেয়েও স্বাধীনতা উত্তরকালে দেশের অর্থনীতি আরো করুণ অবস্থায় চলে যায়। ইতিমধ্যে সামাজিক অনুশাসন ভেংগে কিছু মানুষের ব্যক্তি চরিত্রের কলুষতা তাদের চারপাশকে অন্ধকার করে ফেলে। এক নব্য বুর্জোয়া শ্রেণী গজিয়ে ওঠে। । শিল্প রুগ্ন হতে শুরু করে। এদিকে হঠাৎ বড়লোক হবার নেশায় পায় জাতিকে। ভেংগে পড়তে থাকে এ দেশের হাজার বছরের ঐতিহ্য, সংস্কৃতি। কৃষি বিমুখ শিক্ষিত শ্রেণী শিক্ষার প্রসার করতে থাকে। কৃষি ও অবহেলিত হতে থাকে। অর্থনীতির দাঁড়ানোর জায়গা আর কোথায়?

দলীয় ও আমলাতান্ত্রিক লুটপাট আর অরাজকতা, বিশৃংখলা, আইনের অপপ্রয়োগ, অকার্যকারিতা, কর্মসংস্থানের অভাব এক যোগে অর্থনৈতিক, সামাজিক, এমনকি ধর্মীয় মূল্যবোধের প্রায়োগিক ক্ষেত্রে ও টেনে আনে দুর্ভিক্ষ। সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দিক থেকেও জনগণের দৃষ্টিকে কৌশলের সাথে সরিয়ে রাখার জন্য ব্যবহৃত জাতীয়করণ আর একযোগে সারাদেশে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম - এই দুইয়ের মিলনে সাধারণ মানুষ লুটপাটকেই 'সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থা' মনে করে সমাজতন্ত্রের প্রতি বিরূপ হয়ে ওঠে। কিছু পরে রাষ্ট্রীয়ভাবেও কম্যুনিস্ট পার্টি ব্যান হয়ে যায়।

যে অস্ত্র দিয়ে দেশ স্বাধীন হয়েছিল সেই অস্ত্রই স্বাধীন দেশকে পরোক্ষভাবে পরাধীন করল। যুদ্ধশেষে মুক্তিযোদ্ধাদের জমা দেয়া অস্ত্র কালোবাজারীর পাহারাদার আর মাস্তানের হাতে উঠার পর মুক্তিযোদ্ধাদের নিজেদের হাত কামড়ানো ছাড়া কিছু করার ছিল না। তিন দিক থেকে সীমানা হয়ে বাংলাদেশকে ঘিরে থাকা ভারত মুখোশ খুলে চেহারা দেখাল। যতটুকু তারা দিয়েছিল তা সূদে মূলে নিয়েও আমাদেরকে ছাড়তে পারল না। তাদের আর নিজেদের মীরজাফরদের মিলিত লুটপাটে সর্বস্বান্ত দেশে অসন্তোষ ফুঁসতে শুরু করল। শোষক আর শোষিতের সেই পুরানা কাহিনী নতুন নামে রয়েই গেল।

ক্ষুব্ধ মানুষ ভাবতে থাকল, কেন হল তবে এই রক্তক্ষয় আর স্বজন হারানো?

আমরা বড়দেরকে প্রায়ই দু:খ করে বলতে শুনতাম, এর চেয়ে পাকিস্তান আমলই ভালো ছিল। এমন ঘুষের কারবার ছিল না। এসব মাস্তানী, দুই নাম্বারি এইভাবে ছিল না। জিনিস পত্রের দাম ও এমন আকাশে ছিল না। এতগুলি চিন্তাও ছিল না। রুটি রুজি থাকলেই শান্তিতে থাকতে পারতাম। পর তাড়ানোর পরে নিজেদের মধ্যে মারামারি করেই এখন আমরা শেষ হয়ে যাবো মনে হয়।

আমার বাবু!

দাদী দিন পনেরোর মাথায় বাড়ি যাওয়ার জন্য অস্থির হয়ে গেলেন। বাবা উভয়সংকটে পড়লেন। দাদীর বাবার বাড়ির দিকের এক নাতি তাকে দেখতে এসেছিল। দাদী তাকেই রাজী করিয়ে ফেললেন সাথে করে বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার জন্য।

যাওয়ার দিন সকালে দাদী আমাকে ডেকে কাছে বসালেন। দাদী তখন তসবিহ হাতে বারান্দায় মোড়ায় বসা, মা দাদীর একটু দূরে আরেকটা মোড়ায়। দাদীর পাশে মাটিতে বসলাম। দাদী আমার মাথায় হাত বুলিয়ে আদর করলেন। বললেন, ' ভাইরে, একদিন অনেক বড় হবে তুমি, নিজের মানুষগুলিকে কোনদিন ছোট বলে দূরে ঠেলে দিও না। একদিনের নিজাম ডাকাত আরেকদিন কি দরবেশ হয় নাই? আল্লাহর দুনিয়ায় সকালের ফকির সন্ধ্যায় রাজা হয়, সন্ধ্যায় যে রাজা, পরেরদিন সকালে ফকির ও হয়।

আমি মরলে যদি খবর পাও, জানাজায় যাইতে পারবা? পারলে যাইও।"

আমি চোখের পানি মুছলাম। মা মুখে আচল দিলেন।

দাদী দুপুরের খাওয়ার পরে চলে গেলেন। বাবার আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করলেন না। বাবা এসে দাদীকে না পেয়ে শোবার ঘরে ঢুকলেন। রাতে খেলেন না। এক পলক দেখে মনে হয়েছিল কাঁদবেন। পরদিন ও নিরবে অফিসে গেলেন। পরের ক'টা দিন বাবার কোন শব্দ পাইনি।

এরপর ক্লাশ টেনে উঠলাম।

বছরের শুরু থেকে ঘরের সবাই আমার দিকে বিশেষ খেয়াল রাখতে শুরু করল। আমার খাওয়া দাওয়া, পড়াশোনা, আরাম বেশ নজরদারীতে রইল। একটা ছোট রুম আমাকে একার করে দেয়া হল। নতুন বুকশেল্ফ আসল। কিছু কাজ রুটিনে বেধে দেয়া হল। রাতের খাবারটা একসাথে সবার সাথে টেবিলে বসে খাওয়ার নিয়ম আগের মতই রইল।

একদিন খেতে বসে বাবা মা'কে খালু প্রসংগে বলতে গিয়ে মৃণাল নামের একজন লোকের কথা বললেন। পরে মা'কে জিজ্ঞেস করে বিস্তারিত জানলাম। হিন্দু। বর্গাচাষী। খালুর যে জমিটার দখল নিয়ে গোলমাল হচ্ছে তা মৃণালের কাছ থেকে কেনা। লোকটার আর্থিক অবস্থা গত কয়েক বছরে খুব দ্রুত খারাপ হয়েছে। একটার পর একটা অঘটন ঘটে গেছে। ক্যান্সারে ভুগে লোকটার মা চলে গেছেন। শেষ মুহুর্তে ধরা পড়া অসুখটা সারানো যাবে না জেনেও মৃণাল তার জমিজমা বিক্রী করল। গরু ছাগল কিছু ছিল। বড় ছেলেটার কঠিন জন্ডিস হল। গরু ছাগল ও গেল। এখন ভিটেবাড়ি ছাড়া তার কিছু নাই। যে জমিটা শেষবার বিক্রি করল, খালু তা কিনেছেন খুব কম দামে। যে দামটা স্থির হল তা সম্পূর্ণ শোধ করল না। মৃণালের মা মারা যাবার পর বাকি টাকাটা উদ্ধারের জন্য সে খালুর চাচাদের বাড়িতে সকাল বিকাল আসতে যেতে লাগল। কখনো দশ বিশ টাকা, কখনো দুই একশো দিয়ে তাকে বিদায় করা হতে লাগল। এক সময় সে ক্লান্ত আর অসহিষ্ণু হতে শুরু করল। সে চায়ের দোকানে ব্যাপারটা নিয়ে আলাপ অভিযোগ করতে লাগল। খালুর চাচারা জমিটা বেচাকেনায় মধ্যস্থতাকারী ছিলেন। খালু তখনো তৃতীয় পক্ষ ছিলেন, পরেও মৃণাল তার নাগাল পাচ্ছিল না। খালুর চাচাদের কানে কথাটা গেল। তারা যা কিছু দিচ্ছিলেন তা ও বন্ধ করে দিলেন। বরং কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে তারা কাজের লোক দিয়ে মৃণালকে ঘাড় ধরে বের করে দিলেন। কড়াভাবে তাকে নিষেধ করে দেয়া হল,যেন আর ওই বাড়িতে কিছুতেই না যায়। সে মরিয়া হয়ে খালুর শহরের বাড়ির ঠিকানা নিয়ে গতমাসের শুরুতে এখানে হাজির হয়েছে। খালু দারোয়ান দিয়ে তাকে দূর করে তাড়িয়ে দেবার পর মৃণাল কার কাছ থেকে জেনেছে বাবা খালুকে কিছু বোঝাতে পারবে,সে গত সপ্তাহে বাবার অফিসে এসে বাবাকে ধরেছে। বাবা খালুকে ব্যাপারটা কিভাবে বলবেন বুঝতে পারছেন না।

মায়ের কাছে এই ঘটনা শোনার পরের সপ্তাহেই ডুমুরিয়া থেকে খবর এলো মৃনাল

দল তৈরী করছে! খালুর বিরুদ্ধে দাঁড়াতে গিয়ে সে এই রকমের ভুক্তভোগীদের বেশ কয়েকজনকে সাথে পেয়ে গেছে। এখন তারা থানা পুলিশ করছে। পরে খবর পেলাম থানাকে খালু ম্যানেজ করেছে। সরকারি দল এই ছিন্নমূল সাধারন কৃষকদের স্বার্থকে না দেখে পুজিপতি, সামন্তবাদী প্রভাবশালীর স্বার্থ রক্ষা করে। মৃণালের সামান্য ক'টা টাকা আদায়ের অভিযান বড় হতে হতে যে বিপুল ব্যবস্থার মধ্যে তাকে নিয়ে ফেলেছিল তা শেষ পর্যন্ত তাকে সদলবলে রাষ্ট্রব্যবস্থার বিরুদ্ধে দাড় করায়। প্রতিবাদ চলতে থাকে নানান ভাবে। জমিজমার বিরোধের জেরে মৃণালের বোনকে খালুর চাচাতো ভাইয়েরা, জমিদারী চালে চলা ঐ প্রভাবশালী পরিবারের ছেলেগুলি রেপ করেছিল। লজ্জায় মেয়েটি আত্মহত্যা করে।

এই মৃনাল বাবু পরে পুর্ববাঙ্গলা কম্যুনিষ্ট পার্টিতে যোগ দেয়। এই পার্টি ছেড়ে পরে বিপ্লবী কম্যুনিস্ট পার্টিতে যোগ দেয়। পরে নিউ বিপ্লবী পার্টি গঠন করে। এবং পরবর্তীতে ভারতে প্রতিপক্ষের খতমের রাজনীতির বলি হয়। Rose Good Luck

(ক্রমশঃ)

বিষয়: সাহিত্য

৮৮৮ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

293846
১৩ ডিসেম্বর ২০১৪ সকাল ১০:৩৪
কাহাফ লিখেছেন :
দাদা-নানাদের কাছে শুনা 'গন্ডোগল' তথা মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তি বিভিন্ন অরাজকতায় স্বাধীনতার অর্থই বিগড়ে দিয়েছে যেন!
জোর জুলুম-অনাচার-ধর্মহীনতা কে স্বাধীনতার মিথ্যা চেতনা নামে অবহিত করণঃ মুক্তিযুদ্ধ কেই প্রশ্নবিদ্ধ করছে!
প্রকৃত দেশপ্রেম সবার মাঝে জেগে উঠুক- আল্লাহর কাছে এই-ই দোয়া!!
১৩ ডিসেম্বর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৩৮
237586
মামুন লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ কাহাফ ভাই।
জাজাকাল্লাহু খাইর।Good Luck Good Luck
294628
১৫ ডিসেম্বর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৫৩
মাহবুবা সুলতানা লায়লা লিখেছেন : যার যত বেশী আছে তার আরো চাই, যার নাই সেই ভালো আছে এই জগতে।

গত কয়েকদিন জ্বরে ভুগে ও এখনো জ্বর নিয়ে নেটে আসার পর প্রথমেই আপনার লেখাতে মন্তব্য করে ভালোলাগা রেখে গেলাম।
দোয়া করবেন ভাইয়া আল্লাহ যেন অচিরেই সুস্থ করে দেন আমাকে।
১৬ ডিসেম্বর ২০১৪ দুপুর ০২:২৬
238323
মামুন লিখেছেন : ফি আমানিল্লাহ! আল্লাহপাক আপনাকে ভালো করে দিবেন ইনশা আল্লাহ।Good Luck Good Luck

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File