প্রবাসী ঈদে মনের ব্যথা
লিখেছেন লিখেছেন আবু জান্নাত ১০ জুলাই, ২০১৬, ০৩:৪৪:৩০ দুপুর
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ
تقبل الله منا ومنكم
ঈদ মোবারাক।
সম্ভাষণ জানাতে অনেকটা দেরী হয়ে গেল, খুব ব্যস্ত ছিলাম এমন নয়, বরং অনেকটা পেরেশানিতে ছিলাম।
একটি কথা ঐচ্ছিক হিসেবে বলে রাখি: عيد مبارك বা عيدكم مبارك বা كل سنة وانت طيب বা كل عام وانتم بخير এ জাতীয় বাক্য দ্বারা সম্ভাষণ জানানো এটা আঞ্চলিকতার উপর নির্ভর করে, যদি তা বিধর্মীদের কালচার না হয়, তাতে কোন শরয়ী' কোন নিষেধ নেই, আর এ সকল বাক্য দ্বারা সম্ভাষণ জানানোকে কেউ ইবাদত মনে করে না, তাই বিদআত হওয়ার সম্ভাবনাও নেই।
সাক্ষাতের প্রথম বাক্য সালাম দ্বারা শুরু করাই সুন্নাহ, হাদিসে এসেছে: السلام قبل الكلام কথা শুরু করার আগে সালাম, এটাই হাসিদের মর্মার্থ। (এই হাদীসের সনদ নিয়ে কিছু কথা থাকলেও অন্যান্য হাদিস দ্বারা এর সমর্থন পাওয়া যায়)
জীবনের ধারাবাহিকতায় প্রবাসী জীবনের একাধারে দশটা ঈদ প্রবাসে কাটানোর পর ১১তম ঈদ স্বজনদের সাথে কাটানোর হাজার চেষ্টা করেও বিফল হলাম।
পৃথিবীতে মানুষ কত কিছুই তো আশা করে, কিন্তু সবার পক্ষে সব কিছু পাওয়া সম্ভব হয়ে উঠে না।
তবুও চেষ্টা থামিয়ে রাখিনি। আলহামদু লিল্লাহ,

তবে এবারের ঈদ দেশে না করতে পেরে অনেকটাই মর্মাহত হয়েছি, কারণ ছয় মাস আগে থেকে প্রিপারেশন নিয়েছিলাম, তবুও তাক্বদীরের নির্ধারণই বড় কথা।

এভাবেই কেটে যায় প্রবাসীদের দিনরাত। পারিবারিক চাহিদা ও প্রয়োজনীয়তার উপর ভিত্তি করে দেশে যাওয়ার সময় নির্ধারণ করা, অতঃপর আরবাব (স্পন্সর) এর মর্জির উপর নিজের চাহিদাকে ছেড়ে দেওয়া ছাড়া কিছুই করার নেই।

তবুও ঈদ বলে কথা, দেশে স্বজনদের নতুন পোষাকে, ভালো খাবারে ঈদ কেটেছে, এটাই প্রবাসীদের মনের আনন্দ।

সবার জীবন সূখী হোক, ভরে উঠুক ঈদ আনন্দে। আবারো ঈদ মোবারাক।

বিষয়: বিবিধ
১৯৩০ বার পঠিত, ১৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
প্রবাসীরাই বুঝে প্রবাসীদের মনের দুঃখ।
অনেক ধন্যবাদ ভাই।
আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ
আহারে!!
বেশী প্রতীক্ষায় আরও বেশী আনন্দ মিলবে ইনশাল্লাহ।
নিশ্চয়ই জান্নাতম্নির কথা মনে করে ছবিটি সংগ্রহ করেছেন? অন্নেক ভালো লাগলো!
সবার জন্য ঈদ শুভেচ্ছা। আপ্নাকেও ঈদ মোবারক!
বাড়ীতে না পেরে অনেকটাই মর্মাহত হয়েছি।
ঈদে সবচেয়ে বড় উপহার মনে হয়েছে: জান্নাতের হাসিমাখা ছবিটি।
অনেক আনন্দের অপেক্ষায় দিনগুনছি।
আপনার পরিবারের সবাইকে অনেক অনেক ঈদ শুভেচ্ছা। ঈদ মোবারাক।
শুনেছি ৬ মাসের ছুটি নাকি দেয় এরা ?
কুরবানীর ঈদের ১ মাস পর ফিরবো ইন শা আল্লাহ।
শুধু ঈদ একমাত্র উদ্দেশ্য নয়, পরিবারকে সময় দেওয়াই প্রধান উদ্দেশ্য। সন্তানরা বাবার ছায়া না পেলে একগুয়েমীতে বড় হয়। পরবর্তীতে বাবার কদর থাকে না।
ছয় মাস ছুটি তাদের, যারা স্বাধীন ভিসায় আছেন, বা নিজের লাইসেন্স/বিজনেস আছে।
মন্তব্য করতে লগইন করুন