শেষ তৈলচিত্র
লিখেছেন লিখেছেন মামুন ২১ নভেম্বর, ২০১৪, ১০:১৮:৪৮ রাত
শেষ তৈলচিত্র
.
সাদাকালো অরণ্য- পাহাড়- নদী পার হয়ে
মরুর ধুলো উড়িয়ে দুরন্ত ছুটে চলা ভাবনার
লাগামহীন এক পাগলাঘোড়ায় সওয়ার হয়ে
নিশ্চুপ বসে আছি।
দুর্দান্ত গতিময় স্বপ্ন - স্থবির বাস্তব - অর্থহীন -সম্ভাবনাহীন।
অথবা কি সম্ভাবনাময়?
কী রং তাদের?
.
এক হঠাৎ বর্ণান্ধ শিল্পী।
যা কিছুই আঁকি - যে রং এ আঁকি - কিছুই দেখিনা।
আঁকার অসহ্য তাড়না ছবির পর ছবি আঁকিয়ে নেয় আমাকে দিয়ে।
অথচ নিজেই দেখিনা কী আঁকি!
.
জীবনের ক্যানভাসে আঁকা ছবিটায় ও কোন রং নেই।
ছবি জুড়ে শুন্যতা। শুন্যতা যেন হঠাৎ সারা পৃথিবীতে।
অনুভূতি দীর্ঘশ্বাস ফেলে -
"আমি একা! বড্ড একা!"
আমাকে নি:সংগ করে রং গুলো সব
বারান্দার চড়ুইগুলির মতো পালিয়েছে।
.
আমার আকাশে ইচ্ছে ঘুড়িগুলোর কোনো রঙ নেই।
আকাশটা জানি নীল।
সেখানে কষ্টের বিষাক্ত নীলাভ আভা নিয়ে
দুঃখগুলো সাদা মেঘের ভেলায় ভেসে বেড়ায়।
জানি পৃথিবী রঙে রঙে ভরা।
হরেক রঙের মাঝে দাঁড়িয়ে আছি- বর্নান্ধ শিল্পী।
.
যে দূরে চলে গেছে, তবু এত কাছে,
তবু দূরে - অন্য কারো।
তার মুখ ক্যানভাসে আঁকি।
শেষ তৈলচিত্রে আঁকি
হৃদয়ের সমস্ত ভালোবাসা - ভালো লাগা দিয়ে সেই হাসিমুখ।
এ কি ভালোবাসা! এ কি ভালোলাগা!
কেন অনুভুতি বলে না আমাকে!
তীব্র কষ্ট যেন হিমাংকের বহু নিচে নিয়ে যায় আংগুলগুলোকে।
তুলি এঁকে যায়।
সে কি ভুল রেখা ভুল রঙে আনন্দ আঁকে!
.
দিশেহারা লাগে।
আনন্দ নেই!
ক্যানভাসে শুধুই সাদাকালো কষ্টের ছাপ - তার মুখচ্ছবি!
একজন রঙ বিশেষজ্ঞের জীবনের শেষ ছবিটি - অজানা রঙে আঁকা।
.
অতিপরিচিত একদার আনন্দে উদ্ভাসিত হাসিমুখ
সে আজ কষ্টের তীব্রতায় বিবর্ণ, পাংশুটে।
রং নেই। রেখাগুলি কথা শুনবে না!
ক্যানভাসে আঁকি যেন তার কষ্টভরা মুখ নয়,
এক অহংকারী শিল্পীর ব্যর্থতার ছবি!
মূর্ত উপহাস!
বিষয়: সাহিত্য
৯০৯ বার পঠিত, ১৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
এই কবিতাটি নিয়ে একটি ছট বা অণুগল্পও লিখতে যাচ্ছি ইনশা আল্লাহ।
আপনাকে মূল্ভাবটি জানিয়ে দিচ্ছি-
একজন পুরুষের (যে একজন বিখ্যাত চিত্রশিল্পী) জীবনে হঠাৎ করে এই অনুভূতি জাগে, সে একা। বড্ড একা। তার আকাশের ইচ্ছে ঘুড়িগুলোর কোনো রঙ নেই। আকাশটা যদিও নীল রয়েছে। তবে সেখানে কষ্টের বিষাক্ত নীলাভ আভা নিয়ে দুঃখগুলো সাদা মেঘের ভেলায় ভেসে বেড়ায়। এজন্যই একজন শিল্পী হয়েও হরেক রঙের মাঝে থেকেও সে আজ কালার ব্লাইন্ড। তার প্রিয়তমা যে দূরে চলে গেছে, ভার্চুয়াল জগতে কাছে থেকেও সে আজ অন্য কারো। এমন তীব্র কষ্টের তীব্রতায় সে দিশেহারা হয়ে তার সর্বশেষ তৈলচিত্রে হৃদয়ের সকল ভালোবাসা এবং ভালো লাগাকে বের করে এনে একটি মুখ আকতে চায়। তবে সেখানে শুধুই কষ্টের ছাপযুক্ত একটি মুখচ্ছবি ফুটে উঠে। তার মত একজন রঙ বিশেষজ্ঞ জীবনের শেষ ছবিটি হৃদয়ের ক্যানভাস থেকে বাস্তবের ক্যানভাসে রুপ দিতে গিয়ে হিমশিম খায়। অতিপরিচিত একসময়ের আনন্দে উদ্ভাসিত হাসিমুখটি আজ কষ্টের তীব্রতায় বিবর্ণ পাংশুটে এক মুখ ক্যানভাসে ফুটে উঠে শিল্পীকে উপহাস করে।
শুভকামনা রইলো ভাই।
এই কবিতাটি নিয়ে একটি ছট বা অণুগল্পও লিখতে যাচ্ছি ইনশা আল্লাহ।
আপনাকে মূল্ভাবটি জানিয়ে দিচ্ছি-
একজন পুরুষের (যে একজন বিখ্যাত চিত্রশিল্পী) জীবনে হঠাৎ করে এই অনুভূতি জাগে, সে একা। বড্ড একা। তার আকাশের ইচ্ছে ঘুড়িগুলোর কোনো রঙ নেই। আকাশটা যদিও নীল রয়েছে। তবে সেখানে কষ্টের বিষাক্ত নীলাভ আভা নিয়ে দুঃখগুলো সাদা মেঘের ভেলায় ভেসে বেড়ায়। এজন্যই একজন শিল্পী হয়েও হরেক রঙের মাঝে থেকেও সে আজ কালার ব্লাইন্ড। তার প্রিয়তমা যে দূরে চলে গেছে, ভার্চুয়াল জগতে কাছে থেকেও সে আজ অন্য কারো। এমন তীব্র কষ্টের তীব্রতায় সে দিশেহারা হয়ে তার সর্বশেষ তৈলচিত্রে হৃদয়ের সকল ভালোবাসা এবং ভালো লাগাকে বের করে এনে একটি মুখ আকতে চায়। তবে সেখানে শুধুই কষ্টের ছাপযুক্ত একটি মুখচ্ছবি ফুটে উঠে। তার মত একজন রঙ বিশেষজ্ঞ জীবনের শেষ ছবিটি হৃদয়ের ক্যানভাস থেকে বাস্তবের ক্যানভাসে রুপ দিতে গিয়ে হিমশিম খায়। অতিপরিচিত একসময়ের আনন্দে উদ্ভাসিত হাসিমুখটি আজ কষ্টের তীব্রতায় বিবর্ণ পাংশুটে এক মুখ ক্যানভাসে ফুটে উঠে শিল্পীকে উপহাস করে।
শুভকামনা রইলো ভাই।
ভালো লাগার অনুভূতি রেখে গেলেন, অনেক খুশী হলা।
জাজাকাল্লাহু খাইর।
সাথে রইলেন, শুভেচ্ছা রইলো।
জাজাকাল্লাহু খাইর।
বারাকাল্লাহু ফিকুম।
সীমাহীন শুণ্যতা আর বিশাল কষ্টের পৃথিবীতে একাকীত্ব বাঁচার আশা কে ক্ষীণ থেকে ক্ষীণতার করে দিচ্ছে! অনুভূতি কে বাস্তব উপলব্ধিতায় রুপান্তরিত করেও শেষ রক্ষা অসম্ভব হয়ে পড়ছে যেন!
কাব্যের ছত্রে ছত্রে নিজে কে নিয়ে খেলে যাওয়ার নান্দনিকতা খুজে পেলাম কিছুটা!
আপনার আর আমার অনুভূতির কোথায় যেন মিল রয়েছে। তাই 'না পাওয়ার বেদনায় নীল হয়ে' কবিতা লিখতে গিয়ে আপনার মুখটি কেন জানি ভেসে উঠে।
আল্লাহপাক আপনাকে সবসময় ভালো রাখুন-আমীন।
জাজাকাল্লাহু খাইর।
আমার অনুভূতির সাথে স্বগোত্রীয় কারো মিল আমি চাইনা অন্তর থেকেই!'না পাওয়ার বেদনায় নীল' আর দেখতে চায় না আমার চোখ!
আপনার ইতিবাচক সব উপলব্ধির সাথে খাপ খাওয়াতে গিয়ে হিমশিম হয়ে যাই আমি!
'সীমাহীন পাওয়ার আনন্দে প্রস্ফুটিত স্বার্থক জীবন করুণাময় আল্লাহ আপনাদের দান করুন এই দোয়া রইল।'
ওয়াইয়্যাকা ওয়া আনতুম ফাজাযাকুমুল্লাহ
মন্তব্য করতে লগইন করুন