শিবিরের ছাগুরা কি বলে ! পড়েন আরেক কাহিনী

লিখেছেন লিখেছেন সত্য কন্ঠ ০৫ মে, ২০১৪, ০৪:৪৫:৩২ রাত

দুষ্টের শিরোমনি সেই ছেলেটি কি করে হয়ে উঠল ইসলামী আন্দোলনের সেনাপতি!!



ছেলেটি মাদ্রাসায় নবম বা দশম শ্রেনীতে পড়ে। অসম্ভব মেধাবী তবে দুষ্টের শিরোমনি। ক্লাসের সবাই ভয়ে ভয়ে থাকে তার দুষ্টোমীর হাত থেকে। কেউ সাদা পাঞ্জাবী পড়ে আসলে ছেলেটির আশে পাশে কখনো বসতো না। যদি ভুল করেও কেউ বসতো তাইলে তার পাঞ্জাবী হয়ে যেত ছেলেটির লেখার খাতা!

এই ছেলেটিও একদিন শিবিরের দাওয়াত গ্রহন করল। কিন্তু করলে কি হবে তার দুষ্টুমি

কিছুতেই কমে না। তাকে শপথের কর্মী বানানো প্রায় অসম্ভব চিন্তা হয়ে দাড়াল দায়িত্বশীলদের জন্য। কিন্তু শহীদ আব্দুল মালেকের উত্তরসূরীরা কি আর থেমে থাকে? এক দায়িত্বশীল ভাই পণ করেই বসলেন এই দুষ্ট ছেলেকে ইসলামী আন্দোলনের শপথের কর্মী বানাবেনই। রোজ ফজরের নামাজ পড়ানোর জন্য মাইলখানেক পথ হেঁটে আসেন দায়িত্বশীলভাইটি। দায়িত্বশীলভাই এর ডাকেই ঘুম থেকে জেগে ওঠে দুষ্টু ছেলেটি। ফজরের নামাজ পড়ে একসাথে প্রাতরাশ সেরে কুরাআন তিলাওয়াতও চলে কিছুক্ষণ একসাথে। হাদীস পাঠ ও ইসলামী সাহিত্যও মাঝে মাঝে। কিন্তু ইসলামী আন্দোলনের শপথ নিতে রাজী হয়না কিছুতেই।

একদিন প্রচন্ড ঝড় বৃষ্টির মাঝে ছেলেটি ঘুমাচ্ছিল নিশ্চিন্তে। কারন দায়িত্বশীল ভাইটি আজ কিছুতেই আসতে পারবেনা সে ধরেই নিয়েছিল। কিন্তু ফজরের নামাজের আগেই দরজায় ঠক ঠক! ঘুম জড়ানো চোখে উঠে দরজা খুলতেই দেখলেন দায়িত্বশীল ভাইটি দাঁড়িয়ে! তার সমস্ত শরীর পোশাক আশাক কাদাপানিতে ভিজে চুপচুপ। দুষ্টু ছেলেটি তার জামা কাপড় দিয়ে তাকে ফ্রেশ হতে সাহায্য করল। দায়িত্বশীল ভাইটি র ইমামতিতে নামাজ পড়ল দুজন। নামাজ শেষ করেই ঢলে পড়লেন দায়িত্বশীল ভাইটি। জ্ঞান হারানোর আগে শুধু এইটুক বলতে পেরেছিলেন যে, সাপে কেটেছে!

দুষ্টু ছেলেটি দৌড়ে গ্রামের ওজা আনল। যখন ওজা আসল তখন দেখা গেল দায়িত্বশীল ভাইটির পুরো শরীর বিষক্রিয়ায় নীল বর্ণ ধারন করেছে। ওজা সাপে কাটার স্থান দেখেই বলে দিলেন, এ ভয়ংকর বিষধর সাপের কাটা। অনেক দেরী হয়ে গেছে। একে বাচাঁনো প্রায় অসম্ভব। শুনেই দুষ্ট ছেলেটি হাউমাউ করে কান্নাকাটি শুরু করে দিল। ওজাকে বলল, আপনি আপনার যত চেষ্টা আছেন করেন।

মন থেকে দোয়া শুরু করল দুষ্টু ছেলেটি সরাসরি আল্লাহর কাছে। ইয়া আল্লাহ! যেই মানুষটি শুধুমাত্র আমাকে ফজরের নামাজ পড়ানোর জন্য মাইল খানেক হেটে আসেন, আজ সাপে কাটার পরও যিনি ফিরে না গিয়ে আমাকে নামাজ পড়ানোর জন্য এসেছেন তাকে তুমি নিজ হাতে হেফাজত কর। আমি ওয়াদা করলাম আজীবন তোমার দ্বীন প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে নিয়োজিত থাকবো!

আল্লাহ দুষ্টু ছেলেটির দোয়া কবুল করলেন। তার দায়িত্বশীল ভাইটি সুস্থ হয়ে উঠলেন আর তারও শুরু হল দ্বীন প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে পথ চলা। আজ সেই দুষ্টু ছেলেটিই হয়ে উঠলেন ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ।

আসুন প্রাণ উজার করে দোয়া করি এই দুই ভাই এর জন্য। আল্লাহ যেন উনাদের সব সময় তার রহমতের চাঁদরে ঢেকে রাখেন।

(সংগ্রহ)

বিষয়: বিবিধ

১৩২৭ বার পঠিত, ৮ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

217596
০৫ মে ২০১৪ সকাল ০৫:১৯
বিভীষিকা লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ
০৮ মে ২০১৪ সকাল ০৫:৫১
166773
সত্য কন্ঠ লিখেছেন : Good Luck
217597
০৫ মে ২০১৪ সকাল ০৬:০৮
মোহাম্মদ নূর উদ্দীন লিখেছেন : বাহ !
০৮ মে ২০১৪ সকাল ০৫:৫২
166774
সত্য কন্ঠ লিখেছেন : Good Luck
217603
০৫ মে ২০১৪ সকাল ০৮:২৩
আয়নাশাহ লিখেছেন : আল্লাহ কিভাবে কাকে দিয়ে কি কাজ করাবেন সেটা তিনিই জানেন। এই দুজনই আল্লাহর কাছে প্রিয় হয়ে থাকুন।
০৮ মে ২০১৪ সকাল ০৫:৫২
166775
সত্য কন্ঠ লিখেছেন : Good Luck
217898
০৫ মে ২০১৪ রাত ০৯:৩৮
পাহারা লিখেছেন : আল্লাহ আমাদের সবাইকে ইসলামি আন্দোলনের জন্য কবূল করেন।
০৮ মে ২০১৪ সকাল ০৫:৫২
166776
সত্য কন্ঠ লিখেছেন : Good Luck

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File