মানস ভ্রমণ কাশ্মীরে
লিখেছেন লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু ১৪ মে, ২০১৫, ০৬:৫৭:০১ সন্ধ্যা
মনে মনে যে ভ্রমণ তাই মানস ভ্রমণ। আসলে মানস ভ্রমণটা হচ্ছে ভ্রমণের আগেই মনে মনে বেরিয়ে আসা। এবারে মানস ভ্রমণ পৃথিবীর স্বর্গ নামে খ্যাত কাশ্মীরে।
“ট্রাভেলার্স অফ ঢাকা” নামের একটি ফেইজবুক ট্রাভেলার্স গ্রুপের সাথে যাচ্ছি এই কাশ্মীর ভ্রমণে। কাশ্মীরের প্রায় ২৫ শতাংশ পাকিস্তানের দখলে এবং বাকী ৭৫ শতাংশ ভারতীয়দের দখলে। আমরা যাবো কাশ্মীরের ভারতীয় অংশে।
:: যে সকল স্পটগুলো ভ্রমণ দেখার ইচ্ছা আছে ::
পেহেলগাও :-
আরু ভ্যালী,
চন্দনবাড়ী,
বেতাব ভ্যালী,
সুটিং স্পট সহ আরো অনেক
শ্রিনগর :-
ডাল লেক,
মসজিদ,
মোঘল আমলের অনেক গুলো পার্ক,
নেহেরু পার্ক,
শ্রিনগর শহর
গুলমার্গ ইত্যাদি।
লাদাখ :-
লেহ ও অন্যন্য
:: আনুমানিক প্লান হবে এমন ::
আমাদের এই টুরের প্রাথমিক তারিখ ঠিক করা হয়েছিলো ২০১৫ সালের মে মাসের ১০ তারিখে। আমার ভারতিয় ভিসা নেয়া আছে ৬ মাসের। তাবে দলে অনেকেই ভিসা যোগার করতে পারেনি, এমনি দলের এ্যাডমিনও ভিসা পায়নি বলে তারিখ পিছানো হয়েছে। তাছাড়া কাশ্মীরে হঠাত বন্যা হওয়াতেও তারিখটা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিলো। এখন আবার নতুন করে তারিখ ঠিক করার চিন্তা হচ্ছে এই মাসেরই ১৮ থেকে ২০ তারিখের মধ্যে।
যাইহক, এবারের ভ্রমণের যজন্য যে সিডুইল তৈরি করা হয়েছে সেটা অনেকটা নিম্ন রূপ-
দিন ১ : রাতের বাসে ঢাকা থেকে বেনাপোল
দিন ২ : ভোরে বেনাপোল-হরিদাশপুর বর্ডার পার হয়ে বাসে বা লোকাল ট্রেনে কোলকাতা, পরদিনের জন্য জম্মুর ট্রেনের টিকেট কাটা ও হোটেলে রাত্রিযাপন।
দিন ৩ : হাওড়া বা শেয়ালদাহ ষ্টেশন থেকে ট্রেনে উঠা, ট্রানেই রাত্রি যাপন।
দিন ৪ : ট্রেনেই অবস্থান ও ট্রানেই রাত্রি যাপন।
দিন ৫ : ট্রেন থেকে নেমে সমু বা জীপ নিয়ে পেহেলগাও এর উদ্দেশ্যে যাত্রা ও সেখানে রাত্রি যাপন।
দিন ৬ : পেহেলগাও এর আরুভ্যালি, ব্যাতাব ভ্যালী, চন্দনবাড়ী সহ কয়েকটি স্পটে ঘুরা। আবার পেহেলগাও রাত্রি যাপন।
দিন ৭ : আশপাশ ঘুরে জীপে শ্রিনগরের উদ্দেশ্যে যাত্রা, শ্রীনগরে পৌছে বিশ্রাম নিয়ে সম্ভব হলে আশপাশ ঘুরা ও হাউজ বোটে রাত্রী যাপন।
দিন ৮ : খুব সকালে রওনা দিয়ে গুলমার্গ ভ্রমণ করে ফিরে এসে সম্ভব হলে ঐদিনেই শ্রিনগরের পার্কগুলোতে ঘুরা এবং হাউজবোটে বা হোটেলে রত্রিযাপন।
দিন ৯ : শ্রীনগরের মোঘল পার্কগুলোতে ঘুরা, সম্ভব হলে ঐদিনেই লাদাখ রওনা করা।
দিন ১০ : খুব সকালে লাদাখের উদ্দেশ্যে রওনা করা ও লাদাখে রাত্রীযাপন।
দিন ১১ : লাদাখ এর রাজধানী লেহ এর আশেপাশ্বের স্পট গুলোতে ঘুরা ও রাত্রীযাপন।
দিন ১২ : আশপাশ ঘুরে জম্মুর উদ্দেশ্যে রওনা হওয়া, জম্মুতে পৌছে কোলকাতার ট্রেনের টিকেট কনফার্ম করা ও জম্মুতে রাত্রীযাপন।
দিন ১৩ : জম্মুতে ঘুরাঘুরি শপিং ও ট্রেন ধরা, ট্রানেই রাত্রি যাপন।
দিন ১৪ : ট্রেনেই অবস্থান ও ট্রানেই রাত্রি যাপন।
দিন ১৫ : কোলকাতা পৌছে হোটেল নেয়া, বিশ্রাম ও শপিং।
দিন ১৬ : ইচ্ছে হলে ঢাকার বাস ধরে রওনা দেয়া বা হোটেলে রাত্রী যাপন।
দিন : ১৭ : ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা।
এই খানেই “ট্রাভেলার্স অফ ঢাকা”র ট্যুর খতম। চাইলে ওদের সাথে ঢাকার পথে চলা তাইলে নিজের মত আরো থেকে যাওয়া। আমার ইচ্ছে আছে (যদি তখন পর্যন্ত ইচ্ছে থাকে তাহলে) কলকাতা থেকে দার্জেলিংটাও বেরিয়ে আসা। অনেকদিন দার্জেলিং যাওয়া হয় না।
খরচ
যাইহক “ট্রাভেলার্স অফ ঢাকা”র ট্যুর এর জন্য আনুমানিক খরচ ধরা হয়েছে জনপ্রতি ৩০০০০-৩২০০০ টাকা। কিছু কম বেশী হতে পারে। এই খরচের মধ্যে থাকবে
* ঢাকা - কলকাতা - ঢাকা যাতায়াত। (এসি বাস)
* কোলকাতা - জম্মু - কোলকাতা যাতায়াত। (ট্রেন - এসি থ্রি টায়ার)
* জম্মু - শ্রিনগর - পেহেলগাম - গুলমার্গ ও অন্যান্য ভ্রমণ। (জীপ)
সকল স্পটের এন্টি ফি বা টিকেটিং।
সকালের নাস্তা।
দুপুরের খাবার।
বিকেলের নাস্তা।
রাতের খাবার।
ইত্যাদি।
প্রথম প্রকাশ : ঝিঁঝি পোকা
[url href="http://zizipooka.com]
" target="_blank"[/url]
বিষয়: বিবিধ
১৫১৬ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন