ইরান কেমন ইসলামী প্রজাতন্ত্র?
লিখেছেন লিখেছেন আহমাদ গনি ১৬ জুন, ২০১৪, ১১:২০:১৬ রাত
ইরাকে (ISIS) কতৃক তাদের বড় বড়
শহরগুলো ফিরে পাওয়ার সংবাদ ফেসবুকের
কল্যাণে সকলের কাছে এখন পুরাতন খবর।
মুজাহিদরা এখন বাগদাদের
দিকে ক্রমাগ্রসরমান। সংবাদ সংস্থার
ভাষ্যমতে তারা এখন বাগদাদ থেকে মাত্র 40 কি.মি. দূরত্বেই সরবে অবস্থান করছে।
সরকারি বাহিনী তাদের
হৃদয়ভেদি ঈমানি হুংকারে মনোরাজ্যে কম্পন
অনুভব করছে নিশ্চয়। সরকারি বাহিনীর
মধ্যেও যাদের
ঈমানি চেতনা নির্বাপিতপ্রায়, মুজাহিদদের নবজাগরণে তাদের চেতনার
অঙ্গারেও নতুন করে ঈমানি আগুনের
সূত্রপাত হচ্ছে। কিছু কিছু সেনাবাহিনীর
মুজাহিদ বাহিনীতে যোগদানের খবর
তারই প্রতিফলন।
সাম্রাজ্যবাদী আমেরিকা-ইসরাইল- এর মুসলিমনিধন প্রতিযোগিতায় উল্লিখিত
কথাগুলো মর্মাহত হৃদয়ে কিছুটা হলেও
আনন্দ সঞ্চারিত হওয়ার কথা। কিন্তু
হতে পারছেনা, কারণ সেই
আনন্দতরি কিনারায় পৌছানোর আগেই
তা ডুবিয়ে দেয়ার জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে আব্দুল্লাহ ইবনে গংয়ের লেটেস্ট
ভার্সন হাসন রুহানির সম্প্রদায়।
এবং অতি শিগগির তা বাস্তবায়নের
অপেক্ষায়, যার সংবাদ আল জাজিরা মারফত
আমরা ইতোমধ্যে পেয়েছি।
ইসলামী প্রজাতন্ত্রের ছদ্মাবরণে ইসলাম বিধ্বংসী এই নগ্নতা দেখার জন্য শয়তানও
অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে নিশ্চয়।
তারও তো কিছু শেখার আছে এই মালাউনদের
কাছ থেকে। অবশ্য তাদের এই
ঘোষণা শুনে ব্যাতীত হলেও অবাক
হয়নি মোটেও। কারণ যারা নির্দ্বিধায় সাহাবায়ে কেরামকে কাফির
ঘোষণা করতে পারে, তাদের কাছে এই
কাজটা একেবারেই নগণ্য। এতকিছুর পরও
যখন ইরান নামক
দেশটিকে "ইসলামী প্রজাতন্ত্র"
হিসেবে আখ্যায়িত করা হয় তখন এই ক্ষুদ্র অথচ ব্যাতীত হৃদয়ে বারংবার
একটি প্রশ্নই জাগে, পৃথিবীতে আবিষ্কৃত-
অনাবিষ ্কৃত শব্দ সম্ভারে "ইসলাম" শব্দটিই কি সবচে বেশি নির্যাতিত?
বিষয়: বিবিধ
১৪৩৭ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন