স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াত নিষিদ্ধ হয় না কেন?
লিখেছেন লিখেছেন আব্দুল্লাহ আল রাহাত ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১০:৩২:৪৯ রাত
জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধের আন্দোলন শাহবাগে আর দেখা যায় না, বামদেরও সরকার বুঝাতে সক্ষম হয়েছে যে, রাজনীতিতে জামায়াত কার্ড তাদের সবার দরকার আছে। জামায়াত-শিবির না থাকলে শাহারিয়ার কবিরের মত চেতনাজীবীরা ভাতে মারা খাবে।শাহবাগীদের ফাঁসির দাবিও ফিকে হয়ে এসেছে। হয়ত সরকার আর যে কয়টা ঝুলে আছে সেগুলোকে জায়গা মতো ব্যবহার করবে অথবা তাদের ব্যবহার করে জামায়াতের সাথে দরকষাকষি করছে। মূলত জামায়াত নিষিদ্ধ করা হলে সরকার বিএনপি্র নানা দাবিকে সামাল দেওয়ার জন্য জামায়াত ছাড়ো প্রসঙ্গ সামনে আনার সুযোগ পাবে না। স্যাকুলারদের সবচেয়ে বড় ভয় হল জামায়াত হয়ত তুরষ্কের এরদোগানের কৌশল ব্যবহার করে ক্ষমতার পাদপিষ্ঠে চলে আসবে। এর চেয়ে ধর্মীয় রাজনীতির গন্ডিতে তাদের ঠেকানো সহজ।
এমপি লিটন হত্যার জন্য অন্ধভাবে জামায়াতকে দায়ী করে আসছিলেন ক্ষমতাসীনরা। বিনা তদন্তে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ দায়িত্বশীল লোকজন যখন নির্জলা মিথ্যা বলেন তখন জনগণের আস্থা-বিশ্বাসের জায়গা আর থাকে না।
আইজিপি বলেছিলেন, 'এলাকার সাধারণ লোক ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বলছেন, খুনের সাথে জামায়াত-শিবির জড়িত থাকতে পারে। সংসদ সদস্য লিটন জামায়াত-শিবিরের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিলেন। জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছিলেন, 'জামায়াত-শিবির আবারো দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য পরিকল্পিতভাবে তাণ্ডব চালাচ্ছে। এমপি লিটন হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে জামায়াত-শিবির এখনো তৎপর। তাদের রুখে দিতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, 'মনজুরুল ইসলাম লিটনের ওপর জামায়াতের ক্ষোভ ছিল। তিনি সব সময় জামায়াতের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিলেন। গাইবান্ধায় গোলাম আযমের সমাবেশ করতে বাধা দিয়েছিলেন। সেটাই কি তার হত্যার কারণ? স্বাধীনতার পক্ষশক্তির পক্ষে থাকার কারণেই তাকে জীবন দিতে হয়েছে। লিটনের ওপর বারবার হামলা হয়েছে। মাঝে একটা ঘটনা ঘটার পর তার কাছ থেকে লাইসেন্সকৃত অস্ত্র নিয়ে নেয়া হয়। তার পর থেকে তিনি আতঙ্কে থাকতেন সবসময় কখন তার ওপর হামলা হয়। শেষ পর্যন্ত তা-ই হলো, তাকে হত্যা করা হলো।
কিন্তু প্রাথমিক তদন্তে বের হল জাতীয় পার্টির সাবেক সংসদ সদস্য কাদের খানের অর্থ, পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় এমপি লিটনকে হত্যা করা হয়েছে।
আসল কথা হল এই সব খুন-খারাবি যদি দামাচাপা দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে তাহলে দায়টা জামায়াত-শিবিরের ঘাড়ে তুলে দিলেই মামলা খালাস। যেগুলো দামাচাপা দেওয়া যাচ্ছে না বা দেওয়ার প্রয়োজন নেই সেগুলোর সূত্র উদ্ধারে আইন-শৃংখলা বাহিনীকে বেশ চৌকস হতে দেখা যায়। যেমন না'গঞ্জের সাত খুনের খুনিদের পাওয়া গেল, এমপি লিটনের হত্যাকারীদের পাওয়া গেল, কিন্তু ৪-৫ বছরেও সাগর-রুণির খুনিদের খোঁজে পাওয়া যাচ্ছে না কেন? বিশেষ স্বার্থে বিশেষ পরিকল্পনায় এই হত্যাকান্ড ঘটানো হয়েছিল এমন ধারণা করা কি অমূলদ হবে? বিডিয়ার বিদ্রোহে সেনা হত্যাকান্ডের মাস্টারমাইনদের মুখোশ কেন প্রকাশ করা যাচ্ছে না?
বিষয়: রাজনীতি
১৩৩০ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য






































পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন