প্রজাপতি... একটি ফেইক আইডি ও নীল ডানা (ধারাবাহিক গল্পঃ পর্ব-১)
লিখেছেন লিখেছেন মামুন ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৪, ০৯:৫৭:৪৯ রাত
[ তিন পর্বের গল্পটির প্রথম পর্ব দেয়া হল।]
১.
আবাসিকের চারতলা বিল্ডিঙটার দক্ষিণ পাশের বারান্দায় শিকের সাথে কপাল ঠেকানো অপুর্ব সুন্দরী মেয়েটিকে এলাকার ছেলেরাও কেন জানি বিরক্ত করে না। না হলে এই সব রোমিওদের উৎপাতে অন্যান্য ফ্ল্যাটগুলোর কুমারীদের একদন্ড বারান্দায় বসার জো নেই।
ওর প্রতি এই অযাচিত পক্ষপাতিত্ব কেন?
সে কি স্পেশাল কেউ?
নাকি ওর ইএসপি (এক্সট্রা সুপারন্যাচারাল পাওয়ার) জাতীয় কিছু রয়েছে?
আসলে সুন্দরী এই মেয়েটি ওর হৃদয়ে প্রচন্ড এক ব্যথা বয়ে বেড়াচ্ছে।
এইজন্যই ওকে জীবিত থেকেও মৃত মানুষের মত দেখায়।
আর মৃত মানুষের সাথে কে টিজ করতে চায়?
এলাকার ছেলেদের চোখেও ওর মরা মানুষের মতো চোখ হয়তো নীরবে অনেক কিছুই জানিয়ে দিয়েছে। হৃদয়ের উচ্ছ্বাস চোখ দিয়েই ফুটে বের হয়। তাই রাহেলা নামের বাইশ বছরের এই মেয়েটির ভিতরে ভিতরে কষ্টের ফল্গুধারা বয়ে যাওয়াতে ওর চোখ অন্যদের কাছে নির্জীব মনে হয়।
নীচের রাস্তাটি ক'দিন আগে পীচ ঢালাই করা হয়েছে। আগে ইটের সলিং ছিল। একটা জিনিস সে খেয়াল করেছে, যে আবাসিক যত হাইফাই তাঁদের রাস্তাও তুলনামুলক ভাবে ততোটাই খারাপ থাকে। এখানের বাড়ীগুলো সব দেখার মতো। কিন্তু বছরজুড়ে কাজ লেগেই থাকায় আসলে চাইলেও রাস্তার দি্কে কেউ মনোযোগ দিতে পারে না।
লাল ইটের রাস্তা আমূল বদলে কালো হওয়াতে কেমন যেন অপার্থিব লাগছে!
সেই পরিচিত যায়গাইতো... আশেপাশের বাড়ীগুলো সব একই আছে। ঐ যে ওপাশের বিল্ডিঙের বাউন্ডারি সংলগ্ন কৃষ্ণচূড়া গাছটি পাতায় পাতায় একইরকম রঙিন... একটা কাঠ ঠোকরা বাসা বানিয়েছে। এরই বিপরীত বাড়ীটার ছাদে টবে হরেক রকম গাছ দিয়ে মনের খোরাক মেটানোর চেষ্টা করা হয়েছে। এ সবই তো একই আছে।
রাস্তাটা কালো হওয়াতেই কি এতোটা ভিন্নতা এসেছে?
সুন্দরী মেয়েটি বিষন্ন হাসি হাসে।
একা একা।
গত ছ'মাস ধরে একপ্রকার একাকি জীবনইতো সে লীড করছে।
সবার ভিতরে থেকেও একা।
রাহেলারা এই বাসাটায় সেই ইন্টার পরীক্ষার কিছু আগে থেকেই রয়েছে। আব্বু, আম্মু ,বড় ভাইয়া আর সে। পরম নির্ভরতায় বয়ে চলা একটা চতুর্ভুজ জীবন কীভাবে যে হঠাৎ ত্রিভুজে পরিণত হল...
বসার রুমে টি-টেবিলের উপর রাখা মোবাইলে ম্যাসেজের আওয়াজ ওর চিন্তাকে সামান্য সময়ের জন্য থামিয়ে দেয়। শিকের ওপাশের জীবন থেকে রাহেলা ওর এখনকার জীবনের অন্তঃপুরে প্রবেশ করে। মোবাইল হাতে নিয়ে ম্যাসেজটি পড়তেই চোখ ছাড়া মুখে কিছুটা ভাবের আদান-প্রদান হয়। ভ্রু কুঁচকে থাকাতে বিরক্তি ধরা পড়ে।
কয়েকদিন ধরে এই নাম্বারটি থেকে ওকে ভীষণ বিরক্ত করছে। ওর ফেইসবুক আইডিতে ঢুকতে বলছে। কিন্তু নিজের পরিচয় দিচ্ছে না। আর ম্যাসেজের নাম্বারে কল করলেও রিসিভ করে না। মন খারাপের এই দিনগুলোর শুরুর থেকেই নেটে ঢোকাও সে বন্ধ করে দিয়েছে। তাই অপরিচিত একটি হৃদয় কেন যে ওকে আরো পরিচিত কিছু হৃদয়ের সার্কেলে টেনে নিতে চাচ্ছে সেটা বুঝতে পারছে না।
একটা দো'টানা অনুভব করছে রাহেলা।
ম্যাসেজের নাম্বারের পিছনের লোকটিকে কেন জানি ভীষণ পরিচিত মনে হচ্ছে।
আবার একটা অমূলক শংকাও জাগছে মনের ভিতর।
হেঁটে হেঁটে নিজের রুমের দিকে যাচ্ছে। পথে ভাইয়ার রুমটাকে ক্রস করে ওরটাতে যেতে হয়। দরোজা বন্ধ।
ওরা চতুর্ভুজ থাকাকালীন যা কখনোই কল্পনা করাও যেত না।
এখন এ বাড়ীতে সে শুধুই একজন আউটসাইডার।
যার সব কিছু থেকেও কিছুই নেই।
আব্বু-আম্মু যতটুকু প্রয়োজন ঠিক ততটুকুই কথা বলেন। মেপে মেপে। আর ভাইয়া তো ওর কাছেই আসে না।
রুমের বিছানা লাগোয়া ছোট্ট টেবিলের উপর ওরই মত অবহেলায় পড়ে আছে ওর ল্যাপটপ। কিছুটা ধুলা পড়ে গেছে ইতোমধ্যেই।
আচ্ছা, সে যে ওর মনটাকে এই ছ'মাসে অবহেলা-অযত্নে ফেলে রেখেছে- সেখানেও কি ধুলা পড়েছে?
মনের উপরে ধুলা পড়ে কিনা এই বিষয়টা মাথায় নিয়েই সে নিজের রুমের ভিতর পায়চারী করতে থাকে।
সুন্দরী... বিষন্ন... একসময়ে হৃদয়ে কেবলই ভালোবাসা ধারণ করা একটি মেয়ে আজ বুক ভরা কষ্ট নিয়ে মাছের মত পলকহীন দৃষ্টি নিয়ে ইতস্তত ঘুড়ে বেরাচ্ছে।
নিজের একেলা ভূবনে।
... ...
ঠিক একই সময়ে সুদূর আমেরিকার টেক্সাসের একটি রিসার্চ সেন্টারে কর্মরত সুদর্শন বাঙালি ছেলেটি বারবার নিজের হাতঘড়ি দেখছে। কোন রিচার্স সেন্টারে কিংবা কি নিয়ে রিসার্চ করছে সেটি আমাদের জানার দরকার নেই। অফিসের নির্ধারিত সময়টুকু পার করার চিন্তায়ই অস্থির সে। ঊনত্রিশটি বসন্ত পার করার দ্বারপ্রান্তে সে। কিন্তু তা নিয়ে তাঁর বিশেষ কোনো মাথাব্যাথা নেই। ইদানিং কিসের এক মানসিক তাড়নায় কিছুটা এলোমেলো জীবনযাপন করছে।
আজ মাস ছয়েক হল ওর এলোমেলো জীবনের শুরু। সুত্রপাত সেই প্রিয় স্বদেশ থেকেই। যার কারণেই এই বিদেশ-বিভূইয়ে আসা। নাহলে এখন ‘আমার দেশের মাটির গন্ধে, ভরে আছে সারা মন’ টাইপের ফিলিঙ্গে বিভোর থাকত... আর সাথে সেই হৃদয় ব্যকুল করা প্রিয়তমা! অথচ আজ কিনা মারিজুয়ানার গন্ধে হ্যালুসসিনেশনে ভুগতে ভুগতে তাকে কল্পনা করতে হচ্ছে!! এখানে ওয়াইন কিংবা বীয়ার কোনো ব্যাপারই নয়। সে আজীবন এইসব থেকে দূরে থেকেছে। সময়ের ফেরে একটু শান্তির আশায়... সব কিছু ভুলে থাকার জন্য শেষ পর্যন্ত মারিজুয়ানাকে বেছে নিতে হল। তাতে কি কষ্ট বা দূঃখবোধ ওর একটুও কমেছে?
নাই বা কমলো।
কিন্তু ওটা সেবনের পরে দেহমনে যে রিল্যাক্স ভাব আসে, তাতে কিছুটা সময় এক স্বর্গীয় অনুভুতিতে আচ্ছন্ন থেকে মনের জীর্ণতা খানিকটা কমে যায়।
আগামী কালের জন্য আবার জাহিদ বেঁচে থাকার... কাজ করার অনুপ্রেরনা পায়।
যা সে এক বাঙালি ললনার নিকট খুইয়ে এসেছিল আজ থেকে ৬ মাস আগে।
সেই ঘুরে ফিরেই ‘ওর’ কথা!
সারাদিন কি কাজের ফাঁকে কিংবা গুরুত্বপুর্ণ মিটিঙে থাকাকালীন- সব অবস্থায়ই রাহেলা নামের এক বাঙালি মেয়ে জাহিদের বুকের বাম পাশের একটুকরো মাংসপিণ্ডের ভিতরে লুক্কায়িত একসাগর ভালবাসাকে উত্তোরোত্তর বাড়িয়েই চলে।
প্রতিদিন নিজে ড্রাইভ করে জাহিদ।
আজ শরীরের ভিতর ‘উইথড্রয়াল সিম্পটম’ অনুভব করল। মাদকটা নেবার সময় হয়ে এসেছে। আর বড় জোর ৫ মিনিট লাগবে ওর অ্যাপার্টমেন্টে পৌঁছাতে। ভিতরে ভিতরে একটু তাড়া অনুভব করলেও ব্রেইনকে সেভাবে চলার নির্দেশ দিলোনা জাহিদ।
আধা ঘন্টা পর...
নিজের একান্ত ‘তামাক ঘরটা’তে রিল্যাক্স মুডে রয়েছে জাহিদ। এই ছোট্ট রুমটার নাম সে দিয়েছে ‘তামাক ঘর’। এখানে শুধু মাত্র তাঁর একারই প্রবেশাধিকার।
একা!
মনে মনে হেসে উঠে সে। এখানে আর কে আছে? সেতো একাই থাকবে।
নাহ! ভুল হল। দেশে যদিও বাবা-মা ছোট ভাইবোনদেরকে ছেড়ে সে এখানে দৃশ্যত একা।
কিন্তু একজন যে সর্বক্ষণ তাঁর ছায়াসঙ্গিনী হয়ে আছে!
সাউন্ডপ্রুফ এই রুমটাতে গান শুনে বেশ আনন্দ পায় জাহিদ। এমনিতে ফুল ভলিউমে গান শুনতে সে অভ্যস্ত। দেশে বাবার জন্য এই সুযোগটা পাওয়া যেতো না। এখানে এসে না পাওয়া এমন অনেক কিছু পেলেও হারাতেও হয়েছে অনেক কিছু। আইয়ুব বাচ্চুর একটি প্রিয় গান বেজে চলেছে। ভলিউম ফুল করে দিয়ে গান শোনায় মগ্ন হল। একেতো মারিজুয়ানার প্রভাবে দেহমনে প্রশান্তি- গানের শব্দগুলো কেমন যেন বুলেটের বেগে হৃদয় ও ব্রেইনকে একত্রে আঘাত করছে। বেশ লাগছে... বাচ্চু তাঁর হৃদয়ের অব্যক্ত কথা অজানা কোনো এক প্রেয়সীকে জানিয়ে যাচ্ছে...
‘...সেই তাঁরা ভরা রাতে ... আমি পারিনি বোঝাতে
তোমাকে আমার মনের ব্যথা।
তুমিতো বলেছ শুধু... তোমার সুখের কথা
সেই তাঁরা ভরা রাতে ... আমি পারিনি বোঝাতে
তোমাকে আমার মনের ব্যথা।'
এই পর্যন্ত শুনেই গলার কাছে কি যেন আটকে এলো জাহিদের। একটা অব্যক্ত বেদনা সারা শরীর জুড়ে বিরাজ করছে। বসা থেকে উঠে দাড়ালো। রুমের চারিদিকে রাহেলার বিশালাকার ছবি দিয়ে সাজানো। যেন জাহিদকে চারদিক থেকেই দেখছে।
মোবাইল হাতে নেয়।
একটি বিশেষ নাম্বারে ম্যাসেজ পাঠায়।
রাহেলার নাম্বারে।
প্রতিদিন একই কাজ করে। কিন্তু সেই নাম্বার থেকে কল ব্যাক করলে ধরে না।
ধরে না? নাকি প্রত্যাখানের বেদনায় রিক্ত জাহিদ ধরার সাহস পায় না!
তবে কেন বারবার রাহেলাকে ম্যাসেজ পাঠায়?
এটা সে নিজেও কি জানে?
ল্যাপটপ অন করে ফেসবুকে ঢুকে। ওর প্রায় ত্রিশটির মতো ফেইক আইডি রয়েছে। এর ভিতরের বিশেষ একটি আইডিতে লগ অন করে।
নাহ!
আজকেও রাহেলা ফেসবুকে আসেনি। ওর একাউন্ট এখনো ডি-অ্যাক্টিভেটেড। প্রতিদিনের মতো মনটা আরো একটু বিবর্ণ হয়ে গেলো শুধু। নিজের আসল একাউন্টে কিছুক্ষণ ঢু মেরে এলো।
‘তামাক ঘর’ থেকে বের হয়ে এলো জাহিদ।
বিশাল বারান্দায় এসে অস্তগামী দিনের শেষটুকু মিইয়ে যাওয়া দেখবে। দূরে আকাশ যেখানে দিগন্তে গিয়ে মিশেছে- সেদিকে অনেকক্ষণ তাকিয়ে রইলো। সেই ছেলেবেলা থেকেই দিগন্তের ওপারে কি আছে সেটা দেখার এবং জানার প্রবল একটা ইচ্ছে রয়ে গেছে ওর ভিতর। এখন ইচ্ছে করলেই সে দিগন্তের ওপারে যেতে পারে। সাত সমুদ্র তেরো নদী পার হতে পারে অবলীলায়। হয়তো চেষ্টা করলে ১০১টি নীল পদ্মও আনতে পারে। কিন্তু রাহেলা নামের এক দ্বাবিংশ বর্ষীয়া তরূনীর হৃদয়ে নিজের জন্য সামান্য যায়গা করে নিতে পারছে না! নিদেনপক্ষে তাকে একটা ফোন করতেও কেন এতো দ্বিধা?
পারিবারিকভাবেই রাহেলার সাথে ওর সম্পর্কটাকে চিরস্থায়ী করার জন্য দু'পক্ষ থেকেই উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল। রাহেলার বড় ভাই শাহেদ আর সে বন্ধু এবং ক্ল্যাসমেট ছিল। সব কিছুই চলছিল নির্দিষ্ট একটি মিষ্টি পরিণতির দিকে। কিন্তু সব কিছুকে ভেঙ্গে দিয়ে রাহেলা কিনা একজন বিবাহিত দুই সন্তানের জনকের প্রেমে পড়ে গেলো!!
নিজের বাবা-মা-ভাই, আত্মীয়স্বজন সবাইকে অবাক করে দিয়ে জাহিদকে বিয়ে করতে সে অস্বীকৃতি জানালো। অথচ এনগেজমেন্টের পর থেকে জাহিদের সাথে বেশ কিছুদিন কি সাবলীলভাবেই না ঘুরে ফিরে কাটালো সে।
দিগন্তের ওপারেই কি সাগর?
জাহিদ গাড়ি নিয়ে সেদিকেই রওয়ানা হল ।
৬ মাস আগে এমনি এক দিনে পাশে রাহেলাকে নিয়ে পতেঙ্গা সী বিচে ড্রাইভ করে যাচ্ছিল। জীবনের সকল আনন্দে ভরপুর একজন যুবকের সকল আশাকে নিজের পায়ে মাড়িয়ে রাহেলা সেদিন একাই ফিরেছিল।
ক্লান্ত-বিধস্ত অপমানে জর্জরিত জাহিদ সেদিন অনেকক্ষণ একই যায়গায় মাথা নীচু করে ছিল। সেদিনটিতে রাহেলা অকপটে ওকে সকল কথাই জানালো। সব শুনে জাহিদ শুধু জিজ্ঞেস করল,
‘আমার সাথে কেন এমন করলে?’
কোনো কথা না বলে জাহিদের ধরে থাকা হাতটি আলগোছে ছাড়িয়ে নিয়ে নিজের গন্তব্যে চলে গেলো রাহেলা।
একবারও পিছনে ফিরে চাইলো না।
দেখলো না এইমাত্র সে একটি হৃদয়কে কিভাবে বিদীর্ণ করে দিল... আশাভঙ্গের বেদনা আগে রাহেলা কখনো অনুভব করেনি। সে জানলোও না ওর ফেলে আসা পথে একজন একাকী ওর প্রতীক্ষায় রয়ে গেলো...
হয়তোবা সারাজীবনের জন্যই!
ওয়ানওয়ে রোডে প্রচন্ড এক গতিতে ছূটে চললো জাহিদ।
ওর ভিতরের ঝড়কে দমাতেই কি এই প্রচন্ড গতি?
(ক্রমশ)
বিষয়: সাহিত্য
২৬৩৯ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ধ্বংশ-বিপর্যয়ের তান্ডব সৃষ্টি করা ছেড়ে যাওয়া'ঝড়ে'অনুভূতির কি-বা অবশিষ্ট থাকে.......!অস্তমিত সুর্যের মিইয়ে যাওয়ার সাথে জীবনের মিল খুজে পাওয়া........?
প্রচন্ড গতির সুখময়তা কামনা করি আপনাদের জীবনে..........
আপনার জন্যও অনেক ভালোবাসা এবং শুভেচ্ছা।
ইতোমধ্যেই হয়ত আপনার আশাপুর্ণি ঘটেছে।
অনেক শুভেচ্ছা রইলো।
মন্তব্য করতে লগইন করুন