"সাবায়ীদের লেটেস্ট ভার্জন ইরান প্রজাতন্ত্র"
লিখেছেন লিখেছেন আহমাদ গনি ১৭ জুন, ২০১৪, ০৬:২৫:১৪ সকাল
ইসলামি ইতিহাসের পাতায় যারা অনুসন্ধিত্সু দৃষ্টিতে বিচরণ করেছেন, তাদের অজানা থাকার কথা নয় যে, ইসলাম ও মুসলমাগণ ইহুদি-খৃষ্টান দ্বারা যতটা না আক্রান্ত হয়েছে,মুসলমানদের ভেতরে ইসলামি লেবাসে অন্তরকোন্দল সৃষ্টিকারী মুনাফিকদের দ্বারা তারচে বেশি আক্রান্ত হয়েছে। ইসলামের ইতিহাসে যেখানেই রক্তের গন্ধ পাওয়া সেখানেই তাদের পরোক্ষ অথবা প্রত্যক্ষ ভূমিকা লক্ষণীয়। কথায় আছে, ঘরের ইদুঁর বেড়া কাটাতে শুরু করলে তখন মালিকের সব কৌশলই নিষ্কৃয় হয়ে যায়। মুসলমানদের জন্য লেবাসধারী এই মালাউনগুলো বেড়াকাটা ইদুঁরের চেয়েও ভয়ঙ্কর। তাদের এই কোন্দলযাত্রা শুরু হয়েছিল "রঈসুল মুনাফিকীন" আব্দুল্লাহ ইবনে উবাই ইবনে সলূলের হাত ধরেই। আর সাবেক "মুআল্লিমুল মালাইকার(শয়তান)" নিরবিচ্ছন্ন নেকনজর?? তো ছিলই। তার ও তার অনুসারীদের সম্পর্কে রাসূল (স.) সম্পূর্ণ জ্ঞাত থাকা সত্তেও কুফ্ফার-মুশরিক কতৃক "মুসলমানদের অভ্যন্তরীণ ফাটলের নামে দূরভিসন্ধিমূলক অপপ্রচার" এড়ানোর জন্য তাদের নিজ হাতে নির্মূল করে যাননি। তাদের পরবর্তী জেনারেশনে হয়তো কোন সত্পুরুষের আবির্ভাব হবে, এমন আশাও ছিল নিশ্চয়। যেমনটা আশান্বিত ছিলেন আপাদমস্তক রক্ত প্রবাহিতকারী তায়েফবাসীর ব্যাপারেও।
রাসূল (স.) ও খোলাফায়ে রাশেদার যুগেও অধিকাংশ সময়জুড়ে এই মুনাফিকরা ইসলাম নির্মূলে তাদের সাধনার বিপরীতে নিষ্কৃয় ছিল। কিন্তু হযরত উসমান (রা.) শাহাদাত পরবর্তী সময়ে কিসাসগ্রহণকে কেন্দ্র করে হযরত আলী ও মুয়াবিয়ার(রা.) মাঝে স্ব স্ব ইজতিহাদের ভিত্তিতে যে মতানৈক হয়েছিল,তার পরক্ষো সুযোগ নিতে তারা মোটেও কর্পণ্য করেনি।এই মতানৈকের জের ধরে তিলকে তালে রূপান্তরিত করার মানসে তারা সাধ্যাতীত চেষ্টা চালালো। ফলে এই সাধারণ মতানৈক যুদ্ধের রূপ লাভ করতে বাধ্য হলো। আর এভাবেই তারা ইসলামের ইতিহাসে একটি কালো অধ্যায় রচনা করেছিল। পরবর্তীতে তারা নিজেদের ইসলামের হিতাকাঙ্খি পরিচয় দিতে দৌড়ঝাপ শুরু করে। এবং নিজেদের "শিআতু আলি"(শিয়া সম্প্রদায়) বলে উপস্থাপন করে। এরাই কুরাঅনকে বিকৃত করেছে,এবং সাহাবায়ে কেরামকে ব্যাপকহারে কাফির ঘোষণা করেছে।এদের ইসলাম এবং সমগ্র বিশ্বের ইসলামের মাঝে আকাশ-পাতাল দূরত্ব। এরা তাদের মতবাদে বিশ্বাসি ব্যাতীত কাউকে মুসলমান মানতে নারাজ।এরা ইসলামের জন্য ইহুদি-নাসারাদের চেয়েও ভয়ঙ্কর। এবং কতটা ভয়ঙ্কর তা ইরাকে তাদের মুজাহিদ বিরোধি অবস্থান থেকেই স্পষ্ট।সাবাঈ তরির বর্তমান নাবিক হাসান রুহানি তার বাহিনীকে ইতোমধ্যে ইরাকে প্রেরণ করেছে।এবং ইরাকের সার্বভৌমত্বে বিশ্বাসী এই মুজাহিদদের নির্মূলে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে নিজেকে নির্লজ্যতার শেষস্থরে নিক্ষেপ করেছে।এসবের পেছনে কারণ শুধু একটাই, আর তা হলো, মুসলিম হয়ে বেচে থাকতে চাইলে তাদের মতবাদে বিশ্বাসী হতে হবে, আর ইরাকের মুজাহিদ্গণ তাদের রূপ-রেখার পদাঙ্ক অনুসরণকারী মুসলমান নয়। ইহুদি-খৃষ্টান হওয়াতে তাদের আপত্তি নেই। কিন্তু মুসলমান হলে তাদের মতবাদ-অনুসারী হতে হবে। তাই তো মুজাহিদ বিরোধি এই অগ্রাসনে আমেরিকার সাথে হাতে হাত মেলাতে তাদের পঙ্কিল বিবেক একবারও বাধা দেয়নি। হে আল্লাহ! ইরাকের জমিনেই এইসব সাবাঈদের কবর রচনা করুন।
বিষয়: বিবিধ
১২১৮ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
১৯৯৪ সালে আফগানিস্তানে মোল্লা ওমরের নেতৃত্বাধীন ইনসাফপূর্ণ ইসলামী খিলাফত প্রতিষ্ঠা দেখে সম্মিলিত শয়তানী শক্তি ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে। তাকে অঙ্কুরেই বিনাশ করে দেয়ার জন্য সর্বশক্তি নিয়োজিত করেছিল। দূর্ভাগ্যের বিষয় হচ্ছে তালেবান সরকারের সাথে সংশ্লিষ্ট সাবেক মুজাহেদীনদের কিছু অপরিনামদর্শী ও অদুর্দশিতাপূর্ণ বোকামীর কারণে নবগঠিত ইসলামী খিলাফতকে স্থায়ী রূপ দেয়া সম্ভব হয়নি।
এখন দেখার বিষয় জাজিরাতুল আরবের সেই হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার যে সম্ভবনার সোনালী সূর্যের আলো দেখা যাচ্ছে তা কত তারাতারি উদিত হয়! নাকি তাও অঙ্কুরেই বিনাশ করে দেয়।
মন্তব্য করতে লগইন করুন