ইবাদত (ইমরান ভাই এর অনুরোধে লেখা)
লিখেছেন লিখেছেন মামুন ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৪, ০৩:১৬:২৪ দুপুর
এই লেখাটি ব্লগার শ্রদ্ধেয় ইমরান ভাই এর জন্য লিখবার চেষ্টা করছি। তার উৎসাহেই শিরোনামের বিষয়টি নিয়ে আমার মত নাখান্দার এই লিখতে যাবার মত ধৃষ্ঠতা প্রদর্শন। আমি একজন জন্মসূত্রে মুসলমান। কিন্তু মুসলমানের জন্য প্রয়োজনীয় গুনগুলো আমাকে কষ্ট করে অর্জন করতে হয়নি- আমার বাবা-দাদারা বংশানুক্রমে মুসলমান, তাই আমিও সেই সুবাদে মুসলমান। তবে ইসলামিক জ্ঞানের অভাবে আমি ইবাদত সম্পর্কে একজন ইসলামিক স্কলারের মত কিছুই লিখতে পারব না। তবে শ্রদ্ধেয় ভাই আমাকে এই বিষয়ে কিছু লিখতে বলেছেন, তাই আমার দৃষ্টিতে এবং আমি কিভাবে ইবাদত করছি- সেগুলোই এই লিখায় তুলে ধরতে যাচ্ছি। তবে আমি অজ্ঞ বিধায় পবিত্র আল কোরআন এবং আল হাদীসের রেফারেন্স দিতে পারব না। আমার ভুল হলে বিজ্ঞজনেরা আমাকে শুধরে নিতে চেষ্টা করবেন আশা করছি।
আমাদের সৃষ্টিকর্তা মহান রাব্বুল আলামীন আমাদেরকে (মানুষ এবং জীন) সৃষ্টিই করেছেন একমাত্র তার ইবাদত করার জন্য। আলমে আরওয়াহ বা রুহের জগতে আমরা আল্লাহপাককে আমাদের 'রব' বা 'পালনকর্তা' মেনে অঙ্গীকার করে এসেছি। সেই অঙ্গীকারের বাস্তবে রুপদানের জন্যই আমাদেরকে এই পৃথিবীতে পাঠানো হয়েছে- ইবাদত নামের একটি কষ্টিপাথরে নিজেদেরকে মূল্যায়নের জন্য।
এখন সাধারন অর্থে ইবাদত বলতে আমি বুঝি নামাজ, রোজা এই দুইটি সঠিকভাবে পালন করা। হজ্জ এবং যাকাত যদিও ফরজ- তবে এ দুটো বিত্তশালী তথা এ দু'টির জন্য নির্দিষ্ট ক্রাইটেরিয়া রয়েছে। আমার উপর যেহেতু এ দু'টি ওয়াজিব হয়নি এখনো পর্যন্ত- তাই সেদিকে আমি যাচ্ছি না। আমার মত গরীব মুসলমানের জন্য আপাতত ইবাদত নামাজ এবং রোজার উপরেই রয়েছে।
তাহলে এই আমলগুলোকেই ইবাদত বলা যায়? অধিকাংশই এরকম বলে থাকেন। কিন্তু আমার কাছে ফরজ এই দুটি ইবাদতের আগে আসল আরো একটি জিনিসকে মনে হয়। যেটার জন্য আল্লাহ পাক আমাদেরকে তার থেকে দূরে এই নশ্বর পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন। তা হল, আল্লাহপাক যেমন, ঠিক সেভাবেই আল্লাহপাককে চেনা... আল্লাহপাককে জানা এবং সেইভাবে তার শানের উপযুক্ত আমল করা। একেই ঈমান বলা যায়। আমরা যে কালিমা পড়ি, সেটির প্রথম অংশই হল এই অনুভূতিটুকু। শিরকমুক্ত অনুভূতি। আমি সেই আল্লাহপাকের জন্য ইবাদত করবো, যিনি আমাকে বানিয়েছেন, আমার রিজিক দিচ্ছেন, আমাকে প্রতি মুহুর্তে দেখছেন, আমার অন্তরের সুক্ষণ ভাবনাকেও অনুধাবন করছেন, আমার কথা শুনছেন, আমার জন্য কোনটি ভালো-কোনটি মন্দ সেগুলোও আমার জন্মের আগেই নির্দিষ্ট করে রেখে দিয়েছেন- সর্বোপরি তিনি একাই এগুলো করছেন এবং এগুলো করার জন্য তার কোনো সাহায্য লাগছে না। আর আমার জন্য তিনি এই কাজগুলো মৃত্যুর আগ পর্যন্ত করেও যাবেন। যেহেতু তিনি আমাকে সৃষ্টি করেছেন, এগুলো তিনি করবেনই। তবে তিনি না করলেও আমার করণীয় কিছুই নেই।
এবারে আসা যাক, আমার আল্লাহপাকের এই লক্ষ কোটি নাজ-নেয়ামত উপভোগের রিটার্ণ হিসেবে কি করা উচিত? আমি তো তার কাছে আবেদন করি নাই, ' হে আল্লাহ! আপনি আমাকে মানুষই বানায়েন।' আমাকে তো ইচ্ছে করলে অন্য নিকৃষ্ট জীবও বানাতে পারতেন। আলহামদুলিল্লাহ! আমাকে তিনি ভালোবাসেন বলেই তো তার 'খলিফাহ' বা 'প্রতিনিধি' হিসবে মানুষ বানিয়ে এই পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন। আমাকে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য এই দুনিয়ায় পাঠানোর আসল উদ্দেশ্য কি? তার ইবাদত করে করে অনন্ত জান্নাতের অফুরন্ত নেয়ামত ভোগ করার জন্য নিজেকে তৈরী করা? নাকি আমি যে তার 'প্রতিনিধি' হতে পেরেছি, তার শুকরিয়া আদায় করা?
যাই-হোক মানব সৃষ্টির নিগুঢ় অর্থ খুবই জটিল- আমার মত মানুষ তার নাগাল পাবে না। আমি সোজা কথায় বুঝি আমাকে আল্লাহপাকের ইবাদত করতে হবে, এজন্য এখানে পাঠানো। আর সেই ইবাদত কিভাবে করতে হবে, তাও কালিমার দ্বিতীয় অংশে বলে দেয়া হয়েছে। একমাত্র মোহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর দেখানো পথে সকল ইবাদত করতে হবে। তিনি দিনের শুরু থেকে ঘুমানোর আগ পর্যন্ত কিভাবে মুহুর্তগুলো কাটিয়েছেন- তার জন্মের পর থেকে ইসলামকে কায়েম করার জন্য মৃত্যুর আগ পর্যন্ত কিভাবে কাটিয়েছেন- এসবই আমার জন্য যুগের প্রেক্ষাপটে (ফরজগুলো সব সময়ই একই) যতটুকু প্রযোজ্য, ঠিক ততটুকুই আমাকে অনুসরণ করতে হবে।
এই অনুসরণের ভিতরেও কথা আছে। যেহেতু মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আমাদের সামনে নেই, তবে ওনার কথা আল কোরানে উল্লেখ আছে, সেখানে মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কে আমাদের জন্য অনুকরনীয় এবং তার ভিতরেই উত্তম আদর্শ রয়েছে, এ মর্মে আল্লাহপাক আমাদেরকে জানিয়েছেন। আর মুহাম্মদ(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আল কোরানকে আমাদের সামনে ব্যাখ্যা করেছেন, যেগুলোকে আমরা হাদীস হিসেবে জানি। তবে এই হাদীসগুলোকে অনুসরণ করার ক্ষেত্রেও কিছুটা সমস্যা রয়েছে। সেখানে সহীহ, দুর্বল এবং জাল হাদিসের বিভক্তি থাকায় আমাদেরকে অনেক চিন্তা-ভাবনা করে আসল হাদীসগ্রন্থ গুলো খুঁজে খুঁজে সে অনুযায়ী আমল করতে হবে। ছিহাহ ছিত্তাহ নামে আমাদের কাছে যা পরিচিত, সেগুলোকে অনুসরণ করা যেতে পারে।
আমি সেই আল্লাহপাকের ইবাদত করবো, যিনি সব ধরণের অপুর্নতা থেকে মুক্ত- আমি একমাত্র সেই আল্লাহপাকের ইবাদত করব, যেন সমস্ত প্রশংসা একমাত্র তার জন্যই করতে পারি- আমি সেই আল্লাহপাকের ইবাদত করব, আমার কল্পনায় তিনি ছাড়া অন্য কোনো কিছুই যেন বড় না হয়ে উঠে। আর এসব কিছু মিলিয়েই একমাত্র উপাস্য তিনি-ই। তিনি আল্লাহ সুবহানু তায়ালা!!
কিন্তু এই বিশ্বাস কি আমার ভিতরে রয়েছে? এ ব্যাপারে একটু আলোচনা করি।
শুনেছি, একবার সুবহান আল্লাহ বললে বেহেশতে নাকি যে বলে তার জন্য একটি গাছ তৈরী হয়ে যায়! সুবহান আল্লাহ!! কিন্তু শুধুমাত্র এটি বলার দ্বারাই তৈরী হয়ে যাবে। এই বলাটা কি বুঝে, হৃদয়ে উপলব্ধি করে তারপর বলতে হবে না? এই শব্দটির বাংলা অর্থ-'আল্লাহপাক পবিত্র'। তিনি যে কোনো কিছুর অসম্পুর্নতা থেকে পবিত্র। না পারার অক্ষমতা থেকে, না জানার অপুর্ণতা থেকে, না দেখার অপুর্ণতা থেকে- মোটকথা মানুষের চিন্তায় যত ধরণের পারা, করা ইত্যকার যাবতীয় ব্যাপার রয়েছে, সেগুলোর অপুর্ণতা থেকে আল্লাহপাক মুক্ত। এই চিন্তা হৃদয়ে ধারণ করে যখনি আমি একবার পড়ব 'সুবহান আল্লাহ'! অমনি বেহেশতে একটি গাছ তৈরী হয়ে যাবে আমার জন্য।
কিন্তু এই চিন্তা কি আমার হৃদয়ে রয়েছে? আমি যখনি বিপদে পড়ি, ঠিক ঐ মুহুর্তে কি আমার আল্লাহপাকের কথা মনে পড়ে? বিপদ যে তিনিই দিয়েছেন, আবার এ থেকে মুক্তিও যে তিনিই দিবেন, এ কথা কি একবারও আমার হৃদয়ে আসে? আসলে তো সবার আগে দু'রাকয়াত নফল নামাজ পড়ে আল্লাহপাকের দরবারে বিপদ মুক্তির দোয়া করতাম। কিন্তু বাস্তবে কি করছি?
এলাকার দু'পক্ষের মারামারিতে থানায় মামলা হয়েছে। পেন্ডিং মামলায় আমাকেও ঢুকিয়ে দিয়েছে। পুলিশ এসে খুঁজে যাচ্ছে। আর আমি আমার ডিফেন্সে কোন আত্মীয় রয়েছে, এলাকার কোন রাজনৈতিক বড় ভাইয়ের থানার সাথে ভালো লিংক আছে কিংবা আরো উপরে কারা আছে- ঐ মুহুর্তে সেই ভাবনায়ই অস্থির হই। একবারও ওজু করে দু'রাকাত নামাজ পড়ে আল্লাহর কাছে কি কান্নাকাটি করি? আমি করতে পারিনা; কারণ ঠিক সেই মুহুর্তে বিপদের তীব্রতায় আমার হৃদয়ের আসল বিশ্বাস বের হয়ে আসে। আমাকে আল্লাহপাকের করনেওয়ালা, পারনেওয়ালা গুণকে তারই সৃষ্ট কিছু ক্ষমতাশালী মানুষের এই পারার বা করার গুণ ঢেকে দিয়ে যায়। চোখের সামনে যা দেখি তাকেই আঁকড়ে ধরি। আর এই বিশ্বাস মোটেও দৃঢ় নয়। আল্লাহপাক পারেন, করেন তবে এই ঝামেলায় তাঁকে না জড়ানোই ভালো- এইবার 'অমুক ভাই' এর কাছেই আছে এর থেকে পরিত্রানের উপায় (নাওজুবিল্লাহ)। তাই আমি ছুটি সেই 'অমুক ভাই' এর কাছে। এই বিশ্বাস নিয়ে 'সুবহান আল্লাহ' বলাতে কি আল্লাহপাকের সঠিক গুণটি বলা হল? মোটেও না। কারন আল্লাহপাক যে সুবহান- আমি কার্যক্ষেত্রে সেটির প্রমাণ দিতে পারি নাই। তাই আমার ঈমান এই গুণবাচক নামটিকে ধারণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। এজন্যই আল্লাহপাকের ওয়াদানুযায়ী গাছও আমার প্রাপ্য নয়।
এর ফলেই আমি 'আলহামদুলিল্লাহ' বলাটাও সঠিকভাবে বলতে পারছি না। কারন আমি আল্লাহপাকের প্রশংসাও ঠিকভাবে করতে পারলাম না। এখানে শুধু প্রশংসা নয়- সমস্ত প্রশংসাই একমাত্র আল্লাহপাকের জন্য বলা হচ্ছে। কিন্তু আমি তো বিপদে পড়ে 'অমুক' ভাইয়ের কাছে সর্বাগ্রে দৌড়েছিলাম- তাই কাজ হয়ে যাবার ফলে তারও কিছু প্রশংসা হৃদয় থেকে আপনাতেই বের হয়ে আসে।
আর এই দুই গুণবাচক শব্দের সঠিক প্রয়োগ না হওয়াতে, একমাত্র ইলাহ বা উপাস্য যে আল্লাহ সুবহানু তায়ালা, সেটিও সঠিকভাবে হৃদয় দিয়ে মানা হয়ে উঠল না। আর আল্লাহপাকই যে সব থেকে বড় - আল্লাহু আকবর, তাও আমার উপলব্ধিতে আসল না।
তাই এই কয়েকটি গুণবাচক শব্দের মিশেলে তৈরী এই কালিমা- সুবহান আল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ, লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ, আল্লহু আকবর যতক্ষণ হৃদয়ে সেগুলোর আসল অর্থে বসে না যাবে, আমি সঠিকভাবে আল্লাহপাককে চিনতে পারলাম না। আর কাউকে না চিনে, সঠিকভাবে কি তার নির্দেশ পালন করা যায়? যায় না বলেই আমার হৃদয়ে যে আল্লাহপাক বাস করছেন, তার মতই আমার ইবাদতের মানও হয়ে যাবে। সঠিক আল্লাহপাকের জন্য সহীহ ইবাদত করাটাও হয়ে উঠবে না।
উদাহরণ হিসেবে যে সুবহান আল্লাহ পড়ার কথা বলা হয়েছে- সেটি হল আমল; আর যে বিশ্বাসকে হৃদয়ে ধারণ করে এটি পড়ার কথা বলা হয়েছে- সেটি ঈমান। আর এর দুইয়ের একত্রীত হবার ফলেই প্রতিভাত হবে ইবাদত। সেই ইবাদত, যা করার জন্য আল্লাহপাক মানুষ এবং জীন জাতিকে সৃষ্টি করেছিলেন।
এখন আরো একটি জিনিস রয়েছে, যা এই ইবাদতের সাথে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত। সেটি হল হালাল আয়। ইবাদত করার জন্য শরীরকে বাঁচিয়ে রাখতে আমাদেরকে আয় করতে হয়। সেই আয় যদি হালাল না হয়, তবে সকল ইবাদত নষ্ট হয়ে যায়। সুতরাং হালাল আয়ও আমাদের জন্য অতীব জরুরী।
ইমরান ভাই আমার অফুরন্ত সময়কে সহীহভাবে, সময় শেষ হবার আগেই কাটাতে বলেছেন। খুব সুন্দর পরামর্শ দিয়েছেন, আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। এবারে আমার জীবন এখন কেমন যাচ্ছে, সে সম্পর্কে কিছু বলা দরকার। যেহেতু আমার ইবাদত সম্পর্কে বললে আমার জীবন চক্রকেও সামনে আনতে হবে।
আমি সাভারে আমার পরিবারের সাথে সপ্তাহে দেড়দিন এবং বাকী সময়টা কোনাবাড়িতে মেসে কাটাই। চার ওয়াক্ত নামাজ জামাতে পড়ি। এক ওয়াক্ত লাঞ্চ টাইমে অফিসেই একা কাটানোর জন্য একা একা পড়ে নেই।
রমজান মাসে সম্পুর্ণ রোজা রাখি। এবং ফিতরা টাকার পরিবর্তে খাদ্যসামগ্রী দিয়ে আদায় করি।
আমি ১০০ ভাগ হালাল ইনকাম করি। হারাম এখনো খেয়ে দেখি নাই। চাকুরির সিস্টেমেই আমার হারাম খাবার উপায় নেই।
প্রতিমাসে কিছু গরীব মুসাফিরকে নিজের বাসায় দাওয়াত করে এনে যত্ন সহকারে খাওয়াই। কখনো বাসায় কোনো মুসাফিরকে ফিরিয়ে দেই না।
আমি প্রতিমাসে স্যালারির উপরে সরকারকে ইনকাম ট্যাক্স দেই।
আমার কোনো বাড়ী নেই, জমিজমা নেই- মোটকথা আল্লাহপাককে সম্পদের হিসাব দেবার মত উল্লেখযোগ্য কিছুই নেই। আলহামদুলিল্লাহ!
আমাকে আল্লাহপাক খুব ভালোবাসেন। তাই অফুরন্ত আনন্দ এবং শান্তি দিয়েছেন আমার হৃদয়ে। আমিও আল্লাহপাককে ভালবাসার চেষ্টা করি। আমি জানি, চুলচেরা হিসেব দিয়ে, তা আমলের হোক বা অন্য কিছুর , আমি কখনোই পার পেতে পারব না। এজন্যই আমি আল্লাহপাকের অসীম রহমতের দিকে তাকিয়ে নিরন্তর নিজের গুনাহ মাফের জন্য এস্তেগফার করে যাচ্ছি। আল্লাহপাক বান্দাদের বেশী ভালোবাসেন, তার নিদর্শণ স্বরূপ তিনি সাতটি জাহান্নাম বানালেও বেহেশত একটি বেশী বানিয়েছেন। সেদিক থেকেই আমি আল্লাহপাকের রহমতের আশা করছি।
আমি জ্ঞানত কোনো বান্দার হক মেরে খাইনি। এখনও সহজে কারো সাথে বিবাদে জড়াই না।
সবকাজ শুরু আগে 'বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম ' বলে শুরু করার চেষ্টা করি, আর শেষে আলহামদুলিল্লাহ।
আমার দাড়ি নেই। এটি একটি বড় অপুর্ণতা এবং আমি জেনে শুনে এই গোনাহের কাজটি করছি।তবে হৃদয়ে এই সুন্নতটি পালন করবার ইচ্ছে পোষণ করছি।
আমি কোনো ইসলামিক সংগঠনের সাথে জড়িত নই- কোনো ধরণের রাজনীতির সাথেই আমি জড়িত নই।
আমার অবসর কাটে লিখালেখির দ্বারা। আর বাকি সময়ে আমি আল্লাহপাককে স্মরণ করার চেষ্টা করি।
এই ছিল আমার দৃষ্টিতে ইবাদত। আমি যতটুকু পেরেছি, লিখার চেষ্টা করেছি। ভুল হলে তার দায় আমার। আল্লাহপাক আমাকে মাফ করুন এবং সহীহ বুঝ দান করুন-আমীন।
বিষয়: বিবিধ
১২৩৩ বার পঠিত, ১৯ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আমি সেই আশা পোষণ করছি। এজন্য আআমকে অনেক পড়তে হবে। আমি আমার চিন্তা-চেতনাকে সেদিকেই ডাইভার্ট করার চেষ্টায় রয়েছি। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ব্লগে আপনার অনুভূতি রেখে যাবার জন্য।
জাজাকাল্লাহু খাইর।
আল্লাহপাক কবুল করুন।
অনেক শুভেচ্ছা আপনার জন্য।
৪৩ পেরিয়ে গেছে, ইনশা আল্লাহ বাকি সময়টুকুও এভাবে থাকবার আশা রয়েছে।
শুভেচ্ছা আপনার জন্য।
ভালো থাকবেন।
জাজাকাল্লাহু খাইর।
আপনার দোয়া আল্লাহপাক কবুল করুন।
জাজাকাল্লাহু খাইর।
দেরি করে আসলাম আপনার পোস্ট পড়তে সেজন্য দুঃখিত। জাজাকাল্লাহু খায়রান সুন্দর করেই লিখেছেন। আল্লাহ আপনার লেখাতে বরাকা দান করুন। আমীন।
রসুল (সা) বলেছেন,
(বুখারী হাদীস নং-৭১)
আমি আশাকরি আল্লাহ আপনাকে ভালোবাসবেন এবং এজন্যই আপনাকে সহীহ দ্বিনের জ্ঞান দান করবেন ইনশাআল্লাহ।
রসুল (সা) বলেছেন, আল্লাহ বলেন, [মুসলিম, আহমদ ও ইব্ন মাজাহ]
========
আল্লাহ আপনাকে দ্বিনের জ্ঞানদান করুন আমীন। আপনি বলেছিলেন আপনার লেখাকে ধিরে ধিরে ইসলামের দিকে ডাইভার্ট করবেন তাই সেটা শুরু করাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে। কেননা মানুষ মারাগেলে তার সব বন্ধ হয়ে যায় ৩ টা জিনিস ছাড়া তার মাঝে একটি হচ্ছে "ইলমের জ্ঞান"
তাই সেই সদকায় জারিয়াটা জত দ্রুত শুরু করা যায় ততই ভালো।
অনেক লম্বা কমেন্টস করলাম মনখারাপ করবেন না। আসলে কথায় আছেনা "ঢেকি সর্গে গেলেও বাড়া বানে" সেরখম চান্স পেলে বলতে কখন ছাড়িনা। তবে উলুবনে মুক্তা ছড়াইনা।
মাশাআল্লাহ! লাকুআতা ইল্লাহ বিল্লাহ।
ধন্যবাদ আপনাকে ।
আমার জন্য করা আপনার প্রতিটা দোয়াই যেন আল্লাহ পাক কবুল করেন-আমীন।
আপনার কমেন্টস আমার চলার পথের উৎসাহ। এরজন্য মন খারাপ হবে কেন?
এবারের ঈদের বন্ধে কিছু পড়ালেখা করব আমাদের ইসলাম ধর্মের উপরে। সেখান থেকেই ইনশা আল্লাহ বিষয়ভিত্তিক টুকটাক লেখা শুরু করব। আপাতত কিছু কবিতা আর অণুগল্প মাথায় রয়েছে, সেগুলোকে নামিয়ে দিতে চাচ্ছি।
আপনি ভালো থাকবেন।
জাজাকাল্লাহু খাইর।
ধন্যবাদ।
আল্লাহপাক আমাদেরকে সবাইকে মাফ করুন এবং সহীহ আমল করার তৈফিক দান করুন-আমীন।
আপনার দোয়া আল্লাহপাক কবুল করুন।
ভালো থাকবেন।
জাজাকাল্লাহু খাইর।
অনুভূতি রেখে গেলেন, অনেক ভালো লাগল।
আপনার দোয়া যেন আল্লাহ পাক কবুল করেন।
শুভেচ্ছা রইলো।
মানুষ চাইলেই সৎ থাকতে পারে। মানুষকে লোভ আর ইবাদতের প্রতি অমনোযোগই অপরাধে প্রলুদ্ধ করে।
আপনার সাথে সহমত।
আল্লাহপাক সবাইকে নির্লোভী হবার এবং ইবাদতে মনোযোগ আনার তৌফিক দান করুন।
জাজাকাল্লাহু খাইর।
মন্তব্য করতে লগইন করুন