আইএস জিহাদের স্বকীয়তা নষ্ট করছে
লিখেছেন লিখেছেন আব্দুল্লাহ আল রাহাত ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ০৪:৫৯:০১ বিকাল
আইএস সৃষ্টির আগ পর্যন্ত জিহাদিষ্টদের সাধারণ মুসলমানদের মধ্যেও একটা জনপ্রিয়তা ছিল। জিহাদকে মনে করা হয় জালিমের বিরুদ্ধে মজলুমের সংগ্রাম। কাশ্মীরের স্বাধীনতাকামীরা ভারতের দখলদারি ও জোর-জুলুমের বিরুদ্ধে জিহাদে অনুপ্রানিত হয়েছে।সম্প্রতি সেনা ও পুলিশের বিশেষ বাহিনীর যৌথ অভিযানে হিজবুল কমান্ডার বুরহান ওয়ানিসহ তিন হিজবুল মুজাহিদ নিহত হওয়ার পর কাশ্মীরজুড়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। বুরহান ওয়ানি কাশ্মীরীদের জন্য কিংবদন্তী বীর মুজাহিদ হিসাবে প্রতিষ্টা পেয়েছে।
ভারতবর্ষে বৃটিশ বিরোধী নানা আজাদী আন্দোলনে আলেমরা সাধারণ মুসলিমদের জিহাদে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন। ভারতবর্ষের স্বাধীনতা থেকে শুরু করে আজকের বাংলাদেশ সৃষ্টি সব জায়গায় জালিমের প্রতি মজলুমের জিহাদের প্রত্যেক্য ভুমিকা ছিল। এক সময় ইসলামপ্রিয় মানুষ ওসামা বিন লাদেনের প্রশংসা করত, মুসলিম বিশ্বের বীর হিসাবে জানত। বিশেষ করে তরুণদের জিহাদী ভাবনায় উদ্বুদ্ধ করতে ফেরেছিলেন সাম্রাজ্যবাদ ও সম্প্রসারণবাদের বিরুদ্ধে। আফগানিস্তানে সোভিয়েত ইউনিয়নকে বিতাড়নের জন্য মুজাহিদরা যে বীরত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল তা মুসলিম বিশ্বে সাড়া পেয়েছে। আফগান মুজাহিদের বিজয় ইসলামে বর্নিত ঈমানি শক্তির প্রতি মুসলমানরা আস্থা অর্জন করে। তাদের প্রতি মুসলিম রাষ্ট্রগুলির মৌন সমর্থনও ছিল।
সাম্প্রতিক সময়ে ভিন্ন চেহারায় সৃষ্ট আইএস সারা বিশ্বে যেভাবে আত্তগাতি হামলা চালিয়ে নিরাপরাধ মানুষ হত্যা করেছে এবং তা ইসলাম ও জিহাদের নামে চালিয়ে দিচ্ছে তাতে ইসলামই বেশী ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এভাবে আইএস ইসলামের বিরুদ্ধে ইসলাম বিদ্বেষীদের অপপ্রচারের খোরাগ জুগিয়ে দিয়েছে। যার ফলে কথিত খলিফা আল বাগদাদীর আইএসের বিরুদ্ধের বিজ্ঞ আলেমগণও সোচ্চার। এবাবের হজ্বের খুতবায় জংগিবাদের ইস্যুটি গুরুত্ব পেয়েছে। তরুণদেরকে বিপথগামী আইএসের ফাঁদে পা না দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
বিষয়: বিবিধ
৯৪৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য






































পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন