প্রজাপতি... একটি ফেইক আইডি ও নীল ডানা (ধারাবাহিক গল্পঃ শেষ পর্ব)
লিখেছেন লিখেছেন মামুন ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৪, ১২:১৭:১৩ দুপুর
৩.
একটা বরফের ভাস্কর্য ধীরে ধীরে গলে যাচ্ছে... ভিতর থেকে পাথর উন্মুক্ত হচ্ছে... সম্পুর্ণ অবয়ব ফিরে পাবার আগেই সম্মোহিত অবস্থা থেকে জাহিদের উত্তরণ। ইনবক্সে রাহেলার ম্যাসেজ...
‘ আমার প্রশ্নের উত্তর কিন্তু এখনো পাইনি।‘
কী-বোর্ডে টাইপ করতে গিয়ে জাহিদের হাত কেঁপে ওঠে।
: আমি আমার নাম বললেই কি আপনি আমাকে চিনতে পারবেন?
‘অন্তত কে আমাকে এতদিন ফোন করে... ম্যাসেজ দিয়ে বিরক্ত করছে, সেটা জানতে পারব।‘
: আপনি মানুষকে অপেক্ষা করিয়ে মজা পান, তাই না?
‘আপনাকে অপেক্ষা করিয়ে রাখার জন্য দুঃখিত । আমি ফর্মাল বন্ধুত্বে বিশ্বাস করি । সবাই বন্ধু বলতে যেমন ইমোশনাল সম্পর্ক আশা করে, আমি তা কারো কাছে প্রমিস করি না । আশা করি আপনার অস্থিরতা আর অপেক্ষা এবার শেষ হয়েছে ।‘
: আমি কখনো অস্থির ছিলাম না। আর সবাই ই যে বন্ধু বলতে ইমোশনাল সম্পর্ককে বোঝে এটা আপনার ভুল ধারণা।
‘ হতে পারে... আপনি আমার ফেসবুক ফ্রেন্ড। কিন্তু বাস্তবে আপনাকে আমি বোধ হয় কখনো দেখিনি। ‘
: তবে আমরা বন্ধু হলাম কীভাবে?
‘ অন্য কোনো বন্ধুর ফ্রেন্ড লিস্টে আপনি ছিলেন, হয়তো সেভাবে আমরা বন্ধু হয়েছিলাম।‘
: তুমি এতোটা শিওর হলে কীভাবে যে আমাকে কখনো দেখনি?
কিছুটা হকচকিয়ে যায় রাহেলা। কে এই আইডিধারী? এতটা দৃঢ়ভাবে বলছে যেন ওরা দুজন দুজনের কত পরিচিত! মনের ভিতরে মৃত এক নদী এক পশলা বৃষ্টিতেই জেগে উঠে আড়মোড়া ভাঙ্গবে এমন মনে হল। নিজের অজান্তেই রাহেলা লিখল,
‘ তুমি কি জাফর!’
: কেন জাফরকে খুব মিস করেন মনে হয়?
‘ এটা একজন অপরিচিত মানুষের কাছে তাঁর একান্ত নিজের বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়ে গেলো না?’
: আমি দুঃখিত। তবে জাফর খুব ভাগ্যবান যে সে এখনো এমন কারো হৃদয়ে কতটা গভীর আসন গেড়ে রয়েছে!! সবাই তো আর জাফর নয়।
‘ আমার হৃদয়ে যে জাফরই আসন গেড়েছে, আপনার কেন এমন মনে হল?
: কি জানি, এমনিই মনে হল।
‘ আপনি সত্যি করে বলুন তো কে আপনি? আর আমার কাছে কি চান?’
: তুমি নাকি আমাকে নিঃশ্বাসেও ধারন কর... করতে...
‘ কে বলেছে আপনাকে?’
: তুমিই বলেছ... চিন্তা কর। তোমার জন্য আমার হৃদয়ে এখনো যন্ত্রণা হয়। তোমার কি হয় জানু!!
বজ্রাহতের মত নির্বাক হয়ে রইলো রাহেলা। এই জানু শব্দে একজনই কেবল ওকে ডাকত। যাকে সে অবহেলায় ফিরিয়ে দিয়েছিল। কিছু করার ছিল না আসলে সেই সময়টাতে রাহেলার। সে যে জাফরকে ইতোমধ্যে ভালোবেসে ফেলেছিল। আর বাসার সবাই অন্য একজনের সাথে ওকে এনগেজড করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছিল। তবে কি ও জাহিদ? হ্যা, এবারে একটা ধোঁয়াটে ভাব ওর ব্রেইনের শিরা-উপশিরা থেকে বের হয়ে ওকে কিছুটা স্মৃতি ফিরে পেতে সাহায্য করল।
‘তুমি জাহিদ!’
: হ্যা! কেমন আছ তুমি ?
ম্লান হাসে রাহেলা।
কিন্তু সে কেমন আছে কিংবা জাহিদ কেমন আছে- এগুলো এখন নিছক বাতুলতা। কথার পিঠে কথা বলার জন্যই সাধারণত এগুলো ব্যবহার করা। নিজের ভিতরে একটা অপরাধবোধ কাজ করায় সে জিজ্ঞেস করলো না।
এবং জাহিদের প্রশ্নের উত্তর ও দিল না। প্রসঙ্গ পাল্টানোর জন্য লিখলো-
‘ তুমি আমাকে প্রায়ই ম্যসেজ পাঠাতে, কিন্তু আমি কল ব্যাক করলে ধরতে না কেন?’
: কেন ধরতাম না... কেন এতোগুলো দিন চোরের মত অপরিচিত নাম্বার থকে ম্যাসেজ পাঠাতাম... এগুলো কি সত্যিই তোমার এখন জানতে ইচ্ছে করছে? নিজেকেই জিজ্ঞেস কর।
ওপাশ থেকে রাহেলা নিশ্চুপ রইল।
কি জিজ্ঞেস করবে সে নিজেকে? গত ছয় মাস ধরে তো কেবলই নিজের সাথে নিজের দ্বন্দ্ব... কিছু অন্তহীন জিজ্ঞাসা এবং সব শেষে শব্দহীন কান্না।
এই নিয়েই সে আছে। এর ভিতরে আজ জাহিদের হঠাৎ ওর জীবনে এভাবে এসে চমকে দেয়ায় আসলেই সে কিছুটা হতভম্ব। সব কিছু মনে পড়ে যাচ্ছে। আবার কেন জানি ভুলে যাচ্ছে। এতো কিছু ঘটনার ভিতরে আরো কি যেন একটা মনে আসি আসি করেও আসছে না।
অনেক্ষণ রাহেলার কোনো উত্তর না আসাতে জাহিদ একটু বিব্রত হল। তবে কি ওর কোনো কথাতে রাহেলা কষ্ট পেল?
: কি হল? তুমি আছ তো?
‘ হ্যা।‘
: একটা কথা জিজ্ঞেস করি?
‘ কর।‘
: জাফরকে কেন ছেড়ে এলে?
এই প্রশ্নটা কখন শুনবে তারই অপেক্ষায় ছিল রাহেলা। ওকে কেন্দ্র করে যারা রয়েছে, রাহেলার সাথে কথোপকথনের এক পর্যায়ে এই প্রশ্নটি করবেই। আর তাদেরই বা দোষ কীভাবে দিবে সে। পরিবার-সমাজ আর সর্বোপরি জাহিদকে সম্পুর্ণ উপেক্ষা করে সে একজন বিবাহিত পুরুষকে হৃদয় দিয়ে দিলো!! কিন্তু সেই পুরুষটি কি করলো?
সরাসরি ওকে না করে দিল।
তাও কখন? যেদিন রাহেলার একগেজমেন্ট হবার কথা, বাসায় মাকে একটা চিরকুট লিখে সোজা চলে গেলো জাফরের কাছে। বলল, ‘আমি একেবারে চলে এসেছি’। অথচ ওর হৃদয়কে কেড়ে নেয়া সেই পুরুষটি প্রথমে কিছুটা অবাক হয়ে ওকে দেখল। এরপর ওর ভিতরের মানুষটির কদর্য রুপটি প্রকাশ্যে বেরিয়ে এসে ওকে বল,’আমি আমার পরিবার নিয়ে খুব ভালো আছি। ওদেরকে ছেড়ে তোমাকে গ্রহন করা আমার পক্ষে সম্ভব না।‘
এক কথায় না করে দিল। একটা অদৃশ্য শর রাহেলাকে সম্মুখ থেকে পশ্চাতে বিদীর্ণ করল। সে চাইলে অনেক কিছু বলতে পারত। সীন ক্রিয়েট করতে পারত। বিবাহিত হয়েও ভালবাসাকে পুঁজি করে ওকে ভোগ করা এই লম্পট মানুষটির বিরুদ্ধে আইনের আশ্রয় ও নিতে পারত।
কিন্তু নিজের ভিতরে সেই সময়টাতে এতোটা লজ্জা ও ক্ষোভ জমা হয়েছিল যে ওখানে জাফরের সামনে আর এক মুহুর্তও দাড়াতে ইচ্ছে করেনি। সোজা বাসায় ফিরে এলো। কিন্তু সেখানেও ইতোমধ্যে সবাই সব কিছু জেনে গেছে। জাহিদের পরিবারের সামনে লজ্জায় ম্রিয়মাণ ওর আব্বু-আম্মু ও ভাইয়ার সেদিনের অসহায়ত্ব এখনো সে ভুলতে পারে নি। আব্বুর প্রচন্ড ক্রোধের হাত থেকে সেদিন জাহিদই ওকে রক্ষা করতে এগিয়ে এসেছিল। ওকে নিয়ে পতেঙ্গা বীচে চলে গেলো। সেখানেই রাহেলা জাহিদকে সবকিছু বলেছিল। কিন্তু চলে আসার সময় জাহিদের ঐ শেষ প্রশ্নটার উত্তর দেয়া হয়নি।
জাহিদের প্রশ্নের উত্তরে সে লিখল,
‘ আমি তাকে ছেড়ে আসিনি। সেই আমাকে...’
:স্যরি... আ’ইম এক্সট্রেমলি স্যরি!
‘তোমার দুঃখ পাবার কিছু নেই। বরং তোমার তো খুশী হবার কথা যে ও আমাকে রিজেক্ট করেছে। এন্ড আই রিয়েলি ডিসার্ভ ইট।‘
জাহিদ বুঝে উঠতে পারলো না, জাফর রাহেলাকে ছেড়ে গেছে শুনলে সে কেন খুশী হবে। তবে এই মুহুর্তে রাহেলা যে কিসের ভিতর দিয়ে যাচ্ছে, সেটা বুঝে এ বিষয়ে আর কিছু জিজ্ঞেস করলো না। অনেকক্ষণ অপেক্ষা করে শেষে লিখল,
: শোন জানু, মানুষ ভুল করে , ভুলের উপর দাঁড়িয়ে থাকেনা।
‘ আমি মানুষই না।‘
: তুমি নতুন করে আবার সব কেন শুরু করছ না?
‘ তুমি বিয়ে করেছ?’
রাহেলার এই আচমকা প্রশ্নে বিব্রত হল জাহিদ। বলল,
: হঠাত এই প্রশ্ন কেন? তুমি ভালো করেই জান আমি আর কাউকে ভালবাসতে পারব না...
‘ তবে আমার বেলায় কেন বলছ? তুমি যদি আমাকে ভালবেসে অন্য কাউকে ভালবাসতে না পার... নতুন ভাবে জীবনকে শুরু করতে না পার... তবে আমি কীভাবে জাফরকে ভুলে যাই?
: জাফর ও আমার – আমাদের দুজনের প্রেক্ষিতটা ভিন্ন। সে তোমাকে প্রতারিত করেছে। আমি ভালোবেসেছি!
‘ কিন্তু আমি ও তো ওকে ভালোবেসেছি... ‘
: তুমি এক চঞ্চলা হরিনী... উড়ু উড়ু মন নিয়ে ডালে ডালে, ফুলে ফুলে ঘুরে বেড়ানো এক প্রজাপতি। তোমার অপেক্ষায় সকল বৃক্ষরাজি... রঙিন ডানা মেলে ঊড়ে উড়ে প্রকৃতিকে বর্নীল করবে, এইটাই তোমার কাজ। আর তুমি কিনা চাইছ একটা ভুলকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হতে?
জাহিদের লেখা কথাগুলো মন দিয়ে কিছুক্ষন অনুভব করল। অনেকদিন পর দু’চোখ বেয়ে নেমে আসা লোনা জলের ধারা ওকে একইসাথে আনন্দ এবং বেদনায় ভারাক্রান্ত করে তুলল। নিজেকে জিজ্ঞেস করল সে কোনো ভুল করছে কিনা? জাহিদ হয়তো ওর জন্য এখনো অপেক্ষা করছে... রাহেলা চাইলেই ওকে নিয়ে নতুন করে সংসার করতে পারে। আব্বু-আম্মু-ভাইয়ার সাথে জটিল সম্পর্কটাও সহজ হতে পারে।
কিন্তু একটা দ্বিধাদ্বন্দ্বের দোলায় এই মুহুর্তে সে বারবার হারিয়ে যাচ্ছে। একটু স্থির হতে পারলেই না হয় একতা সঠিক সিদ্ধান্তে আসতে পারে। কিন্তু ওর মনের ভিতরে যে অপ্রকাশ্য মন রয়েছে, সেখানে জাফর নামের একজন এতোটাই গেড়ে বসেছে যে, চাইলেও সে তাকে সেখান থেকে ডিলিট করে অন্য কাউকে বসাতে পারছে না। এই যে জাফর ওকে না বলে দেবার পর থেকে ফেইক আইডি দিয়ে ওর ফ্রেন্ড হওয়া... প্রায়ই চুরি করে করে জাফরকে ভার্চুয়াল জগতে অনুভব করা... ওর টাইমলাইনে ‘বিষন্ন মেঘ বালিকা’ হয়ে মৃদু খুনসুটি করা... ওর লেখালিখিতে লাইক দেয়া... কমেন্ট করা- এগুলোতে সে যে কতোটা আনন্দ পায়, জাফরকে এক এক সময় মাফ করে দিতে ইচ্ছে করে!
কখনো সে ‘রাহেলা’র অস্তিত্ব ভুলে যায়।
হয়ে উঠে একজন ‘বিষন্ন মেঘ বালিকা’!
যার সাথে জাফর নামের একজন পিশাচ টাইপের মানুষের বন্ধুত্ব!!
এ সব কিছু মিলিয়ে রাহেলা কিংবা বিষন্ন এক মেঘ বালিকা তাঁর প্রথম প্রেম... প্রথম ভাললাগাকে অপমান না করে সেটা চিরস্থায়ী করতে চাচ্ছে।
তাকে পেয়েও হারানোর বেদনায় যে ভালোবাসা এখন তৈরী হয়েছে, সেই শ্বাশ্বত ভালোবাসা ওকে ওর নিজের এক একান্ত জগতে মায়ায় জড়িয়ে নিয়েছে। এই পাওয়াটাই বা কম কি?
জাহিদের কথার উত্তরে লিখল,
‘ আমি এক বিবর্ণ প্রজাপতি। আমার ডানাই আমার হৃদয়কে ধারণ করছে। কিন্তু ফুলে ফুলে ঘুরে বেড়ানোর মতো ক্ষমতা এখন আর আমার নেই। মনকে ভালো করে দেয়া সেই রঙের জৌলুস আমি হারিয়ে ফেলেছি... আমার ডানা এখন একটি মাত্র রঙকে ধারণ করছে। না পাওয়ার ব্যাথায় নীল হয়ে আমি না পারছি রঙিন দুনিয়ায় ফিরে যেতে... না নিজের আগের জীবনকে নতুনভাবে ফিরিয়ে আনতে। তুমি আমার অপেক্ষায় থেকে থেকে ভুল করোনা। আমি তোমাকে কোনো রং উপহার দিতে পারব না। এমন বর্ণহীন প্রজাপতি কার কোন কাজে লাগবে বল?’
: আমি তোমার নীল ডানা থেকে সকল ব্যথা-কষ্টকে শেয়ার করে নিয়ে যাব! আবার আগের মত বর্ণীল ডানা ফিরে পাবে তুমি! তুমি কি জান আমি তোমাকে কতটা ভালোবাসি, জানু! আমি তোমার জন্য অপেক্ষা করবো... যতদিন তুমি চাইবে!
কোনো উত্তর না দিয়ে নীরবে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে রাহেলা।এই মাত্র ওর হৃদয়ে সম্পুর্ণ নতুন এক আবগের জন্ম নিয়েছে... এটা আগে কখনো সে উপলব্ধি করেনি। তবে এই মাত্র সে বুঝল জাহিদ ওকে কতটা ভালোবাসে! আর ভালবাসার স্বরূপ সে তো অনেক আগেই জাফরকে নিয়ে উন্মোচন করেছে।
এইমাত্র প্রকৃতি যে রাহেলার হৃদয়কে নিয়ে নতুন এবং জটিল এক সমীকরণে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে... রাহেলা তাঁর কিছুই বুঝল না। তবে ওর অবচেতন মনে জাহিদ নামের লোকটার জন্য প্রচন্ড এক মমতা ক্রমে বেড়েই চলল। হৃদয় থেকে কিছু পুরনো ভালোলাগা বিবর্ণ হয়ে মিইয়ে যায়... তাঁদের যায়গা নতুন কিছু ভালোলাগা দখল করে। এভাবেই এগিয়ে চলে জীবন। জাফর ধোঁয়াটে হয়ে জাহিদ অবয়ব পাতে থাকে। তবে এর মাঝে কিছু কিছু ব্যতিক্রম ধর্মী হৃদয়ও যে থাকে না তা ও নয়। তবে রাহেলা কোন দলে পড়েছে তা কে বলতে পারে?
আমরা নিজেরা ও কি জানি আমরা কোন দলে?
(শেষ)
বিষয়: সাহিত্য
৯০৭ বার পঠিত, ১০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
শুভেচ্ছা।
পুরনো লেখাগুলো পড়ে দেখতে পারেন।
শুভেচ্ছা রইলো।
পেয়েও হারানোর বেদনায় যে ভালবাসা তৈরী হয়,ত শাশ্বত ভালবাসায় নিজের ভেতর একান্ত মায়াময় কিছু অনুভূতির সৃষ্টি করে।এই পাওয়াটাই অনেক অনেক............।
সুন্দর আবয়বের নীল কিছু ধন্যবাদ ......।
অনেক ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা তোমার জন্য।
অনুভূতি রেখে যাবার জন্যও অনেক শুভেচ্ছা আপনাকে।
মন্তব্য করতে লগইন করুন